স্টিভ রিক্সন

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার

স্টিফেন জন রিক্সন (ইংরেজি: Steve Rixon; জন্ম: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৪) নিউ সাউথ ওয়েলসের অ্যালবারি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৫ সময়কালে সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৩ টেস্ট ও ৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলার সুযোগ পেয়েছেন স্টিভ রিক্সন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন।

স্টিভ রিক্সন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামস্টিফেন জন রিক্সন
জন্ম (1954-02-25) ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪ (বয়স ৭০)
অ্যালবারি, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরন-
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১৩
রানের সংখ্যা ৩৯৪ ৪০
ব্যাটিং গড় ১৮.৭৬ ১৩.৩৩
১০০/৫০ -/২ -/-
সর্বোচ্চ রান ৫৪ ২০*
বল করেছে - -
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪২/৫ ৯/২
উৎস: ক্রিকইনফো, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

১৯৭০-৭১ মৌসুমে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের অস্ট্রেলিয়া সফরকালীন ষোল বছর বয়সে খেলতে নেমে রিক্সন দর্শকমহলে প্রথমবারের মতো সাড়া জাগান। সাউদার্ন নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে এমসিসি’র অংশগ্রহণকালে ইংরেজ উইকেট-রক্ষক অ্যালান নটের কাছ থেকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লাভ করেন।[১] এরপর সিডনিতে চলে যান ও ওয়াভার্লির পক্ষে খেলতে থাকেন। পরবর্তীতে ওয়েস্টার্ন সাবার্বসে স্থানান্তরিত হন। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে রডনি মার্শের অংশগ্রহণের ফলে অস্ট্রেলীয় দলে উইকেট-রক্ষকরূপে যোগ দেন। তবে, মার্শের প্রত্যাবর্তন ঘটলে তিনি তার স্থান হারান।

১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে স্টিভ রিক্সনকে ভারতের বিপক্ষে খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়ার উইকেট-রক্ষক হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। এরপর তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে জন ম্যাকলিনকে রিক্সনের স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

১৯৮১ সালে ইংল্যান্ড সফরের অ্যাশেজ সিরিজে বিকল্প উইকেট-রক্ষক হিসেবে স্টিভ রিক্সনকে রাখা হয়।[২] ১৯৮৪ সালে নিয়মিত উইকেট-রক্ষক ওয়েন ফিলিপসের আঘাতপ্রাপ্তির ফলে রিক্সন পুনরায় অস্ট্রেলিয়া দলে ফির আসেন।[৩] এর পরপরই শেফিল্ড শিল্ডে দূর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন।[৪]

১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে মার্শের অবসর গ্রহণ ও ওয়েন ফিলিপসের আঘাতের কারণে পুনরায় জাতীয় দলে স্থান পান। ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বিদ্রোহী দলের অন্যতম সদস্যরূপে রিক্সন যোগ দেন। তবে, দেশে ফিরে আসার পর পুনরায় জাতীয় দলে যোগদানে সক্ষম হন।

কোচিংয়ে অংশগ্রহণ সম্পাদনা

খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর কোচিং জগতে প্রবেশ করেন। তন্মধ্যে, নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল, নিউ সাউথ ওয়েলস, সারে, ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে হায়দ্রাবাদ হিরোজসহ সিডনির দ্য স্কটস কলেজে এ দায়িত্বে ছিলেন স্টিভ রিক্সন। বর্তমানে চেন্নাই সুপার কিংসে ফিল্ডিং কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি।

২০০৬-০৭ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজ শেষে জন বুকানন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেয়ার পর রিক্সন এ দায়িত্ব গ্রহণে আগ্রহী ছিলেন। তবে তাকে এ দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়নি ও টিম নিয়েলসনকে বুকাননের স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

২৮ জুন, ২০১১ তারিখে মাইক ইয়ংয়ের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়া দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে তাকে নিযুক্ত করা হয়। ১৫ জুন, ২০১৬ তারিখে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নবনিযুক্ত প্রধান কোচ মিকি আর্থারের সুপারিশক্রমে ফিল্ডিং কোচ হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Rollings, B. "Top players for cup challenge", The Canberra Times, 22 October 1978, p. 22.
  2. "Rixon seeks second spot"The Canberra Times55, (16,555)। Australian Capital Territory, Australia। ২৩ জানুয়ারি ১৯৮১। পৃষ্ঠা 16। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৬National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  3. "Phillips back; Rixon left in the shadows"The Canberra Times59, (17,995)। Australian Capital Territory, Australia। ৪ জানুয়ারি ১৯৮৫। পৃষ্ঠা 18। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৬ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  4. "A timely century for NSW's Rixon"The Canberra Times59, (17,963)। Australian Capital Territory, Australia। ৩ ডিসেম্বর ১৯৮৪। পৃষ্ঠা 33। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৬ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা