মুত (নামান্তরে: মাউতমৌত) ছিলেন ছিলেন প্রাচীন মিশরকুশ রাজ্যে (অধুনা উত্তর সুদান) পূজিত এক মাতৃকা দেবী। মেরিওটিকে তাঁর নামের উচ্চারণটি ছিল মাতা: 𐦨𐦴। এই নামটির অর্থ মিশরীয় ভাষায় ছিল মা[১] দেবী মুতের নানান রূপ ও বৈশিষ্ট্য ছিল, প্রাচীন মিশরীয় সংস্কৃতির সহস্রাধিক বছরের ব্যবধারে ক্রমাগত পরিবর্তিত ও বিবর্তিত হয়ে চলেছিল।

মুত
দেবী মুতের একটি আধুনিক চিত্র, এই চিত্রে দেখা যায় এক নারী জোড়া মুকুট-সহ একটি রাজকীয় গৃধ্র শিরোভূষণ হিসেবে ধারণ করেছেন এবং নিজেকে যুক্ত করেছেন নেখবেতের সঙ্গে।
চিত্রলিপি
G14t
H8
B1
প্রধান অর্চনাকেন্দ্র centerথিবস
প্রতীকশকুন
ব্যক্তিগত তথ্য
মাতাপিতারা
সহোদরসেখমেত, হাথোর, মাতবাসতেত
সঙ্গীআমুন
সন্তানসন্ততিখোনসু
উনবিংশ রাজবংশের শাসনকালে নির্মিত মুতের একটি মূর্তি; একটি জোড়া-মূর্তির অংশ; আনুমানুক খ্রিস্টপূর্ব ১২৭৯-১২১৩ অব্দ; বর্ত্মানে লুক্সর জাদুঘরে রক্ষিত

মুতকে এক আদিম দেবী গণ্য করা হত। তিনি যুক্ত ছিলেন নু-এর আদ্যকালীন জলের সঙ্গে, যা থেকে জগতের সকল কিছুর উৎপত্তি ঘটেছিল। ক্ষেত্রবিশেষে এমনও বলা হয়েছে যে, মুত যৌনমিলন ছাড়াই বংশবিস্তারের মাধ্যমে জগৎ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু অনেক সময় এও বলা হয়েছে যে, সৃষ্টিকর্তা সৌরদেবতা আমুন-রা ছিলেন তাঁর স্বামী। মুতের অনুগামীরা যদিও তাঁকে জগতের সব কিছুর জননী মনে করত, তা-সত্ত্বেও তিনি নির্দিষ্টভাবে পরিচিত ছিলেন চান্দ্র শিশুদেবতা খোনসুর মা হিসেবে। মিশরের প্রাচীন রাজধানী থিবসে অবস্থিত কারনাকের মন্দিরে আমুন-রা, মুত ও খোনসু এই তিন পারিবারিক ত্রয়ী দেবতা একত্রে থিবীয় ত্রয়ী নামে পূজিত হতেন।

শিল্পকলায় সচরাচর মুতকে চিত্রিত করা হত মিশরের রাজন্যবর্গের জোড়া মুকুট পরিহিতা অবস্থায়, যা ছিল সমগ্র দেশের উপর তাঁর কর্তৃত্বের প্রতীক।

মুতের কাল্ট যখন মধ্যগগনে ছিল, তখন মিশরের শাসকবর্গ নিজস্ব কর্তৃত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করার স্বার্থে এবং মুতের সহযোগিতায় তাঁদের শাসনকার্য পরিচালনার অধিকার প্রদর্শন করার জন্য নিজস্ব পদ্ধতিতে মুতের পূজার পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। ওপেত উৎসবউপত্যকার সুন্দর উৎসব সহ অনেক প্রাচীন মিশরীয় উৎসবের সঙ্গে মুত যুক্ত ছিলেন। তাঁর সর্বোৎকৃষ্ট মন্দিরটি অবস্থিত ছিল থিবসের কারনাকে।

পুরাণকথা সম্পাদনা

টেমপ্লেট:Ancient Egyptian religion মুত ছিলেন মধ্য রাজ্য (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২০৫৫-১৬৫০ অব্দ) ও নতুন রাজ্যের (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫৫০-১০৭০ অব্দ) ফ্যারাওদের পৃষ্ঠপোষক দেবতা আমুনের পত্নী। মিশরের ইতিহাসের আদি পর্বে আমাউনেতউওসরেতকে আমুনের পত্নী মনে করা হত। মধ্য রাজত্বকালের আগের লিপিগুলিতে মুতের কথা পাওয়া যায় না। কিন্তু এই যুগেই তিনি পূর্বোক্ত দুই দেবীকে স্থানচ্যূত করে আমুনের পত্নীত্ব লাভ করেন। নতুন রাজত্বকালে আমুন ও মুত ছিলেন উচ্চ মিশরের অন্যতম প্রধান শহর থিবসের পৃষ্ঠপোষক দেবদেবী। এখানে তাঁরা তাঁদের পুত্র খোনসুকে নিয়ে এক কাল্ট-গত ত্রয়ী গঠন করেছিলেন। তাঁর অপর এক প্রধান ভূমিকা ছিল নিম্ন মিশরের ভয়ংকরী দেবী সেখমেতের বিপরীতে উচ্চ মিশরের এক সিংহীমুখী দেবী হিসেবে।[২]

চিত্রণ সম্পাদনা

 
সিংহাসনে উপবিষ্ট আমুনের চিত্র সম্বলিত এক ফলকের অংশবিশেষ। এখানে মুতকে তাঁর পিছনে জোড়া মুকুট পরিহিতা অবস্থায় দেখা যায়। মূল ফলকে প্রথম রামেসিস তাঁদের উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য নিবেদন করছিলেন, কিন্তু সেই দৃশ্যটি এখন হারিয়ে গিয়েছে। মিশর থেকে প্রাপ্ত; দ্য পেট্রি মিউজিয়াম অফ ইজিপশিয়ান আর্কিওলজি, লন্ডনে সংরক্ষিত

শিল্পকলায় মুতকে দেখা যায় শকুনের পাখাবিশিষ্ট, আংখ-ধারিণী, উচ্চ ও নিম্ন মিশরের যুগ্ম মুকুট এবং উজ্জ্বল লাল বা নীল বস্ত্র পরিহিতা এবং পায়ে দেবী মাতের পালক-যুক্ত অবস্থায়।

বিকল্প ক্ষেত্রে তাঁর আত্তীকরণের ফল হিসেবে মুতকে কখনও কখনও গোখরো সাপ, বিড়াল, গোরু, সিংহী, এমনকি শকুনের আকারেও চিত্রিত করা হত।

 
দেবী মুতের খোদাইচিত্র, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৩৩৬-১২১৩ অব্দ, ৭৯.১২০, ব্রুকলিন জাদুঘর

নতুন রাজত্বকাল সমাপ্ত হওয়ার আগেই উচ্চ ও নিম্ন মিশরের জোড়া মুকুট পরিহিতা সকল নারীমূর্তিকে দেবী মুতের মুতের মূর্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হত। তাঁকে বলা হত "স্বর্গের মহীয়সী, সকল দেবতার কর্ত্রী"।

এই পৃষ্ঠার শেষ ছবিটিতে দেবীর মুখাবয়বের যে বৈশিষ্ট্যটি প্রদর্শিত হয়েছে তা থেকে এটিকে অষ্টাদশ রাজবংশ থেকে দ্বিতীয় রামেসিসের রাজত্বকালের (রাজত্বকাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২৭৯-১২১৩ অব্দ) অপেক্ষাকৃত পূর্বভাগের প্রতিকৃতি বলে চিহ্নিত করা যায়।[৩]

কারনাকে সম্পাদনা

 
মুতের জেবেল বারকাল মন্দির: জেবেল বারকালের অভ্যন্তরভাগে আমুন-সহ মুতের প্রতিকৃতি
 
কারনাক মন্দির চত্বরে মুতের প্রাঙ্গন

আধুনিক মিশর ও সুদান রাষ্ট্রে দেবী মুতের অনেকগুলি মন্দিরও এখনও দেখা যায়। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে তিনি ছিলেন এক বহুল-পূজিতা দেবী। তাঁর কাল্টের কেন্দ্র ছিল সুদানের জেবেল বারকালের মুতের মন্দির এবং মিশরের কারনাকের মন্দির। শেষোক্ত মন্দিরটিতে তাঁর যে মূর্তিটি ছিল সেটিকে দেবীর প্রকৃত কা-এর মূর্তিরূপ মনে করা হত। তাঁর দৈনিক পূজাকৃত্য সম্পাদনা করতেন ফ্যারাও ও দেবীর নারী-পুরোহিতগণ। মন্দিরের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায় নারী-পুরোহিতদের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। বর্তমানে তা প্রাচীন মিশরের পূজাকর্মের একমাত্র অবশিষ্ট উদাহরণ যেখানে দেখানো হয়ে পূজাকর্ম কেবলমাত্র নারীদের দ্বারা সম্পাদিত হচ্ছে।

মন্দিরের আচার-অনুষ্ঠানে প্রধান পুরোহিতার ভূমিকা সাধারণত পালন করতেন রানিরা। ফ্যারাওরাও এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন এবং মৃত্যুর পর তাঁরা দেবতা হিসেবে পরিগণিত হতেন। একটি উদাহরণের নথি থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, ফ্যারাও যদি নারী হতেন তবে তাঁর স্থলে তাঁর কন্যা মহা-পুরোহিতার দায়িত্ব পালন করতেন। প্রায়শ ক্ষেত্রে পুরোহিতেরাই মন্দিরের প্রশাসন ও ওর্যাকলগুলি পরিচালনা করতেন, যেখানে পুরোহিতারা প্রথাগত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করতেন। সংগীত ও মদ্যপান ছিল এই আচার-অনুষ্ঠানগুলির অন্যতম অঙ্গ।

অষ্টাদশ রাজবংশের ফ্যারাও হাতশেপসুত নিজের রাজত্বকালে কারনাকের প্রাচীন মুতের মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেন। প্রথম দিকের উৎখননকারীরা মনে করতেন যে, মন্দিরটি তৃতীয় আমেনহোতেপের দ্বারা নির্মিত। কারণ, সেখানে সেখমেতের শতাধিক মূর্তিতে তাঁর নাম পাওয়া গিয়েছে। অবশ্য অসংখ্য মন্দির ও সর্বজনীন ভবনাদির নির্মাণকর্ত্রী হাতশেপসুত পঁচাত্তর বছর আগেই এই মন্দিরের নির্মাণকার্য সমাপ্ত করেছিলেন। মুতের মস্তকে উচ্চ ও নিম্ন মিশরের যুগ্ম মুকুট স্থাপনের প্রথাটি তাঁরই চালু করা। মনে করা হয় যে, তৃতীয় আমেনহোতেপ মন্দির-নির্মাণের সুনাম অর্জনের জন্য হাতশেপসুতের অধিকাংশ চিহ্ন মুছে দিয়েছিলেন।

হাতশেপসুত ছিলেন এমন এক ফ্যারাও যিনি মুতকে পুনর্বার মিশরীয় দেবমণ্ডলীতে সর্বাগ্রে নিয়ে আসেন এবং নিজেকে ঘনিষ্ঠভাবে দেবীর সঙ্গে যুক্ত করে তোলেন। হাতশেপসুত নিজেকে মুতের বংশধর বলে দাবি করতেন। তিনি নিজেকে যুক্ত করেন দেবীর অধিকতর ভয়ংকরী এক রূপ সেখমেতের সঙ্গে। এর কারণ ফ্যারাও হিসেবে রাজত্ব করার প্রথম দিকে হাতশেপসুত যোদ্ধা হিসেবেও অত্যন্ত সাফল্য অর্জন করেছিলেন।

পরবর্তীকালে একই রাজবংশের ফ্যারাও আখেনাতেন অন্যান্য দেবদেবীদের সঙ্গে মুতের উপাসনাও বন্ধ করে দেন নিজের প্রবর্তিত একেশ্বরবাদী ধর্মমত অর্থাৎ সৌরদেবতা আতেনের পূজার পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য। পরে তুতানখামুন মুতের পূজা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং তাঁর উত্তরসূরিরাও তার পরবর্তীকালে মুতের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে থাকেন।

দ্বিতীয় রামেসিস উনবিংশ রাজবংশের শাসনকালে মুতের মন্দিরে আরও কারুকার্য যোগ করেন। সেই সঙ্গে তিনি একই এলাকায় পূর্ববর্তী একটি মন্দিরের পুনর্নির্মাণ ঘটিয়ে সেটিকে আমুন ও নিজের প্রতি পুনরায় উৎসর্গিত করেন। তিনি এই মন্দিরটিকে এমনভাবে তৈরি করেছিলেন যাতে মুতের মন্দিরে যেতে হলে লোককে আগে তাঁর মন্দিরের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

কুশীয় ফ্যারাওরা মুতের মন্দিরটি প্রসারিত করেন এবং রামেসিসের মন্দিরটিতে কিছু পরিবর্তন এনে এটিকে আমুন ও খোনসুর জন্মজয়ন্তী উদ্যাপনের বেদিতে রূপান্তরিত করেন। এইভাবেই তাঁরা শেষোক্ত দুই দেবতাকে দৈব উত্তরাধিকারের মধ্যে যুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি মুতের মন্দির পরিচালনাকারিণী পুরোহিতাদের সম পদমর্যাদায় নিজেদের পুরোহিতাদেরও নিযুক্ত করেছিলেন।

গ্রিক টলেমীয় রাজবংশ নিজস্ব সাজসজ্জায় মন্দিরটিকে শোভিত করেছিল এবং নিজেদের পুরোহিতাদের মন্দিরে নিযুক্ত করেছিলেন। তাঁরাও মুতের কর্তৃত্বকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন।

একবার এক প্রবল বন্যার পর রোমান সম্রাট টাইবেরিয়াস মন্দিরক্ষেত্রটি পুনর্নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। তাঁর উত্তরসূরিরাও মন্দিরটির পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। শেষপর্যন্ত খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দী নাগাদ কোনও এক সময় মন্দিরটিতে পূজার্চনা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে রোমান আধিকারিকেরা মন্দিরটির পাথরগুলি নিজস্ব নির্মাণ প্রকল্পে ব্যবহার করতে শুরু করেন। এই কাজের ক্ষেত্রে তাঁরা সেই সব পাথরের উপর খোদাইচিত্রগুলিতে কোনও পরিবর্তনও আনেননি।

ব্যক্তিগত পবিত্রতা সম্পাদনা

আখেনাতেনের বিদ্রোহ এবং তার পরবর্তীকালে প্রথাগত বিশ্বাস ও ধর্মানুশীলন প্রথার পুনঃস্থাপনের পর ব্যক্তিগত পবিত্রতার উপর গুরুত্ব আরোপ মানুষের থেকে বেশি বৃহত্তর দৈব সহায়তার দিকে দিক পরিবর্তন করে ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য। দ্বিতীয় রামেসিসের রাজত্বকালে দেবী মুতের এক অনুগামী নিজের সকল সম্পত্তি তাঁর মন্দিরে দান করেছিলেন এবং নিজের সমাধিতে লিপিবদ্ধ করেছিলেন:

এবং তিনি [কিকি] দেবতাদের মস্তকে মুতকে খুঁজে পেলেন, অদৃষ্ট ও সৌভাগ্য ছিল তাঁর (মুতের) হাতে, পরমায়ু ও জীবনের প্রাণবায়ু ছিল তাঁর (মুতের নিয়ন্ত্রণাধীন)… আমি মানুষের মধ্য থেকে রক্ষাকর্তা নির্বাচন করিনি। আমি মহতের মধ্যে থেকে নিজের জন্য এক রক্ষাকর্তার অনুসন্ধান করতে যাইনি… আমার হৃদয় আমার ইষ্টদেবীর দ্বারা পরিপূর্ণ। আমি কাউকেই ভয় করি না। আমি নিশ্চিন্তে রাত্রে ঘুমাই, কারণ আমার একজন রক্ষয়িত্রী আছেন।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. te Velde, Herman (২০০২), "Mut", Redford, D. B., The Ancient Gods Speak: A Guide to Egyptian Religion, New York: Oxford University Press, পৃষ্ঠা 238 
  2. Wilkinson, Richard H. (2003). The Complete Gods and Goddesses of Ancient Egypt. Thames & Hudson. pp. 153–155, 169
  3. "Relief of the Goddess Mut"Brooklyn Museum। ৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৪ 
  4. Assmann, Jan (২০০৮)। Of God and Gods: Egypt, Israel, and the Rise of MonotheismUniversity of Wisconsin Press। পৃষ্ঠা 83–84। আইএসবিএন 978-0-299-22554-4 
  • Pinkowski, Jennifer (২০০৬)। "Egypt's Ageless Goddess"Archaeology59 (5)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৫ 

আরও পড়ুন সম্পাদনা

  • Hays, Christopher B. "The Egyptian Goddess Mut in Iron Age Palestine: Further Data From Amulets and Onomastics." Journal of Near Eastern Studies 71, no. 2 (2012): 299–314. Accessed June 16, 2020. ডিওআই:10.1086/666652.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

  •   উইকিমিডিয়া কমন্সে মুত সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।