২০১৪ এশিয়া কাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ১২তম আসর ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ, ২০১৪ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী শহর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অনুষ্ঠিত হয়।[১] পূর্ববর্তী অন্যান্য বছরের ন্যায় এশিয়া মহাদেশের টেস্টখেলুড়ে দেশ - বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানশ্রীলঙ্কার জাতীয় ক্রিকেট দলের সাথে আইসিসি সহযোগী সদস্য আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।[২]

২০১৪ এশিয়া কাপ
২০১৪ এশিয়া কাপের লোগো
তত্ত্বাবধায়কএশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল
ক্রিকেটের ধরনএকদিনের আন্তর্জাতিক
প্রতিযোগিতার ধরনরাউন্ড-রবিন
আয়োজক বাংলাদেশ
বিজয়ী শ্রীলঙ্কা (৫ম শিরোপা)
অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা
খেলার সংখ্যা১১
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়লাহিরু থিরিমানে (শ্রীলঙ্কা)
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীশ্রীলঙ্কা লাহিরু থিরিমানে (২৭৯)
সর্বাধিক উইকেটধারীশ্রীলঙ্কা লাসিথ মালিঙ্গা (১১)

১৬ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের সময়সূচি ও স্থান ঘোষণা করে।[৩] সম্প্রচারস্বত্ত্বজনিত কারণে প্রতিযোগিতাটি অ্যারাইজ এশিয়া কাপ ২০১৪ নামে পরিচিত।

মাঠ সম্পাদনা

প্রতিযোগিতার জন্য নির্ধারিত ১১টি[৪] খেলার ৫টি ফতুল্লায় এবং ফাইনাল ম্যাচসহ বাকি ম্যাচ ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। তন্মধ্যে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা’র মধ্যকার উদ্বোধনী খেলাটি ফতুল্লায় অনুষ্ঠিত হবার সিদ্ধান্ত গৃহীত ও বাস্তবায়িত হয়।

ঢাকা ফতুল্লা
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম
ধারণক্ষমতা: ২৬,০০০ ধারণক্ষমতা: ২৫,০০০
 
২০১৪ এশিয়া কাপের মাঠ

দলের সদস্য সম্পাদনা

  বাংলাদেশ[৫]   ভারত[৬][৭]   পাকিস্তান[৮][৯]   শ্রীলঙ্কা[১০]   আফগানিস্তান[১১]

ভারতের অধিনায়ক এমএস ধোনি’র আঘাতপ্রাপ্তিতে দল থেকে বাদ পড়েন ও বিরাট কোহলিকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়াসহ দীনেশ কার্তিককে উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। অশোভন আচরণের অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে খেলা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ফলে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনি খেলতে পারেননি। অন্যদিক তামিম ইকবাল আঘাত পাওয়ায় তিনি দলের বাইরে অবস্থান করেন।[১২] আঘাতপ্রাপ্তির জন্য বাংলাদেশের মাশরাফি বিন মর্তুজাসোহাগ গাজী যথাক্রমে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেননি।

খেলা পরিচালনাকারী কর্মকর্তা সম্পাদনা

মাঠের আম্পায়ার:

সংরক্ষিত আম্পায়ার:

  •   মাসুদুর রহমান
  •   তানভীর আহমেদ

টিভি আম্পায়ার:

ম্যাচ রেফারি:

পয়েন্ট তালিকা[১৩] সম্পাদনা

অবস্থান দল খে পরা ফহ এনআরআর পক্ষে রান প্রতিপক্ষ
  শ্রীলঙ্কা - - ১৭* +০.৭৭৩ ১০২২/১৯৮.২ ৮৭৬/২০০.০
  পাকিস্তান - - ১৩* +০.৩৪৯ ১১১০/১৯৯.৩ ১০৪৩/২০০.০
  ভারত - - ৯* +০.৪৫০ ৯৪৯/১৮১.২ ৯৫২/১৯৯.০
  আফগানিস্তান - - -১.২৭৮ ৭১৩/২০০.০ ৮৮৩/১৮২.২
  বাংলাদেশ - - -০.২৫৯ ১০৩১/২০০.০ ১০৭১/১৯৭.৫

* = বোনাস ১ পয়েন্টসহ।

ম্যাচ সম্পাদনা

সকল খেলাই বাংলাদেশ মান সময় (ইউটিসি+০৬:০০) অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রুপ পর্বের ম্যাচ সম্পাদনা

ম্যাচ ১ সম্পাদনা

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
১৪:০০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
শ্রীলঙ্কা  
২৯৬/৬ (৫০ ওভার)
  পাকিস্তান
২৮৪ (৪৮.৫ ওভার)
লাহিরু থিরিমানে ১০২ (১১০)
উমর গুল ২/৩৮ (৮ ওভার)
উমর আকমল ৭৪ (৭২)
লাসিথ মালিঙ্গা ৫/৫২ (৯.৫ ওভার)
  • শ্রীলঙ্কা টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • শ্রীলঙ্কার পক্ষে চতুরঙ্গ ডি সিলভা’র একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে।

ম্যাচ ২ সম্পাদনা

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
১৪:০০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ  
২৭৯/৭ (৫০ ওভার)
  ভারত
২৮০/৪ (৪৯ ওভার)
মুশফিকুর রহিম ১১৭ (১১৩)
মোহাম্মদ শমী ৪/৫০ (১০ ওভার)
বিরাট কোহলি ১৩৬ (১২২)
জিয়াউর রহমান ১/২০ (৫ ওভার)
  • ভারত টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

ম্যাচ ৩ সম্পাদনা

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
১৪:০০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
পাকিস্তান  
২৪৮/৮ (৫০ ওভার)
  আফগানিস্তান
১৭৬ (৪৭.২ ওভার)
উমর আকমল ১০২* (৮৯)
মিরওয়াইজ আশরাফ ২/২৯ (৮ ওভার)
পাকিস্তান ৭২ রানে বিজয়ী
খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, ফতুল্লা
আম্পায়ার: বিলি বাউডেন (নিউজিল্যান্ড) ও যোহান ক্লোয়েত (দক্ষিণ আফ্রিকা)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: উমর আকমল (পাকিস্তান)
  • আফগানিস্তান টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

ম্যাচ ৪ সম্পাদনা

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
১৪:০০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
ভারত  
২৬৪/৯ (৫০ ওভার)
  শ্রীলঙ্কা
২৬৫/৮ (৪৯.২)
শিখর ধাওয়ান ৯৪ (১১৪)
অজন্তা মেন্ডিস ৪/৬০ (১০ ওভার)
  • শ্রীলঙ্কা টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

ম্যাচ ৫ সম্পাদনা

১ মার্চ ২০১৪
১৪:০০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
আফগানিস্তান  
২৫৪/৬ (৫০ ওভার)
  বাংলাদেশ
২২২ (৪৭.৫ ওভার)
আসগর স্তানিকজাই ৯০* (১০৩)
আরাফাত সানি ২/৪৪ (১০ ওভার)
মমিনুল হক ৫০ (৭২)
মোহাম্মাদ নবী ৩/৪৪ (৯.৪ ওভার)
  • বাংলাদেশ টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

ম্যাচ ৬ সম্পাদনা

২ মার্চ ২০১৪
১৪:০০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
ভারত  
২৪৫/৮ (৫০)
  পাকিস্তান
২৪৯/৯ (৪৯.৪ ওভার)
আম্বতি রায়ডু ৫৮ (৬২)
সাঈদ আজমল ৩/৪০ (১০ ওভার)
  • পাকিস্তান টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

ম্যাচ ৭ সম্পাদনা

৩ মার্চ ২০১৪
১৪:০০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
শ্রীলঙ্কা  
২৫৩/৬ (৫০ ওভার)
  আফগানিস্তান
১২৪ (৩৮.৪ ওভার)
  • শ্রীলঙ্কা টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • এ জয়ের ফলে শ্রীলঙ্কা ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়

ম্যাচ ৮ সম্পাদনা

৪ মার্চ ২০১৪
১৪:০০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ  
৩২৬/৩ (৫০ ওভার)
  পাকিস্তান
৩২৯/৭ (৪৯.৫ ওভার)
এনামুল হক বিজয় ১০০ (১৩২)
সাঈদ আজমল ২/৬১ (১০ ওভার)
আহমেদ শেহজাদ ১০৩ (১২৩)
মমিনুল হক ২/৩৭ (৯ ওভার)
  • বাংলাদেশ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • এ জয়ের ফলে পাকিস্তান ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়

ম্যাচ ৯ সম্পাদনা

৫ মার্চ ২০১৪
১৪:০০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
আফগানিস্তান  
১৫৯ (৪৫.২)
  ভারত
১৬০/২ (৩২.২)
  • ভারত টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

ম্যাচ ১০ সম্পাদনা

৬ মার্চ ২০১৪
১৪:০০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ  
২০৪/৯ (৫০ ওভার)
  শ্রীলঙ্কা
২০৮/৭ (৪৯ ওভার)
  • বাংলাদেশ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

ফাইনাল সম্পাদনা

৮ মার্চ ২০১৪
১৪:০০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
পাকিস্তান  
২৬০/৫ (৫০ ওভার)
  শ্রীলঙ্কা
২৬১/৫ (৪৬.২ ওভার)
ফোয়াদ আলম ১১৪* (১৩৪)
লাসিথ মালিঙ্গা ৫/৫৬ (১০ ওভার)
লাহিরু থিরিমানে ১০১ (১০৮)
সাঈদ আজমল ৩/২৬ (১০ ওভার)
  • পাকিস্তান টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

পরিসংখ্যান সম্পাদনা

ব্যাটিং সম্পাদনা

সর্বাধিক রান[১৪]
খেলোয়াড়ের নাম খেলার সংখ্যা অপরাজিত রান সর্বোচ্চ রান গড় বল মোকাবেলা স্ট্রাইক রেট ১০০/৫০ ৪/৬
  লাহিরু থিরিমানে ২৭৯ ১০২ ৫৫.৮০ ৩৪৯ ৭৯.৯৪ ২/০ ৩১/২
  উমর আকমল ২৫৩ ১০২* ৮৪.৩৩ ২২৯ ১১০.৪৮ ১/২ ২৩/৬
  কুমার সাঙ্গাকারা ২৪৮ ১০৩ ৪৯.৬০ ২৫৭ ৯৬.৪৯ ১/২ ২৬/২
  আহমেদ শেহজাদ ২২৮ ১০৩ ৪৫.৬০ ২৮৫ ৮০.০০ ১/১ ৩০/১
  এনামুল হক বিজয় ২২৭ ১০০ ৫৬.৭৫ ৩৩৩ ৬৮.১৬ ১/১ ১৩/৮
সর্বোচ্চ রান[১৫]
খেলোয়াড়ের নাম রান সংখ্যা বল সংখ্যা ৪/৬ স্ট্রাইক রেট প্রতিপক্ষ স্থান তারিখ
  বিরাট কোহলি ১৩৬ ১২২ ১৬/২ ১১১.৪৭   বাংলাদেশ ফতুল্লা ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
  মুশফিকুর রহিম ১১৭ ১১৩ ৭/২ ১০৩.৫৩   ভারত ফতুল্লা ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
  ফোয়াদ আলম ১০৪* ১৩৪ ৮/৩ ৮৫.০৭   শ্রীলঙ্কা ঢাকা ৮ মার্চ ২০১৪
  কুমার সাঙ্গাকারা ১০৩ ৮৪ ১২/১ ১২২.৬১   ভারত ফতুল্লা ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
  আহমেদ শেহজাদ ১০৩ ১২৩ ১২/১ ৮৩.৭৩   বাংলাদেশ ঢাকা ৪ মার্চ ২০১৪

বোলিং সম্পাদনা

সর্বাধিক উইকেট[১৬]
খেলোয়াড়ের নাম খেলার সংখ্যা ওভার মেইডেন রান উইকেট সেরা বোলিং গড় ইকোনোমি ৪ উইঃ ৫ উইঃ
  লাসিথ মালিঙ্গা ৩৪.৫ ১৮৯ ১১ ৫/৫২ ১৭.১৮ ৫.৪২
  সাঈদ আজমল ৪৯.০ ২০২ ১১ ৩/২৬ ১৮.৩৬ ৪.১২
  অজন্তা মেন্ডিস ২৬.০ ১২৬ ৪/৬০ ১৪.০০ ৪.৮৪
  রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৩৯.৪ ১৬৭ ৩/৩১ ১৮.৫৫ ৪.২১
  মোহাম্মদ শমী ৩৭.২ ২৩০ ৪/৫০ ২৫.৫৫ ৬.১৬
সেরা বোলিং[১৭]
খেলোয়াড়ের নাম ওভার সংখ্যা মেইডেন প্রদেয় রান উইকেট ইকোনমি প্রতিপক্ষ স্থান তারিখ
  লাসিথ মালিঙ্গা ৯.৫ ৫২ ৫.২৮   পাকিস্তান ফতুল্লা ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
  লাসিথ মালিঙ্গা ১০.০ ৫৬ ৫.৬০   পাকিস্তান ঢাকা ৮ মার্চ ২০১৪
  রবীন্দ্র জাদেজা ১০.০ ৩০ ৩.০০   আফগানিস্তান ঢাকা ৫ মার্চ ২০১৪
  মোহাম্মদ শমী ১০.০ ৫০ ৫.০০   বাংলাদেশ ফতুল্লা ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
  অজন্তা মেন্ডিস ১০.০ ৬০ ৬.০০   ভারত ফতুল্লা ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

অর্জনসমূহ সম্পাদনা

শ্রীলঙ্কা
  • লাহিরু থিরিমানে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন।[১৮]
  • কুমার সাঙ্গাকারা ৩য় ব্যাটসম্যান হিসেবে গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে ৪,০০০ রান সংগ্রহ করেন। একই সাথে তিনি ১৮শ সেঞ্চুরি করেন।[১৯]
  • গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুই-দেশের সূচনা ঘটে।
  • সনাথ জয়াসুরিয়া’র পর ২য় খেলোয়াড় হিসেবে কুমার সাঙ্গাকারা এশিয়া কাপে হাজার রান স্পর্শ করেন।
  • কুমার সাঙ্গাকারা গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তার ৮৫তম ওডিআই অর্ধ-শতকসহ এশিয়া কাপে ১২বার ৫০+ রান করেন।
  • লাসিথ মালিঙ্গা চূড়ান্ত খেলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেটসহ এশিয়া কাপের ইতিহাসে তৃতীয়বার পাঁচ উইকেট লাভ করেন। সমগ্র ওডিআইয়ে তিনি সপ্তমবারের মতো পাঁচ উইকেট লাভ করেছেন।
  • লাহিরু থিরিমানে চূড়ান্ত খেলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে তার তৃতীয় ওডিআই সেঞ্চুরি করেন ও ৫ খেলায় ২৭৯ রান নিয়ে প্রতিযোগিতায় শীর্ষ রান সংগ্রহকারী হন।[২০]
  • মাহেলা জয়াবর্ধনে তার ৭১তম ওডিআই অর্ধ-শতক করেন।
বাংলাদেশ
  • মুশফিকুর রহিম গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি ও দ্বিতীয় সর্বাধিক রান করেন।[২১]
  • গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১ম ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ।
  • গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ রান (৩২৬/৩) সংগ্রহ করে।[২২]
  • আনামুল হক গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন।[২২]
  • ইমরুল কায়েস-আনামুল হক ১ম উইকেট জুটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা উদ্বোধনী জুটি গড়েন।
ভারত
  • বিরাট কোহলি গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ১৯শ সেঞ্চুরি করেন।[২৩]
  • বিরাট কোহলি-আজিঙ্কা রাহানে ৩য় উইকেটে ২১৩ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়েন।
  • একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো উভয় দলের অধিনায়ক (মুশফিকুর রহিম ও বিরাট কোহলি) সেঞ্চুরি করেন।[২৩]
  • মোহাম্মদ শমী গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনে তার সেরা বোলিং করেন (১০-১-৫০-৪)।
  • রবিচন্দ্রন অশ্বিন গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ১০০তম উইকেট লাভ করেন।[১৯]
  • ভুবনেশ্বর কুমার গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২য় খেলোয়াড় হিসেবে ওয়াইড বলে স্টাম্পড হন ও একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে কোন বল না খেলেই ডায়মন্ড ডাক লাভ করেন।[১৯]
  • রবীন্দ্র জাদেজা গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ১০০তম ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেন।
  • মোহাম্মদ শমী গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় দ্রুতম ৫০ উইকেট লাভ করেন।
পাকিস্তান
  • উমর আকমল গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তার ২য় সেঞ্চুরি করেন।[২৪]
  • মিসবাহ-উল-হক একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে ২য়বারের মতো কোন বল না খেলেই গোল্ডেন ডাক লাভ করেন।[২৪]
  • মোহাম্মদ তালহা গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে।
  • মোহাম্মদ হাফিজ গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে তার ১৯শ ওডিআই অর্ধ-শতক করেন।
  • আব্দুর রেহমান গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩টি অবৈধ ফুলটস দেয়ায় এমসিসি’র ৪৩.৬.বি ধারায় দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ার যোহান ক্লোয়েত কর্তৃক বোলিংয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হন।[২৪]
  • আহমেদ শেহজাদ গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ম ওডিআই সেঞ্চুরি করেন।
  • শহীদ আফ্রিদি গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে রান তাড়া করেন ১৮ বলে যা দ্রুততম অর্ধ-শতক ও একদিনের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম।
  • ৩২৭ রান তাড়া করে জয় পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সাফল্য।
  • ফোয়াদ আলম চূড়ান্ত খেলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরি করেন।[২৫]
আফগানিস্তান
  • গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আফগানিস্তান এশিয়া কাপে ৭ম দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়।
  • গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টভূক্ত দেশের বিপক্ষে জয়লাভ করে।
  • আসগর স্তানিকজাই গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা অপরাজিত ৯০* রান সংগ্রহ করেন।
  • গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ।

সম্প্রচার সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Pakistan to take part in Asia Cup"ESPNcricinfo 
  2. "Pakistan to take part in Asia Cup"ESPNcricinfo 
  3. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "চূড়ান্ত হয়ে গেল এশিয়া কাপের সময়সূচিও"Prothomalo [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "Asia Cup 2018 Match Schedule, Time Table, Match List" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৮-১০-০৭)। "এশিয়া কাপের দলে নেই তামিম-মাহমুদউল্লাহ"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৫ 
  6. ESPNCricinfo staff (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Raina out of Asia Cup squad"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রু ২০১৪ 
  7. ESPNCricinfo staff (২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Dhoni out of Asia Cup with side strain"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রু ২০১৪ 
  8. ডেস্ক, স্পোর্টস; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "পাকিস্তান দলে শোয়েব মালিক ও কামরান আকমল"bangla.bdnews24.com। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  9. ESPNCricinfo staff (14 February 2014)। "Shoaib Malik, Kamran Akmal recalled for World T20"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2014-02-20T13:30:00Z  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  10. ESPNCricinfo staff (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "No surprises in SL World T20 squad"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রু ২০১৪ 
  11. ESPNCricinfo staff (17 February 2014)। "Afghanistan name uncapped Tarakai for World T20"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2014-02-20T13:30:00Z  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  12. ESPNCricinfo staff (24 February 2014)। "Injury rules Tamim out of Asia Cup"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2014-02-24T13:48:00Z  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  13. ESPNCricinfo staff (3 March 2014)। "Asia Cup, 2013/14 / Points table"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2014-03-3T19:39:00Z  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  14. "Most runs in 2014 Asia Cup"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  15. "Most runs in innings"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  16. "Most wickets in 2014 Asia Cup"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  17. "Best bowling figures in an innings"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  18. "Thirimanne ton leads SL to 296"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  19. "?"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৪ 
  20. "Thirimanne ton takes SL to title"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৪ 
  21. "Asia Cup"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  22. "Bangladesh power to their best ODI total"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৪ 
  23. "Kohli century seals another chase"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  24. "Umar Akmal, spinners earn bonus-point win"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  25. "Sri Lanka's fifth triumph, and Fawad's special feat"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৪ 

আরও দেখুন সম্পাদনা