কোনও বস্তুর ওপর সজোরে চাপ বা বল প্রয়োগ করার হাতিয়ার হল হাতুড়ি, হাতুড়, বা ডাংপেরেক ঠোকা, খণ্ড জোড়া দেওয়া, ধাতুকে বাকানো বা ভেঙ্গে ফেলার কাজে হাতুড়ির ব্যবহার নিত্যদিনের উদাহরণ।[১][২] বেশির ভাগ সময় হাতুড়ি বিশেষ বিশেষ কাজের জন্য তৈরি করা হয় ফলে সেগুলোর আকার ও আয়তন হয় ভিন্ন। তবে সাধারণভাবে একটি ভারী বস্তুকে (মাথা) একটি হাতল দিয়ে যুক্ত করে হাতুড়ি বানানো হয়। বাংলাদেশে প্রচলিত হাতুড়ির ক্ষেত্রে মাথা লোহা বা ইস্পাতের এবং হাতলটি কাঠের তৈরি হয়ে থাকে। সাধারণত হাতুড়ি মানুষের হাত দিয়ে ব্যবহৃত হবে বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে, যন্ত্র চালিত হাতুড়িও পাওয়া যায়।

একটি আধুনিক সাঁড়াশি সদৃশ দাঁড়া সহ হাতুড়ি

অনেক পেশাজীবীর জন্য হাতুড়ি খুবই প্রয়োজনীয় হাতিয়ার। তবে এটি যুদ্ধ উপকরণ হিসাবেও ব্যবহৃত হতে পারে।

ইতিহাস সম্পাদনা

 
প্রাচীনকালের পাথরের তৈরি হাতুড়ি (স্টোন হ্যামার)

হাতুড়ির ব্যবহারের ইতিহাস অতি প্রাচীন, খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ২৪ লক্ষ বছর আগে থেকে পাথরের তৈরি হাতুড়ির ব্যবহার লক্ষ করা যায়। সে সময় কাঠ, হাড় কিংবা অন্য পাথরকে ভাঙ্গার বা আকৃতি প্রদানের কাজে বিভিন্ন আকারের পাথর ব্যবহৃত হত। তারপর প্যালিওলিথিক বা পাথরযুগের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় খ্রি.পূ. ৩০ হাজার বছর আগে পাথর খন্ডকে চামড়ার সঙ্গে বা কোন লাঠির সঙ্গে বেঁধে ব্যবহার করার প্রচলন শুরু হয়। হাতুড়ি ব্যবহারের পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ থেকে হাতুড়িকে মানুষের উদ্ভাবিত আদিতম হাতিয়ার বলা যেতে পারে।

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "HAMMER | meaning in the Cambridge English Dictionary"dictionary.cambridge.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৩ 
  2. "How hammer is made - material, making, history, used, components, structure, steps"www.madehow.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা