লরেন্স ডানডাস, জেটল্যান্ডের দ্বিতীয় মার্কুয়েস

ভারতের জন্য ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিব

লরেন্স জন লুমলে ডানডাস, জেটল্যান্ড এর ২য় মার্কাস কে.জি, জি. সি.এস.আই, জি. সি. আই. ই, পি.সি, জে. পি, ডি.এল. (১১ ই জুন ১৮৭৬ - ৬ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬১), স্টাইলড লর্ড ডানডাস হিসেবে ১৮৯২ এবং আর্ল অব রোনাল্ডসে হিসেবে ১৮৯২ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত খ্যাত ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টি রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ভারত বিশেষজ্ঞ ছিলেন এবং ১৯৩০ সালে ভারত-এর রাজ্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

মহামান্য
জেটল্যান্ড মার্কাস
ভারত বিষয়ক সচিব
কাজের মেয়াদ
৭ই জুন ১৯৩৫ – ২৮শে মে ১৯৩৭
সার্বভৌম শাসক৫ম জর্জ
৮ম এডউযার্ড
৬ষ্ঠ জর্জ
প্রধানমন্ত্রীস্টেনলি বেলডউইন
পূর্বসূরীস্যার স্যামুয়েল হোয়ারে, ১ম ভাইকাউন্ট টেম্পল উড
উত্তরসূরীভারত ও বার্মা রাজ্যের সেক্রেটারী
ভারত ও বার্মা রাজ্যের সেক্রেটারী
কাজের মেয়াদ
২৮শে মে ১৯৩৭ – ১৩ই মে ১৯৪০
সার্বভৌম শাসক৬ষ্ঠ জর্জ
প্রধানমন্ত্রীনেভিল চেম্বারলিন
উত্তরসূরীলিও এমিরি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১১ই জুন ১৮৭৬
মৃত্যু৬ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬১
জাতীয়তাব্রিটিশ
রাজনৈতিক দলকনজারভেটিভ পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গীসিসিলি আর্কডেইল (১৮৮৬-১৯৭৩)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজ

পটভূমি ও শিক্ষা সম্পাদনা

জেটল্যান্ড লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন,[১] তার পিতার নাম লরেন্স দুনদাস তিনি জেটল্যান্ড এর ১ম মার্কাস ছিলেন এবং মাতা লেডি লিলিয়ান ছিলেন রিচার্ড লুমলে, ৯ম আর্ল অব স্কারব্রুগের কন্যা।[২] তিনি হেররু স্কুল ও কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে পড়াশুনা করেন।[৩] কেমব্রিজে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিট ক্লাবের সদস্য ছিলেন।[৪]

রাজনৈতিক কর্মজীবন সম্পাদনা

জেটল্যান্ড, হর্নসে সংসদে ১৯০৭ সালে আসীন হন এবং তিনি তার আসনটি ১৯১৬ সাল পর্যন্ত অলঙ্কৃত রেখেছিলেন। তার কর্মজীবনের বেশীরভাগ অবদানই ছিল ব্রিটিশ-ভারত কেন্দ্রিক। সেপ্টেম্বর ১৯১২ সালে তিনি (লর্ড ইলিংটন, হার্বার্ট ফিশার, জনাব বিচারপতি আব্দুর রহিম, এবং অন্যদের সঙ্গে) ভারতের পাবলিক সার্ভিসেস রয়েল কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (১৯১২ থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত)।[৫] তিনি ১৯১৭ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত বাংলার গভর্নর ছিলেন এবং ১৯৩৭ থেকে ১০৪০ সাল পর্যন্ত ভারতের সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। কনজারভেটিভ পার্টির একজন সদস্য হয়েও, তার বিশ্বাস ছিল যে ভারতীয়রা দেশের সরকারের ক্রমবর্ধমান দায়িত্ব বৃদ্ধিতে চুরান্ত ভাবে (কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিক স্বায়ত্ত শাসিত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশের ন্যায়) আধিপত্য মেনে নেবে ।

জেটল্যান্ড, দীর্ঘায়িত আলোচনার মাধমে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অবতারণা করেন যা সরকারকে 'ইণ্ডিয়া অ্যাক্ট ১৯৩৫' এর দিকে ধাবিত করেছিল, যার মাধ্যমে, উইনস্টন চার্চিলের কঠোর বিরোধিতা শুরু হয়েছিল এবং "দৃঢ়ভাবে" সেই আদর্শের বাস্তবায়নে ভারতের উপর সরাসরি ব্রিটিশ শাসনের সাম্রাজ্যবাদ আধিপত্য বিস্তৃত হয়েছিল। তিনি রাজ্য সচিব হিসাবে প্রেরিত হয়েছিলেন যাতে ভারত তাদের মতাদর্শ বাস্তবায়ন করা যায়, যদিও দুই ভাইসরয় লর্ডস উইলিংডন এবং লিনলিথগো এর সঙ্গে তিনি দায়িত্ব পালন করেন, তবু তারা তার চেয়ে কম আদর্শবাদী ছিলেন। বিষয়টি লর্ডস উইলিংডন এবং লিংলিথগাও সত্য প্রমাণ করেন যখন কংগ্রেস ১৯৩৭ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে বিজয় অর্জন করে, যা জেটল্যান্ডের জন্য বড় আতঙ্কের বিষয় ছিল।

রাজ্য সচিব হিসাবে জেটল্যান্ড - এবং 'অ্যাক্ট ১৯৩৫' দ্বারা গণতন্ত্রের যে উদাহরণ উপস্থাপিত হয়েছে তা উইনস্টন চার্চিলের প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে গেল, ১৯৪০ সালেঃ জেটল্যান্ড তার পদত্যাগ এ ভাবে দেন যে, তার ও চার্চিলের ভারত সংক্রান্ত ধারণায় অনেক পার্থক্য ছিল -  "I could only end by becoming an embarrassment to him."

জেটল্যান্ড, জিনি ইউ. কে. এবং জার্মানি মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপনকারী হিসাবে পরিচিত ছিলেন, তার ই ফলশ্রুতিতে তিনি ১৯৩০ সালে অ্যাংলো-জার্মান ফেলোশিপ সঙ্গে যুক্ত হন।[৬]

জেটল্যান্ড একজন লেখক ছিলেন: ( রব বাটলার, যে ভারত অফিস তার অধীনে পরিচালিত হত, তার জিজ্ঞাসা ও উত্তর সংবলিত রেকর্ড, কীভাবে সে তার প্রধানের - ভারতের ভবিষ্যৎ বিষয়ে চিন্তা ভাবনাকে - বুঝতে পারবে ) : "Read my books!"

জেটল্যান্ড ১৯২২ সালে প্রিভি কাউন্সিলের শপথ গ্রহণ করেন[৭] এবং ১৯৪২ সালে তাকে গাটার অব নাইট উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনি ১৯৩৭ সালে ৬ষ্ঠ জর্জ রাজ্যাভিষেকে 'Sword of State' সম্মাননা লাভ করেন[৮] এবং ১৯৪৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত ইয়র্কশায়ারের নর্থ রিডিং-এর লর্ড লেফটেন্যান্ট ছিলেন।[৯]

পরিবার সম্পাদনা

লর্ড জেটল্যান্ড ১৯০৭ সালে মারভিন হেনরি আর্কডেইল কন্যা সিসিলির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারা এক ছেলে ও দুই মেয়ে লাভ করেন। তারা বার্কশায়ারের চিভিলের স্নেলসমোরে বাস করতেন। জেটল্যান্ড ১৯৬১ সালে ৮৪ বসর বয়সে মারা জান। তার ছেলে লরেন্স ডানডাসজেটল্যান্ড এর ৩য় মার্কাস হিসাবে স্থলাভিষিক্ত হন। জেটল্যান্ডের পত্নী ১৯৭৩ সালে র জানুয়ারীতে মারা যান।[২]

প্রকাশনা সম্পাদনা

  • The heart of Âryâvarta; a study of the psychology of Indian unrest. Constable, London, 1925
  • Lands of the Thunderbolt: Sikhim, Chumbi & Bhutan. Houghton Mifflin Company, Boston, 1923

টীকা সম্পাদনা

  1. Woods, Philip (জানুয়ারি ২০১১)। "Dundas, Lawrence John Lumley, second marquess of Zetland (1876–1961)"। Oxford Dictionary of National Biography। Oxford University Press। ডিওআই:10.1093/ref:odnb/32932 
  2. Lundy, Darryl। "thepeerage.com Sir Lawrence John Lumley Dundas, 2nd Marquess of Zetland"। The Peerage]। 
  3. "Dundas, Lawrence John Lumley, Earl of Ronaldshay (DNDS894LJ)"A Cambridge Alumni Databaseকেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় 
  4. Fletcher, Walter Morley (২০১১) [1935]। The University Pitt Club: 1835-1935 (First Paperback সংস্করণ)। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 92। আইএসবিএন 978-1-107-60006-5 
  5. London Gazette, Issue 28642 of 6 September 1912, p. 6631 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে
  6. Richard Griffiths, Fellow Travellers on the Right, Oxford University Press, 1983, p. 220
  7. "নং. 32677"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়): 3135। ২১ এপ্রিল ১৯২২। 
  8. "নং. 34453"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়): 7051। ১০ নভেম্বর ১৯৩৭। 
  9. "নং. 36965"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়): 1210। ২ মার্চ ১৯৪৫। 

তথ্যসূত্র সম্পাদনা