শ্রাবকযান

একটি বৌদ্ধ শব্দ যা বুদ্ধের শিষ্যদের কাছে উপলব্ধ জ্ঞানার্জনের একটি বাহনকে নির্দেশ করে

শ্রবকযান (সংস্কৃত: श्रवकयन‌; পালি: श्रभकयन; ঐতিহ্যগত চীনা: 聲聞乘; পিনয়িন: Shēngwén Shèng) ভারতীয় বৌদ্ধধর্মে প্রচলিত তিনটি যানের একটি। এই কথাটির অর্থ শ্রোতাদের যান।

ব্যবহার সম্পাদনা

শ্রবকযানপন্থীরা সম্যকসম্বুদ্ধের শিক্ষার বাণী শুনে অর্হত হওয়ার চেষ্টা করেন। মহাযানপন্থীরা শ্রবকযান ও প্রত্যেকবুদ্ধযানকে হীনযানের অন্তর্গত হিসেবে পরিগণিত করেন।[n ১]

প্রাচীন বৌদ্ধ সম্প্রদায় সম্পাদনা

বেশ কিছু প্রাচীন বৌদ্ধ সম্প্রদায় শ্রবকযানকে নিয়ে তিনটি যানের চিন্তাভাবনা করেছেন। যেমন বৈভাষিক সর্বাস্তিবাদীরা শ্রবকযান, প্রত্যেকবুদ্ধযানবোধিসত্ত্বযান এই তিনটি যানের মাধ্যমে বৌদ্ধ আচার পালনের কথা বলেছেন।[২] ধর্মগুপ্তকরা শ্রবকযান ও বোধিসত্ত্বযানকে পৃথক বলে আখ্যা দিয়েছেন। [৩]

মহাযান সম্পাদনা

খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতকে অভিধর্ম নিয়ে রচিত অভিধর্মসমুচ্চয় গ্রন্থে অসঙ্গ শ্রবকযানপন্থীদের বর্ণনা দিয়েছেন। এই পন্থীদের ইন্দ্রিয় দুর্বল বলে বর্ণনা করে বলা হয়েছে যে তারা শ্রবকযানের চর্চা করে নিজেদের মুক্তিতে সচেষ্ট। [৪] এর বিপরীতে প্রত্যেকবুদ্ধযানপন্থীদের মধ্যম মানের ইন্দ্রিয়[৪] এবং মহাযানপন্থীদের উন্নত মানের ইন্দ্রিয়ের কথা বলা হয়েছে। যেখানে শ্রবকযানপন্থী ও প্রত্যেকবুদ্ধযানপন্থীরা শুধুমাত্র নিজেদের মুক্তির চিন্তা করে থাকেন, সেখানে মহাযানপন্থীরা তাদের বিপরীতে নিজেদের মুক্তির পাশাপাশি সমস্ত জীবজগতের মুক্তির চিন্তা করে থাকেন।[৪]

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. the Mahāyāna ... very occasionally referred contemptuously to earlier Buddhism as the Hinayāna, the Inferior Way," "the preponderance of this name in the secondary literature is far out of proportion to occurrences in the Indian texts." She notes that the term Śrāvakayāna was "the more politically correct and much more usual[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Isabelle Onians, "Tantric Buddhist Apologetics, or Antinomianism as a Norm," D.Phil. dissertation, Oxford, Trinity Term 2001 pg 72
  2. Nakamura, Hajime. Indian Buddhism: A Survey With Bibliographical Notes. 1999. p. 189
  3. 《異部宗輪論述記》:謂佛雖在僧中所攝,然別施佛果大,非僧(果大)。於窣堵波興供養業獲廣大果。佛與二乘解脫雖一,而聖道異。無諸外道能得五通。阿羅漢身皆是無漏。餘義多同大眾部執。(চীনা)
  4. Boin-Webb, Sara (tr). Rahula, Walpola (tr). Asanga. Abhidharma Samuccaya: The Compendium of Higher Teaching. 2001. p. 199-200