রবীন্দ্রসদন (পূর্বনাম রবীন্দ্রস্মরণী) পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত একটি ঐতিহ্যবাহী সরকারি প্রেক্ষাগৃহ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এটি দক্ষিণ কলকাতার নন্দন-রবীন্দ্রসদন সাংস্কৃতিক চত্বরে অবস্থিত। সুবৃহৎ মঞ্চ, অবস্থানগত সুবিধা ও অন্যান্য কারণে রবীন্দ্রসদন বাংলা থিয়েটারের একটি অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠানস্থল। রবীন্দ্রসদনের মূল ভবনটির পাশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিশালাকার মূর্তি প্রতিষ্ঠিত। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির প্রধান কার্যালয়ও রবীন্দ্রসদনের পাশে অবস্থিত।

রবীন্দ্রসদন, কলকাতা।

ইতিহাস সম্পাদনা

 
১৯৭৯ সালে রবীন্দ্রসদনের একটি কনসার্টে মহীনের ঘোড়াগুলি

১৯৬১ সালে রবীন্দ্র-জন্মশতবর্ষ পালনের অঙ্গ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর বিধানচন্দ্র রায়। সেই বছর পঁচিশে বৈশাখ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু রবীন্দ্রস্মরণীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে ভবনটির নাম পরিবর্তন করে রবীন্দ্রসদন রাখা হয়। সদন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ৫ মে, ১৯৬১ এবং শেষ হয় ১৯৬৭ সালের অক্টোবরে।

বর্তমানে রবীন্দ্রসদন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন। ভবনটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব অবশ্য পালন করে পুর্ত বিভাগ। কলকাতার ব্যস্ততম প্রেক্ষাগৃহগুলির অন্যতম রবীন্দ্রসদনে বিভিন্ন প্রকার সরকারি ও বেসরকারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার ও সভা আয়োজিত হয়। মাসের প্রায় প্রতিদিনই সদনের প্রাতঃকালীন ও সান্ধ্য বিভাগদুটি বুক করা থাকে। প্রতিবছর পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলা সঙ্গীত মেলা রবীন্দ্রসদন ও রবীন্দ্রসদন পার্শ্বস্থ মুক্তমঞ্চে আয়োজিত হয়। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত প্রধান অনুষ্ঠানটি হয় রবীন্দ্রসদনে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সময় এই প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা প্রদর্শনীরও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিসংযোগ সম্পাদনা