সি এম শফি সামি

বাংলাদেশী কূটনীতিবিদ

সিএম শফি সামি একজন বাংলাদেশী কূটনীতিক। [১] রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদের অধীনে তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং প্রায় তিন মাসের তিনজন উপদেষ্টা হাসান মাশুদ চৌধুরী, আকবর আলী খানসুলতানা কামালকে নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। [২]

সি এম শফি সামি
জাতীয়তাবাংলাদেশী
মাতৃশিক্ষায়তনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাকূটনৈতিক

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

শফি সামি জামালপুর সরকারি কলেজ থেকে ম্যাট্রিক এবং সিলেটের এমসি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেছেন। তিনি যথাক্রমে ১৯৬২ এবং ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর লাভ করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। এর আগে তিনি কিছুদিন পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তি কমিশন (পিএইসি) এবং পূর্ব পাকিস্তান সময়কালে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও কাজ করেছেন ।

কর্মজীবন সম্পাদনা

সামি প্রথম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন এবং সামিটের উপ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাসে এবং প্যারিসের চার্জ-ডি-অ্যাফেয়ার্স হিসাবেও কাজ করেছেন। তিনি বসবাসকারী প্রতিনিধি হিসাবে ইউনেস্কোতেও কাজ করেছিলেন।

সামি ১৯৯৫ সালে ভারতে বাংলাদেশি হাই কমিশনার হন এবং ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সেখানে থেকে যান। এই সময়ে তিনি গঙ্গা পানি বিতরণ চুক্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এর পরে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি প্রধান পররাষ্ট্রসচিব হন। এছাড়া তিনি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস কমিশনের সদস্য ছিলেন। তিনি ইউএন, এনএএম, ওআইসিসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "UN fails to adequately address issues of poverty: Shafi Sami"। Daily Star। মে ৭, ২০০৭। 
  2. "Hasina rejects interim govt formula"thedailystar.net। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা