স্বরতীক্ষ্ণতা

সঙ্গীতে ব্যবহৃত ধ্বনিসমূহের এমন একটি প্রত্যক্ষণজাত বা উপলব্ধিজাত ধর্মকে বোঝায় যার দ্বারা সেই

সঙ্গীত তত্ত্ব ও শ্রুতিবিজ্ঞানের আলোচনায় স্বরতীক্ষ্মতা বা গ্রাম বলতে সঙ্গীতে ব্যবহৃত ধ্বনিসমূহের এমন একটি প্রত্যক্ষণজাত বা উপলব্ধিজাত ধর্মকে বোঝায় যার দ্বারা সেই ধ্বনিগুলিকে একটি কম্পাঙ্কভিত্তিক স্বরগ্রামে একে অপরের সাপেক্ষে উঁচু (বেশি তীক্ষ্ণ) বা নিচু (কম তীক্ষ্ণ) অবস্থানে স্থাপন করা যায়।[১] সাধারণভাবে বললে স্বরতীক্ষ্মতা হল সঙ্গীতের ধ্বনি বা স্বরের সেই বৈশিষ্ট্য যার সুবাদে সেটিকে সাঙ্গীতিক সুরের দৃষ্টিকোণ থেকে অপেক্ষাকৃত "উচ্চ" বা অধিক তীক্ষ্ণ কিংবা "নিম্ন" বা কম তীক্ষ্ণ হিসেবে বিচার করা যায়।[২] স্বরতীক্ষ্মতা হল সাঙ্গীতিক স্বরের একটি অন্যতম প্রধান শ্রাবণিক বৈশিষ্ট্য। স্বরের অন্য প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল স্বরস্থায়িত্ব (duration), স্বরোচ্চতা (loudness) এবং স্বরগুণ (timbre)।[৩]

পশ্চিমা স্বরলিপিতে স্বরচিহ্নসমূহের ভিন্ন ভিন্ন উল্লম্ব অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন স্বরতীক্ষ্ণতা নির্দেশ করে।Play top & Play bottom

স্বরতীক্ষ্ণতাকে কখনও কখনও একটি কম্পাঙ্ক হিসেবে পরিমাণবাচক রূপ প্রদান করা হতে পারে, কিন্তু স্বরতীক্ষ্ণতা প্রকৃতপক্ষে একটি সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠ ভৌত বৈশিষ্ট্য নয়। বরং এটি সাঙ্গীতিক ধ্বনির একটি ব্যক্তিনিষ্ঠ মনোশব্দগত বৈশিষ্ট্য। ঐতিহাসিকভাবে স্বরতীক্ষ্ণতা ও মনের ভেতরে স্বরতীক্ষ্মতার প্রত্যক্ষণ বা উপলব্ধির গবেষণা মনোশব্দবিজ্ঞানের একটি কেন্দ্রীয় সমস্যা হিসেবে পরিগণিত এবং শ্রবণতন্ত্রে শব্দ বা ধ্বনি কীভাবে উপস্থাপিত হয়, প্রক্রিয়াজাত হয় ও কীভাবে এর প্রত্যক্ষণ বা উপলব্ধি হয়, সে বিষয়ক তত্ত্বগুলি প্রণয়নে ও পরীক্ষণের ক্ষেত্রে এই গবেষণাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।[৪]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Anssi Klapuri, "Introduction to Music Transcription", in Signal Processing Methods for Music Transcription, edited by Anssi Klapuri and Manuel Davy, 1–20 (New York: Springer, 2006): p. 8. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩৮৭-৩০৬৬৭-৪.
  2. Plack, Christopher J.; Andrew J. Oxenham; Richard R. Fay, সম্পাদকগণ (২০০৫)। Pitch: Neural Coding and Perception। New York: Springer। আইএসবিএন 978-0-387-23472-4For the purposes of this book we decided to take a conservative approach, and to focus on the relationship between pitch and musical melodies. Following the earlier ASA definition, we define pitch as 'that attribute of sensation whose variation is associated with musical melodies.' Although some might find this too restrictive, an advantage of this definition is that it provides a clear procedure for testing whether or not a stimulus evokes a pitch, and a clear limitation on the range of stimuli that we need to consider in our discussions. 
  3. Roy D. Patterson; Etienne Gaudrain; Thomas C. Walters (২০১০)। "The Perception of Family and Register in Musical Tones"। Mari Riess Jones; Richard R. Fay; Arthur N. Popper। Music Perception। Springer। পৃষ্ঠা 37–38। আইএসবিএন 978-1-4419-6113-6  অজানা প্যারামিটার |name-list-style= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  4. Hartmann, William Morris (১৯৯৭)। Signals, Sound, and Sensation। Springer। পৃষ্ঠা 145, 284, 287। আইএসবিএন 978-1-56396-283-7 


বহিঃসংযোগ সম্পাদনা