রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ

হিন্দু জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছা-সেবক সংগঠন

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (সংক্ষেপে: আরএসএস)[১][২] ভারতের একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী,[৩] স্বেচ্ছা-সেবক আধাসামরিক[৪] সংগঠন।[৫] আরএসএস সংঘ পরিবার নামে হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর একটি অংশ।[৪] ১৯২৫ সালে নাগপুর-বাসী ডাক্তার কে. বি. হেডগেওয়ার একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রূপে আরএসএস প্রতিষ্ঠা করেন।[৬] উদ্দেশ্য ছিল ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা ও মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরোধিতা।[৭] আরএসএস-এর বর্তমান সরসঙ্ঘচালক হলেন মোহন ভাগবত[৮]

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ
राष्ट्रीय स्वयंसेवक संघ
আরএসএসের অফিসিয়াল লোগো
ভোপালে পথ সঞ্চালন
সংক্ষেপেআরএসএস
মূলনীতি"ভারত মাতা কি জয়"
গঠিত২৭ সেপ্টেম্বর ১৯২৫ (৯৮ বছর আগে) (1925-09-27)
প্রতিষ্ঠাতাকেশব বলিরাম হেডগেওয়ার
আইনি অবস্থাসক্রিয়
সদরদপ্তরনাগপুর, মহারাষ্ট্র, ভারত
সদস্যপদ
৫০-৬০ লক্ষ
৫১,৩৫৫টি শাখা
দাপ্তরিক ভাষা
হিন্দি
সরসঙ্ঘচালক (প্রধান)
মোহন ভাগবত
সরকারয়াওয়াহ (সাধারণ সম্পাদক)
দত্তাত্রেয় হোসাবলে
অনুমোদনসংঘ পরিবার
ওয়েবসাইটrss.org

আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকেরা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন-সহ[৬] বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে অংশ নিয়ে ভারতের একটি অগ্রণী হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনে পরিণত হয়।[৭] ১৯৯০-এর দশকের মধ্যে এই সংগঠন অসংখ্য স্কুল, দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও মতাদর্শ প্রচারের উদ্দেশ্যে ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে।[৭] আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজও করে থাকে।[৯] আরএসএস এক লক্ষেরও বেশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামোন্নয়ন, আদিবাসী উন্নয়ন, গ্রামীণ স্বনির্ভরতা, কৃষি কর্মসূচি পরিচালনা করে এবং কুষ্ঠ ও দুঃস্থ ছাত্রদের দেখাশোনা করে।[১০][১১][১২]

কোনো কোনো সমালোচক আরএসএস-কে হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন বলে থাকেন।[১৩][১৪][১৫][১৬] ব্রিটিশ আমলে এই সংগঠন নিষিদ্ধ ছিল।[৭] স্বাধীন ভারতে ১৯৪৮ সালে নাথুরাম গডসে নামে এক প্রাক্তন আরএসএস-সদস্য[১৭] মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করলে ভারত সরকার এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে দেয়।[৭][১৮][১৯] জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-৭৮) এবং ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরও এই সংগঠন নিষিদ্ধ হয়।

ইতিহাস সম্পাদনা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পাদনা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে আরএসএসের নেতারা প্রকাশ্যে আডলফ হিটলারের প্রশংসা করতেন। মাধব সদাশিব গোলবলকার যিনি হেডগেওয়ারের পরে আরএসএসের পরবর্তী সর্বোচ্চ প্রধান হয়েছিলেন, তিনি হিটলারের বর্ণ-বিশুদ্ধতা মতবাদে অনুপ্রাণীত ছিলেন। কিন্তু কিছু আরএসএস নেতারা ইসরায়েলপন্থীও ছিলেন, বস্তুত সাভারকর ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল গঠনের সময় পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন। তবে গোলবলকার "ধর্ম, সংস্কৃতি ও ভাষা" সমুন্নত রাখার জন্য ইহুদিদের ভূয়সী প্রশংসাও করেছিলেন।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন সম্পাদনা

আরএসএস নিজেদেরকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে পরিচয় দিয়ে এসেছে, কিন্তু তারা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে নিজেদেরকে বরাবরই দূরে সরিয়ে রেখেছিল। উপনিবেশী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে তারা কোন ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে নি। গান্ধি মুসলিমদের সাথে মিলে গান্ধী কাজ করতে চাইলে তারা সেটাকেও প্রত্যাখ্যান করে।[২০][২১]

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠার পরে কে. বি. হেডগেওয়ার আরএসএসকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ঐতিহ্যের সূত্রপাত ঘটান। ব্রিটিশবিরোধী বলে পরিগণিত হতে পারে এরকম যেকোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকেই আরএসএস সযত্নে পরিহার করে চলত। আরএসএস এর জীবনীকার সি. পি. ভিশিকার এর কথায়, হেডগেওয়ার সরকার নিয়ে সরাসরি যেকোন মন্তব্য করা এড়িয়ে গিয়ে কেবল হিন্দু সংগঠন নিয়েই কথা বলতেন।[২২] ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৩০ সালের ২৬শে জানুয়ারিতে "স্বাধীনতা দিবস" ঘোষণা করেছিল। কেবল সেই বছরেই আরএসএস এই দিবস উদ্‌যাপন করেছিল, কিন্তু এর পরের বছরগুলোতে তারা এই দিবস উদ্‌যাপন থেকে বিরত থাকে। আরএসএস ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের তেরঙ্গাকেও পরিহার করেছিল। ১৯৩০ সালের এপ্রিলে গান্ধীর ডাকা সত্যাগ্রহ আন্দোলনে হেডগেওয়ার ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি আরএসএসকে এই আন্দোলনে জড়ান নি। তিনি সর্বত্র প্রচার করে দিয়েছিলেন যে, সংঘ সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সেখানে অংশগ্রহণ করা নিষেধ ছিল না। ১৯৩৪ সালে, কংগ্রেস রিজোল্যুশন পাশ করে। এটা অনুসারে কংগ্রেসের কোন সদস্যের উপর আরএসএস, হিন্দু মহাসভা অথবা মুসলিম লীগে যোগদান করায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।[২৩]

১৯৪০ সালে আরএসএস এর নেতা হন এম. এস. গোলবলকার। তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে আরএসএসকে আরও বেশি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তার দৃষ্টিভঙ্গিতে, আরএসএস ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নয়, বরং "ধর্ম ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করার মাধ্যমে" স্বাধীনতা অর্জন করার প্রতিজ্ঞা করেছে। এমনকি গোলবলকার ব্রিটিশবিরোধী জাতীয়তাবাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন, এবং একে "প্রতিক্রিয়াশীল দৃষ্টিভঙ্গি" বলে মত প্রকাশ করেছিলেন। তার মতে এই "প্রতিক্রিয়াশীল দৃষ্টিভঙ্গি স্বাধীনতা আন্দোলনের সমগ্র কার্যধারায় ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে। বিশ্বাস করা হয় যে, গোলবলকার ব্রিটিশদেরকে আরএসএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবার কোন সুযোগ দিতে চাইতেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ব্রিটিশদের সকল কঠোর নীতিকে মেনে নেন। এমনকি সেসময় ব্রিটিশদের কথায় তিনি আরএসএস এর সামরিক বিভাগেরও পরিসমাপ্তি ঘটান। ব্রিটিশ সরকার বলেছিল, আরএসএস তাদের বিরুদ্ধে কোন নাগরিক অবাধ্যতাকে সমর্থন করে নি, আর তাই তাদের কোন রাজনৈতিক কার্যক্রমে দৃষ্টিপাত করার প্রয়োজন নেই। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগ এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করে নোট গ্রহণ করে যে, সংঘের অধিবেশনের বক্তাগণ তাদের সদস্যদেরকে প্ররোচিত করেছিলেন যাতে তারা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রতি নির্লিপ্ত থাকেন। আরএসএস যথাযথভাবে সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আজ্ঞা মেনে আসছিল, আর তাই সরকারের মত ছিল যে, আরএসএস ব্রিটিশ ভারতের কোন আইন ও বিধির জন্য ভীতিজনক নয়। বোম্বে সরকার একটি রিপোর্টে আরএসএসকে প্রশংসা করেছিল, কারণ তারা কর্তব্যপরায়ণের সাথে নিজেদেরকে আইনের মধ্যে রেখেছিল এবং কোন ধরনের ঝামেলায় (ভারত ছাড় আন্দোলন) সংযুক্ত হওয়া থেকে বিরত ছিল। এটাও রিপোর্ট করা হয় যে, আরএসএস কখনই আইনকে অমান্য করে নি, এবং এরা সবসময়ই আইন মেনে এসেছে। সংগঠনটি থেকে উপদেশীয় কমিউনিস্ট নেতাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়, তারা যেন ব্রিটিশ সরকারের কাছে আপত্তিকর বলে মনে হয় এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন, আর এভাবেই পরিণামে আরএসএস ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে নিশ্চিত করেছিল যে, "সরকারের বিধিমালার বিরুদ্ধে যাবার মত কোন উদ্দেশ্য সংগঠনটির নেই"।[২৪] এম. এস. গোলবলকার পরবর্তীতে জনসম্মুখে স্বীকার করে নেন যে, আরএসএস ভারত ছাড় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নি। গোলবলকার আরও বলেন যে, তাদের এরকম অবস্থানই সংঘকে একটি নিষ্ক্রীয় সংগঠন হিসেবে নেবার দিকে নিয়ে গিয়েছিল, বাস্তবে যাদের কথার কোন মূল্য ছিল না। আরএসএস ১৯৪৫ সালে হওয়া ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে হওয়া রাজকীয় ভারতীয় নৌবিদ্রোকে সমর্থন বা অংশগ্রহণ কিছুই করে নি।[২১]

যুদ্ধকালীন কার্যক্রম সম্পাদনা

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় আরএসএস সদস্যরা ভারতের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বেচ্ছা-সেবী হয়ে কাজ করেছিল এবং যুদ্ধকালীন সময়ে তারাই প্রথম রক্তদান কর্মসূচী পালন করেছিল।

বিশিষ্ট স্বয়ংসেবক সদস্যগণ সম্পাদনা

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. "Rashtriya Swayamsevak Sangh (RSS)"(Hindi: “National Volunteer Organization”) also called Rashtriya Seva Sang 
  2. Lutz, James M.; Lutz, Brenda J. (২০০৮)। Global Terrorism। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 303। আইএসবিএন 9780415772464। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১০ 
  3. Jeff Haynes (২ সেপ্টেম্বর ২০০৩)। Democracy and Political Change in the Third World। Routledge। পৃষ্ঠা 168–। আইএসবিএন 978-1-134-54184-3। ২৩ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  4. McLeod, John (২০০২)। The history of India। Greenwood Publishing Group। পৃষ্ঠা 209–। আইএসবিএন 9780313314599। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১০ 
  5. McLeod, John (২০০২)। The history of India। Greenwood Publishing Group। পৃষ্ঠা 209–। আইএসবিএন 978-0-313-31459-9। ২৪ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১০ 
  6. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Andersen 1987 111 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  7. Atkins, Stephen E. (২০০৪)। Encyclopedia of modern worldwide extremists and extremist groups। Greenwood Publishing Group। পৃষ্ঠা 264। আইএসবিএন 9780313324857। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১০ 
  8. Jain, Rupam; Chaturvedi, Arpan (১১ জানুয়ারি ২০২৩)। "Leader of influential Hindu group backs LGBT rights in India"Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৩ 
  9. Outlook, Feb 12, 2001
  10. "Who says RSS is a dying institution?"। Rediff.com। ২০০৯-০৭-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-২৬ 
  11. "RSS service projects multiply ten-fold"। Times of India। ২০০৯-১১-০৪। 
  12. "Ekal Launches Sustainable Farming Program in Rural India | Indo American News"। ৪ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১১ 
  13. Bhatt, Chetan (২০০১)। Hindu Nationalism: Origins, Ideologies and Modern Myths। New York: Berg Publishers। পৃষ্ঠা 113আইএসবিএন 1859733484 
  14. "South Asia | Analysis: RSS aims for a Hindu nation"। BBC News। ২০০৩-০৩-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-২৬ 
  15. Jaffrelot, Christophe (১৯৯৮)। The Hindu Nationalist Movement in India। New York: Columbia University Press। পৃষ্ঠা 35আইএসবিএন 0-231-10334-4 
  16. Dossani, Rafiq (২০০৫)। Prospects for peace in South Asia। Stanford: Stanford University Press। পৃষ্ঠা 186। আইএসবিএন 0-8047-5085-8  অজানা প্যারামিটার |coauthor= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  17. Dr.'Krant'M.L.Verma Swadhinta Sangram Ke Krantikari Sahitya Ka Itihas (Part-3) p.766
  18. "RSS releases `proof' of its innocence"। Chennai, India: The Hindu। ২০০৪-০৮-১৮। ২০০৪-০৯-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-২৬ 
  19. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; IAR নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  20. Nussbaum, Martha Craven (২০০৮)। The Clash Within: Democracy, Religious Violence, and India's Future। Harvard University Press। পৃষ্ঠা 156। আইএসবিএন ISBN 978-0-674-03059-6 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য) 
  21. Bhatt, Chetan (২০০১)। Hindu Nationalism: Origins, Ideologies and Modern Myths। পৃষ্ঠা 115 
  22. Islam, Shamsul (২০০৬)। Religious Dimensions of Indian Nationalism: A Study of RSS। Media House। পৃষ্ঠা 188। আইএসবিএন ISBN 978-81-7495-236-3 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য) 
  23. Chitkara, M. G. (২০০৪)। Rashtriya Swayamsevak Sangh: National Upsurge। APH Publishing। পৃষ্ঠা 251–254। আইএসবিএন ISBN 8176484652 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য) 
  24. Gupta, Partha Sarathi (১৯৯৭)। Towards Freedom 1943-44,Part III। New Delhi: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 3058–9। আইএসবিএন ISBN 978-0195638684 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)