২০১৬ কালিয়াচক দাঙ্গা

২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা জেলার কালিয়াচক শহরে সহিংসতা শুরু হয়।[১][২][৩] ডিসেম্বর ২০১৫ সালে উত্তর প্রদেশ রাজ্যে হিন্দু মহাসভার নেতা বলে দাবি করা কমলেশ তিওয়ারীর মুসলিম নবী মুহাম্মাদ এর বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্য বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন মুসলমানরা।[৪][৫][৬][৭][৮][৯]

কালিয়াচক দাঙ্গা
তারিখ৩ জানুয়ারি ২০১৬ (2016-01-03)
অবস্থান
২৪°৪৮′ উত্তর ৮৮°০২′ পূর্ব / ২৪.৮° উত্তর ৮৮.০৩° পূর্ব / 24.8; 88.03
প্রক্রিয়াসমূহবিক্ষোভ এবং সংঘর্ষ
ক্ষয়ক্ষতি
আহত৩০
মালদা জেলা পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
মালদা জেলা
মালদা জেলা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবাদ ও সহিংসতার স্থান

পুলিশ এবং সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি হলে এই প্রতিবাদ সমাবেশের একটি অংশ হিংস্র হয়ে ওঠে। ভিড় কালিচাক থানা, সমষ্টি উন্নয়ন কার্যালয় এবং জনসম্পত্তি ভাঙচুর করে। এই ঘটনাতে ৩০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। বিএসএফ এবং উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা (এনবিএসটিসি) সহ বেশ কয়েকটি বেসরকারী ও সরকারি যানবাহনে অগ্নি সংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। খালতিপুর রেল স্টেশনে বিক্ষোভকারীরা রেলপথ রুদ্ধ করে দেওয়ার কারণে ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হয়।[১০]

পটভূমি সম্পাদনা

পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলাতে হিন্দুমুসলমানদের সমন্বয়ে একটি মিশ্র জনসংখ্যা রয়েছে। ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, মালদা জেলা ভারতের এমন একটি জেলা যেখানে হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় মুসলিম জনসংখ্যা বেশি রয়েছে এবং কালিয়াচক ব্লকে মুসলিম জনসংখ্যার সর্বাধিক অনুপাত রয়েছে।[১১][১২] এই জেলাটি ভারতের বিহার এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাথেও সীমান্ত ভাগ করে, এই জেলার সাথে বাংলাদেশের একটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। এই জায়গাটি পোস্ত ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অবৈধ ড্রাগ মাফিয়াদের নিরাপদ উত্তরণ হিসাবে বিবেচিত হয়।

সমকামিতা সম্পর্কে মন্তব্য সম্পাদনা

১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) এর ৩৭৭ ধারা সমকামী যৌনতাকে আইন দ্বারা দণ্ডনীয় করে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদানের কথা বলে। ২০০৯ সালে, দিল্লি হাইকোর্ট আইনটিকে অসাংবিধানিক বলে কার্যকরভাবে নিষেধাজ্ঞাকে অকার্যকর বলে মনে কর। চার বছর পরে, ১১ ই ডিসেম্বর ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তটি উল্টে দিয়ে আইনটি সংশোধন করার জন্য লোকসভায় রেখে আইনটি পুনঃস্থাপন করে।[১৩] পুনঃ-অপরাধীকরণের পর থেকে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শশী থারুর[১৪] এবং ভারতীয় জনতা পার্টির অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি[১৫] সহ একাধিক রাজনীতিবিদ আইনানুগ রায় ঘোষণার পক্ষে ছিলেন।

অরুণ জেটলি মুম্বইয়ের টাইমস সাহিত্য উৎসবে ২৮ নভেম্বর ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা সমকামিতার বিষয়ে রায় নিয়ে পুনর্বিবেচনার পক্ষে মতামত প্রদান করেন।[১৬] ২ ডিসেম্বর, সমাজবাদী পার্টির একজন মুসলিম প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং উত্তর প্রদেশ বিধানসভার সদস্য,[১৭][১৮] জেটলির এই বক্তব্যের জবাব দিয়ে বলেন যে জাতীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্যরা বিয়ে না করায় তাঁরা সমকামী।[১৯] পরের দিন, আখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার কর্মরত সভাপতি হিসাবে দাবি করা কমলেশ তিওয়ারি হযরত মুহাম্মাদকে বিশ্বের প্রথম সমকামী বলে অভিহিত করেন।[৯] ২০১৩ সালের ৩ ডিসেম্বর তাঁকে লখনউতে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ১৫৩-এ (ধর্মের ভিত্তিতে গোষ্ঠীগুলির মধ্যে শত্রুতা প্রচার এবং সম্প্রীতির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কুসংস্কারমূলক আচরণ) এবং ২৯৫-এ (ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষমূলক কাজ, যে কোনও ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করে কোনও শ্রেণীর ধর্মীয় অনুভূতিকে ঘৃণা করার উদ্দেশ্যে মামলা) এর অধীনে লখনউয়ের নাকা হিন্দোলা থানায় নথিভুক্ত হয়। তার এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ, দেশব্যাপী বেশ কয়েকটি ইসলামী দল দ্বারা অনুষ্ঠিত হয়, তাদের বেশিরভাগই কমলেশ তিওয়ারির ফাঁসি দাবি জানান।[২০]

প্রতিবাদ এবং সহিংসতা সম্পাদনা

ইদারা-ই-শরিয়া এবং আঞ্জুমান আহলে সুন্নাতুল জামাত নামে একটি মুসলিম সংগঠন কমলেশ তিওয়ারিকে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুর দাবিতে কালিয়াচকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি নিয়ে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করে, যেখানে ৩০,০০০ জন[১০] থেকে আড়াই লক্ষ মুসলমান উপস্থিত ছিলেন।[২০][২১][২২] বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একদল লোক সহিংস হয়ে ওঠে এবং কালিয়াচাক থানা, ব্লক উন্নয়ন কার্যালয় এবং জনসাধারণের সম্পত্তি ভাংচুর করে। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) সহ বেশ কয়েকটি বেসরকারী ও সরকারি যানবাহন অগ্নি সংযোগ করে। জাতীয় সড়ক ৩৪-তে একটি এনবিএসটিসি বাসেও অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি জাতীয় সড়কে আটকে পড়ে। পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৩০ জনেরও বেশি লোক আহত হন। খালতিপুর রেল স্টেশনে বিক্ষোভকারীরা রেলপথ রোধ করায় ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হয়। পুলিশ যখন প্রতিবাদকারীদের থামিয়ে দেয়, তখন দাঙ্গা শুরু হয়।[১০][২১][২২][২৩] কয়েকটি সংবাদে জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গায় শনি মন্দির, দুর্গা মন্দির এবং অন্যান্য হিন্দু মন্দিরে হামলা করা হয় এবং হিন্দু ও মুসলমান উভয়ের মালিকানাধীন প্রায় ২৫০ টি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয়।[২০][২৪][২৫]

কালিয়াচাক, আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিকটবর্তী স্থান, পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির মাফিয়া এবং সমাজবিরোধীদের একটি চলাচলের পথ হিসাবে বিবেচিত এবং এটি অনেকগুলি অসামাজিক কার্যকলাপের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। এই অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র রাখা, পোস্ত চাষ, জাল নোটের লেনদেন, অবৈধ ড্র্যাগ পাচারের মতো অপরাধ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, স্থানীয় গুন্ডারা, এই বিক্ষপের সময়ে থানায় আক্রমণ করে তাদের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলার প্রমাণগুলি ধ্বংস করে।[২৪][২৬][২৭][২৮][২৯]

জনতা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশকে ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালাতে হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএএফ) কর্মীদের মোতায়েন করা হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আরএসএস কর্মী গোপাল তিওয়ারি আহত হয়ন।[৩০] সহিংসতার পরে, পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ অনুচ্ছেদটি ব্যবহার করে লোক জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিজেপি'র রাজ্যের একমাত্র বিধায়ক সমিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১০ জনের প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শনে গেলে রথবাড়ী এলাকার কাছে তাঁদের থামানো হয়, কারণ তাদের উপস্থিতি এই আন্দোলন ত্বরান্বিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত সদস্যদের পরে ছেড়েদেয়। এছাড়াও এমপি এস. এস. অহলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে বিজেপির তিন সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলকেও মালদা স্টেশন থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।[২০][২১][২৩][২৫][৩১][৩২][৩৩]

নাগরিক অধিকার সংগঠন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস (এপিডিআর) এর মালদা অধ্যায়[৩৪] একটি বিবৃতি জারি করে জানায় যে গত রবিবারের এই ঘটনাকে "দীর্ঘদিন ধরে সাম্প্রদায়িক" বলা যায় না। মালদহের এপিডিআর-এর জেলা সচিব, জিষ্ণু রায় চৌধুরী দুর্বৃত্তদেরকে অভূতপূর্ব সহিংসতার ঘটানোর "লক্ষ্য" স্থির করার জন্য দোষ দিয়েছেন, যা "রাজ্যে অনাচারের লক্ষণ।"[৩৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "48 hours after Mob violence , Kaliachak in Malda turns ghost town"India Today। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৬ 
  2. "Why did the media ignore the Malda communal violence?"scroll.in। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৬ 
  3. Banerjie, Monideepa (৬ জানুয়ারি ২০১৬)। "Centre Asks Mamata Government For Report On Malda Mob Violence: 10 Developments"NDTV। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. "Here's why 1 lakh Muslims are demanding death penalty for Kamlesh Tiwari"Daily News and Analysis। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৬ 
  5. "This is what Kamlesh Tiwari said about Prophet Muhammad which infuriated Muslims"। Zee News। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৬ 
  6. "Everything You Wanted To Know About Malda Violence, But Were Too Secular To Ask" 
  7. "Malda flare-up : why the BJP is making such an issue of it" 
  8. "Muslim rally turns violent, mob burns police station over Kamlesh Tiwari's remarks on Prophet Muhammad"। Zee News। ৫ জানুয়ারি ২০১৬। 
  9. "Kamlesh Tiwari not a member, says Hindu Mahasabha" 
  10. "Mob attacks police station in Malda"The Hindu: Mobile Edition। ২০১৬-০১-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-০৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  11. "District Profile:MALDA"। malda.gov.in। ৫ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  12. "WELCOME TO THE DEPARTMENT OF WEST BENGAL PANCHAYAT AND RURAL DEVELOPMENT..."। ১৭ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  13. Gardiner Harris (১১ ডিসেম্বর ২০১৩)। "India's Supreme Court Restores an 1861 Law Banning Gay Sex"। The New York Times। 
  14. "India parliament blocks MP's bill to decriminalize gay sex"। AFP via Rappler। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫। 
  15. Dhamini Ratnam (১৪ জানুয়ারি ২০১৫)। "BJP supports decriminalization of homosexuality: Shaina NC"। LiveMint। 
  16. "Arun Jaitely's Speech On NJAC at Times LIT Fest"। Times of Indida। ২৯ নভেম্বর ২০১৫। 
  17. "Member Profile" (পিডিএফ)U.P. Legislative Assembly। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  18. "All MLAs from Assembly Constituency"। Elections.in। 
  19. "This is what Kamlesh Tiwari said about Prophet Muhammad which infuriated Muslims"। Zee News। ১২ ডিসেম্বর ২০১৫। 
  20. Panwar, Preeti (২০১৬-০১-০৫)। "Malda violence explained: Muslim mob ransack police stations, burn vehicles"www.oneindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-০৬ 
  21. "बंगाल: पैगंबर के 'अपमान' के विरोध में हिंसा करने के आरोप में 10 लोग गिरफ्तार"Jansatta। ৪ জানুয়ারি ২০১৬। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  22. "West Bengal: Malda tense as anti-Tiwari rally turns violent"The Indian Express। ৪ জানুয়ারি ২০১৬। 
  23. "Ten people arrested after Malda violence: Here are the key developments"Firstpost। ২০১৬-০১-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-০৬ 
  24. Roy, Rajat। "Decoding Malda violence: Unrest was more than communal incident, it was narco mafia's message to cops"Firstpost। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৬ 
  25. Nandishwarreddy.s। "Kaliachak riots Hindu minority targeted no media report - Kaliachak"। ২০১৬-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-১৩ 
  26. "India's own Afghanistan in West Bengal, where heroin is villain : Mail Today, News - India Today"indiatoday.intoday.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-১২ 
  27. "Malda riots: Why Muslim mob specifically targeted Kaliachak police station"Zee News। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-১২ 
  28. Banerjie, Monideepa (১৫ জানুয়ারি ২০১৬)। "Poppy Fields Of Malda May Be Key To Mob Violence On January 3"। NDTV। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৬ 
  29. "Kaliachak clash because of poppy mafia"। Ei Samay Sangbadpatra। ১৩ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৬ 
  30. "Malda riots: Why mob specifically targeted Kaliachak police station" 
  31. "BJP MPs turned back from Malda"The Telegraph 
  32. "Malda violence: BJP team stopped from entering Kaliachak, 10 held".:: 5MM.IN - News। ২০১৬-০১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-১২ 
  33. "Malda violence: BJP team stopped from entering Kaliachak, 10 held"The Indian Express। ৭ জানুয়ারি ২০১৬। 
  34. "APDR"। ২০১৬-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-১২ 
  35. Bagchi, Suvojit। "'Malda not a fight between communities"TheHindu। thehindu.com। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা