সুলায়মান পর্বত

কির্গিজস্তানের পর্বত

সুলায়মান পর্বত (তাৎ-ই-সুলেইমান, সুলায়মান রক বা সুলাইমান থ্রোন নামেও পরিচিত) কিরগিজস্তানের একমাত্র বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (কিরগিজস্তান চীন ও কাজাখস্তানের সাথে তিয়ান-শান সিল্ক রাস্তা ভাগাভাগি করে)[১]। এটি ওশে শহরে অবস্থিত এবং একদা মুসলিম প্রধান এবং প্রাক-মুসলিম তীর্থযাত্রার একটি প্রধান স্থান ছিল। ফার্গনা উপত্যকার পার্শ্ববর্তী সমভূমির থেকে আকস্মিকভাবে শিলা পাহাড়ের উৎপত্তি হয়েছে এবং স্থানীয় ও দর্শনার্থীদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় স্থান যেখান থেকে চমৎকার দৃশ্য দেখা যায়। (

সুলায়মান পর্বত
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান

একনজরে সম্পাদনা

 
ওশ জাদুঘর

সুলায়মান পর্বত যেখান থেকে ওশ ও এর পরিপার্শ্বের চমৎকার দৃশ্য দেখা যায়। এই পাহাড়টি কিছু গবেষক এবং ঐতিহাসিকদের দ্বা্রা "স্টোন টাওয়ার" নামে পরিচিত এবং প্রাচীন ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। যার সম্পর্কে ক্লডিয়াস টলেমি তাঁর বিখ্যাত কাজ ভূগোল (টলেমি)তে লিখেছিলেন। এটি প্রাচীন সিল্ক রোডের মধ্যবিন্দু চিহ্নিত করে, ইউরোপ ও এশিয়া্র মধ্যকার ক্যারাভান চলার উচ্চভূমির বাণিজ্যপথ। জাতীয় ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর কমপ্লেক্স সুলায়মান পাহাড়ে খোদাই করে তৈরী করা হয়েছে, এটি প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহ ধারণকারী, ভূতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিক আবিষ্কার এবং স্থানীয় উদ্ভিদ এবং প্রাণিবিদ্যা সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ করে। ১৯৪৯ সালে জাদুঘরটি ওশ আঞ্চলিক জাদুঘর নামে শুরু হয়।১৯৭৮ সালে ওশ শহরের ৩০০০ বছর পালন উপলক্ষ্যে সোভিয়েত যুগে জাদুঘরটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এটি গুহা আকৃতির যার প্রবেশপথে একটি কাঁচে মোড়া কংক্রিটের তোরণ আছে।

সুলায়মান (সলোমন) কুরআনের একজন নবী, এবং পর্বতটিতে একটি মাজার রয়েছে যা তার কবর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। জনশ্রুতি আছে যেসব নারী পাহাড়ের শীর্ষে উঠে খোল জায়গায় হামাগুড়ি দেয় তারা সুস্থ শিশু জন্ম দেবে। পর্বতমালার গাছ এবং ঝোপগুলিতে অসংখ্য ছোট ছোট কাপড়ের "প্রার্থনা পতাকা" বেধে দেওয়া হয়েছে।

 
সুলাইমান পর্বতের শীর্ষে পাথরের গঠন

ইউনেস্কোর মতে, পর্বত "মধ্য এশিয়াতে কোন পবিত্র পর্বতের সবচেয়ে সম্পূর্ণ উদাহরণ এটি যা কয়েক হাজার বছর ধরে পূজ়িত হয়ে আসছে। করে"।] এই স্থানটি এখনও স্থানীয় মুসলমানদের কাছে একটি জনপ্রিয় স্থান। সর্বোচ্চ শিখর পর্যন্ত সিঁড়ি আছে যেখানে ১৫১২ খ্রিস্টাব্দে বাবরের দ্বারা নির্মিত একটি ছোট মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদের বেশিরভাগ অংশ বিশ শতকের শেষের দিকে পুনর্গঠন করা হয়েছিল।

পাথুরে পাহাড়টিতে এছাড়াও জাতীয় ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর কমপ্লেক্স সুলাইমান অবস্থিত যা সোভিয়েত যুগে নির্মিত হয়েছিল, এই এলাকা এবং এর ইতিহাস থেকে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এখানে সংরক্ষিত আছে। পর্বতের নিম্ন ঢাল একটি সমাধিক্ষেত্র দ্বারা বেষ্টিত।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Sulaiman-Too Sacred Mountain"UNESCO। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৪