লামডিং–সাব্রুম রেলপথ

(শিলচর–সাব্রুম রেলপথ থেকে পুনর্নির্দেশিত)

লামডিং–সাব্রুম রেলপথ ভারতীয় রেলওয়ের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল অঞ্চলের লামডিং রেল বিভাগের অধীনস্থ একটি রেলওয়ে লাইন বা রেলপথ। এটি আসাম রাজ্যের নগাঁও জেলার লামডিং থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার আগরতলা পর্যন্ত গিয়েছে। এটি একটি ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্রড গেজ ট্র্যাক। আগরতলা থেকে দক্ষিণে উদয়পুর পর্যন্ত যাওয়া ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ১,৬৭৬ মিমি (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্রড গেজ ট্র্যাকের লাইনটির কাজ ২০১৬ সালে সমাপ্ত হয় এবং ২৩ জানুয়ারী ২০১৭ সালে এটি কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর তীরে সাব্রুমের কাছে পর্যন্ত যাওয়া অবশিষ্ট ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল ট্র্যাক লাইনটির কাজ ২০১৯ সালে সমাপ্ত হয় এবং ৩ অক্টোবর ২০১৯ সালে কার্যক্রম শুরু করে।

লামডিং–সাব্রুম রেলপথ (কাটাখাল-বৈরাবি-সায়রাং, কাটাখাল-জিরিবাম-ইম্ফল এবং বরাইগ্রাম-দুলাবচেরা শাখা লাইনসহ)
ত্রিপুরার উদয়পুর স্টেশন
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্থিতিসক্রিয়
মালিকভারতীয় রেল
অঞ্চলভারতের আসাম এবং ত্রিপুরা
বিরতিস্থল
পরিষেবা
পরিচালকউত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল
ইতিহাস
চালু২০০৮
কারিগরি তথ্য
রেলপথের দৈর্ঘ্য৫০৩ কিমি (৩১৩ মা)
ট্র্যাকসংখ্যা
ট্র্যাক গেজ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি)
পুরাতন গেজমিটার গেজ
বিদ্যুতায়নবিদ্যুতায়িত নয় / ডিজেল পরিচালিত
যাত্রাপথের মানচিত্র
শিলচর–সাব্রুম রেলপথ
কিমি
শিলচর
অরুণাচল জংশন
নতুন শিলচর
মইনার বন্ড
রানীগাঁ
শ্রীবার
কামরাঙা
জিরিঘাট
আসাম - অরুণাচল সীমান্ত
৫৬ জিরিবাম
টুুপুল - ইম্ফল
১৪ সালচাপাড়া
২০ কাটাখাল জংশন
৩০ আলগাপুর
৩৮ হাইলাকান্দি
৪৬ মোনাচেররা
৫৪ লালাবাজার
৫৯ মহামাদপুর
৬৭ কাটলিছেররা
৭৪ মনিপুর বাগান
৮৪ জামিরা
রামনাথপুর
আসাম - মিজোরাম সীমান্ত
১০১ বাইরাবি
সাইরাং পর্যন্ত (প্রস্তাবিত)
২৫ পাঁচগ্রাম
২৮ বদরপুর ঘাট
লামডিং পর্যন্ত
৩০ বদরপুর জংশন
৩৩ রূপসীবাড়ি
৩৯ ভঙ্গা
৪৫ চরগলা
৫১ করিমগঞ্জ জংশন
৫৪ লঙ্গাই
৬১ মাইশাসন
ভারত - বাংলাদেশ সীমান্ত
৬৬ নিলামবাজার
৬৯ কায়স্থগ্রাম
৭৩ বড়াইগ্রাম জংশন
৭৬ ইরিলিগুল
৮০ ফখোগ্রাম
৮৬ বাজারঘাট
৯১ রতবারী
৯৪ আনীপুর
১০১ দুলবচড়া
৭৭ কানাইবাজার
৮১ পাথরকান্দি
৮৫ কলখালিঘাট
৯১ চাঁদ খিরা বাগান
৯৯ তিলভূম
আসাম - ত্রিপুরা সীমান্ত
১০৪ চুরিবাড়ি
১১১ নদিয়াপুর
১১৭ ধর্মনগর
১২৮ পানিসাগর
১৩৯ পেচারথাল
১৪৯ কুমারঘাট
১৬০ নালকাটা
১৭০ মনু
১৭৩ এস কে পাড়া
১৮৫ জাওয়াহারনগর
১৯০ আম্বাসা
২০৮ মুঙ্গিয়াকামী
২১৯ তালিয়ামুড়া
২৩৯ জিরানিয়া
২৫৩ যোগেন্দ্র নগর
২৫৭ আগরতলা
আখাউড়া পর্যন্ত(প্রস্তাবিত)
৩১২ উদয়পুর
৩৮২ সাব্রুম

উৎস: গুগল ম্যাপ, ভারতীয় রেলওয়ে সময় সারণি
ডিব্রুগড় ঝাঝা সপ্তাহিক এক্সপ্রেস ১৫৯৪২
মারিয়ানি–ফুরকাটিং প্যাসেঞ্জের ৫৫৯০৪
উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রেল অবকাঠামো উন্নয়নের উপস্থাপনা

ইতিহাস সম্পাদনা

আসামের শিলচর থেকে ত্রিপুরার ধর্মনগরকৈলাসহরের মধ্যে মিটার গেজ ট্র্যাক নির্মাণের মাধ্যমে ত্রিপুরাতে রেলপথ ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়,[১] কিন্তু ট্র্যাকটি রাজধানী আগরতলাকে সংযুক্ত করে নি। ১৯৯৬ সালে ১১৯ কিলোমিটারের কুমারঘাট-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। এটি ছিল বিদ্যুৎ সংযোগ বিহীন একক ট্র্যাকের মিটার গেজ এবং ২০১৬ সালে রেলপথটিকে বিস্তৃত গেজে রূপান্তরিত করা হয়।[২] আগরতলা থেকে উদয়পুর পর্যন্ত ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্র্যাক স্থাপন করা হয় এবং ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ সালে আগরতলা থেকে উদয়পুরে (স্টেশন কোড ইউডিইউপি) মাতা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের কাছাকাছি পর্যন্ত রেল চলাচল করছে।

নির্মানাধীন সম্পাদনা

রেলপথটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফেনী নদীর তীরে উদয়পুরে থেকে ৭০ কিমি দক্ষিণে সাব্রুম পর্যন্ত বিস্তৃত করা হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত রেলপথটি সম্প্রসারিত করার চেষ্টা চলছে। আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত একটি শাখা রেলপথ নির্মাণাধীন আছে। এই রেলপথটি আগরতলা থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় ৫০০ কিমি পর্যন্ত হ্রাস করবে। বর্তমানে গুয়াহাটি হয়ে আগরতলা থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় ১,৫০০ কিমি।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Agartala now on India's rail map"iGovernment › Infrastructure। igovernment.in। ১৫ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৩ 
  2. "ব্রডগেজ মানচিত্রে জুড়ল ত্রিপুরা"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ১ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা