সূর্য কন্যা

আলমগীর কবির পরিচালিত চলচ্চিত্র (১৯৭৫)

সূর্য কন্যা ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবির[১]। ছবিতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বুলবুল আহমেদজয়শ্রী কবির। এছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমিতা দেবী, রাজশ্রী বোস, আহসান আলী, অজয় ব্যানার্জী ।

সূর্য কন্যা
ছবির ভিসিডি কভার
পরিচালকআলমগীর কবির
প্রযোজকএকেএম জাহাঙ্গীর খান
রচয়িতাআলমগীর কবির
শ্রেষ্ঠাংশেবুলবুল আহমেদ
জয়শ্রী কবির
রাজশ্রী বোস
সুমিতা দেবী
আহসান আলী
অজয় ব্যানার্জী
সুরকারসত্য সাহা
চিত্রগ্রাহকএম এ মবিন
সম্পাদকদেবব্রত সেনগুপ্ত
পরিবেশকআলমগীর পিকচার্স লিমিটেড
মুক্তি১৯৭৫
দেশবাংলাদেশ
ভারত
ভাষাবাংলা

কাহিনী সংক্ষেপ সম্পাদনা

১৯৭৫ সালের দিকে এমন একটি প্রেক্ষাপট নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ সে সময় এ ছবির কলাকুশলীদের উন্নত রুচি এবং তাদের ভাবনার ছাপ প্রকাশিত ‘শহরের একজন ভবঘুরে শিল্পী লেলিন বিশ্বাস পড়া লেখা শেষ করে চাকরী না করে আর্ট নিয়ে স্বপ্ন দেখে । সে কল্পনা প্রিয় একজন মানুষ অসম্ভব কে কল্পণার স্থান দেয় । ফাঁকা মাঠ দুপুর বেলা বক্তিতা করে । রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেরায় । তার বাড়িতে রয়েছে বিবাহ উপযোগী বোন যে বোন লেলিনের বাড়ির মধ্যে সব থেকে কাছের মানুষ । বাাবা চাকরীর শেষ জীবনে এস একজন সাধারণ মধ্যবৃত্তির মতো স্বপ্ন দেখে তার ছেলেরা বড় কিছু করবে তার মেয়ের বড় কোন আমলা বা ডাক্তারের সাতে বিয়ে হবে ,কিন্তু লেলিন এ সকল চিন্তার ‍বিরুদ্ধে সাধ্যমত চিন্তা ও সাধ্যমত ভাবনা ভাবায় সে বিশ্বাসী । লেলিনের কলেজ বন্ধু বড় লোক বাবার সন্তান তাকে একটি চাকরীর ব্যবস্তা করে দেয় । একটি ভ্যারাইটি স্টোরের ডিসপ্লে আর্টিস্ট। রাতে দোকানে কাজ করা তার দায়িত্ব। দোকানে ডিসপ্লের জন্য সে একটা নারী মূর্তি বানায়, সে মূর্তির উপর এক সময় সে প্রেম অনুভব করে। শিল্পের ছোঁয়ায় সেই নারী মূর্তি প্রাণ ফিরে পায়। প্রণয় বন্ধনে অবদ্ধ হয় লেলিন নারী মূর্তির সাথে। রাতে তারা দেশে দেশে ঘুরে বেরায় স্বপ্ন আঁকে । লেলিনের বন্ধুর জীবনে আসে মনিকা, মনিকার সাথে তার প্রেমের পরিণয় হয় কিন্তু সে বিয়ে করতে রাজি নয় মনিকাকে।তার মতে “ভালোবাসি বলেই আমাদের বিয়ে করা উচিত না ,বিয়ের ঘানিতে সব কিছু নিংড়ে বের হয়ে যায়” সে বিয়ে কে বিশ্বাস করতে পারে না ।লেলিন এর নারী মূর্তিটি মানবী রূপ ধারণ করে হাজারো নারীর প্রতিনিধিত্ব করে । নারী হলো প্রভুর প্রতিভূ । তাদের মুক্তি দরকার । লেলিনিরে বোনের বান্ধবী সুজলা যার সাথে বিয়ে দেবার জন্য তার মা ও তার বোন লেলিন কে কয়েকবার বলেছে কিন্তু লেলিন বার বারি ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে সে ওই নারী মূর্তিটিকে ভালোবাসে । লেলিন সে নারী মূর্তিটিকে এক নামে নয় হাজার নামে হাজার জনের তুলনায় তকে ডাকে। লেলিনের সে লাবণ্য তার সাথে দিনের আলোয় দেখা করা যায় না তাকে রাতেই দেখতে হয় । কিন্তু যে দিন রাতে সেই নারী মূর্তিটির মুক্তি পাবার কথা এবং লেলিনের তখন তার পাশে থাকার কথা সে রাতে লেলিন তাঁর বন্ধুর সাথে মদ খেয়ে অবচেতন হয়ে পড়ে থাকে। সজ্ঞনে আসার পর সে ছুটে চলে দোকানের সেই নারী মূর্তির কাছে । দরজা ভাঙ্গেতে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে সে যখন মেডিকেলে আসে তখন সে দেখে তার মায়ের সাথে যে মেয়েটি থাকে দেখতে এসেছে যার নাম সুজলা সে আসলে তার তৈরি করা সেই নারী মূর্তি।

শ্রেষ্ঠাংশে সম্পাদনা

কলাকুশলীবৃন্দ সম্পাদনা

  • পরিচালক - আলমগীর কবির
  • প্রযোজক - আলমগীর পিকচার্স লিমিটেড
  • কাহিনী - আলমগীর কবির
  • সংলাপ - আলমগীর কবির
  • চিত্রনাট্য - আলমগীর কবির
  • সঙ্গীত পরিচালক - সত্য সাহা
  • সঙ্গীত শিল্পী - গীতশ্রী, সন্ধা মুখোপাধ্যায় ও শ্যামল মিত্র
  • চিত্র গ্রহণ - এম এ মবিন
  • সম্পাদনা - দেবব্রত সেনগুপ্ত
  • নিবেদন - এ কে এম জাহাঙ্গীর খান
  • পরিবেশক - আলমগীর পিকচার্স লিমিটেড

সম্মাননা সম্পাদনা

সংগীত সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "" I sort of gambled with my life" --- Bulbul Ahmed"The Dailystar। Dhaka, Bangladesh। ১৮ মার্চ ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১  অজানা প্যারামিটার |Author= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা