সূরা ক্বারিয়াহ

কুরআন শরীফের ১০১তম সূরা

সূরা আল ক্বারিআহ বা আল ক্বারিয়াহ (আরবি: سورة القارعة) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআনের ১০১তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ১১টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১। এটি একটি মক্কী সূরা অর্থ্যাৎ এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।

আল-ক্বারিয়াহ
سورة القارعة
সূরা ক্বারিয়াহ
শ্রেণীমক্কী
পরিসংখ্যান
সূরার ক্রম১০১
আয়াতের সংখ্যা১১
পারার ক্রম৩০ (আমপারা)
শব্দের সংখ্যা৩৬
অক্ষরের সংখ্যা১৫৮
← পূর্ববর্তী সূরাসূরা আদিয়াত
পরবর্তী সূরা →সূরা তাকাসুর
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ

এ সূরার প্রথম শব্দ ক্বারিআহ থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে।[১] এ সূরায় শুধু কিয়ামত ও আখেরাতের ওপর আলোকপাত তরা হয়েছে। সূরার শুরুতে মানুষকে একটি "মহা দুর্ঘটনা!" বলে সতর্ক করা হয়েছে: ‘কী সেই মহা দুর্ঘটনা? তুমি কি জানো সেই মহা দুর্ঘটনাটি কী?’ এভাবে শ্রোতাদেরকে একটি ভয়াবহ ঘটনা অনুষ্ঠিত হবার খবর শোনার জন্য প্রস্তুত করার পর দুটি বাক্যে তাদের সামনে কিয়ামতের নক্‌শা এঁকে দেয়া হয়েছে।[২]

নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান সম্পাদনা

{{কুরআন}

শানে নুযূল সম্পাদনা

যে ব্যক্তি সংখ্যায় তো নামায, রোযা, সদকা-যাক্বাত, হজ্জ অনেক করে, কিন্তু আন্তরিকতা ও সুন্নতের সাথে সামঞ্জস্য কম, তার আমলের ওজন কম হবে।

বিষয়বস্তুর বিবরণ সম্পাদনা

এ সূরায় আমলের ওজন ও তার হালকা এবং ভারী হওয়ার প্রেক্ষিতে জাহান্নাম অথবা জান্নাত লাভের বিষয় আলোচিত হয়েছে। আমলের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা সূরা আ'রাফের শুরুতে করা হয়েছে। সেখানে লিখিত হয়েছে যে, বিভিন্ন হাদীস আয়তের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে জানা যায়, আমলের ওজন সম্ভবতঃ দুবার হবে। প্রথমত ওজন করে মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা হবে। মুমিনের পাল্লা ভারী ও কাফেরর পাল্লা হালকা হবে। এরপর মুমিনদের মধ্যে সৎকর্ম ও অসৎকর্মের পার্থক্য বিধানের জন্যে হবে দ্বিতীয় দফা ওজন করা হবে। এ সূরায় বাহ্যতঃ প্রথম ওজন বোঝানো হয়েছে, যাতে প্রত্যেক মুমিনের পাল্লা ঈমানের অভাবে হালকা হবে, সে যদিও কিছু সৎকর্ম করে থাকে। যার আমল আন্তরিকতাপূর্ণ ও সুন্নতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সংখ্যায় কম হলেও তার আমলের ওজন বেশি হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সংখ্যায় তো নামায, রোযা, সদকা-যাক্বাত, হজ্জ অনেক করে, কিন্তু আন্তরিকতা ও সুন্নতের সাথে সামঞ্জস্য কম, তার আমলের ওজন কম হবে।[৩]

আয়াত সমূহ সম্পাদনা

الْقَارِعَةُ

করাঘাতকারী,

مَا الْقَارِعَةُ

করাঘাতকারী কি?

وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْقَارِعَةُ

করাঘাতকারী সম্পর্কে আপনি কি জানেন ?

يَوْمَ يَكُونُ النَّاسُ كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوثِ

যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতংগের মত

وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ الْمَنفُوشِ

এবং পর্বতমালা হবে ধুনিত রঙ্গীন পশমের মত।

فَأَمَّا مَن ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ

অতএব যার পাল্লা ভারী হবে,

فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍ

সে সুখী জীবন যাপন করবে।

وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ

আর যার পাল্লা হালকা হবে,

فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ

তার ঠিকানা হবে হাবিয়া।

وَمَا أَدْرَاكَ مَا هِيَهْ

আপনি জানেন তা কি?

نَارٌ حَامِيَةٌ

প্রজ্জ্বলিত অগ্নি!

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "The Quranic Arabic Corpus - Word by Word Grammar, Syntax and Morphology of the Holy Quran" (ইংরেজি ভাষায়)। 
  2. তাফহীমুল কোরআন।
  3. তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন (১১ খণ্ডের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা)।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা