লিলেট দুবে

ভারতীয় অভিনেত্রী

লিলেট দুবে (জন্ম ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি থিয়েটার, দূরদর্শন ও হিন্দি ছায়াছবিতে কাজ করেছেন।[৩]

লিলেট দুবে
২০১২ সালে লিলেট দুবে
জন্ম
লিলেট কিসওয়ানি[১]

(1953-09-07) ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩ (বয়স ৭০)[২]
পেশাঅভিনেত্রী, পরিচালিকা
দাম্পত্য সঙ্গীরবি দুবে (বি. ১৯৭৮; মৃ. ২০১৫)
সন্তাননেহা দুবে
ইরা দুবে

প্রথম জীবন সম্পাদনা

পুনেতে এক সিন্ধি হিন্দু পরিবারে লিলেটের জন্ম।[৪] তার বাবা, গোবিন্দ কিসওয়ানি ভারতীয় রেলে কাজ করতেন। মা লীলা স্ত্রীরোগবিশারদ ছিলেন ও ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরতা ছিলেন। তার বাবার ইচ্ছে ছিল মেয়েকে আধুনিক কোনো নাম দেওয়ার। তাই তিনি স্ত্রীর লীলা নামের নকল ফরাসি হিসেবে লিলেট নামটি রাখেন। উনি নামের মানে রাখতে চেয়েছিলেন লিটল লীলা বা ছোট লীলা। যদিও ছোটবেলায় এই নামের জন্য বন্ধুরা ঠাট্টা করত বলে লিলেটের নিজের কখনই এই নামটি পছন্দ ছিল না।[১][২][৫]

বাবার বদলির চাকরির কারণে তাকে ছোটবেলায় বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি হতে হয়। তার মধ্যে ছিল দিল্লীর কারমেল কনভেন্ট ও পুনের সেন্ট মেরিজ স্কুল। দিল্লীর লেডি শ্রী রাম কলেজ থেকে লিলেট ইংরেজিতে স্নাতক হন। পরবর্তীকালে উনি ইংরেজি ও মাস কমিউনিকেশন নিয়ে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় পাশ করেন।[১][২]

লিলেটরা তিন ভাইবোন। লিলেট সবচাইতে বড়। বোনের নাম লুশিন (রাশিয়ান বিমান ইলিউশিন থেকে নেওয়া নাম) ও ভাই পতঞ্জলি (হিন্দু যোগ দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণিক শাস্ত্রগ্রন্থ যোগসূত্র-এর সংকলকের নামে)। লুশিন, বিখ্যাত পণ্ডিত প্রদীপ দুবেকে বিবাহ করেছেন।

পেশা সম্পাদনা

লিলেট অনেক ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নাসিরুদ্দিন শাহ্-এর সঙ্গে মীরা নায়ারের মনসুন ওয়েডিং, শাহরুখ খান, প্রীতি জিনতা, সাইফ আলি খানজয়া বচ্চন-এর সঙ্গে কাল হো না হো, অমিতাভ বচ্চন-এর সঙ্গে বাগবান, মেয়ে নেহা দুবের সাথে বো ব্যারাকস্‌ ফরএভার এবং অক্ষয় কুমারদীপিকা পাড়ুকোন-এর সঙ্গে হাউসফুল

ম্যাগি স্মিথ, জুডি ডেঞ্চদেব পটেল-এর সঙ্গে ব্রিটিশ ছায়াছবি দ্য বেস্ট এক্সটিক মেরিগোল্ড হোটেল ও তার দ্বিতীয় ভাগে অভিনয় করেন লিলেট।

দূরদর্শন ও থিয়েটার অভিনেত্রী এবং পরিচালিকা রূপে উনি নাম করেছেন। উনি দিল্লীর ব্যারি জনের থিয়েটার অ্যাকশন গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত।[৬]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

লিলেট দুবের স্বামী রবি দুবে তাজ মানসিংহ হোটেলের সবচাইতে কমবয়সী জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন। পরে তিনি টাটা গ্রুপের কর্পোরেট কমিউনিকেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত হন। ২০০৪ সালে তিনি চাকরি ছাড়েন। ২০১৫ সালে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে তার মৃত্যু হয়।[৭]

তাদের দুই মেয়ে, নেহাইরা। দুই বোনই থিয়েটার, সিনেমা ও দূরদর্শনে পার্শচরিত্রে অভিনয় করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Lillete's world"। The Hindu (Metro Plus)। ২০১১-১২-১৬। 
  2. "Lillete Dubey: The drama of life"। The Times of India (Delhi Times)। ২০০২-০৫-২৬। 
  3. "Profiles : Snapping up life"। The Hindu (Metro Plus)। ২০০৮-০৭-০৭। 
  4. All the World is a Stage
  5. "I am over-qualified for this medium"। The Indian Express। ১৯৯৯-১০-০১। ২০ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. "The drama of Barry John's life"। The Times of India (Delhi Times)। ২০০২-১১-২৩। 
  7. "Youngest-ever GM of Taj Mansingh dies at 60"। The Times of India। ২০১৫-০৫-১৩।