সুলায়মান

একজন নবী এবং প্রতাপশালী বাদশাহ

সুলায়মান (হিব্রু ভাষায়: שְׁלֹמֹה, আধুনিক হিব্রু: Šəlomo or Šlomo, আরবি ভাষায়: سليمان সুলায়মান) কুরআনের বর্ণনা অনুসারে,[১][২][৩][৪][৫] তিনি ছিলেন একজন নবী এবং প্রতাপশালী বাদশাহ্‌। আরবি কুরআন অনুসারে, তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একজন রাজা। তিনি ছিলেন হযরত দাউদ-এর পুত্র। [৬] তার জন্ম আনুমানিক ৯৭০-৯৭৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে এবং মৃত্যু আনুমানিক ৯৩১ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে এবং তার রাজত্ব কাল ছিল প্রায় ৯৭০ থেকে ১০৩০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী। তিনি জেরুজালেম থেকে সমগ্র পৃথিবী শাসন করেছিলেন। হজরত সুলায়মান (আ.) জেরুজালেম নগরী প্রতিষ্ঠা করেন এবং আল্লাহ তায়ালার মহিমা তুলে ধরতে সেখানে পুন:নির্মাণ করে গড়ে তোলেন মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদ


সুলায়মান
سُلَيْمَان
শলোমন

ইসলামি চারুলিপিতে লেখা সুলায়মান
জন্ম
মৃত্যু
সমাধিহারাম আশ-শরীফ, জেরুসালেম
অন্যান্য নামশলোমন (হিব্রু ভাষায়: שְׁלֹמֹה‎)
শ্লোমোহ (হিব্রু ভাষায়: שְׁלֹמֹה‎)
শ্লেমুন (সিরীয়: ܫܠܝܡܘܢ‎)
সলোমন (গ্রিক: Σολομών)
সালোমন (গ্রিক: Salomon)
পরিচিতির কারণনবী, ইস্রায়েল ও যিহূদা যুক্তরাজ্যের রাজা
উপাধিফিলিস্তিনের রাজা
পূর্বসূরীদাউদ (দায়ূদ)
পিতা-মাতা

কুরআনে সুলায়মানের উল্লেখ সম্পাদনা

কুরআন শরীফে সূরা আন নম্‌ল-এর ১৮ নম্বর আয়াতে বর্নিত আছেঃ

"অবশেষে যখন তারা পিপড়ার উপত্যকায় পৌঁছল তখন এক পিপড়া বলল, ‘ওহে পিপড়ার দল, তোমরা তোমাদের বাসস্থানে প্রবেশ কর। সুলাইমান ও তার বাহিনী তোমাদেরকে যেন অজ্ঞাতসারে পিষ্ট করে মারতে না পারে।"

এ সূরায় বলা আছে হযরত সুলায়মান কে শেখানো হয়েছিলো পাখিদের ভাষা, দেয়া হয়েছিলো অনেকরকম ধনসম্পদ, জ্বীন ও মানুষদের ওপর তার ছিলো নিয়ন্ত্রণ। সূরা নম্‌ল ১৬ নম্বর আয়াতে বর্নিত আছেঃ

আর সুলাইমান দাঊদের উত্তরাধিকারী হল এবং সে বলল, ‘হে মানুষ, আমাদেরকে পাখির ভাষা শেখানো হয়েছে এবং আমাদেরকে সকল কিছু দেয়া হয়েছে। নিশ্চয় এটা সুস্পষ্ট অনুগ্রহ’।

আরো উল্লেখ আছে যে সুলায়মান কে আল্লাহ তায়ালা জ্বীনকে বশীভুত করার ক্ষমতা দান করেছিলেন। সূরা সাবা্র ১২ নম্বর আয়াতে বর্নিত আছেঃ

আর আমি সোলায়মানের অধীন করেছিলাম বায়ুকে, যা সকালে এক মাসের পথ এবং বিকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আমি তার জন্যে গলিত তামার এক ঝরণা প্রবাহিত করেছিলাম। কতক জিন তার সামনে কাজ করত তার পালনকর্তার আদেশে। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করবে, আমি জ্বলন্ত অগ্নির-শাস্তি আস্বাদন করাব। তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউজসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। হে দাউদ পরিবার! কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই কৃতজ্ঞ।

মৃত্যু সম্পাদনা

কুরআন অনুসারে তার মৃত্যুর মধ্যে শিক্ষণীয় বিষয় আছে।

"তারপর যখন আমি সুলাইমানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন মাটির পোকা জিনদেরকে তার মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল, যা তার লাঠি খাচ্ছিল। অতঃপর যখন সে পড়ে গেল তখন জিনরা বুঝতে পারল যে, তারা যদি অদৃশ্য বিষয়ে জানত তাহলে তারা লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তিতে থাকত না।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা