লিখন বা লেখা হলো যোগাযোগের একটা মাধ্যম যা চিহ্ন বা প্রতীকের সাহায্যে ভাষার প্রতিনিধিত্ব করে। প্রায় সব ভাষায় কথ্যভাষা বা বক্তব্যের পরিপূরক হিসেবে লিখন প্রচলিত হলেও লিখন মুলত ভাষা নয় ভাষিক প্রযুক্তি। লিখন, ভাষিক সংঘটনের অন্যান্য উপাদান যেমন অভিধান , ব্যাকরণ ও শব্দার্থবিদ্যা ছাড়াও একটি নিদির্ষ্ট ভাষার চিহ্ন বা প্রতীকের সাহায্যে প্রনীত আনুষ্ঠানিক বর্ণমালার উপরও নির্ভর করে থাকে। লিখনের ফলাফলকে পাঠ্য বা টেক্সট এবং যিনি লিখনের প্রাপক বা যিনি লিখাটি পাঠ করেন তাকে পাঠক বলা হয়। বিভিন্ন প্রকাশনা, গল্প, চিঠিপত্র এবং দিনলিপি লেখার প্রণোদনা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত এছাড়াও লিখন গণমাধ্যম এবং আইনি ব্যবস্থা গঠনের মাধ্যমে ইতিহাস ও জ্ঞান প্রচারে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে ।

কলমের সাহায্যে লিখন

মানব সভ্যতার উষালগ্নে লিখনের উন্নয়ন ঘটে প্রধানত রাষ্ট্রশাসনসংক্রান্ত জরুরি কার্যাবলি যেমন তথ্যের আদান-প্রদান , আর্থিক হিসাব-নিকাশ নির্বাহ , আইন-কানুন প্রণয়ন এবং ইতিহাস সংরক্ষণের প্রয়োজনে । আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব চার'শ বছর আগে মেসোপটেমিয়ায় বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক জটিলতা মানুষের স্মৃতিশক্তি ছাড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে লিখনের স্থায়ী সংরক্ষণ ও পুনর্বার উপস্থাপণ ক্ষমতার দরুন লিখন প্রক্রিয়ার প্রতি নির্ভরশীলতা দ্রুত বেড়ে যায়।[১]প্রাচীন মিশরমেসোআমেরিকায় রাজনৈতিকভাবে অপরিহার্য ঘটনা, ঐতিহাসিক ও পরিবেশগত উল্লেখযোগ্য ঘটনার কালানুক্রমিক বর্ণনার প্রয়োজনে লিখনের বিকাশ ঘটে।

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Robinson, 2003, p. 36

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা