মুনড্রু মুদিচ্চু (তামিল: மூன்று முடிச்சு; 'অর্থ' তিনটি বাঁধন) হচ্ছে ১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি তামিল চলচ্চিত্র যেটা পরিচালনা করেন তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের খ্যাতনামা পরিচালক কৈলাস বলচন্দ। চলচ্চিত্রটিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের তিন কিংবদন্তি কামাল হাসান, রজনীকান্ত এবং শ্রীদেবী যদিও তখনকার চলচ্চিত্র জগতে তারা প্রায়ই অপরিচিতই ছিলেন। চলচ্চিত্রটিতে রজনীকান্ত একজন দুশ্চরিত্র খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন।

মুনড্রু মুদিচ্চু
পরিচালককৈলাস বলচন্দ
প্রযোজকআর ভেঙ্কটরমণ (আরএমএস ফিল্মস)
রচয়িতাকৈলাস বলচন্দ
কাহিনিকারকে. বিশ্বনাথ
শ্রেষ্ঠাংশেশ্রীদেবী
কামাল হাসান
রজনীকান্ত
এন বিশ্বনাথ
ওয়াই. বিজয়া
সুরকারএম এস বিশ্বনাথ
চিত্রগ্রাহকবি এস লোকনাথ
সম্পাদকএন আর কিট্টু
মুক্তি২২ অক্টোবর ১৯৭৬[১]
ভাষাতামিল

চলচ্চিত্রটির কাহিনী হচ্ছে এরকম যে, বালাজী নামের একটা ছেলে তার এক বন্ধু প্রসাদের সাথে মেসে থাকে, ঐ মেসেরই পাশের দালানে সেলভী নামের এক তরুণী তার বড় বোনের সাথে থাকে। বালাজীর সেলভীর সাথে পরিচয়, ভালো লাগা, বন্ধুত্ব এবং প্রেম হয়ে যায়; এটা প্রসাদের হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে একদিন বালাজী আর সেলভীকে নিয়ে নৌকা ভ্রমণে বের হয়, বালাজী হঠাৎ করে পানিতে পড়ে যায় আর প্রসাদ যে সাঁতার জানে কিন্তু ইচ্ছা করেই বালাজীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনা কারণ সে সেলভীর সাথে যৌন সম্পর্ক করতে চায় মনে মনে অনেক আগে থেকেই।

প্রসাদ সেলভীর প্রতি দয়ালু হয়ে যায় এবং সেলভী তার বাড়ীতে আসে এবং একটি দাসী হিসেবে জীবনযাপন করে। প্রসাদ তার বাবা এবং তার ছোট ভাইবোনদের সঙ্গে বসবাস করে। তার পিতা চান সেলভী যেন প্রসাদকে বিয়ে করে। সেলভী মনে মনে প্রসাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়, সেলভী প্রসাদের বাবাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রসাদের বাবার সাথে বিয়ে করার পর, সে প্রসাদের ওপর প্রতিশোধের জন্য তার 'মা' অবস্থা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং যখন ফিরে আসে তখন তাকে হকচকিয়ে দেয়।

চলচ্চিত্র তামিল ভাষায় লাইন দিয়ে শেষ হয়, যা বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায়: "যখন একটি বীজ অঙ্কুরের সময় হয়, যদি বিবেক অনুশোচনা করতে না পারে এবং শুধুমাত্র এই ঘটনার পরেই বিবেকের উপস্থিতি হয়! যখন বিবেক স্বার্থপরতার জন্য নিজের সাথে ঘৃণা করে; অপরাধী এর চোখ, তার উন্মাদতা তার বিবেকের হবে! "

অভিনয়ে সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা