সেবা খাত

প্রচলিত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রতত্ত্বের তৃতীয় পর্যায়ের খাত

সেবা খাত হলো প্রচলিত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রতত্ত্বের তৃতীয় পর্যায়ের খাত। সেবা খাত মূলত সেবা প্রদান করে থাকে, কিন্তু কোনো কিছু উৎপাদন করে না। খুচরা বিক্রয়, ব্যাংক, বিমা, হোটেল, রিয়েল স্টেট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক কর্মকাণ্ড, কম্পিউটার সেবা, বিনোদন, প্রচার মাধ্যম, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সরবরাহ ইত্যাদি কাজ সেবাখাতের অন্তর্ভুক্ত।

সেলুনে চুলকাটা সেবা খাতের আওতাভুক্ত

সেবাখাত অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেমন: বাংলাদেশের জিডিপিতে সেবা খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি। অস্ট্রেলিয়াতে সব ধরনের ব্যবসায় সেবাখাতের অর্জন প্রায় ৮৫%। সব ধরনের কর্মজীবীদের মধ্যে প্রায় ৮৬% সেবাখাতে নিয়োজিত রয়েছে। ভারতের সেবাখাতের ব্যবসায় থেকে জিডিপির প্রায় ৫৫% অর্জিত হয়ে থাকে। এদেশের কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবসায় প্রতিবছর ৩৫% হারে বৃদ্ধি পেয়ে চলছে।

ব্যবসার অনেক ক্ষেত্রকে মেধাভিত্তক অর্থনীতি নামে অভিহিত করা হয়। তারা অন্যান্য ব্যবসায় দূরে সরিয়ে রেখে তাদের ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক দ্রুত ও কম মূল্যে সেবা প্রদান করে থাকে।  

এক্ষেত্রে একটি ভালো উদাহরণ হচ্ছে ব্যাংক, যা বিংশ শতকের শেষ দিকে ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো প্রচুর পরিমাণে কর্মী নিয়োগ কমিয়ে এনেছে এবং ব্যাংক সেবার ব্যয় সর্বনিন্ম স্তরে নিয়ে এসেছে। উদাহরণ হিসেবে স্বয়ংক্রিয় গণনা যন্ত্রের কথা বলা যায়, যার সাহায্যে বিভিন্ন স্থানে সপ্তাহের সাত দিনই ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকদের সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এর পূর্বে যখন ব্যাংকগুলো খোলা হতো, তখনই কেবলমাত্র সেবা পাওয়া যেতো। অনেক ব্যাংক ও বিল্ডিং সোসাইটি পরস্পর মিলিত হয়ে সর্ব্ নিম্ন খরচে ব্যাপকভাবে সেবা প্রদান করে অধিক মুনাফা করে যাচ্ছে। এ পদ্ধতির মূল চাবিকাঠি হচ্ছে তাদের ক্রেতাদের সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও নতুন নতুন সেবা নিয়ে তাদের নিকট সবসময় হাজির থাকা।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা