রাবিয়া বালা হাতুন
রাবিয়া বালা হাতুন (মৃত্যু জানুয়ারী ১৩২৪[২]) (জন্মের ব্যাপারে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয় ১২শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি জন্ম গ্রহন করেন) ছিলেন তৎকালীন যুগের বিখ্যাত ধর্মীয় নেতা ও পীরে কামেল শাইখ এদেবালি'র কনিষ্ঠ কন্যা ও উসমানীয় সুলতান প্রথম ওসমান গাজী'র প্রথম স্ত্রী। যদিও প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে ঐতিহাসিক বিভিন্ন মতপার্থক্য রয়েছে। তবে বালা হাতুনের ব্যাপারে জানা যায় যে, তিনি তৎকালীন সময়ের সেরা সুন্দরী,রুপসী ও মহীয়সী নারী ছিলেন। তিনি সর্বদা ওসমান গাজী'র সাথে সঙ্গবদ্ধ থাকতেন এবং ওসমান গাজী'র অনুপস্থিতিতে সর্বদা বসতিকে আগলে রাখতেন। তিনি সালতানাতে উসমানী'র জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে একবার মোঙ্গলদের ভয়াবহ আক্রমণের শিকার হন, যার দরুন তার জরায়ু কেটে যায়। যা সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য বিরাট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে তার ঘর আলোকিত করে দুনিয়ার বুকে আগমন করেন তার পুত্র সন্তান আলাউদ্দীন পাশা। যদিও এসব ব্যাপারে ঐতিহাসিকদের বিভিন্ন মতপার্থক্য রয়েছে। বলা হয়ে থাকে প্রথম ওরহান গাজী বালা হাতুনের-ই সন্তান ছিলো।
রাবিয়া বালা হাতুন | |
---|---|
জন্ম | রাবিয়া বালা হাতুন ১২শ শতক আনাতোলিয়া |
মৃত্যু | জানুয়ারি ১৩২৪ সোগুত, আনাতোলিয়া |
সমাধি | |
দাম্পত্য সঙ্গী | প্রথম উসমান |
বংশধর | আলাউদ্দীন পাশা |
পিতা | শেখ এদাবালি[১] |
ধর্ম | ইসলাম |
বালা হাতুনকে ওসমান গাজী বিয়ে করেন ১২৮০ সালে, যদি বালা হাতুন ওসমান গাজী'র প্রথম স্ত্রী হয়ে থাকেন। আর যদি দ্বিতীয় স্ত্রী হয়ে থাকেন তাহলে ওসমান গাজী তাকে বিয়ে করেন ১২৮৯ সালে। তবে ঐতিহাসিকদের নিকট গ্রহণযোগ্য মত হলো ওসমান গাজী ১২৮৯ সালে মালহুন হাতুনকে বিয়ে করেন। সেই সুবাদে এটাও বুঝা যায় যে বালা হাতুন ওসমান গাজী'র প্রথম স্ত্রী ছিলেন।[৩]
উসমানের সাথে বিয়ে সম্পাদনা
উসমান ও রাবিয়া বালা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল ১২৮০ সালে। বিয়ের সময় তাঁর প্রাপ্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত কেন্দ্রীয় সরকারের রেকর্ড থেকে জানা যায় যে, তিনি বেলিক জিলার কোজিয়াসে গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। যেখানে তাঁর পিতার দরগাহ অবস্থিত ছিল। শেখ এদাবালি ছিলেন উসমানীয় সম্রাজ্যের আওতাধীন এলাকাগুলোর একজন প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা।
মৃত্যু সম্পাদনা
রাবিয়া বালা হাতুন ১৩২৪ সালে ইন্তেকাল করেন। তাকে তার পিতা শেখ এদেবালির সাথে বিলেজিক নামক শহরে দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন সম্পাদনা
- Peirce, Leslie P., The Imperial Harem: Women and Sovereignty in the Ottoman Empire, Oxford University Press, 1993, আইএসবিএন ০-১৯-৫০৮৬৭৭-৫
- Bahadıroğlu, Yavuz, "Resimli Osmanlı Tarihi, Nesil Yayınları" (Ottoman History with Illustrations, Nesil Publications), 15th Ed., 2009, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৭৫-২৬৯-২৯৯-২
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ Sakaoğlu, Necdet (২০০৮)। Bu mülkün kadın sultanları: Vâlide sultanlar, hâtunlar, hasekiler, kadınefendiler, sultanefendiler। Oğlak Publications। পৃষ্ঠা 34। আইএসবিএন 978-9-753-29623-6।.
- ↑ "Turkey: The Imperial House of Osman"। 4dw.net। মে ২, ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-৩০।
- ↑ Akgündüz, Ahmed. (২০১১)। Ottoman history : misperceptions and truths। Öztürk, Said.। Rotterdam: IUR Press। আইএসবিএন 978-90-90-26108-9। ওসিএলসি 719415728।