মেহেদি বলতে মেহেদি উদ্ভিদ (Lawsonia inermis) থেকে প্রস্তুতকৃত একটি রঞ্জক পদার্থকে বোঝায়।[১] এই রঞ্জকটিকে ত্বকে অস্থায়ী উল্কি আঁকার জন্য ব্যবহার করা হয়। মেহেদির রসের দাগ ত্বকের উপরে বেশ কিছু দিন টিকে থাকে, তারপরে এক থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পর্ণমোচন (exfoliation) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যায়।

বাংলাদেশের পুরানো ঢাকার এক বর্ষীয়ান ব্যক্তির মেহেদি-রঞ্জিত দাড়ি

প্রাচীনকালে মিশরে ত্বক, নখচুল রঞ্জিত করার জন্য মেহেদি ব্যবহৃত হত। এছাড়া রেশম, পশমচামড়া রঞ্জিত করতেও এটি ব্যবহৃত হত। ঐতিহাসিকভাবে পশ্চিম এশিয়া (যার মধ্যে আরব উপদ্বীপ অন্তর্ভুক্ত), উত্তর আফ্রিকা (কার্থেজ), পশ্চিম আফ্রিকা, মধ্য আফ্রিকা, আফ্রিকার শৃঙ্গভারতীয় উপমহাদেশে বহুযুগ ধরে মেহেদির ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া বয়স্ক লোকেরা কলপের পরিবর্তে মেহেদি দিয়ে সাদা বা পাকা চুল ও দাড়ি রঙ করতে পারেন।


বাংলাদেশে ব্যবহার সম্পাদনা

 
বিয়ের দিনে বাংলাদেশী মুসলমান বধুর হাতে মেহেদির সাজ

বাংলাদেশে মুসলমান বিবাহ অনুষ্ঠান, বাগদান অনুষ্ঠান, ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আজহা ও অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানে নারীরা হাতে মেহেদির অস্থায়ী উল্কি আঁকিয়ে থাকেন।[২] বর বধু উভয় পরিবারেই "মেহেদি সন্ধ্যা"-র আয়োজন করা হতে পারে। কখনও কখনও বধুবরণ অনুষ্ঠানে হিন্দু মেয়েরা পায়ে আলতার পরিবর্তে মেহেদি দিয়ে থাকে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Bailey, L.H.; Bailey, E.Z. (১৯৭৬)। Hortus Third: A concise dictionary of plants cultivated in the United States and Canada । New York: Macmillan। আইএসবিএন 978-0025054707 
  2. "The Bangladeshi Wedding Ceremony"Desiblitz (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৯