২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ

২০০৩ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ (আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০০৩) হচ্ছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ৮ম অষ্টম প্রতিযোগিতা। ৯-২৪ মার্চ, ২০০৩ তারিখে এ ক্রিকেট প্রতিযোগিতাটি দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে এবং কেনিয়ায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের ১৪টি দেশের জাতীয় ক্রিকেট দল এতে অংশ নেয় ও ৫৪টি খেলায় অংশগ্রহণ করে যা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। প্রতিযোগিতার রূপরেখাটি ১৯৯৯ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের অনুরূপে ২টি বিভাগে বিভক্ত করা হয়। প্রতি বিভাগের শীর্ষস্থানীয় তিনটি করে মোট ছয়টি দল সুপার সিক্স পর্বে উত্তীর্ণ হয়।

২০০৩ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ
২০০৩ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের লোগো
তারিখ৯ ফেব্রুয়ারি – ২৪ মার্চ
তত্ত্বাবধায়কআন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল
ক্রিকেটের ধরনএকদিনের আন্তর্জাতিক
প্রতিযোগিতার ধরনরাউন্ড-রবিননকআউট
আয়োজকদক্ষিণ আফ্রিকা দক্ষিণ আফ্রিকা
জিম্বাবুয়ে জিম্বাবুয়ে
কেনিয়া কেনিয়া
বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া (৩য়তম শিরোপা)
অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা১৪
খেলার সংখ্যা৫৪
দর্শক সংখ্যা৬,২৬,৮৪৫ জন (ম্যাচ প্রতি ১১,৬০৮ জন)
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ভারত শচীন তেন্ডুলকর
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীভারত শচীন তেন্ডুলকর (৬৭৩)
সর্বাধিক উইকেটধারীশ্রীলঙ্কা চামিন্দা ভাস (২৩)

প্রতিযোগিতার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও সহ-স্বাগতিক দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ড প্রথম পর্বেই বিদায় নেয়। দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ইংল্যান্ড জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সুবিধা নিয়ে জিম্বাবুয়ে সুপার সিক্স পর্বে চলে যায়। অন্যদিকে টেস্টখেলুড়ে দেশের বাইরে কেনিয়া প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়।

গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া এবারের বিশ্বকাপেও বিজয়ী হয়। চূড়ান্ত খেলায় তারা ভারতীয় ক্রিকেট দলকে পরাজিত করে।[১] এরফলে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে ১৯৭৫ সালের পরপর দুইবারের পর একাধারে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের সৌভাগ্য অর্জন করে।

অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ সম্পাদনা

সর্বমোট ১৪টি দল বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করে যা সংখ্যার বিচারে একটি বিশ্বকাপে সর্ববৃহৎ। তন্মধ্যে - ১০টি টেস্টখেলুড়ে দেশ এবং টেস্ট মর্যাদা না থাকা স্বত্ত্বেও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পূর্ণ মর্যাদা থাকায় কেনিয়া স্বয়ংক্রীয়ভাবে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। বাদ-বাকী ৩টি দল ২০০১ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত ২০০১ সালের আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে - নেদারল্যান্ডস, রানার-আপ নামিবিয়া এবং কানাডা তৃতীয় স্থান দখল করে এ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা লাভ করে। এরপূর্বে নেদারল্যান্ডস ১৯৯৬ সালে ও কানাডা ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিল।

এ বিশ্বকাপে পূর্ববর্তী ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ধরনটি বলবৎ রাখা হয়। প্রথম রাউন্ডে দুই গ্রুপে ৭টি দেশ একে-অপরের বিরুদ্ধে অবতীর্ণ হবে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় ৩ দল সুপার সিক্সে খেলবে। অতঃপর শীর্ষস্থানীয় চার দল সেমি-ফাইনালে এবং বিজয়ী দুই দল ফাইনালে খেলবে।

পূর্ণ সদস্য
  অস্ট্রেলিয়া   বাংলাদেশ
  ইংল্যান্ড   ভারত
  নিউজিল্যান্ড   পাকিস্তান
  দক্ষিণ আফ্রিকা   শ্রীলঙ্কা
  ওয়েস্ট ইন্ডিজ   জিম্বাবুয়ে
সহযোগী সদস্য
  কেনিয়া   কানাডা
  নামিবিয়া   নেদারল্যান্ডস

মাঠসমূহ সম্পাদনা

 
ডাজল, ২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের অফিসিয়াল মাসকট
শহর মাঠ ধারণ ক্ষমতা খেলার সংখ্যা
  জোহানেসবার্গ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম ৩৪,০০০
  ডারবান কিংসমিড ক্রিকেট গ্রাউন্ড ২৫,০০০
  কেপ টাউন নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড ২৫,০০০
  সেঞ্চুরিয়ন সেঞ্চুরিয়ন পার্ক ২৩,০০০
  ব্লুমফন্টেইন গুডইয়ার পার্ক ২০,০০০
  পোর্ট এলিজাবেথ সেন্ট জর্জেস ওভাল ১৯,০০০
  পচেফস্ট্রুম নর্থ ওয়েস্ট ক্রিকেট স্টেডিয়াম ১৮,০০০
  পূর্ব লন্ডন বাফেলো পার্ক ১৬,০০০
  কিমবার্লি ডি বিয়ার্স ডায়মন্ড ওভাল ১১,০০০
  পার্ল বোল্যান্ড পার্ক ১০,০০০
  বেনোনি উইলোমুর পার্ক ২০,০০০
  পিটারমারিৎজবার্গ সিটি ওভাল ১২,০০০
  হারারে হারারে স্পোর্টস ক্লাব ১০,০০০
  বুলাওয়েও কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব ৯,০০০
  নাইরোবি নাইরোবি জিমখানা ক্লাব ৮,০০০

গ্রুপ পর্ব ও ফলাফল সম্পাদনা

প্রতি গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় ৩টি দল পরবর্তী পর্বে উত্তরণ ঘটবে।[২]

গ্রুপ এ সম্পাদনা

দলের নাম খেলা জয় পরাজয় নো রেজাল্ট টাই রানের গড় পয়েন্ট পিসিএফ
  অস্ট্রেলিয়া ২.০৫ ২৪ ১২
  ভারত ১.১১ ২০
  জিম্বাবুয়ে ০.৫০ ১৪ ৩.৫
  ইংল্যান্ড ০.৮২ ১২
  পাকিস্তান ০.২৩ ১০
  নেদারল্যান্ডস −১.৪৫
  নামিবিয়া −২.৯৬
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
জিম্বাবুয়ে  
৩৪০/২ (৫০ ওভার)
বনাম
  নামিবিয়া
১০৪/৫ (২৫.১ ওভার)
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
অস্ট্রেলিয়া  
৩১০/৮ (৫০ ওভার)
বনাম
  পাকিস্তান
২২৮ (৪৪.৩ ওভার)
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
ভারত  
২০৪ (৪৮.৫ ওভার)
বনাম
  নেদারল্যান্ডস
১৩৬ (৪৮.১ ওভার)
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
বনাম
জিম্বাবুয়ে জয়ী (ওয়াকওভার)
হারারে স্পোর্টস ক্লাব, হারারে, জিম্বাবুয়ে
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
ভারত  
১২৫ (৪১.৪ ওভার)
বনাম
  অস্ট্রেলিয়া
১২৮/১ (২২.২ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে বিজয়ী
সেঞ্চুরিয়ন পার্ক, সেঞ্চুরিয়ন, দক্ষিণ আফ্রিকা
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
নেদারল্যান্ডস  
১৪২/৯ (৫০ ওভার)
বনাম
  ইংল্যান্ড
১৪৪/৪ (২৩.২ ওভার)
ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে বিজয়ী
বাফেলো পার্ক, পূর্ব লন্ডন, দক্ষিণ আফ্রিকা
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
পাকিস্তান  
২৫৫/৯ (৫০ ওভার)
বনাম
  নামিবিয়া
৮৪ (১৭.৪ ওভার)
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
ভারত  
২৫৫/৭ (৫০ ওভার)
বনাম
  জিম্বাবুয়ে
১৭২ (৪৪.৪ ওভার)
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
ইংল্যান্ড  
২৭২ (৫০ ওভার)
বনাম
  নামিবিয়া
২১৭/৯ (৫০ ওভার)
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
অস্ট্রেলিয়া  
১৭০/২ (৩৬ ওভার)
বনাম
  নেদারল্যান্ডস
১২২ (৩০.২ ওভার)
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
ইংল্যান্ড  
২৪৬/৮ (৫০ ওভার)
বনাম
  পাকিস্তান
১৩৪ (৩১ ওভার)
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
ভারত  
৩১১/২ (৫০ ওভার)
বনাম
  নামিবিয়া
১৩০ (৪২.৩ ওভার)
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
জিম্বাবুয়ে  
২৪৬/৯ (৫০ ওভার)
বনাম
  অস্ট্রেলিয়া
২৪৮/৩ (৪৭.৩ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে বিজয়ী
কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব, বুলাওয়াও, জিম্বাবুয়ে
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
পাকিস্তান  
২৫৩/৯ (৫০ ওভার)
বনাম
  নেদারল্যান্ডস
১৫৬ (৩৯.৩ ওভার)
পাকিস্তান ৯৭ রানে বিজয়ী
বোল্যান্ড পার্ক, পার্ল, দক্ষিণ আফ্রিকা
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
ভারত  
২৫০/৯ (৫০ ওভার)
বনাম
  ইংল্যান্ড
১৬৮ (৪৫.৩ ওভার)
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
অস্ট্রেলিয়া  
৩০১/৬ (৫০ ওভার)
বনাম
  নামিবিয়া
৪৫ (১৪ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া ২৫৬ রানে বিজয়ী
সেনওয়েস পার্ক, পটশেফস্ট্রুম, দক্ষিণ আফ্রিকা
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
জিম্বাবুয়ে  
৩০১/৮ (৫০ ওভার)
বনাম
  নেদারল্যান্ডস
২০২/৯ (৫০ ওভার)
১ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
পাকিস্তান  
২৭৩/৭ (৫০ ওভার)
বনাম
  ভারত
২৭৬/৪ (৪৫.৪ ওভার)
২ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
ইংল্যান্ড  
২০৪/৮ (৫০ ওভার)
বনাম
  অস্ট্রেলিয়া
২০৮/৮ (৪৯.৪ ওভার)
৩ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
নেদারল্যান্ডস  
৩১৪/৪ (৫০ ওভার)
বনাম
  নামিবিয়া
২৫০ (৪৬.৫ ওভার)
নেদারল্যান্ড ৬৪ রানে বিজয়ী
মাঙ্গুঙ্গ ওভাল, ব্লুমফন্টেইন, দক্ষিণ আফ্রিকা

গ্রুপ বি সম্পাদনা

দলের নাম খেলা জয় পরাজয় নো রেজাল্ট টাই রানের গড় পয়েন্ট পিসিএফ
  শ্রীলঙ্কা ১.২০ ১৮ ৭.৫
  কেনিয়া −০.৬৯ ১৬ ১০
  নিউজিল্যান্ড ০.৯৯ ১৬
  দক্ষিণ আফ্রিকা ১.৭৩ ১৪
  ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১.১০ ১৪
  কানাডা −১.৯৯
  বাংলাদেশ −২.০৫
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
ওয়েস্ট ইন্ডিজ  
২৭৮/৫ (৫০ ওভার)
বনাম
  দক্ষিণ আফ্রিকা
২৭৫/৯ (৪৯ ওভার)
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
শ্রীলঙ্কা  
২৭২/৭ (৫০ ওভার)
বনাম
  নিউজিল্যান্ড
২২৫ (৪৫.৩ ওভার)
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
কানাডা  
১৮০ (৪৯.১ ওভার)
বনাম
  বাংলাদেশ
১২০ (২৮ ওভার)
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
কেনিয়া  
১৪০ (৩৮ ওভার)
বনাম
  দক্ষিণ আফ্রিকা
১৪২/০ (২১.২ ওভার)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১০ উইকেটে বিজয়ী
সেনওয়েস পার্ক, পচেফস্ট্রুম, দক্ষিণ আফ্রিকা
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
নিউজিল্যান্ড  
২৪১/৭ (৫০ ওভার)
বনাম
  ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২২১ (৪৯.৪ ওভার)
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ  
১২৪ (৫০ ওভার)
বনাম
  শ্রীলঙ্কা
১২৬/০ (২১.১ ওভার)
শ্রীলঙ্কা ১০ উইকেটে বিজয়ী
সিটি ওভাল, পিটারমারিৎজবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
কানাডা  
১৯৭ (৪৯ ওভার)
বনাম
  কেনিয়া
১৯৮/৬ (৪৮.৩ ওভার)
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
দক্ষিণ আফ্রিকা  
৩০৬ (৫০ ওভার)
বনাম
  নিউজিল্যান্ড
২২৯/১ (৩৬.৫ ওভার)
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
ওয়েস্ট ইন্ডিজ  
২৪৪/৯ (৫০ ওভার)
বনাম
  বাংলাদেশ
৩২/২ (৮.১ ওভার)
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
কানাডা  
৩৬ (১৮.৪ ওভার)
বনাম
  শ্রীলঙ্কা
৩৭/১ (৪.৪ ওভার)
শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে বিজয়ী
বোল্যান্ড পার্ক, পার্ল, দক্ষিণ আফ্রিকা
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
বনাম
কেনিয়া জয়ী (ওয়াকওভার)
নাইরোবি জিমখানা ক্লাব, নাইরোবি, কেনিয়া
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ  
১০৮ (৩৫.১ ওভার)
বনাম
  দক্ষিণ আফ্রিকা
১০৯/০ (১২ ওভার)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১০ উইকেটে বিজয়ী
মাঙ্গুঙ্গ ওভাল, ব্লুমফন্টেইন, দক্ষিণ আফ্রিকা
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
কানাডা  
২০২ (৪২.৫ ওভার)
বনাম
  ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২০৬/৩ (২০.৩ ওভার)
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
কেনিয়া  
২১০/৯ (৫০ ওভার)
বনাম
  শ্রীলঙ্কা
১৫৭ (৪৫ ওভার)
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ  
১৯৮/৭ (৫০ ওভার)
বনাম
  নিউজিল্যান্ড
১৯৯/৩ (৩৩.৩ ওভার)
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
দক্ষিণ আফ্রিকা  
২৫৪/৮ (৫০ ওভার)
বনাম
  কানাডা
১৩৬/৫ (৫০ ওভার)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৮ রানে বিজয়ী
বাফেলো পার্ক, পূর্ব লন্ডন, দক্ষিণ আফ্রিকা
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
স্কোরকার্ড
শ্রীলঙ্কা  
২২৮/৬ (৫০ ওভার)
বনাম
  ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২২২/৯ (৫০ ওভার)
১ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
কেনিয়া  
২১৭/৭ (৫০ ওভার)
বনাম
  বাংলাদেশ
১৮৫ (৪৭.২ ওভার)
৩ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
কানাডা  
১৯৬ (৪৭ ওভার)
বনাম
  নিউজিল্যান্ড
১৯৭/৫ (২৩ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে বিজয়ী
উইলোমুর পার্ক, বেনোনি, দক্ষিণ আফ্রিকা
৩ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
শ্রীলঙ্কা  
২৬৮/৯ (৫০ ওভার)
বনাম
  দক্ষিণ আফ্রিকা
২২৯/৬ (৪৫ ওভার)
৪ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
ওয়েস্ট ইন্ডিজ  
২৪৬/৭ (৫০ ওভার)
বনাম
  কেনিয়া
১০৪ (৩৫.৫ ওভার)

সুপার সিক্স সম্পাদনা

অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, কেনিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সুপার সিক্স পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সেমি-ফাইনাল পর্বে উত্তীর্ণ দলগুলোকে নীল রঙে নির্দেশ করা হয়েছে।

দলের নাম খেলা জয় পরাজয় নো রেজাল্ট টাই রানের গড় পয়েন্ট পিসিএফ
  অস্ট্রেলিয়া ১.৮৫ ২৪ ১২
  ভারত ০.৮৯ ২০
  কেনিয়া ০.৩৫ ১৪ ১০
  শ্রীলঙ্কা −০.৮৪ ১১.৫ ৭.৫
  নিউজিল্যান্ড −০.৯০
  জিম্বাবুয়ে −১.২৫ ৩.৫ ৩.৫
৭ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
অস্ট্রেলিয়া  
৩১৯/৫ (৫০ ওভার)
বনাম
  শ্রীলঙ্কা
২২৩ (৪৭.৪ ওভার)
৭ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
কেনিয়া  
২২৫/৬ (৫০ ওভার)
বনাম
  ভারত
২২৬/৪ (৪৭.৫ ওভার)
৮ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
জিম্বাবুয়ে  
২৫২/৭ (৫০ ওভার)
বনাম
  নিউজিল্যান্ড
২৫৩/৪ (৪৭.২ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে বিজয়ী
মাঙ্গুঙ্গ ওভাল, ব্লুমফন্টেইন, দক্ষিণ আফ্রিকা umpires = DB Hair (Aus) and RE Koertzen (SA)
১০ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
ভারত  
২৯২/৬ (৫০ ওভার)
বনাম
  শ্রীলঙ্কা
১০৯ (২৩ ওভার)
১১ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
অস্ট্রেলিয়া  
২০৮/৯ (৫০ ওভার)
বনাম
  নিউজিল্যান্ড
১১২ (৩০.১ ওভার)
১২ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
জিম্বাবুয়ে  
১৩৩ (৪৪.১ ওভার)
বনাম
  কেনিয়া
১৩৫/৩ (২৬ ওভার)
১৪ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
নিউজিল্যান্ড  
১৪৬ (৪৫.১ ওভার)
বনাম
  ভারত
১৫০/৩ (৪০.৪ ওভার)
১৫ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
শ্রীলঙ্কা  
২৫৬/৫ (৫০ ওভার)
বনাম
  জিম্বাবুয়ে
১৮২ (৪১.৫ ওভার)
শ্রীলঙ্কা ৭৪ রানে বিজয়ী
বাফেলো পার্ক, পূর্ব লন্ডন, দক্ষিণ আফ্রিকা
১৫ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
কেনিয়া  
১৭৪/৮ (৫০ ওভার)
বনাম
  অস্ট্রেলিয়া
১৭৮/৫ (৩১.২ ওভার)

নকআউট পর্ব সম্পাদনা

 
সেমি-ফাইনালফাইনাল
 
      
 
১৮ মার্চ, ২০০৩ - সেন্ট জর্জেস ওভাল, পোর্ট এলিজাবেথ, দক্ষিণ আফ্রিকা
 
 
  অস্ট্রেলিয়া২১২/৭
 
২৩ মার্চ, ২০০৩ - ওয়ান্ডেরার্স স্টেডিয়াম, জোহানেবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা
 
  শ্রীলঙ্কা১২৩/৭
 
  অস্ট্রেলিয়া৩৫৯/২
 
২০ মার্চ, ২০০৩ - কিংসমিড ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ডারবান, দক্ষিণ আফ্রিকা
 
  ভারত২৩৪
 
  ভারত ২৭০/৪
 
 
  কেনিয়া১৭৮
 

সেমি-ফাইনাল সম্পাদনা

১৫ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
অস্ট্রেলিয়া  
২১২/৭ (৫০ ওভার)
  শ্রীলঙ্কা
১২৩/৭ (৩৮.১ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে বিজয়ী (ডি/এল পদ্ধতিতে)
সেন্ট জর্জেস পার্ক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পোর্ট এলিজাবেথ, দক্ষিণ আফ্রিকা
আম্পায়ার: আরই কোয়ের্তজেন (দক্ষিণ আফ্রিকা) ও ডেভিড শেফার্ড (ইংল্যান্ড)
২০ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
  ভারত
২৭০/৪ (৫০ ওভার)
কেনিয়া  
১৭৯ (৪৬.২ ওভার)

ফাইনাল সম্পাদনা

২৩ মার্চ, ২০০৩
স্কোরকার্ড
অস্ট্রেলিয়া  
৩৫৯/২ (৫০ ওভার)
  ভারত
২৩৪ (৩৯.১ ওভার)
রিকি পন্টিং ১৪০* (১২১)
হরভজন সিং ২/৪৯ (৮ ওভার)
  • ভারত টসে জয়ী ও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী টসে জয়ী হয়ে অস্ট্রেলিয়া দলকে ব্যাটিংয়ের জন্যে আমন্ত্রণ জানান। তিনি পূর্বদিনের বৃষ্টি ও শিশিরস্নাত অবস্থায় পীচের সুবিধা নেবার আশা করেছিলেন। কিন্তু ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে পীচের সুবিধা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদ্বয় ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হয়ে চমৎকার সূচনা করেন। অ্যাডাম গিলক্রিস্টম্যাথিউ হেইডেনের ১৪ ওভারে ১০৫ রান উঠায় সৌরভ গাঙ্গুলী অপ্রত্যাশিতভাবে স্পিনারদেরকে ডেকে আনেন। এতে সাফল্যও পান তিনি। হরভজন সিংয়ের বলে সুইপ শট নিতে গিয়ে গিলক্রিস্ট উইকেট হারান। এরপর হেইডেনও আউট হলে দলের রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১২৫। এরপর অসি অধিনায়ক রিকি পন্টিং এবং ড্যামিয়েন মার্টিন জুটি ৩০.১ ওভারে ২৩৪ করেন যা একদিনের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ডবিশেষ। শেষ ১০ ওভারে দলটি ১০৯ রান করেছিল।

পন্টিং ১২১ বলে ১৪০ রান করেন, যাতে ৭টি চার ও ৮টি ছয়ের মার ছিল। এ সেঞ্চুরীটি ছিল বিশ্বকাপের ফাইনালে সর্বোচ্চ। প্রতি ওভারে ৭.১৮ রান করে দলটি। অস্ট্রেলিয়ার ওডিআই ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫৯ রান করে মাত্র ২ উইকেটের বিনিময়ে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা