মোহাম্মদ পনির হোসেন

পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী

মোহাম্মদ পনির হোসেন (জন্ম: ১০ মে ১৯৮৯) হলেন একজন বাংলাদেশী আলোকচিত্রী[১] ও সাংবাদিক। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিত্র ধারণের জন্য ২০১৮ সালে ফিচার ফটোগ্রাফির জন্য পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী রয়টার্সের সাতজন ফটো সাংবাদিকের মধ্যে পনির ছিলেন একজন।[২][৩][৪] পুলিৎজার কর্তৃপক্ষ সাতজন রয়টার্স সাংবাদিকের ষোলটি ছবি নির্বাচন করেছে এর মধ্যে পনিরের ধারণ করা ৩টি ছবি ছিলো। পুলিৎজার পুরস্কারের ইতিহাসে তিনি প্রথম বাংলাদেশী। [৫][৬][৭]

মোহাম্মদ পনির হোসাইন
জন্ম (1989-05-10) ১০ মে ১৯৮৯ (বয়স ৩৪)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
শিক্ষাবিবিএ
ভিজ্যুয়াল জার্নালিজম
মাতৃশিক্ষায়তনঢাকা সিটি কলেজ
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
অ্যাটিনিও ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাসাংবাদিক ও আলোকচিত্রী
নিয়োগকারীরয়টার্স
পরিচিতির কারণফটোগ্রাফির জন্য পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী আলোকচিত্রী সাংবাদিক
আদি নিবাসমুন্সীগঞ্জ জেলঅ, বাংলাদেশ
পিতা-মাতামো. জামাল উদ্দিন (পিতা)
আলিজা বেগম (মা)
পুরস্কারপুলিৎজার পুরস্কার

প্রাথমিক ও শিক্ষা জীবন সম্পাদনা

পনির ১৯৮৯ সালের ১০ মে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের গুয়াখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও আলিজা বেগমের ছেলে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয়। [৪] তিনি মুন্সীগঞ্জের বাসিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের খাজা আজমেরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৭ ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন । তিনি ২০১৫ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং বিভাগে বিবিএ অনার্স শেষ করেছেন। তিনি আলোকচিত্র সাংবাদিকতার জন্য উপবৃত্তিতে অ্যাটিনিও ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিজ্যুয়াল জার্নালিজমে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন। সেখানে তিনি ফটো জার্নালিজমের বিধি ও নীতিমালার জ্ঞান অর্জন করেন। [৪]

কর্মজীবন সম্পাদনা

২০১৬ সালের ১ জুলাই পোনির থমসন রয়টার্সের ফটো সাংবাদিক হিসাবে যোগদান করেন। এর আগে ২০১৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত জুমা প্রেসের পক্ষে কাজ করেছিলেন। পুলিৎজার পুরস্কারের ইতিহাসে তিনি প্রথম বাংলাদেশী [৫][৮]

পনির ২০১৬ সালে সনি ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফিতে বাংলাদেশের জাতীয় দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এটি তার প্রথম সাফল্য হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল। তিনি নুর ফটোতে একজন আলোকচিত্রী হিসেবে অংশ নেন। তিনি সংকটময় মুহুর্তে ছবি তোলার জন্য যুক্তরাজ্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। [৯][১০][১১]

যে আলোকচিত্রের জন্যে তিনি পুরস্কার অর্জন করেন সে সম্পর্কে তিনি বলেন,
“ছবিগুলো যখন তুলি তখন আমি আমার আবেগ নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলাম। কিন্তু হোটেলে ফিরে এডিট করতে গিয়ে ল্যাপটপে যখন ছবিগুলোকে দেখলাম তখন আর আমার পক্ষে আবেগ ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।
আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। মানুষের কষ্ট কতরকম এটা রোহিঙ্গা ইস্যু যদি কাভার না করতাম তাহলে সম্ভবত আমি বিষয়টা বুঝতাম না।”

—মোহাম্মদ পনির হোসেন [১২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Mohammad Ponir Hossain"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯ 
  2. "পনিরের হাতে পুলিৎজার Pulitzer in the hands of Ponir"Prothom Alo। ২০২০-০১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯ 
  3. "Rohingya child refugees being denied education: HRW report"Al Jazeera। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯ 
  4. "পনিরের পুলিৎজার বিজয়ের গল্প - Ponir Pulitzer Story"Jagonews24.com। ২৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২০ 
  5. "Reuters' Ponir Hossain discusses his Pulitzer Prize-winning photos"। ২০১৮-০৪-১৭। ২০২০-০১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯ 
  6. "Bangladeshi journalist Ponir Pulitzer won"Daily Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯ 
  7. Hossain, Mohammad Ponir। "Mohammad Ponir Hossain"The Wider Image (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯ 
  8. "MOHAMMAD PONIR HOSSAIN"@businessline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯ 
  9. "Bangladeshi photojournalist in Pulitzer winning photography team"New Age (Bangladesh) (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯ 
  10. "Bangladeshi photographer Ponir Hossain among Reuters' Pulitzer-winning team"Special Broadcasting Service (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯ 
  11. "Bangladeshi among Reuters' Pulitzer-winning team"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৪-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯ 
  12. "পুলিৎজার পুরস্কার জয়ীদের দলে প্রথম বাংলাদেশি"BBC News বাংলা। ২০১৮-০৪-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা