হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমাবর্ষণ

পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণ ১৯৪৫

১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট সকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর লিটল বয় নামের নিউক্লীয় বোমা ফেলে এবং এর তিন দিন পর নাগাসাকি শহরের ওপর ফ্যাট ম্যান নামের আরেকটি নিউক্লীয় বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমাবর্ষণ
মূল যুদ্ধ: প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
Two aerial photos of atomic bomb mushroom clouds, over two Japanese cities in 1945.
পারমাণবিক বোমাবর্ষনের ধোঁয়া হিরোশিমা (বামে) এবং নাগাসাকি (ডানে)
তারিখআগস্ট ৬ এবং আগস্ট ৯, ১৯৪৫
অবস্থান
ফলাফল যৌথবাহিনী
বিবাদমান পক্ষ
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
 যুক্তরাজ্য
 জাপান
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উইলিয়াম স্টার্লিং পার্সনস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র Paul W. Tibbets, Jr.
জাপানের সাম্রাজ্য Shunroku Hata
জড়িত ইউনিট
Manhattan District: 50 U.S., 2 British
509th Composite Group: 1,770 U.S.
Second General Army: Hiroshima: 40,000
Nagasaki: 9,000
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
২০ মার্কিন, ডাচ, ব্রিটিশ যুদ্ধবন্ধি মৃত ৯০,০০০–১৬৬,০০০ হিরোশিমায় মৃত
৩৯,০০০–৮০,০০০ নাগাসাকিতে মৃত
মোট: ১২৯,০০০–২৪৬,০০০+ মৃত

অনুমান করা হয় যে ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ফলে হিরোশিমাতে প্রায় ১৪০,০০০ লোক মারা যান।[১][২] নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪,০০০ লোক মারা যান এবং পরবর্তীতে এই দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরও ২১৪,০০০ জন।[৩][৪] জাপানের আসাহি শিমবুন-এর করা হিসাব অনুযায়ী বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগসমূহের ওপর হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য গণনায় ধরে হিরোশিমায় ২৩৭,০০০ এবং নাগাসাকিতে ১৩৫,০০০ লোকের মৃত্যু ঘটে। দুই শহরেই মৃত্যুবরণকারীদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ।

জাপান আত্মসমর্পণের পেছনে এই বোমাবর্ষণের ভূমিকা এবং এর প্রতিক্রিয়া ও যৌক্তিকতা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে অধিকাংশের ধারণা এই বোমাবর্ষণের ফলে যুদ্ধ অনেক মাস আগেই সমাপ্ত হয়, যার ফলে পূর্ব-পরিকল্পিত জাপান আক্রমণ (invasion) সংঘটিত হলে উভয় পক্ষের যে বিপুল প্রাণহানি হত, তা আর বাস্তবে ঘটেনি।[৫] অন্যদিকে জাপানের সাধারণ জনগণ মনে করে এই বোমাবর্ষণ অপ্রয়োজনীয় ছিল, কেননা জাপানের বেসামরিক নেতৃত্ব যুদ্ধ থামানোর জন্য গোপনে কাজ করে যাচ্ছিল। [৬]

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. The Spirit of Hiroshima: An Introduction to the Atomic Bomb Tragedy। Hiroshima Peace Memorial Museum। ১৯৯৯। 
  2. Mikiso Hane (২০০১)। Modern Japan: A Historical Survey। Westview Press। আইএসবিএন ০-৮১৩৩-৩৭৫৬-৯ 
  3. "Nagasaki's Mayor Slams U.S. for Nuke Arsenal"। ২০০৭-১১-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৬-১৭ 
  4. মৃতের সংখ্যার বিভিন্ন তালিকার সবচেয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও বিশ্লেষণ সম্ভবত এখানে রয়েছে: Richard B. Frank (২০০১)। Downfall: The End of the Imperial Japanese Empire। Penguin Publishing। আইএসবিএন ০-৬৭৯-৪১৪২৪-X 
  5. Tsuyoshi Hasegawa (২০০৫)। Racing the Enemy: Stalin, Truman, and the Surrender of Japan। The Belknap Press of Harvard University Press। পৃষ্ঠা 298–299। 
  6. Sadao Asada (১৯৯৭)। "The Mushroom Cloud and National Psyches: Japanese and American Perceptions of the Atomic-Bomb Decision, 1945-1995"। Laura Hein and Mark Selden, eds.। Living with the Bomb: American and Japanese Cultural Conflicts in the Nuclear Age। East Gate Book। পৃষ্ঠা 186। আইএসবিএন ১-৫৬৩২৪-৯৬৭-৭