লুৎফর রহমান সরকার

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের ষষ্ঠ গভর্নর

লুৎফর রহমান সরকার‌ ছিলেন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের ষষ্ঠ গভর্নর। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যাংকার এবং ছড়াকার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসংস্থান প্রকল্প বিকল্পের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের একজন সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা। ব্যাংকার্স ক্লাব (পরবর্তীতে এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স) এর প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা ও প্রথম সভাপতি।

লুৎফর রহমান সরকার
বাংলাদেশ ব্যাংক
কাজের মেয়াদ
২১ নভেম্বর ১৯৯৬ – ২১ নভেম্বর ১৯৯৮
পূর্বসূরীমোঃ খোরশেদ আলম
উত্তরসূরীড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1934-02-01) ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪ (বয়স ৯০)
ফুলকোট, আমরুল, শাজাহানপুর, বগুড়া, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২৪ জুন ২০১৩(2013-06-24) (বয়স ৭৯)
অ্যাপোলো হাসপাতাল, ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ধর্মইসলাম

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

লুৎফর রহমান সরকার ১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ফুলকোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[১]

কর্ম জীবন সম্পাদনা

১৯৫৬ সালে রেডিও পাকিস্তানের ব্রডকাস্টিং হাউজে মনিটরিং বিভাগে অ্যানালিস্ট হিসেবে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও পরের বছরেই লুৎফর রহমান সরকার যোগ দেন ব্যাংকে। ১৯৫৭ সালে করাচির তৎকালীন হাবিব ব্যাংকে অফিসার হিসেবে যোগ দিয়ে ব্যাংকে তার কর্মজীবন শুরু।

লুৎফর রহমান সরকার বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক 'বাংলাদেশ ব্যাংক'-এর ষষ্ঠ গভর্নর; মোঃ খোরশেদ আলম দায়িত্ব ত্যাগের পর তিনি ১৯৯৬ সালের ২১ নভেম্বর গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ১৯৯৮ সালের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এই পদে অধিষ্টিত থাকেন।[২] ১৯৫৭ সালে হাবিব ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে তার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পুর্বে তিনি হাবিব ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।[৩]

সোনালি ব্যাংকে দায়িত্ব পালন করে ‘বিকল্প’ প্রকল্প চালু করেন তিনি। এই প্রকল্পের কারণে লুৎফর রহমান সরকার ৮১ দিন কারাভোগ করতে হয়। লুৎফর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে দীর্ঘদিন খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন।

সাহিত্য-কর্ম সম্পাদনা

বই প্রকাশ

রম্যরচনা গ্রন্থ : দৈনন্দিন (১৯৬৭), সূর্যের সাত রং (১৯৭৬), জীবন যখন যেমন (১৯৮০), কতিপয় জনপ্রিয় কার্যকলাপ (১৯৮৮)।

ছড়ার বই : টিয়ে পাখির বিয়ে, নতুন বউ, খুকুমণির শ্বশুরবাড়ি।

সংকলন : হাদিসের বাণী (২০০২), বরণীয়জনের স্মরণীয় বাণী (২০০২)।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা