লক্ষ্মীপ্রসাদ দেবকোটা

নেপালি কবি

লক্ষ্মীপ্রসাদ দেবকোটা (নেপালি: लक्ष्मीप्रसाद देवकोटा, ১২ নভেম্বর ১৯০৯ - ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯, উচ্চারণ: লক্স্মী প্রসাদ দেবকোটা) একজন নেপালি কবি, নাট্যকার এবং ঔপন্যাসিক ছিলেন। নেপালী সাহিত্যে তিনি মহা কবি (আক্ষরিক অর্থে: महाकवि) এবং সোনালি হৃদয়ের কবি হিসাবে পরিচিত।[১] দেবকোটা নেপাল ও নেপালি ভাষাতে সর্বশ্রেষ্ঠ কবি হিসাবেও পরিচিত।[২] মুনা মদন, সুলোচনা, কুঞ্জিনি, এবং শকুন্তলা তার জনপ্রিয় কয়েকটি গ্রন্থ।[৩]

মহাকবি
লক্ষ্মীপ্রসাদ দেবকোটা
लक्ष्मीप्रसाद देवकोटा
নেপালি কবি
লক্ষ্মীপ্রসাদ দেবকোটা
শিক্ষা এবং সৎ শাসন মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৬ জুলাই ১৯৫৭ – ১৫ মে ১৯৫৮
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১২ নভেম্বর ১৯০৯ (বি সং ১৯৬৬ কার্তিক ২৭)
ধোবিধারা, কাঠমাডৌঁ, নেপাল
মৃত্যু১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯ (বয়স ৫০ বছর)
কাঠমান্ডু, নেপাল
জাতীয়তা   নেপাল
দাম্পত্য সঙ্গীমনদেবী চালিসে
সন্তান৫ কন্যা এবং ৪ ছেলে
পেশাকবি নাট্যকার এবং পণ্ডিত

জীবনী সম্পাদনা

দেবকোটার জন্ম ১২ নভেম্বর ১৯০৯ (১৯৬৬ কার্তিক ২৭ বিএস) লক্ষ্মী পুজার রাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা তীল মাধব দেবকোটা এবং মাতা অমর রাজ্য লক্ষ্মী দেবী। তিনি কাঠমান্ডুর ঠাটুনাটিতে (বর্তমানে ধোবীধারা) জন্মগ্রহণ করেন।[৪][৫] তার পিতা টিল মাধব সংস্কৃতে পণ্ডিত ছিলেন। সুতরাং, তিনি তার বাবার জিম্মাদারির অধীনে তার মৌলিক শিক্ষা অর্জন করেন। তিনি কাঠমান্ডুর দরবার উচ্চ বিদ্যালয়ে তার শিক্ষা শুরু করেন, যেখানে তিনি সংস্কৃত ব্যাকরণ এবং ইংরেজি উভয়ই অধ্যয়ন করেছিলেন।[৬] ১৭ বছর বয়সে পাটনা থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা শেষ করার পর, তিনি ত্রি-চন্দ্র কলেজথেকে আইনবিদ্যায় স্নাতকসহ এবং পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসাবে কলাবিদ্যায় স্নাতক হন। পরিবারের আর্থিক অবস্থার কারণে তার স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার ইচ্ছা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।[২]

আইনজীবী হিসেবে স্নাতক হওয়ার এক দশক পরে, তিনি নেপাল ভাষানুবাদ পরিষদে (প্রকাশনা সেন্সর বোর্ড) কাজ শুরু করেন, যেখানে তিনি বিখ্যাত নাট্যকার বলকৃষ্ণ সামার সাথে দেখা করেন। একই সঙ্গে তিনি ত্রি-চন্দ্র কলেজ ও পদ্ম কন্যা কলেজে প্রভাষক হিসেবেও কাজ করেছেন।[৬]

পরিবার সম্পাদনা

দেবকোটার ছেলে পদ্ম দেবকোটাও একজন কবি ও লেখক এবং তিনি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে বহু বছর কাজ করেছেন।[৭]

স্বাস্থ্য সম্পাদনা

১৯৩০ এর দশকের শেষের দিকে, দেবকোটা স্নায়বিক বৈকল্যে ভুগছিলেন, সম্ভবত তার বাবা-মা এবং তার দুই মাস বয়সী কন্যার মৃত্যুর কারণে। অবশেষে, ১৯৩৯ সালে, তাকে পাঁচ মাসের জন্য ভারতের রাঁচির মানসিক আশ্রয়ে ভর্তি করা হয়।[৮] তার জীবনের পরবর্তী সময়ে আর্থিক ঋণ এবং তার কন্যাদের বিবাহ এবং যৌতুকের অর্থায়নে অক্ষম হওয়ার কারণে জীবনে যন্ত্রণা বাড়ে। তিনি একবার তার স্ত্রীকে বলেছিলেন, "আজ রাতে আসুন আমরা সন্তানদেরকে সমাজ ও যুবকের পরিচর্যায় ফেলে যাই এবং শোবার সময় এই পৃথিবী ত্যাগ করি, হয় পটাশিয়াম সায়ানাইড বা মরফিন বা এই জাতীয় কিছু খেয়ে।"[৯]

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. गिरी, अमर (২০১৯-১০-৩০)। "देवकोटा र मानवता: कुन मन्दिरमा जान्छौ यात्री ?"Gorkhapatra (নেপালী ভাষায়)। ২০১৯-১১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৭ 
  2. Lamsal, Yuba Nath (২০১৩-১২-০৬)। "Poet The Great: Laxmi Prasad Devkota"Gorkhapatra। ২০১৮-০৪-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-০৬ 
  3. Hutt, Michael (২০১৮-০৩-০৭)। "A voice from the past speaking to the present" (ইংরেজি ভাষায়)। Kathmandu: The Record Nepal। ২০১৯-০২-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-২৪ 
  4. पराजुली, गोपाल (২০২২-০৭-২৭)। "महाकवि लक्ष्मीप्रसाद देवकोटा"Gorkhapatra (নেপালী ভাষায়)। ২০১৩-১২-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৭Being born on the auspicious day of Laxmi pooja (the goddess of wealth), he was regarded as the gift of goddess Laxmi, but in contradiction to it, he became a gift of Saraswati (goddess of knowledge and education). 
  5. Sharma, Kumar (২০১৪-১০-২৩)। "Mahakavi Devkota: The legend lives on"The Kathmandu Post (English ভাষায়)। ২০২২-০৭-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৭ 
  6. Hutt 1991, পৃ. 40।
  7. "A Concocted Emotion Is not Poetry: Padma Devkota"The Gorkha Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০২-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৫ 
  8. उप्रेती, अरुणा (২০২০-০৯-০৬)। "दुई किताब : देवकोटाको जीवनशैली, सिकाइ र सहयोग"Online Khabar (নেপালী ভাষায়)। ২০২০-০৯-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৭ 
  9. Pandey 1959, পৃ. 30।