শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ

বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায় অবস্থিত সরকারি মেডিকেল কলেজ

শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ (এসএসকেএমসি) বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায় অবস্থিত চিকিৎসা বিষয়ক উচ্চ শিক্ষা দানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। সরাসরি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়; যা বর্তমানে দেশের একটি অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ (Internship) স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদী এম.বি.বি.এস. শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে; যাতে প্রতিবছর ১২৫ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়ে থাকে। বর্তমানে মেডিকেল কলেজটিতে দ্বাদশ ব্যাচ (২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ) চলমান রয়েছে।[১] এটি গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পূর্ব দিকে অবস্থিত। শেখ হাসিনা সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এলে তার সরকার বঙ্গবন্ধুর মাতা শেখ সায়েরা খাতুনের নামে উক্ত সরকারি মেডিকেল কলেজটি স্থাপন করে। মেডিকেল কলেজটিতে দেশি-বিদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ
ধরনসরকারি মেডিকেল কলেজ
স্থাপিত১৫ ডিসেম্বর ২০১১ (2011-12-15)
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অধ্যক্ষঅধ্যাপক ডাঃ গোলাম মোর্শেদ মোল্লা
পরিচালকডা. নিয়াজ মোহাম্মদ
শিক্ষার্থী৩০০+
স্নাতকএমবিবিএস
অবস্থান,
২২°৫৯′৩৬″ উত্তর ৮৯°৪৯′১৩″ পূর্ব / ২২.৯৯৩৪° উত্তর ৮৯.৮২০৪° পূর্ব / 22.9934; 89.8204
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
ভাষাইংরেজি
সংক্ষিপ্ত নামশেসাখামেক (SSKMC)
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
মানচিত্র

নামকরণ সম্পাদনা

শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাদী শেখ সায়েরা খাতুন এর নামে কলেজের নামকরণ করা হয়েছে।

অবস্থান সম্পাদনা

শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজটি বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পাশে অবস্থিত।

ইতিহাস সম্পাদনা

২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এই প্রকল্পের বাজেট ছিল ৫০০ কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের বাসভবনে কলেজের অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করেছিল। সেই কার্যালয় থেকেই প্রথমবার ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছিল।[২]

২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষে কলেজটি প্রথমবারে ৫১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছিল।[২][৩]

অবকাঠামো সম্পাদনা

অবকাঠামোগত দিক থেকে শেসাখামেক ক্যাম্পাস পরিপূর্ণ।

  • তিন ব্লকে ৬+৬+৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন
  • ১০ তলা বিশিষ্ট ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল
  • ৬ তলা বিশিষ্ট ২টি ইন্টার্ন হোস্টেল (একটি ছেলেদের জন্য এবং একটি মেয়েদের জন্য)
  • ৬ তলা বিশিষ্ট ২টি শিক্ষার্থী হোস্টেল (একটি ছেলেদের জন্য এবং একটি মেয়েদের জন্য)
  • ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালাইড সাইন্স (ইনমাস)
  • একটি মসজিদ
  • একটি জিমনেসিয়াম
  • একটি দিঘি
  • একটি খেলার মাঠ
  • সুসজ্জিত একাডেমিক গ্রন্থাগার এবং সাহিত্য ভিত্তিক গ্রন্থাগার "দীপ্ত পাঠ"

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ভর্তিচ্ছু ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা" (পিডিএফ)। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার - স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২২ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৫ 
  2. "শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-৩০ 
  3. "শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-৩০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা