মুড়ি

ধান থেকে তৈরি একধরণের স্ফীত খাবার বা ভাজা চাল

মুড়ি ধান থেকে তৈরি একধরনের স্ফীত খাবার বা ভাজা চাল, যা সাধারণত প্রাতরাশ বা জলখাবারে খাওয়া হয়। এটি ভারত ও বাংলাদেশে জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিচিত। চালের অন্তর্বীজ গরম করে বাষ্প উপস্থিতিতে উচ্চ চাপের সাহায্যে মুড়ি তৈরি করা হয়, যদিও এর প্রস্তুত পদ্ধতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।

মুড়ি
মুড়ি
অন্যান্য নামপাফ্ড রাইস, মুধি, মুরাই, ভাজা, হুড়ুম, ওরুম,লাইয়্যা, মুড়মুড়ে, পারমাল
প্রকারনাস্তা
উৎপত্তিস্থলবাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, কোরিয়া
অঞ্চল বা রাজ্যভারতীয় উপমহাদেশ
মুড়ি চানাচুর
মুড়ি

উৎপাদন সম্পাদনা

ঐতিহ্যগত স্ফীত চাল যা মুড়ি নামেই পরিচিত। গরম বালিতে চাল তাপ দেয়ার মাধ্যমে মুড়ি প্রস্তুত করা হয়।[১]

ব্যবহার সম্পাদনা

 
তেলেভাজা, আলুভাজা সহযোগে মুড়ি।

বাংলাদেশ এ মুড়ি একটি নিত্যদিন এর খাদ্য তালিকার অংশ। ছোলা ভাজির সাথে মুড়ি বেশি খাওয়া হয়। ঝাল মুড়ির প্রধান উপদান এটি। এছাড়াও শুকনো খাবার হিসেবে এটি সংরক্ষণ করা যায় বলে বন্যার বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় খাদ্য হিসেবে বন্যার্ত বা দুর্যোগ কবলিতদের দেয়া হয়। এছাড়াও ভারতীয় ভেলপুরীর চটপটির একটি উপাদান। এটি দক্ষিণ ভারতের কেরলা এবং তামিলনাড়ু রাজ্যের প্রায় সমস্ত পূজায় হিন্দু দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে অর্পণ করা হয়।

ঝালমুড়ি সম্পাদনা

ঝালমুড়ির সালাদে ব্যবহৃত সবজি

ঝালমুড়ি সাধারণত মুড়ি, চানাচুর, ধনে পাতা, পুদিনা পাতা, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, লেবুর রস, বীট লবণ ও অন্যান্য মসলার মিশ্রনে তৈরি করা হয়। কখনও কখনও মাংসের ঝোল টমেটো, শসা, কাসুন্দি ইত্যাদিও ব্যবহার করা হয়।

মুড়ির খাদ্যগুণ সম্পাদনা

প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ মুড়িতে যে খাদ্যগুণ আছে তার বিশ্লেষণ নিম্নরূপ:

ক্যালরি------------------ ৪০২ গ্রাম ।
ফ্যাট/চর্বি---------------- ০.৫ গ্রাম
কোলেস্টেরল - নেই ।
শর্করা------------------- ৮৯.৮ গ্রাম ।
প্রোটিন------------------ ৬.৩ গ্রাম ।

  • খনিজ লবণ

ক্যালসিয়াম----------------------- ৬ মি.গ্রা. ।
ফসফরাস------------------------ ৬ মি.গ্রা. ।
সোডিয়াম--------------------- ৩ মি.গ্রা. ।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা