রুচিরা পেরেরা

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার

পানাগোদাগে ডন রুচিরা লক্ষ্মীরি পেরেরা (সিংহলি: රුචිර පෙරේරා; জন্ম: ৬ এপ্রিল, ১৯৭৭) কলম্বো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষার্ধ্ব থেকে ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

রুচিরা পেরেরা
රුචිර පෙරේරා
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামপানাগোদাগে ডন রুচিরা লক্ষ্মীরি পেরেরা
জন্ম (1977-04-06) ৬ এপ্রিল ১৯৭৭ (বয়স ৪৬)
কলম্বো, শ্রীলঙ্কা
উচ্চতা৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৭৪)
২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট৮ নভেম্বর ২০০২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯৮)
২৯ জানুয়ারি ১৯৯৯ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই২০ মে ২০০৭ বনাম পাকিস্তান
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ )
১৫ জানুয়ারি ২০০৬ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টি২০আই২৬ ডিসেম্বর ২০০৬ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই
ম্যাচ সংখ্যা ১৭
রানের সংখ্যা ৩৩
ব্যাটিং গড় ১১.০০ ২.৬৬ -
১০০/৫০ -/- -/- ০/০
সর্বোচ্চ রান ১১* ৪* ০*
বল করেছে ১,১৩০ ৭৯৮ ৪২
উইকেট ১৭ ১৭
বোলিং গড় ৩৮.৮৮ ৩৮.৮৮ -
ইনিংসে ৫ উইকেট - - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - - -
সেরা বোলিং ৩/৪০ ৩/২৩ -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ২/- ০/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ জুন ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বাসনাহিরা সাউথ, ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব, কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব, সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলেছেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন রুচিরা পেরেরা

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

কোটের আনন্দ শাস্ত্রলয়ে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রুচিরা পেরেরা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের বিপরীতে সুইং করানোয় দক্ষ ছিলেন। দলকে উজ্জ্বীবিত রাখতে তার জুড়ি মেলা ভার ছিল। বিশ্রামকক্ষে বেশ আমুদে পরিবেশ সৃষ্টি করতেন ও বল হাতে নিয়ে তিনি সমীহের পাত্র ছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটটিমাত্র টেস্ট, সতেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিক ও দুইটি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন রুচিরা পেরেরা। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯ তারিখে কলম্বোয় সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৮ নভেম্বর, ২০০২ তারিখে জোহেন্সবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

সজীব ও প্রাণবন্তঃ বোলার হিসেবে ২০০২ সালের মাঝামাঝি সময়ে অস্ট্রেলীয় বোলিং কোচ ড্যারিল ফস্টার ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেকানিক্স বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে তার বোলিংয়ের ধারা পরিবর্তিত হয়। তাদের সহযোগিতায় কব্জির মোচড়ে উন্নত পর্যায়ে বোলিং ভঙ্গীমা প্রদর্শনে সক্ষমতা দেখান। এরফলে কনুইয়ের সমস্যা থেকে দূরে থেকে শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষের সন্তুষ্টি লাভ করেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বেশ ভালোমানের বোলিংশৈলী প্রদর্শন করেন। তবে, এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের লীগে খেলোয়াড়ী জীবন বেছে নেন। একবার ইংরেজ ঘরোয়া লীগে বোলিংয়ে ছন্দ ফিরিয়ে আনেন।

২০০৬ সালে নিউজিল্যান্ড গমনার্থে তাকে শ্রীলঙ্কা দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ঐ সিরিজে কেবল একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়ায় দলের সাথে যান। চামিন্দা ভাসের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নামেন। তবে, ছোট ধরনের আঘাতের কারণে কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন তিনি।

একই সালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের প্রথম খেলায় অংশগ্রহণ করার গৌরব অর্জন করেন। এ পর্যায়ে তার টি২০আই ক্যাপ ছিল

পুরস্কার প্রাপ্তি সম্পাদনা

ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ
ক্রমিক প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ অবদান ফলাফল
বাংলাদেশ শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম, বগুড়া ২৩ নভেম্বর, ২০১৬ ৭-১-২৩-৩; ডিএনবি   শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে বিজয়ী[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা