১৯৬৭–৬৮ বুন্দেসলিগা

১৯৬৭–৬৮ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৫ম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৬৭ সালের ১৮ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৬৮ সালের ২৮শে মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল। ডুসবুর্গের যুগোস্লাভ আক্রমণভাগের খেলোয়াড় দোর্দে পাভলিচ এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।

বুন্দেসলিগা
মৌসুম১৯৬৭–৬৮
তারিখ১৮ আগস্ট ১৯৬৭ – ২৮ মে ১৯৬৮
চ্যাম্পিয়ননুর্নবার্গ
১ম বুন্দেসলিগা শিরোপা
৯ম জার্মান শিরোপা
অবনমনবরুসিয়া নয়কির্খেন
কার্লস্রুহার
ইউরোপীয় কাপনুর্নবার্গ
কাপ উইনার্স কাপকলন
মোট খেলা৩০৬
মোট গোলসংখ্যা৯৯৩ (ম্যাচ প্রতি ৩.২৫টি)
শীর্ষ গোলদাতাপশ্চিম জার্মানি ইয়োহানেস লোহর (২৭টি গোল)
সবচেয়ে বড় হোম জয়বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ১০–০ নয়কির্খেন (৪ নভেম্বর ১৯৬৭)
সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয়বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ১–৬ শালকে (৬ জানুয়ারি ১৯৬৮)
নয়কির্খেন ০–৫ স্টুটগার্ট (১৮ মে ১৯৬৮)
সর্বোচ্চ স্কোরিংবরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ১০–০ নয়কির্খেন (৪ নভেম্বর ১৯৬৭)
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৮–২ কাইজারস্লাউটার্ন (৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭)
নুর্নবার্গ ৭–৩ বায়ার্ন মিউনিখ (২ ডিসেম্বর ১৯৬৭)

আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৬৬–৬৭ মৌসুমে ৪৩ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১ম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।

এই মৌসুমে ৪৭ পয়েন্ট অর্জন করে নুর্নবার্গ ১ম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৯ম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। কলনের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ইয়োহানেস লোহর ২৭ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।

প্রতিযোগিতার ধরন সম্পাদনা

প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুটি করে ম্যাচ খেলেছিল, একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো একটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক দল সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান গড় গোল দ্বারা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুটি ক্লাব তাদের নিজ নিজ আঞ্চলিক লিগে অবনমিত হয়েছিল।

দল সম্পাদনা

১৯৬৬–৬৭ মৌসুম শেষে ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ এবং রট-ভাইস এসেন মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে আলেমানিয়া আখেন এবং বরুসিয়া নয়কির্খেন বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।

ক্লাব মাঠ[১] ধারণক্ষমতা[১]
আলেমানিয়া আখেন পুরান টিভোলি ৩০,০০০
আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ আইন্ট্রাখট স্টেডিয়াম ৩৮,০০০
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ভেজার স্টেডিয়াম ৩২,০০০
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড রোটে আর্ডে স্টেডিয়াম ৩০,০০০
ডুসবুর্গ ভেডাউস্টাডিওন ৩৮,৫০০
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ভাল্ডস্টাডিওন ৮৭,০০০
হামবুর্গার ফক্সপার্কস্টাডিওন ৮০,০০০
হানোফার ৯৬ নিডারজারকসেন স্টেডিয়াম ৮৬,০০০
কাইজারস্লাউটার্ন বেৎসেনবার্গ স্টেডিয়াম ৪২,০০০
কার্লস্রুহার ভিল্ডপার্কস্টাডিওন ৫০,০০০
কলন মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম ৭৬,০০০
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ বোকেলবার্গস্টাডিওন ৩৪,৫০০
১৮৬০ মিউনিখ গ্রুনভাল্ডার স্টেডিয়াম ৪৪,৩০০
বায়ার্ন মিউনিখ গ্রুনভাল্ডার স্টেডিয়াম ৪৪,৩০০
বরুসিয়া নয়কির্খেন এলেনফেল্ড স্টেডিয়াম ৩২,০০০
নুর্নবার্গ স্টাটিশেস স্টেডিয়াম ৬৪,২৩৮
শালকে গ্লুকাউফ-কাম্পবান ৩৫,০০০
স্টুটগার্ট নেকার স্টেডিয়াম ৫৩,০০০

পয়েন্ট তালিকা সম্পাদনা

অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোঅ পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন
নুর্নবার্গ (C) ৩৪ ১৯ ৭১ ৩৭ ১.৯১৯ ৪৭ ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ৩৪ ১৮ ৬৮ ৫১ ১.৩৩৩ ৪৪
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৩৪ ১৫ ১২ ৭৭ ৪৫ ১.৭১১ ৪২
কলন ৩৪ ১৭ ১৩ ৬৮ ৫২ ১.৩০৮ ৩৮ কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ
বায়ার্ন মিউনিখ ৩৪ ১৬ ১২ ৬৮ ৫৮ ১.১৭২ ৩৮
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ৩৪ ১৫ ১১ ৫৮ ৫১ ১.১৩৭ ৩৮ আন্তঃনগর ফেয়ার্স কাপে উত্তীর্ণ
ডুসবুর্গ ৩৪ ১৩ ১০ ১১ ৬৯ ৫৮ ১.১৯০ ৩৬
স্টুটগার্ট ৩৪ ১৪ ১৩ ৬৫ ৫৪ ১.২০৪ ৩৫
আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ ৩৪ ১৫ ১৪ ৩৭ ৩৯ ০.৯৪৯ ৩৫
১০ হানোফার ৯৬ ৩৪ ১২ ১০ ১২ ৪৮ ৫২ ০.৯২৩ ৩৪ আন্তঃনগর ফেয়ার্স কাপে উত্তীর্ণ
১১ আলেমানিয়া আখেন ৩৪ ১৩ ১৩ ৫২ ৬৬ ০.৭৮৮ ৩৪
১২ ১৮৬০ মিউনিখ ৩৪ ১১ ১১ ১২ ৫৫ ৩৯ ১.৪১০ ৩৩ আন্তঃনগর ফেয়ার্স কাপে উত্তীর্ণ
১৩ হামবুর্গার ৩৪ ১১ ১১ ১২ ৫১ ৫৪ ০.৯৪৪ ৩৩
১৪ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৩৪ ১২ ১৫ ৬০ ৫৯ ১.০১৭ ৩১
১৫ শালকে ৩৪ ১১ ১৫ ৪২ ৪৮ ০.৮৭৫ ৩০
১৬ কাইজারস্লাউটার্ন ৩৪ ১২ ১৪ ৩৯ ৬৭ ০.৫৮২ ২৮
১৭ বরুসিয়া নয়কির্খেন (R) ৩৪ ২২ ৩৩ ৯৩ ০.৩৫৫ ১৯ রেগিওনাললিগায় অবনমিত
১৮ কার্লস্রুহার (R) ৩৪ ২৩ ৩২ ৭০ ০.৪৫৭ ১৭
উৎস: জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোলের অনুপাত।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।

ফলাফল সম্পাদনা

স্বাগতিক \ সফরকারী AAC EBS SVW BVB DUI SGE HSV H96 FCK KSC KOE BMG M60 FCB BNE FCN S04 VFB
আলেমানিয়া আখেন ২–১ ১–১ ৩–০ ৪–৪ ২–১ ২–০ ২–২ ১–১ ২–১ ৪–২ ০–০ ৩–৩ ০–৪ ৫–১ ২–০ ২–১ ৩–২
আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ ২–০ ০–৩ ২–০ ৩–০ ০–০ ০–১ ০–১ ১–০ ১–০ ১–২ ২–১ ০–১ ১–০ ৪–২ ০–৩ ১–০ ২–১
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ০–১ ৩–২ ২–১ ৩–৩ ২–০ ১–৪ ১–০ ২–১ ৬–১ ৩–১ ০–৪ ২–২ ৪–১ ২–১ ০–৪ ২–০ ৩–১
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ১–০ ০–১ ১–১ ৪–৩ ২–১ ২–২ ৩–১ ৪–০ ৫–০ ২–০ ৩–১ ০–০ ৬–৩ ৬–০ ১–২ ২–১ ২–১
ডুসবুর্গ ৩–০ ২–৩ ১–১ ২–২ ০–১ ১–২ ১–২ ৭–০ ২–১ ৩–২ ২–২ ২–১ ৩–৩ ৩–১ ২–০ ১–১ ৩–৩
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ১–১ ২–০ ৫–৩ ৪–১ ৩–২ ১–১ ৩–০ ৫–২ ২–০ ১–২ ৩–১ ২–১ ২–৩ ৪–১ ১–২ ২–২ ৪–০
হামবুর্গার ৫–১ ০–০ ২–১ ৩–২ ১–৩ ০–১ ২–৩ ১–১ ০–০ ৩–১ ২–৩ ২–২ ২–১ ০–০ ৩–১ ১–১ ১–১
হানোফার ৯৬ ১–১ ১–১ ৪–২ ২–২ ২–২ ২–১ ২–২ ২–০ ২–০ ৩–০ ১–১ ১–২ ২–১ ২–০ ১–১ ২–১ ২–১
কাইজারস্লাউটার্ন ১–০ ২–২ ২–২ ২–২ ০–১ ১–১ ৩–৩ ০–০ ১–১ ২–১ ০–১ ০–০ ২–২ ২–১ ১–০ ১–০ ২–০
কার্লস্রুহার ২–৪ ১–২ ১–২ ২–০ ০–২ ০–১ ২–১ ৩–১ ২–২ ০–১ ৩–২ ০–৩ ০–২ ৫–১ ১–১ ১–০ ১–৪
কলন ৩–১ ১–০ ১–৪ ৩–০ ৩–০ ৫–১ ২–১ ২–১ ৫–০ ৪–০ ২–৫ ১–০ ৩–৩ ২–১ ৩–৩ ৭–০ ২–২
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৩–০ ২–০ ৩–১ ২–২ ১–১ ১–১ ৪–১ ৫–১ ৮–২ ০–০ ১–০ ১–১ ১–১ ১০–০ ১–১ ১–৬ ১–১
১৮৬০ মিউনিখ ৬–০ ১–০ ১–৩ ৩–০ ০–১ ৫–০ ০–১ ৩–১ ০–৩ ৩–০ ০–১ ০–০ ৩–২ ৫–০ ১–২ ১–২ ৩–৩
বায়ার্ন মিউনিখ ৪–১ ৩–০ ২–৩ ২–০ ০–৪ ৩–০ ১–০ ১–০ ৪–১ ৩–০ ০–৩ ৩–১ ২–২ ৪–০ ০–২ ২–০ ৩–১
বরুসিয়া নয়কির্খেন ০–১ ১–২ ০–০ ৩–২ ২–১ ২–২ ০–৩ ৩–১ ২–১ ৩–২ ২–১ ০–৩ ১–০ ১–১ ২–২ ১–৫ ০–৫
নুর্নবার্গ ৪–১ ৩–১ ০–০ ২–১ ৪–১ ০–২ ৪–০ ২–১ ৪–১ ২–০ ২–১ ১–০ ১–১ ৭–৩ ৩–০ ২–৩ ৫–১
শালকে ২–১ ০–২ ০–২ ১–০ ০–৩ ০–০ ৩–০ ১–১ ২–১ ২–০ ১–১ ৩–৪ ০–০ ০–১ ২–০ ০–০ ২–১
স্টুটগার্ট ৪–১ ০–০ ০–৩ ৪–১ ৩–০ ৪–০ ৪–১ ২–০ ০–১ ৩–২ ২–০ ১–৩ ২–১ ৩–০ ২–১ ১–১ ২–০
উৎস: জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
রং: নীল = স্বাগতিক দল বিজয়ী; হলুদ = ড্র; লাল = সফরকারী দল বিজয়ী।

শীর্ষ গোলদাতা সম্পাদনা

অবস্থান খেলোয়াড় ক্লাব গোল
  ইয়োহানেস লোহর কলন ২৭
  ফ্রানৎস ব্রুংস নুর্নবার্গ ২৫
  হারবার্ট লোমেন বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ১৯
  পিটার মেয়ার বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ
  গের্ড মুলার বায়ার্ন মিউনিখ
  রাইনার ওহলহাউজার বায়ার্ন মিউনিখ
  লোটার এমেরিখ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ১৮
  হাইনৎস স্ট্রেহল নুর্নবার্গ
  হর্স্ট কোপেল স্টুটগার্ট ১৭
১০   রাইনার বুডে ডুসবুর্গ ১৬

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা