যৌন সম্পর্কিত বংশাণুর উত্তরাধিকার

যৌন-সম্পর্কিত বংশাণুর উত্তরাধিকার হলো এক ধরনের বিশেষ পদ্ধতি যার মাধ্যমে যৌন-সম্পর্কিত বংশাণু বা যৌন ক্রোমোজোমাল বৈশিষ্ট্য সর্বদা পিতা হতে কন্যা এবং মাতা হতে পুত্রে সঞ্চারিত হয়।[২]

টমাস হান্ট মরগানের পরীক্ষামূলক ক্রস সম্পাদন, ফলের মাছিগুলিতে সাদা-চোখের মিউটেশনের যৌন-সম্পর্কিত বংশাণুর উত্তরাধিকার চিত্রিত করা হয়েছে।[১]

ইতিহাস সম্পাদনা

যৌন-সম্পর্কিত বংশাণু সর্বপ্রথম আবিস্কৃত হয় ড্রসোফিলা মাছিতে। আমেরিকান জেনেটিসিস্ট টি. এইচ. মর্গান ড্রসোফিলা মাছিকে জেনেটিক্স গবেষণায় ব্যবহার করেছিলেন।[৩]

যৌন-সম্পর্কিত বংশাণু সম্পাদনা

সকল একলৈঙ্গিক প্রাণীতে দুই প্রকার ক্রোমোজোম দেখা যায়। অটোসোমাল ক্রোমোজোম বা অটোসোম ও যৌন ক্রোমোজোম বা হেটারোসোম। প্রাণির লিঙ্গ নির্ধারণের ক্ষেত্রে অটোসোমগুলোর কোন ভুমিকা থাকে না। কিন্তু যৌন ক্রোমোজোম লিঙ্গ নির্ধারণে সুস্পষ্ট ভূমিকা পালন করে। জীববিজ্ঞানীরা যৌন ক্রোমোজোমকে X ক্রোমোজোম নামে অভিহিত করেন। এই X ক্রোমোজোমে অবস্থিত বংশাণুগুলোকে যৌন-সম্পর্কিত বংশাণু বলে।

(A)   (B)   (C)  
বংশ পরম্পরায় সঞ্চারিত রোগ

সঞ্চারণ প্রক্রিয়া সম্পাদনা

যৌন-সম্পর্কিত বংশাণুগুলোর বংশগতি অটোসোম বংশাণুগুলি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন কেননা এই বংশাণুগুলি শুধুমাত্র X ক্রোমোজোমের মাধ্যমেই বংশ পরম্পরায় সঞ্চারিত হয়। অর্থাৎ এ বংশাণুগুলি সর্বদা পিতা হতে কন্যা এবং মাতা হতে পুুত্রে সঞ্চারিত হয়। সঞ্চারণের এই বিশেষ পদ্ধতিকে যৌন-সম্পর্কিত বংশাণুর উত্তরাধিকার বলা হয়।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Morgan, Thomas Hunt 1919. The physical basis of heredity. Philadelphia: J.B. Lippincott Company.
  2. উদ্দিন, মো. নাজিম (জানুয়ারি ২০০৪)। জেনেটিক্স (৩য় সংস্করণ)। ৩৮, বাংলা বাজার, ঢাকা: নিসর্গ প্রকাশনী। 
  3. ইসলাম, আহমদ শামসুল (১৯৯৫)। বংশগতিবিদ্যার মূল কথা। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলা একাডেমী। 
  4. আখতারুজ্জামান, ড. ম. (২০০২)। বংশগতি বিদ্যা (৪র্থ সংস্করণ)। প্যারিদাস রোড, ঢাকা: হাসান বুক হাউজ।