রে ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন জীবনীধর্মী চলচ্চিত্র। রিদম অ্যান্ড ব্লুজ ব্যান্ডের সংগীতবাদক রে চার্লসের জীবনের ত্রিশ বছর সময়কাল এখানে বর্ণিত হয়েছে। এটি একটি স্বাধীনভাবে প্রযোজিত চলচ্চিত্র। টেইলর হ্যাকফোর্ড ছবিটি পরিচালনা ও সহ-প্রযোজনা করেছেন। হ্যাকফোর্ড ও নিজের রচিত একটি লেখা অবলম্বনে জেমস এল.হোয়াইট এর চিত্রনাট্য রচনা করেন। জেমি ফক্স এ ছবিতে রে চরিত্রে রূপদান করেছেন। ছবিতে আরো অভিনয় করেছেন কেরি ওয়াশিংটন, ক্লিফটন পাওয়েল, হ্যারি লেনিক্স, টেরেন্স ড্যাশন হাওয়ার্ড , লরেঞ্জ টেট, রিচার্ড শিফরেজিনা কিং। হ্যাকফোর্ডের পাশাপাশি স্টুয়ার্ট বেঞ্জামিন, হাওয়ার্ড বাল্ডউইন ও কারেন বাল্ডউইনও ছবির প্রযোজনার সাথে যুক্ত ছিলেন।

রে
Theatrical release poster
পরিচালকটেইলর হ্যাকফোর্ড
প্রযোজক
চিত্রনাট্যকারজেমস এল.হোয়াইট
কাহিনিকার
  • টেইলর হ্যাকফোর্ড
  • জেমস এল. হোয়াইট
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারক্রেইগ আর্মস্ট্রং
চিত্রগ্রাহকপাভেল এডেলম্যান
সম্পাদকপল হার্শ
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকইউনিভার্সাল পিকচার্স
মুক্তি
  • ২৯ অক্টোবর ২০০৪ (2004-10-29)
স্থিতিকাল১৫২ মিনিট
দেশযুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
নির্মাণব্যয়$৪০ মিলিয়ন[১]
আয়$১২৪ মিলিয়ন[১]

২০০৪ সালের ২৯ অক্টোবর ইউনিভার্সাল পিকচার্স ছবিটি মুক্তি দেয়। সমালোচকদের কাছ থেকে ছবিটি ইতিবাচক মূল্যায়ন লাভ করে। বাণিজ্যিকভাবেও এটি সফলতা লাভ করে। ৪০ মিলিয়ন ডলারের বাজেটে নির্মিত রে ১২৪.৭ মিলিয়ন ডলার আয় করে।

রে অনেকগুলো পুরস্কার ও মনোনয়ন পায়। ৭৭তম একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে এটি দুই বিভাগে মনোনীত হয়। জেমি ফক্স এ ছবিতে তার অভিনয়দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা পুরস্কার, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারক্রিটিকস চয়েস পুরস্কার লাভ করেন। তিনি দ্বিতীয় অভিনেতা হিসেবে একই চরিত্রে রূপদানের জন্য প্রধান পাঁচটি চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি গোল্ডেন গ্লোবের সংগীত/ব্যঙ্গচিত্র বিভাগে বিজয়ী হয়ে এই কৃতিত্ব অর্জনকারী প্রথম অভিনেতা।

চার্লস এ চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও ২০০৪ সালের জুনে যকৃতের রোগে মারা যান। [২]

কাহিনীসংক্ষেপ সম্পাদনা

১৯৪৮ সালের কথা। রে চার্লস রবিনসন একজন বর্গাচাষীর অন্ধ ছেলে। উত্তর ফ্লোরিডার একটি বাসে সে আরোহণ করে। রে বর্ণবাদী বাসচালককে বলে, ১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিনামূল্যে বাসে চড়ার সুযোগ লাভ করতে গিয়ে ওমাহা সৈকতে তার দৃষ্টিশক্তি হারায়। রে ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটল শহরে যায়। পিয়ানোবাদনে তার অসাধারণ দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সে দ্রুতই একটি নৈশক্লাব ব্যান্ডে যোগ দেয়। ক্লাবের মালিক দ্রুতই রে-র প্রতিভার অপব্যবহার করতে শুরু করে। প্রতারিত রে বিরক্ত হয়ে ব্যান্ড ছেড়ে চলে যায়। ১৯৫০ সালে রে একটি শ্বেতাঙ্গ গ্রাম্য ব্যান্ডে যোগদান করে। রে-র অন্ধত্ব লুকিয়ে রাখতে তারা তাকে রোদচশমা পরিধানে বাধ্য করে। তারা নানান জায়গায় ভ্রমণ করতে যায়। এসময়ই সে হেরোইনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। শৈশবের ভীতিপ্রদ মুহূর্তগুলোও তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Ray (2004)". Box Office Mojo. IMDb. Retrieved March 15, 2014.
  2. "Music legend Ray Charles dies at 73"Associated Press। অক্টোবর ১০, ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা