বিশ্বেশ্বরপ্রসাদ কোইরালা

নেপালি রাজনীতিবিদ
(বিশ্বেশ্বর প্রসাদ কৈরালা থেকে পুনর্নির্দেশিত)

বিশ্বেশ্বরপ্রসাদ কোইরালা (নেপালি: विश्वेश्वरप्रसाद कोइराला; ৮ সেপ্টেম্বর ১৯১৪–২১ জুলাই ১৯৮২) ছিলেন একজন নেপালি লেখক ও রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৫৯ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, তিনি দীর্ঘদিন নেপালি কংগ্রেস নামক একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

বিশ্বেশ্বরপ্রসাদ কোইরালা
विश्वेश्वरप्रसाद कोइराला
১৯৫০-এর দশকে কোইরালা
নেপালের ২২তম প্রধানমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৭ মে ১৯৫৯ – ১৫ ডিসেম্বর ১৯৬০
সার্বভৌম শাসকরাজা মহেন্দ্র
পূর্বসূরীসুবর্ণ শমশের রানা
উত্তরসূরীতুলসী গিরি
নেপালি কংগ্রেসের ২য় প্রেসিডেন্ট
কাজের মেয়াদ
২৬ মে ১৯৫২ – ২৪ জানুয়ারি ১৯৫৬
পূর্বসূরীমাতৃকা প্রসাদ কোইরালা
উত্তরসূরীসুবর্ণ সমশের রানা
কাজের মেয়াদ
২৩ মে ১৯৫৭ – ২১ জুলাই ১৯৮২
পূর্বসূরীসুবর্ণ সমশের রানা
উত্তরসূরীকৃষ্ণপ্রসাদ ভট্টরাই
নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১ – ১২ নভেম্বর ১৯৫১
প্রধানমন্ত্রীমোহন শমশের
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯১৪-০৯-০৮)৮ সেপ্টেম্বর ১৯১৪
বারাণসী, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান ভারত)
মৃত্যু২১ জুলাই ১৯৮২(1982-07-21) (বয়স ৬৭)
কাঠমান্ডু, নেপাল
মৃত্যুর কারণফুসফুসের ক্যান্সার[১]
রাজনৈতিক দলনেপালি কংগ্রেস
দাম্পত্য সঙ্গীসুশীলা কোইরালা
পিতামাতাকৃষ্ণপ্রসাদ কোইরালা (পিতা)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীস্কটিশ চার্চ কলেজ
কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
স্বাক্ষর

বিশ্বেশ্বর ছিলেন নেপালের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি মাত্র ১৮ মাস প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং এরপর রাজা মহেন্দ্রের নির্দেশে পদচ্যুত ও কারাবন্দি হন। এরপর তার বাকী জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে কারাগারে বা নির্বাসনে।[২]

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

মহাত্মা গান্ধীর একনিষ্ঠ সমর্থক কৃষ্ণপ্রসাদ কোইরালার দ্বিতীয় পুত্র বিশ্বেশ্বরপ্রসাদ কোইরালার শৈশব কেটেছে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বারাণসীতে[৩] ১৪ বছর বয়সে তিনি তার পিতার প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুলে ভর্তি হন। পরবর্তীকালে তিনি হরিশচন্দ্র স্কুলে ভর্তি হন। সেখানে নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নকালে তিনি লেখালেখি শুরু করেন।[৪]

১৯৩০ সালে ব্রিটিশ রাজ বিশ্বেশ্বর এবং তার ভাই মাতৃকা প্রসাদ কোইরালার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের সাথে যোগাযোগ করার অভিযোগ আনে। এ অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিন মাস পর তারা মুক্তি পান। এ কারণে বিশ্বেশ্বর তার পিতার ইচ্ছা অনুযায়ী কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু, ১৯৩০ সালের শেষের দিকে তিনি কলেজ ছেড়ে বেনারসে ফিরে আসেন। ১৯৩২ সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর তার বাবা তাকে আবারো স্কটিশ চার্চ কলেজে ভর্তি হতে জোর দেওয়ায় তিনি দ্বিতীয়বারের মতো তিনি কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তিনি তা ছেড়ে দিয়ে বেনারসে ফিরে যান। ১৯৩৪ সালে তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও রাজনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[৫] এরপর ১৯৩৭ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর দার্জিলিং-এ বেশ কয়েক বছর তিনি এ পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

ছাত্র অবস্থায়ই তিনি ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৩৪ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা তাকে ধানবাদে দুই বছরের (১৯৪২-১৯৪৪) জন্য অন্তরীণ করে রেখেছিল।

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Reuters (১৯৮২-০৭-২২)। "B.P. Koirala, Former Prime Minister of Nepal"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৭ 
  2. Koirala, Bisheshwor Prasad (২০০১)। Atmabrittanta: Late Life Recollections। Kathmandu: Himal Books। আইএসবিএন 978-99933-1-308-3। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  3. "B.P. Koirala- National Figure of Nepal: Politics, Literature"। ২৩ মে ২০১২। 
  4. "Bisheshwar Prasad Koirala - A Life Review"www.ashishdanai.com.np। ২৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৬ 
  5. "BP Koirala, a life review, AnishDanai.com.np"। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
সুবর্ণ শমশের রানা
নেপালের প্রধানমন্ত্রী
১৯৫৯–১৯৬০
উত্তরসূরী
তুলসী গিরি