শতাব্দী রায়

ভারতীয় অভিনেত্রী, পরিচালক, রাজনীতিবিদ

শতাব্দী রায় (জন্ম: ৫ অক্টোবর ১৯৬৯) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, চিত্রপরিচালক ও রাজনীতিবিদ।[২] তিনি নব্বইয়ের দশকে বাণিজ্যিক বাংলা ছবির অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন। অভিনেত্রী হিসেবে তিনি দুবার বিএফজিএ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।[৩][৪]

শতাব্দী রায়
বীরভূমের জন্য ভারতীয় সংসদের সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২২শে মে, ২০০৯
পূর্বসূরীরামচন্দ্র ডোম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1969-10-05) ৫ অক্টোবর ১৯৬৯ (বয়স ৫৪)[১]
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
জাতীয়তাভারতীয়
রাজনৈতিক দলসর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস
বাসস্থানকলকাতা, ভারত
পেশা
  • অভিনেত্রী
  • চিত্র পরিচালক
  • সাংসদ
তথ্যসূত্র[১]

১৯৮৬ সালে তপন সিংহর আতঙ্ক ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে শতাব্দী রায়ের অভিনয় জীবনের অভিষেক হয়।[৫] এরপরে তাপস পালের বিপরীতে একাধিক বাংলা ছবিতে অভিনয় করে তিনি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান।[৬] তার অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি জ‍্যোতি স্বরূপ পরিচালিত নয়া জহর (১৯৯১)।[৭]

পুরস্কার সম্পাদনা

রায় ২০০৫ সালে দেবীপক্ষ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিক সহ-অভিনেত্রী পুরস্কার অর্জন করে।[৮]

শৈশব সম্পাদনা

তিনি ১৯৬৮ সালের ৫ অক্টোবর আগারপাড়ায় শাইলেন এবং নীলিমা রায়ের পরিবারে জমগ্রহণ করেন। শতাব্দী রায় সরোজিনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫ সালে মাধ্যমিক পড়া সম্পন্ন করেন এবং তারপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত মহিলা কলেজ “যোগমায়া দেবী কলেজে” ভর্তি হন।

অভিনয় জীবন সম্পাদনা

১৯৮৬ সালে তপন সিংহর আতঙ্ক ছবিতে শতাব্দী রায়ের অভিনয় জীবনের অভিষেক হয়। এর পূর্বে তিনি দিনেন দাশগুপ্তর পরিচালানায় টিনা নামক একটি ছবিতে অভিনয় করেন কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায় নি। এরপর তিনি তপন সাহার পরিচালনায় অমর বন্ধন ছবিতে তাপস পালের বিপরীতে অভিনয় করেন। টালিগঞ্জে সেই সময় দেবশ্রী রায়ের প্রবল প্রতাপ। তার মধ্যেও নিজের জায়গা করে নেন শতাব্দী। ১৯৮৭ সালে অঞ্জন চৌধুরীর পরিচালনায় গুরু দক্ষিণা ছবিতে তিনি তাপস পালের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই ছবির বিপুল বাণিজ্যিক সাফল্য তার অভিনয় জীবনের ভাগ্য বদলে দেয়।

এর পরবর্তীকালে তিনি একটি কল্পবিজ্ঞান নির্ভর চলচ্চিত্র “ফ্রেন্ড” সিনেমার পরিচালনা ও অভিনয় করেন, যা মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। সংসদ সদস্য শতাব্দী রায় বর্তমানে বর্তমানের একটি জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান সারধা গ্রুপের ব্রান্ডদূত। তিনি তার অবসর সময়ে তার নিজের অভিনয়ের শিক্ষালয় “শতাব্দী ফাউন্ডেশন” এ অভিনয় শেখান অথবা তার ছেলে সাম্যরাজ (তোজো) এবং মৃগাঙ্ক বন্ধোপাধ্যায়ের সাথে সময় কাটান। তার স্বামী একজন বিপণন নির্বাহী।[৯]

চলচ্চিত্র সম্পাদনা

  • ফাইট ১:১ (২০১১)
  • ধাকী (২০০৯)
  • ফ্রেন্ড (২০০৯)
  • বিয়ের লগ্ন (২০০৮)
  • টলি লাইটস (২০০৮)
  • অভিনেত্রী (২০০৬)
  • দীর্ঘমান (২০০৫)
  • নিশাচর (২০০৫)
  • দেবীপক্ষ (২০০৪)
  • চোর ও ভগবান (২০০৩)
  • দেবীপূজা (২০০৩)
  • জুয়া (২০০৩)
  • সুখ দুঃখের সংসার (২০০৩)
  • আমি জীবনপুরের পথিক (২০০১)
  • ভালবাসা কি আগে বুঝি নি (২০০১)
  • বিধাতার খেলা (২০০১)
  • ক্যান্সার (২০০১)
  • এটাই স্বর্গ (২০০১)
  • জনক জননী (২০০১)
  • নদী পাড়ে আমার বাড়ি (২০০১)
  • শেষ বিচার (২০০১)
  • শ্রীমতী ভয়ঙ্করী (২০০১)
  • দাবী (২০০০)
  • দিদি আমার মা (২০০০)
  • কলঙ্কিনী বধু (২০০০)
  • পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম (২০০০)
  • রুপসী দোহাই তোমার (২০০০)
  • সজনী আমার সোহাগ (২০০০)
  • শত্রুতা (২০০০)
  • শপথ নিলাম (২০০০)
  • ত্রিশূল (২০০০)
  • গরীবের রাজা রবীনহুড (১৯৯৯)
  • গুন্ডা (১৯৯৯)
  • যুগবতার লোকনাথ (১৯৯৯)
  • কৃষ্ণ কভেরী (১৯৯৯)
  • অপরাজিতা (১৯৯৮)
  • আসল নকল (১৯৯৮)
  • জীবন তৃষ্ণা (১৯৯৮)
  • কমলার বনবাস (১৯৯৮)
  • পুত্রবধু (১৯৯৮)
  • রাজা রাণী বাদশাহ্‌ (১৯৯৮)
  • রণক্ষেত্র (১৯৯৮)
  • শিমুল পারুল (১৯৯৮)
  • শ্রীমান ৪২০ (১৯৯৮)
  • স্বামীর আদেশ (১৯৯৮)
  • অভিশপ্ত প্রেম (১৯৯৭)
  • আজকের সন্তান (১৯৯৭)
  • বহুরুপা (১৯৯৭)
  • বকুল প্রিয়া (১৯৯৭)
  • বিদ্রোহ (১৯৯৭)
  • চন্দ্রগ্রহণ (১৯৯৭)
  • মায়ার বাধন (১৯৯৭)
  • প্রতিরোধ (১৯৯৭)
  • সর্বজয়া (১৯৯৭)
  • জামাইবাবু (১৯৯৬)
  • জয় বিজয় (১৯৯৬)
  • সখী তুমি কার (১৯৯৬)
  • সিঁথির সিধুর (১৯৯৬)
  • ত্রিধারা (১৯৯৬)
  • আবির্ভাব (১৯৯৫)
  • বৌমণি (১৯৯৫)
  • কুমারী মা (১৯৯৫)
  • মশাল (১৯৯৫)
  • প্রতিধ্বনি (১৯৯৫)
  • সংসার সংগ্রাম (১৯৯৫)
  • শেষ প্রতিক্ষা (১৯৯৫)
  • সুখের আশা (১৯৯৫)
  • অজানা পথ (১৯৯৪)
  • বিদ্রোহিণী (১৯৯৪)
  • কালপুরুষ (১৯৯৪)
  • লাল পান বিবি (১৯৯৪)
  • নাগিয়্যতি (১৯৯৪)
  • ফিরিয়ে দাও (১৯৯৪)
  • তুমি যে আমার (১৯৯৪)
  • অর্জুন (১৯৯৩)
  • ঘর সংসার (১৯৯৩)
  • কন্যাদান (১৯৯৩)
  • মান সম্মান (১৯৯৩)
  • প্রজাপতি (১৯৯৩)
  • প্রথমা (১৯৯৩)
  • প্রেমী (১৯৯৩)
  • শক্তি (১৯৯৩)
  • শ্রদ্ধাঞ্জলি (১৯৯৩)
  • সুখের স্বর্গ (১৯৯৩)
  • অধিকার (১৯৯২)
  • অন্তর্ধান (১৯৯২)
  • ধর্ম যুদ্ধ (১৯৯২)
  • মা (১৯৯২)
  • মনিকাঞ্চন (১৯৯২)
  • নতুন সংসার (১৯৯২)
  • পেন্নাম কলকাতা (১৯৯২)
  • শয়তান (১৯৯২)
  • আমার সাথী (১৯৯১)
  • বিধির বিধান (১৯৯১)
  • মান মর্যাদা (১৯৯১)
  • নয়া যাহের (১৯৯১)
  • প্রেম পুজারী (১৯৯১)
  • অভিমন্যু (১৯৯০)
  • আবিষ্কার (১৯৯০)
  • আলিঙ্গন (১৯৯০)
  • অনুরাগ (১৯৯০)
  • আপন আমার আপন (১৯৯০)
  • ভাঙা-গড়া (১৯৯০)
  • চেতনা (১৯৯০)
  • ঘড়ের বউ (১৯৯০)
  • কলঙ্ক (১৯৯০)
  • রক্ত ঋণ (১৯৯০)
  • আমার শপথ (১৯৮৯)
  • অগ্নিতৃষ্ণা (১৯৮৯)
  • আমানত (১৯৮৯)
  • আঙ্গার (১৯৮৯)
  • বিদায় (১৯৮৯)
  • বন্ধিনী (১৯৮৯)
  • জজ সাহেব (১৯৮৯)
  • মহাপিঠ তারাপিঠ (১৯৮৯)
  • মঙ্গলদীপ (১৯৮৯)
  • মারইয়াদা (১৯৮৯)
  • মনে মনে (১৯৮৯)
  • মণিমালা (১৯৮৯)
  • শত্রুপক্ষ (১৯৮৯)
  • শ্রীমতী হংসিরাজ (১৯৮৯)
  • আঘাত (১৯৮৮)
  • অগ্নিসংকেত (১৯৮৮)
  • অন্তরঙ্গ (১৯৮৮)
  • ছন্নছাড়া (১৯৮৮)
  • দেনা পাওনা (১৯৮৮)
  • মা এক মন্দির (১৯৮৮)
  • পরশমণি (১৯৮৮)
  • পুনর্মিলন (১৯৮৮)
  • শুধু তোমারী (১৯৮৮)
  • একান্ত আপন (১৯৮৭)
  • গুরুদক্ষিণা (১৯৮৭)
  • নিজ অধিকার (১৯৮৭)
  • প্রতিভা (১৯৮৭)
  • প্রতিকার (১৯৮৭)
  • আমার বন্ধন (১৯৮৭)
  • আতঙ্ক (১৯৮৭)
  • বৌমা (১৯৮৭)
  • প্রতিরোধ (১৯৮৩)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Detailed Profile: Smt. Satabdi Roy"। Indian Government। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১২ 
  2. "ফ্যানস ক্লাবের পেজে শতাব্দীর নামে পোষ্ট ঘিরে জোর জল্পনা"EI Samay। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৬ 
  3. "Shatabdi takes to playing teacher - Star looks to Women & children for support"The Telegraph। ৬ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৯ 
  4. S.Saha। "Satabdi Roy"। westbengalelectionresult.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৯ 
  5. "5 Indian Regional Language Films Based on Real-life Horrific Incidents of Crime"News18। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৯ 
  6. "ভীষন ছেলেমানুষীতে ভরা এক বন্ধু"www.magzter.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২১ 
  7. "Naya Zaher Movie"Bollywood Hungama (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৭ 
  8. "IndiaDaily"। IndiaDaily। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-২৫ 
  9. [১] The Telegraph - Calcutta : Weekend

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা