র্ঙ্গোগ-লো-ত্সা-বা-ব্লো-ল্দান-শেস-রাব

র্ঙ্গোগ-লো-ত্সা-বা-ব্লো-ল্দান-শেস-রাব (তিব্বতি: རྔོག་ལོ་ཙཱ་བ་བློ་ལྡན་ཤེས་རབওয়াইলি: rngog lo ts'a ba blo ldan shes rab) (১০৫৯-১১০৯) তিব্বতের সবচেয়ে বিখ্যাত অনুবাদকদের মধ্যে অন্যতম এবং কা-ছেন-ব্চু (ওয়াইলি: ka chen bcu) বা তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের দশ স্তম্ভের মধ্যে একজন ছিলেন।

র্ঙ্গোগ-লো-ত্সা-বা-ব্লো-ল্দান-শেস-রাব

জন্ম ও শিক্ষা সম্পাদনা

র্ঙ্গোগ-লো-ত্সা-বা-ব্লো-ল্দান-শেস-রাব তিব্বতের ল্হোকা অঞ্চলে অবস্থিত য়ার-'ব্রোগ হ্রদের তীরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল র্ঙ্গোক-ছোস-স্ক্যাব্স (ওয়াইলি: rngog lo ts'a ba blo ldan shes rab) এবং মাতার নাম ছিল দ্পাল-মো (ওয়াইলি: dpal mo)। র্ঙ্গোগ-লো-ত্সা-বা-ব্লো-ল্দান-শেস-রাবের প্রথম সতেরো বছর অতীশ দীপঙ্করের অন্যতম প্রধান শিষ্য র্ঙ্গোক-লো-ত্সা-বা-লেগ্স-পা'ই-শেস-রাবের নিকট শিক্ষালাভ করেন। ১০৭৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি তাকে দীক্ষা দেন।[১]

ভারত যাত্রা সম্পাদনা

১০৭৬ খ্রিষ্টাব্দে গুজ রাজ্যে অনুষ্ঠিত মে-'ব্রুগ-ছোস-'খোর (ওয়াইলি: me 'brug chos 'khor) নামক বিখ্যাত বৌদ্ধ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। এই সমাবেশে সংস্কৃত থেকে বৌদ্ধগ্রন্থগুলিকে তিব্বতী ভাষায় নিখুঁত অনুবাদকর্মের ওপর জোর দেওয়া হয় এবং ঐ রাজ্যের যুবসম্প্রদায়দের ভারতে ভাষাশিক্ষার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে ও রাজকীয় অর্থে তিনি কাশ্মীর যাত্রা করেন। সেখানে তিনি অনুপমা নগরে (যা অধুনা শ্রীনগর নামে পরিচিত) ভব্যরাজ ও পরহিতভদ্র নামক বিখ্যাত ভারতীয় পন্ডিতদের নিকট শিক্ষালাভ করেন।[১] এই সময় তিনি রত্নবজ্র[২] ও সজ্জন[৩]: নামক বৌদ্ধ পন্ডিতদের সঙ্গে রত্নগোত্রবিভাগ গ্রন্থের মূল শ্লোক ও টীকাভাষ্য যথাক্রমে থেগ-পা-ছেন-পো-র্গ্যুদ-ব্লা-মা'ই-ব্স্তান-ব্চোস (ওয়াইলি: Theg-pa-chen-po rgyud-bla ma'i bstan-bcos) এবং এর টীকা ভাষ্য গ্রন্থটি থেগ-পা-ছেন-পো-র্গ্যুদ-ব্লা-মা'ই-ব্স্তান-ব্চোস-র্নাম-পার-ব্সাদ-পা (ওয়াইলি: Theg-pa-chen-po rgyud-bla ma'i bstan-bcos rnam-par-bsad-pa) নামে অনুবাদ করেন।[৪]

পরবর্তী জীবন সম্পাদনা

তিনি তিব্বত ফিরে এসে কয়েকজন ভারতীয় বৌদ্ধ পন্ডিতকে তার সঙ্গে অনুবাদকর্মে যোগদান করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তাদের সহায়তায় তিনি সারা জীবনে এক লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজারেরও বেশি শ্লোকের অনুবাদ করেন। এছাড়াও তিনি প্রায় বাইশ হাজারেরও বেশি ছাত্রকে দর্শন ও তর্কবিদ্যা সম্বন্ধে শিক্ষাদান করেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Martin, Dan (আগস্ট ২০০৮)। "Ngok Lotsāwa Loden Sherab"The Treasury of Lives: Biographies of Himalayan Religious Masters। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-০১ 
  2. Sadhukhan, Sanit Kumar (1994). 'A Short History of Buddhist Logic in Tibet'. Bulletin of Tibetology, p.12.
  3. Takasaki, Jikido (1966). A Study on the Ratnagotravibhāga (Uttaratantra) Being a Treatise on the Tathāgatagarbha Theory of Mahāyāna Buddhism (Rome Oriental Series 33). Rome: Istituto Italiano per il Medio ed Estremo Oriente
  4. THEG PA CHEN PO RGYUD BLA MA'I BSTAN BCOS BZHUGS SO[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

আরো পড়ুন সম্পাদনা

Ralf Kramer (২০০৭), The Great Tibetan Translator: Life and Works of rNgog Blo ldan Shes rab (1059-1109), München: Indus Verlag link)

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা