বিশ্ব নিদ্রা দিবস

বাৎসরিক উদযাপিত দিবস
(বিশ্ব ঘুম দিবস থেকে পুনর্নির্দেশিত)

সুনিদ্রার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে ২০০৮ সাল থেকে World Association of Sleep Medicine বিশ্ব নিদ্রা দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতি বছর মার্চ মাসে মহাবিষুবের আগের শুক্রবার এ দিনটি পালন করা হয়।[১] এ দিনটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুস্থ্যতার জন্য সুনিদ্রার প্রয়োজনীয়তা এবং নিদ্রাহীনতা ও এর চিকিৎসা, নিবারণ, শিক্ষা জনসমক্ষে তুলে ধরা।

ঘুৃম মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অত্যাবশকীয় স্বাভাবিক প্রক্রিয়া

বিশ্ব নিদ্রা দিবসের মাধ্যমে প্রতি বছর World Sleep Society ঘুমের প্রয়োজনীয়তা এবং সমাজে এর প্রভাবের ব্যাপারে জনসচেনতা সৃষ্টি করে।

ঘুম মানুষের একটি অত্যাবশ্যকীয় শরীরতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। পরিমিত ঘুম সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। হৃদ্‌রোগসহ নানা রোগের ঝুঁকিও কমায়। প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। নির্দিষ্ট এই ঘুম হলে প্রতিদিন সকালে আমরা সুস্থ অনুভূতি দিয়ে দিন শুরু করতে পারি। নয়তো অনিদ্রায় শরীরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

নিদ্রাহীনতার ফলে স্বাস্থ্যহানীর হুমকিতে আছে বিশ্বের জনসংখ্যার ৪৫% মানুষ!

সমালোচনা সম্পাদনা

২০১৭ সালের ১৭ই মার্চ বিশ্ব নিদ্রা দিবস টুইটারে জনপ্রিয়তা পায়৷ জনপ্রিয় ভারতীয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন টুইট করেন যে "আগামীকাল ১৭ই মার্চ বিশ্ব নিদ্রা দিবস। এর মানে কি!?" [২]

বিশ্ব নিদ্রা দিবস সমালোচিত হওয়ার কারণ অনেকেই মনে করেন যে এই দিবসটি ঘুমকে কোনো পণ্যের সাথে তুলনা করে এবং প্রত্যেককেই গভীর ঘুমে নিমজ্জিত হওয়ার বিষয়টিকে উৎসাহিত করে। [৩]

নিদ্রাহীনতার আর্থিক প্রভাব সম্পাদনা

নিদ্রাহীনতার ফলে বিভিন্ন দেশের আর্থিক ক্ষতি অনুমান করা হয় যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর নিদ্রাহীনতার কারণে ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়, জাপানে ক্ষতি হয় ১৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যুক্তরাজ্যে ৫০ বিলিয়ন ও কানাডায় ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

বার্ষিক উদ্‌যাপন সম্পাদনা

প্রতিবছর মার্চ মাসে মহাবিষুবের আগে শুক্রবার এ দিনটি পালন করা হয়। বিশ্ব নিদ্রা দিবস সর্বপ্রথম উদ্‌যাপন করা হয় ২০০৮ সালের ১৪ই মার্চ। ইন্টারনেট ও বিশ্বব্যাপী এই দিনে ঘুমবিষয়ক ও স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচনা, উপস্থাপনা ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়।

বছর তারিখ স্লোগান
২০০৮ ১৪ মার্চ 'Sleep well, live fully awake'[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
২০০৯ ২০ মার্চ 'Drive alert, arrive safe'[৪]
২০১০ ১৯ মার্চ 'Sleep Well, Stay Healthy'[৫]
২০১১ ১৮ মার্চ 'Sleep Well, Grow Healthy'[৬]
২০১২ ১৬ মার্চ 'Breathe Easily, Sleep Well'[৭]
২০১৩ ১৫ মার্চ 'Good Sleep, Healthy Aging'[৭]
২০১৪ ১৪ মার্চ 'Restful Sleep, Easy Breathing, Healthy Body'[৭]
২০১৫ ১৩ মার্চ 'When sleep is sound, health and happiness abound'
২০১৬ ১৮ মার্চ 'Good Sleep is a Reachable Dream'
২০১৭ ১৭ মার্চ 'Sleep Soundly, Nurture Life'
২০১৮ ১৬ মার্চ 'Join the Sleep World, Preserve Your Rhythms to Enjoy Life'
২০১৯ ১৫ মার্চ 'Healthy Sleep, Healthy Aging'
২০২০ ১৩ মার্চ 'Better Sleep, Better Life, Better Planet'[৮]
২০২১ ১৯ মার্চ 'Regular Sleep, Healthy Future'
২০২২ ১৮ মার্চ ’Quality sleep,Sound mind,Happy world’[৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "World Sleep Day® is March 16, 2018" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১৬ 
  2. Twitter @SrBachchan
  3. "Why the sleep industry is keeping us awake at night"। Guardian। ৯ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৯ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২১ 
  5. "March 19 2010 is Third Annual World Sleep Day"Thaindian News। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২১ 
  6. "Philips official sponsor of World Sleep Day 2011"। মার্চ ১৮, ২০১১। এপ্রিল ২২, ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০২১ 
  7. "World Sleep Day® is March 15, 2019" 
  8. "World Sleep Day 2015 toolkit" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১২ 
  9. https://www.medindia.net/news/healthwatch/world-sleep-day-2022-quality-sleep-sound-mind-happy-world-206156-1.htm। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৭  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)