শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্র

শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের কুমিল্লায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র।[১] এটি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)-এর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।[২]

শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্র
দেশবাংলাদেশ
অঞ্চলকুমিল্লা জেলা
সমুদ্রতীরাতিক্রান্ত/ডাঙাবর্তীডাঙাবর্তী
পরিচালকবাপেক্স
ক্ষেত্রের ইতিহাস
আবিষ্কার২০১২
উৎপাদন
বর্তমান গ্যাস উৎপাদন৪১–৪৪ নিযুত cubic feet per day (১.২–১.২ নিযুত cubic metres per day)

অবস্থান সম্পাদনা

শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের অবস্থান চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের শ্রীকাইল গ্রামে।[৩] এটি বাঙ্গুরা গ্যাসক্ষেত্র থেকে ৭ কিমি দূরে ও একই অভিন্ন ভূ-কাঠামোতে অবস্থিত এবং এই দুটি ক্ষেত্র ১৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।[৪]

আবিষ্কার সম্পাদনা

বাপেক্স ২০০৪ সালে প্রথম শ্রীকাইলে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা দিলেও তখন ত্রুটিপূর্ণ খননের কারণে সেবার গ্যাস মেলেনি; পরবর্তীতে ২০১২ সালে পুনরায় কূপ খনন করে এখানে গ্যাস পাওয়া যায়।[১][৫]

খনন ও কূপ সম্পাদনা

২০১২ সালের ৫ মে হতে শুরু করে ৩০ জুন পর্যন্ত ৩,২১৮ মিটার গভীরে গ্যাস পাওয়া যায়।[৫]

মজুদ ও উত্তোলন সম্পাদনা

আনুমানিক মজুদের হিসাবে এটি একটি মধ্যমাকৃতির গ্যাসক্ষেত্র।[১] বাপেক্সের হিসাব অনুযায়ী, এখানে মোট গ্যাসের মজুদ ৩০০ বিলিয়ন ঘটফুট (বিসিএফ)।[৫]

বর্তমান অবস্থা সম্পাদনা

বর্তমানে এই গ্যাসক্ষেত্রটির দুটি কূপ থেকে দৈনিক ৪১-৪৪ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস উত্তোলন করে তা জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছে।[৪]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "কুমিল্লার শ্রীকাইলে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান"বিবিসি - বাংলা। ১৩ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৯ 
  2. "Completed Project"। বাপেক্স। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৯ 
  3. "তিন গ্যাসক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ উপেক্ষিত"দৈনিক প্রথম আলো - অনলাইন ভার্সন। ১৬ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৯ 
  4. "বাঙ্গুরার গ্যাস নিতে পেট্রোবাংলা আগ্রহী নয় কেন!"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম - অনলাইন ভার্সন। ৬ জুলাই ২০১৫। ৩১ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৯ 
  5. "কুমিল্লার শ্রীকাইলে গ্যাস ক্ষেত্র খুঁজে পেল বাপেক্স"ডয়েচ ভেলে - বাংলা। ১৩ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা