শৈলশিরা বা পর্বতশৃঙ্গ একটি ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য যা পাহাড় বা পাহাড়ের শৃঙ্খলে গঠিত যা কিছু দূরত্বে অবিচ্ছিন্ন চূড়া গঠন করে। শীর্ষ স্থান থেকে সংকীর্ণ ও দীর্ঘ অংশগুলি, উভয় প্রান্তে নিচে নেমে যাওয়া অঞ্চলকে বলা হয় রিজলাইন

জাপানের একটি পর্বতমালা
অ্যাপালাচিয়ান পর্বতমালার মধ্যে একটি স্ট্রিটগ্রাফিক রিজ
টুয়াসের প্রান্তগুলি হতে সৃষ্ট শৈলশিরা

প্রকারভেদ সম্পাদনা

আবদ্ধ শৈলশিরা সম্পাদনা

পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রবাহপথে কঠিন শিলাসমূহ বাঁধার সৃষ্টি করলে নদী এঁকেবেঁকে চলতে শুরু করে। এর ফলে নদীর একটি পাড় অপর পাড়কে আড়াল করে রাখে । ফলে নদীর গতিপথ সোজাসুজি বেশি দূর পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায় না, দূর থেকে মনে হয় যেন শৈলশিরাগুলি আবদ্ধ বা শৃঙ্খলিত অবস্থায় রয়েছে, যে কারণে এদের আবদ্ধ শৈলশিরা বা শৃঙ্খলিত শৈলশিরা বলে।[১]

কর্তিত শৈলশিরা সম্পাদনা

পার্বত্য অঞ্চলে উচ্চগতিতে নদী তীব্রগতিতে ক্ষয়কার্য করতে করতে অগ্রসর হতে থাকে। এইসময় নদী তার প্রবাহপথে অবস্থিত শৈলশিরার অভিক্ষিপ্তাংশগুলিকে ক্ষয় করে কিছুটা সোজাপথে অগ্রসর হয়। এরকম ক্ষয়প্রাপ্ত শৈলশিরার অভিক্ষিপ্তাংশগুলিকে কর্তিত শৈলশিরা (Truncated Spur) বলে।[২]

উদাহরণ সম্পাদনা

 
পিরিন পর্বতের প্রধান শৈলশিরা

হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে মন্দাকিনী নদীর গতিপথে অসংখ্য আবদ্ধ শৈলশিরা এবং তিস্তা, তোর্সা, মহানন্দা, জলঢাকা, প্রভৃতি নদীর উচ্চ প্রবাহে কর্তিত শৈলশিরা দেখতে পাওয়া যায় ।

★ বৈশিষ্ট্য :– সম্পাদনা

আবদ্ধ শৈলশিরা বা শৃঙ্খলিত শৈলশিরার বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ—

  • ক) এগুলি মূলত নদীর উচ্চ প্রবাহে পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায়।
  • খ) এগুলি নদীর ক্ষয়কার্যজনিত ভূমিরূপ।
  • গ) এরা নদী প্রবাহের দৃশ্যমানতাকে দূর থেকে আড়াল করে রাখে।
  • ঘ) এগুলি মূলত খরস্রোতা নদীর উচ্চ প্রবাহে পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায়।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২১ 
  2. "How Volcanoes Work - lava flow features"www.geology.sdsu.edu। ২০১৮-১০-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা