সুপারমুন চাঁদের একটি দশা বা অবস্থা, চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছে অবস্থান করে তখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক বড় আর উজ্জ্বল দেখায়। পূর্ণ গোলাকার চাঁদের এই অবস্থাকে সুপারমুন বলা হয়। সুপারমুনের কোন প্রচলিত বাংলা নেই। এটাকে অনেকে অতিকায় চাঁদ বলে থাকেন। পৃথিবী-চন্দ্র-সূর্য সিস্টেমে অতিকায় চাঁদের টেকনিক্যাল নাম হচ্ছে perigee-syzygy'। সুপারমুন শব্দটার উৎপত্তি আধুনিক জ্যোতিশাস্ত্রে,[৩] জ্যোতির্বিদ্যার সঙ্গে এর কোন যোগসূত্র নেই। চন্দ্র, সূর্য, অবস্থানের কারণে পৃথিবীতে জোয়ার ভাঁটা হয়। সুপারমুনের কারণে পৃথিবীতে ভূমিকম্পআগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এখনওপর্যন্ত এই ধরনের কোন দুর্যোগের সংবাদ পাওয়া যায় নাই।[৪]

১৪ই নভেম্বর, ২০১৬ সালে সুপারমুন পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে ৩,৫৬,৫১১ কিলোমিটার (২,২১,৫২৬ মা) দূরত্বে ছিল,[১] ২৬শে জানুয়ারি, ১৯৪৮ সালের পর থেকে যা সর্বনিম্ন। ২৫শে নভেম্বর, ২০৩৪ সালে এ ঘটনা আবারও ঘটবে।[২]
সুপারমুন, মার্চ ১৯, ২০১১ (ডানে) এবং সাধারণ চাঁদ, ২০ ডিসেম্বর ২০১০, পৃথিবী থেকে তোলা
মার্চ ১৯, ২০১১ তারিখে পৃথিবী থেকে ৩৫৬,৫৭৭ কিলোমিটার (২২১,৫৫৬ মাইল) দূরে অবস্থিত সুপারমুন বা অতিকায় চাঁদ।

১৯৯৩ সালের সুপারমুন সাধারণ চাঁদ থেকে ২০ গুণ অধিক উজ্জ্বল এবং ১৫ গুণ বড় ছিলো। পৃথিবী থেকে সুপারমুন বা অতিকায় চাঁদ সর্বশেষ দেখা গেছে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫। চাঁদের সুপারমুনের বিপরীত দশা মাইক্রোমুন[৫] যা টেকনিক্যালি apogee-syzygy নামে পরিচিত। সুপারমুনের রাতে জ্যোছনায় পৃথিবী প্লাবিত হয়। অন্যদিকে মাইক্রোমুনে পৃথিবী থাকে অন্যান্য অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতের মত। তাই মাইক্রোমুন সুপারমুনের মত এত পরিচিতি পায়নি।

সাম্প্রতিকতম সুপারমুন ১৪ নভেম্বর , ২০১৬ দিকে ঘটেছে, ২৬ জানুয়ারী, ১৯৪৮ সাল থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম সুপারমুন। সুপারমুন আবার আগামী ২৫ নভেম্বর, ২০৩৪ দিকে দেখা যাবে।[৬]

সংজ্ঞা সম্পাদনা

সুপার মুন তখনি ঘটে যখন চাঁদ পৃথিবীর অনেকটা কাছাকাছি চলে আসে৷

আবির্ভাবকাল সম্পাদনা

জোয়ারের উপর প্রভাব সম্পাদনা

প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পাদনা

সুপারমুনের ১-২ সপ্তাহের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে কয়েকটি প্রাকৃতিক দূর্যোগ। যেমন ২০১১ সালের তোহোকু ভূমিকম্প ও সুনামি এবং ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের ভূমিকম্প ও সুনামি।[৭][৮] কিন্তু বড় ভূমিকম্পগুলোর সাথে সুপারমুনের কোন সম্পর্ক খূঁজে পাওয়া যায় নাই।[৯][১০][১১]

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. http://sivertimes.com/super-moon-exceptional-brightest-moon-in-the-sky-of-normandy-Monday-November-14/1872
  2. http://astrobob.areavoices.com/2016/11/10/moongazers-delight-biggest-supermoon-in-decades-looms-large-Sunday-night/
  3. "Kryptonite for the supermoon | Bad Astronomy | Discover Magazine"। ২২ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৪ 
  4. ""No Link Between 'Super Moon' and Earthquakes" at news.discovery.com"। ১৩ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৪ 
  5. http://earthsky.org/tonight/micro-moon-years-smallest-full-moon-on-january-15-16 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে আর্থ স্কাই
  6. What is a supermoon?, সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৬ 
  7. Paquette, Mark (March 1, 2011)। "Extreme Super (Full) Moon to Cause Chaos?"Astronomy Weather Blog। AccuWeather। সংগ্রহের তারিখ 14 March 2011;  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  8. "Is the Japanese earthquake the latest natural disaster to have been caused by a supermoon?"The Daily Mail। মার্চ ১১, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১১ 
  9. "Can the position of the Moon affect seismicity?"। The Berkeley Seismological Laboratory। ১৯৯৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১১ 
  10. Fuis, Gary। "Can the position of the moon or the planets affect seismicity?"। U.S. Geological Survey: Earthquake Hazards Program। সংগ্রহের তারিখ 14 March 2011; no publication date  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  11. Wolchover, Natalie (মার্চ ৯, ২০১১)। "Will the March 19 "SuperMoon" Trigger Natural Disasters?"। Life's Little Mysteries। মার্চ ১৫, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা