মিশরীয় মন্দির

প্রাচীন মিশরে দেবদেবীদের প্রার্থনা ও ফারাওদের স্মরণের উদ্দেশ্যে নির্মিত স্থাপনাসমূহ

মিশরীয় মন্দির নির্মিত হত দেবদেবীদের আনুষ্ঠানিক পূজানুষ্ঠান এবং প্রাচীন মিশর ও মিশরীয় নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকা অঞ্চলগুলির ফ্যারাওদের স্মৃতিরক্ষার্থে। যে দেবতা বা রাজার উদ্দেশ্যে মন্দিরগুলি উৎসর্গিত হত, সংশ্লিষ্ট মন্দিরটিকে সেই দেবতা বা রাজার বাসগৃহ মনে করা হত। মন্দিরের মধ্যে মিশরীয়রা বিভিন্ন ধরনের আচার-অনুষ্ঠান পালন করত। মিশরীয় ধর্মের মূল উদ্দেশ্য স্বরূপ এই সব আচারগুলির মধ্যে ছিল দেবদেবীদের উদ্দেশ্যে বলি উৎসর্গ, উৎসবের মাধ্যমে তাঁদের পৌরাণিক ভাববিনিময়ের পুনরাভিনয় এবং বিশৃঙ্খলার শক্তিগুলিকে অপসারণ-মূলক অনুষ্ঠানসমূহ। মনে করা হত যে, মাত অর্থাৎ ব্রহ্মাণ্ডের দিব্য বিন্যাস রক্ষার নিমিত্ত দেবতাদের জন্যেও এই আচারগুলি প্রয়োজনীয়। দেবালয় নির্মাণ ও দেবতাদের পরিচর্যা ছিল ফ্যারাওদের অবশ্যকর্তব্য। তাই তাঁরা মন্দির নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রভূত সম্পদ দান করতেন। প্রয়োজনের খাতিরে ফ্যারাওরা পুরোহিতবৃন্দের প্রতি তাঁদের অধিকাংশ আচারগত কর্তব্যে প্রতিনিধিত্ব করতেন। কিন্তু সাধারণ মানুষকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনুষ্ঠানে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হত না। এমনকি মন্দিরের পবিত্রতম অংশগুলিতে তাদের প্রবেশের উপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপিত ছিল। তা সত্ত্বেও সকল শ্রেণির মিশরীয়ের কাছেই মন্দির ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান। তারা সেখানে যেত সেখানে বসবাসকারী দেবতার কাছে প্রার্থনা করতে, পূজা উৎসর্গ করতে এবং দৈববাণীমূলক সহায়তা অনুসন্ধান করতে।

Stone building fronted by a tall gateway, a colonnade, and another gateway
ফাইলিতে আইসিসের মন্দির, পাইলন এবং বাঁদিকে একটি প্রাচীরবেষ্টিত দরবার ও ডানদিকে অভ্যন্তরীণ ভবন সহ। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ থেকে প্রথম শতাব্দী।[১]

মন্দিরের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অংশটি ছিল গর্ভমন্দিরটি। সাধারণত এইখানে একটি কাল্ট-মূর্তি (মন্দিরের দেবতার মূর্তি) প্রতিষ্ঠিত অবস্থায় থাকত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গর্ভমন্দিরের বাইরের কক্ষগুলি বৃহত্তর ও অধিকতর সজ্জাবহুল হতে শুরু করে। এর ফলে প্রাগৈতিহাসিক মিশরের (খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দের শেষ ভাগ) ছোটো ছোটো পূজাস্থানগুলি বিবর্তিত হয়ে নতুন রাজ্য (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫৫০-১০৭০ অব্দ) ও পরবর্তীকালের বৃহদাকার প্রস্তরনির্মিত অট্টালিকায় পরিণত হয়। এই সকল অট্টালিকাগুলি ছিল প্রাচীন মিশরীয় স্থাপত্যের বৃহত্তম এবং সর্বাপেক্ষা টেকসই উদাহরণগুলির অন্যতম। এগুলির উপাদানগুলিকে ধর্মীয় প্রতীকতত্ত্বের একটি জটিল নকশা দ্বারা বিন্যস্ত ও অলংকৃত করা হত। এই মন্দির নকশার সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি ছিল প্রাচীরবেষ্টিত সভাকক্ষ, উন্মুক্ত দরবার এবং উৎসবের শোভাযাত্রার জন্য ব্যবহৃত পথের ধারে সারিবদ্ধ পাইলন শৈলীর প্রবেশপথ। মূল মন্দিরের বাইরে একটি বহিঃস্থ প্রাচীর দ্বারা বিভিন্ন ধরনের অপ্রধান ভবনগুলিকে বেষ্টিত করে রাখা হত।

একটি বৃহদাকার মন্দিরের বেশ বড়ো নিজস্ব জমি এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে সহস্রাধিক সাধারণ কর্মচারীও থাকত। এই কারণে ধর্মীয় কেন্দ্রের পাশাপাশি মন্দিরগুলি ছিল প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র। যে পুরোহিতগণ এই সব শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন, তাঁরা যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিলেন এবং বাহ্যত রাজার অধীনস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা তাঁদের কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বীও হয়ে উঠতে পারতেন।

জাতির অবনতি এবং শেষ পর্যন্ত খ্রিস্টপূর্ব ৩০ অব্দে রোমান সাম্রাজ্যের হাতে স্বাধীনতা হারানো সত্ত্বেও মিশরে মন্দির-নির্মাণের কাজে কোনও ছেদ পড়েনি। খ্রিস্টধর্মের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে প্রথাগত মিশরীয় ধর্ম উত্তরোত্তর নিপীড়নের শিকার হতে থাকে এবং খ্রিস্টীয় চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে সে দেশে মন্দির-কাল্টগুলি অবলুপ্ত হয়ে যায়। তারপর পরিত্যক্ত মন্দিরগুলি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ধ্বংস ও অবহেলার সম্মুখীন হতে থাকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ইউরোপ ভাসিয়ে দিয়ে যায় প্রাচীন মিশর সম্পর্কে আগ্রহের একটি নতুন তরঙ্গ। এই সময়ই উৎপত্তি ঘটে মিশরতত্ত্ব নামক আকাদেমিক শাখাটির। এর পর প্রাচীন এই সভ্যতার ধ্বংসাবশেষের প্রতি বহু সংখ্যক পর্যটক আকর্ষিত হন। বহু সংখ্যক প্রাচীন মন্দির মিশরে আজও রয়েছে। এগুলির কয়েকটি পরিণত হয়ে বিশ্ববিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রে, যা আধুনিক মিশরের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণভাবে অবদান রেখে চলেছে। মিশরতত্ত্ববিদগণ এখনও টিকে থাকা মন্দির ও ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরগুলির ধ্বংসাবশেষ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাচীন মিশরীয় সমাজ সম্পর্কে তথ্যের বহুমূল্য উৎস হিসেবে।

কার্য সম্পাদনা

ধর্মীয় সম্পাদনা

 
দেবতা আমুনের প্রতি আচারপালনরত প্রথম সেতির খোদাইচিত্রে, সেতির অ্যাবিডোসের সমাধি মন্দির থেকে। খ্রিস্টপূর্ব ত্রয়োদশ শতাব্দী।

প্রাচীন মিশরে মন্দির নির্মিত হত পৃথিবীতে দেবদেবীদের বসবাসের স্থান হিসেবে। বস্তুত মিশরীয়রা মন্দির ভবনটিকে বর্ণনা করতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যে শব্দটি ব্যবহার করত, সেই ḥwt-nṯr শব্দটির অর্থ "এক দেবতার অট্টালিকা (বা প্রাচীরবেষ্টিত আবাস)"।[২][৩] মন্দিরে দেবতার উপস্থিতির মাধ্যমে মানুষকে দিব্য জগতের সঙ্গে যুক্ত করে এবং আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে দেবতার পারস্পরিক যোগাযোগ সম্ভবপর হয় বলেই মিশরীয়রা বিশ্বাস করত। তারা আরও মনে করত, এই সব আচার-অনুষ্ঠান দেবতাদের শক্তিদান করে এবং তার ফলে তাঁরাও প্রকৃতিতে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হন। এই জন্য আচার-অনুষ্ঠানগুলি মাত অর্থাৎ মিশরীয় বিশ্বাসে প্রকৃতি ও মানব সমাজের আদর্শ শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্র বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।[৪] মাত রক্ষা করাই ছিল মিশরীয় ধর্মের সামগ্রিক উদ্দেশ্য[৫] এবং সেই সঙ্গে মন্দিরগুলির উদ্দেশ্যও বটে।[৬]

ফ্যারাওদের যেহেতু দিব্য ক্ষমতার অধিকারী মনে করা হত,[Note ১] সেই হেতু "পবিত্র রাজা" হিসেবে তিনি পরিগণিত হতেন দেবতাদের কাছে মিশরের প্রতিনিধি এবং সেখানকার মাত-এর সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ধারক রূপে।[৮] তাই ধর্মতাত্ত্বিক দিক থেকে মন্দিরের আচার-অনুষ্ঠানগুলি পালন করা ছিল তাঁরই কর্তব্য। যদিও তিনি কয়টি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন তা সঠিক জানা যায় না। সারা মিশর জুড়ে বহু সংখ্যক মন্দিরের অস্তিত্ব দেখে অনুমিত হয় যে সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হত না এবং অধিকাংশ সময়েই প্রতিনিধিত্বকারী পুরোহিতেরাই অনুষ্ঠানগুলি পালন করতেন। তবে তাঁর সমগ্র রাজত্বকাল জুড়ে মন্দিরগুলির রক্ষণাবেক্ষণ, ভরণপোষণ ও ব্যয়নির্বাহের দায়িত্ব বাধ্যতামূলকভাবে তাঁর উপরই ন্যস্ত থাকত।[৯]

ফ্যারাও কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রতিনিধিত্ব করলেও মন্দিরের আচার-অনুষ্ঠান ছিল ছিল শুধুমাত্র উচ্চ-পদমর্যাদাসম্পন্ন পুরোহিতদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ একটি আনুষ্ঠানিক কর্তব্য। অধিকাংশ অনুষ্ঠানেই সাধারণ মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকত। পরবর্তে জনসাধারণের অনেক ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপই আয়োজিত হত সরকারি মন্দিরের থেকে পৃথক ব্যক্তিগত ও সামাজিক পূজাস্থানগুলিতে। তবে মানুষ ও দিব্যজগতের প্রাথমিক যোগসূত্র হিসেবে সাধারণ মিশরীয়দের কাছে মন্দিরের আকর্ষণ ও শ্রদ্ধাবোধও কম ছিল না।[১০]

প্রতিটি মন্দিরে একজন প্রধান দেবতা থাকতেন এবং অধিকাংশ মন্দিরেই অন্যান্য দেবতাদেরও পূজা করা হত।[১১] মিশরের সকল দেবদেবীর নিজস্ব মন্দির ছিল না। অনেক দৈত্য ও গৃহদেবতার পূজা করা হত জাদুবিদ্যা-সংক্রান্ত উদ্দেশ্যে অথবা ব্যক্তিগত ধর্মাচরণের অঙ্গ হিসেবে। এগুলির ক্ষেত্রে মন্দিরের অনুষ্ঠান অল্পই হতো অথবা আদৌ হত না। আবার এমন কয়েকজন দেবতার কথাও কল্পনা করা হত, যাঁদের ব্রহ্মাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও তাঁদের উদ্দেশ্যে কোনও মন্দির উৎসর্গিত হয়নি। এর কারণ স্পষ্ট নয়।[১২] যে দেবতাদের নিজস্ব মন্দির ছিল তাঁদের অনেকেই পূজা পেতেন প্রধানত মিশরের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায়। আবার অনেক দেবতার একটি শক্তিশালী স্থানীয় যোগ থাকা সত্ত্বেও সমগ্র দেশব্যাপী গুরুত্বও ছিল।[১৩] তবে সমগ্র দেশ জুড়ে পূজিত দেবতাদের সঙ্গেও যে শহরে তাঁদের প্রধান মন্দির অবস্থিত সেই শহরের সঙ্গে একটি ঘনিষ্ঠ যোগ থাকত। মিশরীয় সৃষ্টিপুরাণের মতে, প্রথম মন্দিরের আবির্ভাব এক দেবতার আশ্রয়স্থল হিসেবে—এই দেবতা কে তা ছিল শহর ভেদে ভিন্ন ভিন্ন—সেই প্রথম মন্দিরটি যেখানে সৃষ্টিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল সেখানে মাটির এক ঢিবির উপর অবস্থিত ছিল। সেই কারণে মিশরের প্রতিটি মন্দিরকেই সেই আদি মন্দির ও সৃষ্টির আদি স্থানের সঙ্গে সমতুল্য জ্ঞান করা হত।[১৪] দেবতার আদ্যকালীন আবাসগৃহ ও শহর প্রতিষ্ঠার পৌরাণিক স্থান হিসেবে মন্দিরগুলিকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের কেন্দ্রস্থল হিসেবে দেখা হত এবং মনে করা হত যে, এই মন্দিরগুলি থেকেই দেবতারা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে রাজত্ব করেন।[১৫]

ফ্যারাওরা পরলোকে তাঁদের আত্মার পরিপোষণের জন্যও কিছু মন্দির নির্মাণ করে সেখানে পূজা উৎসর্গ করতেন। এই মন্দিরগুলি প্রায়শই তাঁদের সমাধিস্থলের সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় অথবা কাছাকাছি স্থানে নির্মিত হত। প্রথাগতভাবে এই মন্দিরগুলিকে বলা হত "শবাগার মন্দির" এবং মূলগতভাবে এগুলিকে দেবমন্দিরের থেকে পৃথক জ্ঞান করা হত। যদিও সাম্প্রতিককালে গারহার্ড হিনি প্রমুখ কয়েকজন মিশরতত্ত্ববিদ দাবি করেছেন যে, দুই শ্রেণির মন্দিরের মধ্যে কোনও স্পষ্ট ফারাক পাওয়া যায় না। মিশরীয়রা শবাগার মন্দিরগুলিকে কোনও পৃথক শ্রেণিগত নামে অভিহিত করত না।[১৬][Note ২] মৃত ব্যক্তির জন্য পালিত আচার-অনুষ্ঠান ও দেবতার উদ্দেশ্যে পালিত আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যেও পারস্পরিক কোনও পার্থক্য ছিল না; মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যে সব প্রতীকের কল্পনা করা হত তা সকল মিশরীয় মন্দিরেই পাওয়া যায়।[১৮] শবাগার মন্দিরগুলিতে কিছু পরিমাণে দেবদেবীদের পূজাও চলত। মিশরতত্ত্ববিদ স্টিফেন কার্কের মতে, সকল যুগেই রাজকীয় কাল্টের সঙ্গে দেবতারা জড়িত থাকতেন; আবার একইভাবে সকল দেবতার কাল্টের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতেন রাজারা স্বয়ং।[১৯] তা হলেও কয়েকটি মন্দির স্পষ্টতই ব্যবহৃত হত মৃত রাজার স্মৃতিমন্দির হিসেবে এবং সেখানে সেই সব রাজার আত্মার উদ্দেশ্যে পূজার্চনা চলত। এই মন্দিরগুলির উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ বোঝা যায় না। সম্ভবত এই মন্দিরগুলি নির্মাণ করাহত রাজাকে সাধারণ রাজপদের তুলনায় মহত্তর দিব্য পদমর্যাদা দিয়ে দেবতার সমতুল্য করে তোলার উদ্দেশ্যে।[২০] সব ক্ষেত্রেই দেবমন্দির ও শবাগার মন্দিরকে পৃথকভাবে চিহ্নিতকরণের যে সমস্যা তা প্রতিফলিত করে মিশরীয় বিশ্বাসে দেবসত্ত্বা ও রাজপদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগটিকেই।[২১]

অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক সম্পাদনা

মন্দিরগুলি ছিল অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের প্রধান কেন্দ্র। বড়ো বড়ো মন্দিরগুলির বিপুল পরিমাণে অর্থসম্পদের প্রয়োজন হত এবং এই সব মন্দিরে পুরোহিত, কারিগর ও মজুর হিসেবে হাজার হাজার কর্মচারীকে নিয়োগ করা হত।[২২] মন্দিরের অর্থনৈতিক কাজকর্ম ছিল একটি বড়ো মিশরীয় পরিবারের কাজকর্মের অনুরূপ। ভৃত্যেরা মন্দিরের দেবতাকে কোনও ভূসম্পতির অধিকারীকে সেবা করার মতো করে সেবা করত। মন্দিরের জমি ও তার প্রশাসনের মিশরীয় প্রতিশব্দ pr (অর্থাৎ "ভবন" বা "ভূসম্পত্তি") এই সাদৃশ্যটিকেই প্রতিফলিত করে।[২৩]

মন্দিরের কিছু আয় হত রাজার প্রত্যক্ষ দান থেকে। নতুন রাজ্যের আমলে মিশর যখন এক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি সেই সময় রাজার সামরিক অভিযানের সময় লুণ্ঠিত সম্পদ অথবা তাঁর করদ রাজ্যগুলি থেকে প্রেরিত উপঢৌকন থেকে এই দানসামগ্রী প্রেরণ করা হত।[২৪] এছাড়া রাজা বিভিন্ন রকম কর আরোপ করতে পারতেন যা সরাসরি কোনও মন্দিরকে সাহায্য করার কাজে লাগত।[২৫] অন্যান্য রাজস্বেরা উৎস ছিলেন বেসরকারি রসদদারেরা। তাঁরা পরলোকে তাঁদের আত্মার পরিপোষণের উদ্দেশ্যে পূজা-উৎসর্গ ও পুরোহিতের পরিষেবার বিনিময়ে মন্দিরগুলিকে জমিজমা, ক্রীতদাস বা দ্রব্যসামগ্রী দান করতেন।[২৬]

 
মিশরের প্রদেশগুলির মূর্তিরূপের নিমজ্জিত খোদাইচিত্র। ছবিতে দেবতার উদ্দেশ্যে পূজা-উৎসর্গের দৃশ্যটি অঙ্কিত। অ্যাবিডোসে দ্বিতীয় রামেসিসের শবাগার থেকে প্রাপ্ত। খ্রিস্টপূর্ব ত্রয়োদশ শতাব্দী।[২৭]

মন্দিরের আর্থিক সম্বলের বেশিরভাগটাই আসত মন্দিরের নিজস্ব সম্পদ থেকে। এগুলির মধ্যে ছিল মন্দির-প্রাচীরের বাইরে, ক্ষেত্রবিশেষে সম্পূর্ণ অন্য কোনও অঞ্চলে সুবৃহৎ ভূসম্পত্তিগুলিও। সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি ছিল খাদ্যশস্য, ফল বা মদ উৎপাদনশীল কৃষিজমি অথবা লাভজনক গবাদি পশুর পাল। মন্দির কর্তৃপক্ষ হয় উৎপাদিত দ্রব্যের অংশের বিনিময়ে কৃষকদের ভাড়া দিয়ে এগুলি নিজেরা পরিচালনা করত অথবা রাজ-প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালনা করত। এছাড়া মন্দিরগুলি মরু অঞ্চলে অভিযান প্রেরণ করে নুন ও মধুর মতো সম্পদ আহরণ, বন্য প্রাণী শিকার অথবা খনি-খননের মাধ্যমে মূল্যবান খনিজ দ্রব্য উত্তোলনের জন্য।[২৮] কোনও কোনও মন্দিরের নিজস্ব নৌবহর ছিল, যার মাধ্যমে মন্দির কর্তৃপক্ষ সারা দেশে এমনকি মিশরের সীমানার বাইরেও বাণিজ্য চালাত। প্রত্নতত্ত্ববিদ রিচার্ড এইচ. উইলকিনসনের মতে, এই ভাবেই মন্দির এলাকাগুলি হয়েছিল একটুকরো মিশরেরই প্রতীক।[২৯] প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র এবং স্থানীয় জনগণের একটি বৃহৎ অংশের নিয়োগকর্তা হিসেবে মন্দির চত্বরগুলি হয়ে উঠেছিল সংশ্লিষ্ট শহরগুলির এক-একটি প্রধান অংশ। এর বিপরীতে যখন খালি জমিতে কোনও মন্দির প্রতিষ্ঠিত হত, তখন সেটির সাহায্যার্থে সেটিকে ঘিরে একটি নতুন শহরই নির্মিত হত।[৩০]

সকল অর্থনৈতিক ক্ষমতার চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রক ছিলেন ফ্যারাও স্বয়ং। প্রায়শই মন্দিরের উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী ও সম্পত্তির উপর কর আরোপিত হত। মন্দিরের কর্মচারীরা, এমনকি পুরোহিতেরাও ছিলেন রাষ্ট্রীয় করভি ব্যবস্থার আওতাভুক্ত। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী তাঁদের রাজকীয় প্রকল্পগুলিতে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োগ করা যেত।[৩১] এছাড়াও কোনও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে রসদ জোগানোর জন্যও তাঁদের আদেশ করা যেত। ষষ্ঠ রাজবংশের আমলে (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২২৫৫-২২৪৬ অব্দ) হারখুফের নেতৃত্বাধীন একটি বাণিজ্য অভিযানকে ইচ্ছামতো যে কোনও মন্দির থেকে রসদ সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল[৩১] নতুন রাজ্যের আমলে থিবীয় সমাধিনগরীর শবাগার মন্দিরগুলিকে দেইর এল-মেদিনায় রাজ-নিযুক্ত সমাধি মজুরদের তত্ত্বাবধানের কাজ করতে হয়েছিল।[৩২] আবার রাজা মন্দির অথবা মন্দির কর্মচারীদের বিভিন্ন শ্রেণিকে কর প্রদান ও বাধ্যতামূলক শ্রমদানের থেকে অব্যাহতি দিতে পারতেন।[৩১]

রাজ-প্রশাসন নির্দিষ্ট কোনও মন্দিরের প্রভাব বিস্তার করানোর মানসে অপর কোনও মন্দিরকে সেই মন্দিরে সম্পদ সরিয়ে নিতেও আদেশ দিতে পারত। এইভাবে রাজা তাঁর প্রিয় দেবতার মন্দিরের আয় বৃদ্ধি করতে পারতেন এবং সাম্প্রতিক শাসকদের শবাগার মন্দিরগুলিতে বহুকাল পূর্বে প্রয়াত ফ্যারাওদের মন্দির থেকে সম্পদ বের করে আনার প্রবণতা লক্ষিত হয়েছে।[৩৩] মন্দির ভূসম্পত্তি নিয়ন্ত্রণের সর্বাপেক্ষা কঠোর পন্থাটি ছিল সারা দেশ জুড়ে তাদের সম্পত্তি বণ্টনের পুনর্বিন্যাস ঘটানো। এর ফলে কোনও কোনও মন্দির চিরতরে বন্ধও হয়ে যেত। এই ধরনের পরিবর্তন কখনও মিশরের অর্থনৈতিক চিত্রটিকে গুরুত্বপূর্ণভাবে পাল্টেও দিত।[৩৪] এই জন্য মন্দিরগুলি ছিল এমন এক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র যার মাধ্যমে রাজা দেশের সম্পদ ও দেশের জনসাধারণকে পরিচালনা করতেন।[৩৫] বৃহৎ মন্দিরগুলির প্রশাসন নিজস্ব অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে প্রভূত প্রভাব বিস্তার করতে পারত এবং কোনও কোনও দুর্বল ফ্যারাওয়ের কর্তৃত্বের কাছে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠত।[৩৬] যদিও এগুলি কতটা স্বাধীন ছিল তা স্পষ্ট নয়।[৩৭]

মিশর একটি রোমান প্রদেশে পরিণত হওয়ার পর রোমান আধিকারিকবর্গ মন্দিরগুলির ক্ষমতা ও স্বাধীনতা খর্ব করতে তৎপর হন। মন্দিরগুলিকে সেগুলির ভূসম্পত্তির উপর আরোপিত কর সম্রাটকে দিতে বাধ্য করা হয় অথবা সেই জমি রাষ্ট্রীয় ভাতার বিনিময়ে সম্রাটের হাতে সমর্পণ করতে বলা হয়।[৩৮] মন্দির কাল্টগুলিকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করা করে সেগুলিকে কম আত্মনির্ভর ও রাষ্ট্রীয় অনুদান[৩৯] ও রাজস্ব আদায়ের বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সূত্রের উপর অধিকতর নির্ভরশীল করে তোলা হয়।[৪০]

ক্রমবিকাশ সম্পাদনা

আদি পর্ব সম্পাদনা

প্রাগৈতিহাসিক মিশরে প্রাচীনতম জ্ঞাত পূজাস্থানগুলি নির্মিত হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দের শেষ ভাগে। নিম্ন মিশরের সাইসবুটো এবং উচ্চ মিশরের নেখেনকোপটোস অঞ্চলে এই পূজাস্থানগুলি দেখা যায়। এগুলির অধিকাংশই নির্মিত হয়েছিল কাঠ, নলখাগড়ার মাদুর ও কাদামাটির ইটের মতো পচনশীল বস্তু দিয়ে।[৪১] এই সব আদি নির্মাণগুলির অস্থায়িত্ব সত্ত্বেও পরবর্তীকালের শিল্পকলায় এগুলি থেকে উপাদান পুনর্ব্যবহার ও অভিযোজনা চলতে থাকে। এই সব প্রাচীন পূজাস্থানের স্মৃতিচারণা দেবদেবী ও তাঁদের বাসস্থানের চিরন্তন প্রকৃতি সম্পর্কে মিশরীয় ধারণাটিকে মনে করিয়ে দেয়।[৪২]

আদি রাজবংশীয় যুগে (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩১০০-২৬৮৬ অব্দ) প্রথম ফ্যারাওরা অ্যাবিডোসের ধর্মীয় কেন্দ্রে একটি সাধারণ নকশায় নির্মিত এবং কাদামাটির ইটের আয়তাকার প্রাচীরে ঘেরা অন্ত্যেষ্টি চত্বর গড়ে তোলেন।[৪৩] আদি রাজবংশীয় যুগের পরে পুরনো রাজ্যের আমলে (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২৬৮৬-২১৮১ অব্দ) রাজকীয় অন্ত্যেষ্টি-স্মারকগুলির আকার বহুলাংশে বৃদ্ধি পেলেও দেবমন্দিরগুলির আকার তুলনামূলকভাবে ছোটোই থেকে যায়। এই বিষয়টিই ইঙ্গিত করে যে, এই যুগে দেবতাদের সরাসরি পূজা করার চেয়ে রাজার কাল্টের দিকে বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হত।[৪৪] সূর্যদেবতা রা প্রমুখ যে দেবদেবীরা রাজার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের মন্দির অন্যান্য দেবদেবীদের তুলনায় অধিকতর পরিমাণে রাজকীয় অনুদান লাভ করত।[৪৫] হেলিওপোলিসে রা-এর মন্দিরটি ছিল প্রকটি অন্যতম প্রধান ধর্মীয় কেন্দ্র। পুরনো রাজ্যের বেশ কয়েকজন ফ্যারাও তাঁদের পিরামিডের কাছেপিঠে রা-এর সম্মানে বড়ো বড়ো সূর্যমন্দির নির্মাণ করেছিলেন।[৪৬] ইতিমধ্যে ছোটো ছোটো প্রাদেশিক মন্দিরগুলিতে প্রাক্-রাজবংশীয় যুগ থেকে আহরিত বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় শৈলী রক্ষিত হয়েছিল, যার উপর রাজকীয় কাল্ট-কেন্দ্রগুলির কোনও প্রভাবই পড়েনি।[৪৭]

 
দ্জেদকারে ইসেসিতে পুরনো রাজ্যের আমলে নির্মিত পিরামিড মন্দিরের পুনর্নির্মাণ, নিচু জমির উপর নির্মিত উঁচু পথটি চলে গিয়েছে উপত্যকা মন্দিরের কাছে। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্বিংশ শতাব্দী।

দ্জোসেরের রাজত্বকালে অন্ত্যেষ্টি-স্মারকগুলির প্রসার শুরু হয়েছিল। দ্জোসের তাঁর চত্বরটি সম্পূর্ণ পাথর দিয়ে নির্মাণ করেছিলেন এবং চত্বরের প্রাচীরের মধ্যে একটি ধাপযুক্ত পিরামিড স্থাপন করেছিলেন। দ্জোসেরের পিরামিড নামে পরিচিত এই পিরামিডের তলাতেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। পুরনো রাজ্যের অবশিষ্ট সময়ে সুবিস্তৃত পাথরের পিরামিড চত্বরের মধ্যে সমাধি ও মন্দির নির্মিত হয়েছে লাগোয়াভাবে।[৪৮] প্রতিটি পিরামিড চত্বরের কাছে একটি করে শহর থাকত। সেই শহর থেকেই পিরামিড চত্বরের প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহ করা হত, ঠিক যেমনভাবে সমগ্র মিশরীয় ইতিহাস জুড়ে শহরগুলি মন্দিরগুলিকে রসদ জোগাত। স্নেফেরুর শাসনকালে অন্যান্য পরিবর্তনগুলি আসে। মেইদামে তাঁর নির্মিত প্রথম পিরামিডটির মাধ্যমে এই পরিবর্তনের সূচনা ঘটে। স্নেফেরা পিরামিড চত্বরগুলি নির্মাণ করতেন একটি পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা ধরে প্রতিসমরূপে। এই চত্বরগুলিতে নীল নদের পাড়ে একটি উপত্যকা মন্দিরের সঙ্গে পিরামিডের পাদদেশে অবস্থিত একটি পিরামিড মন্দিরের যোগসূত্র থাকত। স্নেফেরুর অব্যবহিত পরবর্তী উত্তরসূরিগণ এই নকশটি অনুসরণ করেছিলেন। কিন্তু পুরনো রাজ্যের শেষ ভাগের গোড়া থেকে পিরামিড চত্বরগুলিতে দ্জোসেরের অক্ষীয় পরিকল্পনা ও আয়তাকার পরিকল্পনার পরিবর্তে অন্য উপাদানগুলিও ফুটে উঠতে থাকে।[৪৯] পিরামিড চত্বরগুলিকে রসদ জোগানোর জন্য রাজারা সারা মিশর জুড়ে অনুন্নত জমিগুলিতে নতুন শহর ও কৃষিক্ষেত্র গড়ে তুলেছিলেন। এই সব জমিজমা থেকে উৎপাদিত দ্রব্য কেন্দ্রীয় সরকার ও তার মন্দিরগুলিকে রাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে সহায়তা করেছিল।[৫০]

মধ্য রাজ্যের (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২০৫৫-১৬৫০ অব্দ) শাসকেরা পিরামিড ও সেগুলির সঙ্গে যুক্ত চত্বর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যান।[৫১] এই সময়কার মন্দিরগুলির স্বল্প-প্রাপ্ত ধ্বংসাবশেষ গুলিতে দেখা যায় এগুলি মেদিনেত মাদির মন্দিরগুলির মতোই প্রতিসম রূপে গড়ে উঠত এবং দেবমন্দিরগুলি নির্মাণের ক্ষেত্রেও পাথরের ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পেয়েছিল। মধ্য রাজ্যের মন্দিরগুলিতে স্তম্ভযুক্ত একটি সভাগরের পিছনে একটি পূজাস্থানের নকশা প্রায়শই লক্ষিত হয়। কখনও কখনও দেখা যায় এই দুইয়ের সামনে তৈরি করা হয়েছিল উন্মুক্ত সভাঘর, যা পরবর্তীকালের প্রামাণ্য মন্দির নকশাটিকে ম্লান করে দেয়।[৫২]

নতুন রাজ্য সম্পাদনা

 
লাক্সার মন্দিরের প্রবেশপথের পাইলন। এটি নতুন রাজ্যের প্রধান মন্দিরগুলির অন্যতম। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্দশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী।[৫৩]

নতুন রাজ্যের (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫৫০-১০৭০ অব্দ) অধিকতর শক্তিমত্তা ও ধনবৈভবের যুগেও মিশর অধিকতর পরিমাণে মন্দিরগুলিতে সম্পদ দানের রীতিটি অব্যাহত রাখে। মন্দিরগুলিও এই সময় বৃহত্তর ও অধিকতর সুসজ্জিত আকার ধারণ করে।[৫৪] উচ্চ-পদমর্যাদাসম্পন্ন পুরোহিতেরা পর্যায়ানুক্রমিক দায়িত্বের পরিবর্তে স্থায়ী দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন এবং তাঁরা মিশরের সম্পদের একটি বৃহৎ অংশের নিয়ন্ত্রকে পরিণত হন। অ্যান্টনি স্পেলিংগারের মতে, মন্দিরগুলির প্রভাব প্রসার লাভ করলে একদা যে অনুষ্ঠানগুলি ছিল সম্পূর্ণতই গণ-উৎসব সেগুলি মন্দিরগুলির ক্রমে ক্রমে গুরুত্ব অর্জনকারী আচার-অনুষ্ঠানগুলির অঙ্গীভূত হতে শুরু করে।[৫৫] সেই সময় সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ দেবতা ছিলেন আমুন। তাঁর প্রধান কাল্ট কেন্দ্রটি ছিল থিবসের কারনাকে অবস্থিত আমুন-রের প্রাঙ্গণ। ক্রমে এটি মিশরের সর্ববৃহৎ মন্দিরে পরিণত হয় এবং এখানকার উচ্চ-পুরোহিতরা সম্ভবত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন।[৫৬]

এই সময় অনেক মন্দিরই সম্পূর্ণ পাথর দিয়ে তৈরি হয়। গর্ভমন্দির, সভাকক্ষ, অঙ্গন এবং উৎসব-শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত পথের অভিমুখী পাইলন প্রবেশদ্বার নিয়ে গঠিত এই সব মন্দিরের সাধারণ নকশাও স্থিরীকৃত হয়ে যায়। নতুন রাজ্যের ফ্যারাওরা পিরামিডগুলিকে অন্ত্যেষ্টি-স্মৃতিসৌধ হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন এবং তাঁদের সমাধিগুলিকে তাঁদের শবাধার মন্দিরগুলি থেকে অনেকটাই দূরে স্থাপন করতে শুরু করেন। আশেপাশে পিরামিড না থাকলেও শবাধার মন্দিরগুলি দেবমন্দিরগুলির একই নকশা ব্যবহার করতে শুরু করে।[৫৭]

নতুন রাজ্যের মধ্যভাগে ফ্যারাও আখেনাতেন আতেনকে সকল দেবতার ঊর্ধ্বে স্থান দেন এবং তারপর ধীরে ধীরে অপর অধিকাংশ দেবতারই প্রাতিষ্ঠানিক পূজা বন্ধ করে দেন। এই সময় একদিকে প্রথাগত মন্দিরগুলি অবহেলিত হতে থাকে, অন্যদিকে নকশা ও নির্মাণকৌশলের দিক থেকে সুস্পষ্টভাবে পৃথক আতেনের নতুন মন্দিরসমূহ নির্মিত হয়। কিন্তু আখেনাতেনের মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই তাঁর এই বিপ্লবের বিপরীত অভিমুখে ঘুরে যায়। প্রথাগত কাল্টগুলিকে পুনর্বহাল করা হয় এবং নতুন মন্দিরগুলিকে অঙ্গহীন করে ফেলা হয়। পরবর্তীকালের ফ্যারাওরাও মন্দিরগুলিতে অধিকতর দানধ্যানের প্রথাটি বজায় রাখেন। এই ব্যাপারে দ্বিতীয় রামেসিসের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনিই ছিলেন মিশরীয় ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক স্মারক-নির্মাতা।[৫৪] পুরোহিতবর্গের সম্পত্তি বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে তাঁদের ধর্মীয় প্রভাবও বৃদ্ধি পায়। মন্দিরে দৈববাণী প্রকাশের স্থানগুলি পুরোহিতেরাই নিয়ন্ত্রণ করতেন। এগুলি সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি হিসেবে উত্তরোত্তর জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে।[৫৮] ফ্যারাওদের ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে। খ্রিস্টপূর্ব একাদশ শতাব্দীতে সামরিক নেতা হেরিহোর নিজেকে আমুনের উচ্চ-পুরোহিতউচ্চ মিশরের কার্যত শাসক ঘোষণা করেন। এর দলে তৃতীয় অন্তর্বর্তী পর্যায়ের (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১০৭০-৬৬৪ অব্দ) রাজনৈতিক খণ্ডায়ন শুরু হয়ে যায়।[৫৯]

নতুন রাজ্যের পতন ঘটলে শবাগার মন্দির নির্মাণ সেই যে বন্ধ হয়ে যায়, আর কোনওদিনই তার পুনরাবির্ভাব ঘটেনি।[৬০] তৃতীয় অন্তর্বর্তী পর্যায়ে তানিসের ন্যায় কোনও কোনও শাসককে[৬১] দেবমন্দির চত্বরেই সমাহিত করা হয়েছিল। এইভাবেই মন্দির ও সমাধির ঘনিষ্ঠ যোগসূত্রটি রক্ষিত হয়।[৬২]

অন্তিম পর্ব সম্পাদনা

তৃতীয় অন্তর্বর্তী পর্যায় এবং তার ঠিক পরবর্তী পর্যায়ে (খ্রিস্টপূর্ব ৬৬৪-৩২৩ অব্দ) দুর্বল হয়ে পড়া মিশরীয় রাজ্য পর পর বিভিন্ন বহিরাগত শক্তির হাতে পর্যুদস্ত হয়। এই সময় মধ্যে মধ্যে স্বল্প সময়ের জন্যই মিশর স্বাধীনতা লাভ করেছিল। এই সব বিদেশি শাসকবর্গের অনেকেই মিশরের রাজপদে তাঁদের দাবিকে শক্তিশালী করার জন্য মন্দিরে অর্থ দান করেছিলেন ও মন্দিরের বিস্তার ঘটিয়েছিলেন।[৬৩] এমনই একটি গোষ্ঠী ছিল খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম ও সপ্তম শতাব্দীর কুশীয় ফ্যারাওগণ। তাঁর মিশরীয় মন্দির স্থাপত্যের শৈলীটিকে তাঁর স্বদেশ নুবিয়ায় অভিযোজিত করে এবং সেই সঙ্গে পরিশীলিত নুবীয় মন্দির স্থাপত্যের দীর্ঘ প্রথাটির সূত্রপাত ঘটে।[৬৪] এই গোলমালের মধ্যে বিভিন্ন মন্দিরের সৌভাগ্যের দিনের সমাপ্তি ঘটে এবং যাজকবর্গের স্থানবদল ঘটে। আমুনের পুরোহিবর্গের স্বাধীনতা খণ্ডিত হয়। কিন্তু সাধারণভাবে পুরোহিতবর্গের ক্ষমতা অক্ষতই থেকে যায়।[৬৩]

 
দেনদেরা মন্দির চত্বরে রোমান যুগের মাম্মিসি। খ্রিস্টীয় প্রথম থেকে দ্বিতীয় শতাব্দী।[৬৫]

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও মিশরীয় মন্দিরশৈলী অধিকতর বিদেশি প্রভাব আত্মীকরণ ব্যতিরেকেই বিবর্তিত হতে থাকে।[৬৬] যেখানে পূর্ববর্তী মন্দির ভবনগুলি অধিকাংশ স্থলেও পুরুষ দেবতা-কেন্দ্রিক ছিল, সেখানে অন্তিম পর্যায়ে উপনীত হয়ে দেবী ও শিশুদেবতার প্রাধান্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ভবিষ্যদ্বাণী কথনা, পশু কাল্ট ও প্রার্থনার ন্যায় জনপ্রিয় ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপের দিকে মন্দিরগুলি অধিক পরিমাণে গুরুত্ব আরোপ করে।[৬৭] প্রবেশদ্বারের সামনে শামিয়ায়ান ঢাকা ছোটো দোকান, অধিকতর পরিমাণে অলংকৃত স্তম্ভ শৈলী এবং দেবতার পৌরাণিক জন্মোৎসব পালনের জন্য নির্মিত মাম্মিসি নামক ভবন ইত্যাদির ন্যায় নতুন নতুন স্থাপত্যশৈলীর বিকাশ ঘটতে থাকে।[৬৮] যদিও পরবর্তীকালীন মন্দিরশৈলীর বৈশিষ্ট্যগুলি স্থানীয় শাসকবর্গের শেষ আমল থেকেই বিকাশ লাভ করতে শুরু করেছিল, তবু এই মন্দিরগুলির অধিকাংশ উদাহরণই টলেমীয় যুগের, যে সময় প্রায় ৩০০ বছর ধরে গ্রিক রাজারা ফ্যারাও হিসেবে মিশর শাসন করেছিলেন।[৬৯]

খ্রিস্টপূর্ব ৩০ অব্দে রোম টলেমীয় রাজ্য জয় করে নিলে রোমান সম্রাটগণ শাসক ও মন্দিরের পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকাটি গ্রহণ করেন[৭০] এবং মন্দির সম্পত্তি ও রাজনৈতিক ক্ষমতা খর্ব করেন।[৭১] রোমান মিশরের অনেক মন্দিরই মিশরীয় শৈলীতেই নির্মিত হয়েছিল।[৭২] অন্যগুলি নির্মিত হয়েছিল রোমান স্থাপত্যশৈলী থেকে উদ্ভূত একটি রীতিতে। এই জাতীয় মন্দিরগুলির মধ্যে কয়েকটি মিশরীয় দেবতাদের প্রতিও উৎসর্গিত হয়, যার অন্যতম উদাহরণ রাস এল-সোদায় আইসিসের মন্দিরটি।[৭৩]

খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দী পর্যন্ত মিশরে মন্দির নির্মাণের কাজ অব্যাহত ছিল।[৭৪] তৃতীয় শতাব্দীর সংকটকালে সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়লে মন্দির কাল্টগুলির প্রতি রাজকীয় অনুদান সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রায় সকল প্রকার মন্দির নির্মাণ ও সাজসজ্জার কাজও বন্ধ হয়ে যায়।[৭৫] কোনও কোনও ধর্মস্থানে কাল্ট-সংক্রান্ত ক্রিয়াকলাপ চলতে থাকে আশেপাশের অধিবাসীদের আর্থিক সাহায্য ও স্বেচ্ছাশ্রমে এবং এই ধরনের সহায়তার উপর নির্ভরশীলতাও ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।[৭৬] পরবর্তী শতাব্দীগুলিতে খ্রিস্টান সম্রাটেরা ক্রমাগত পৌত্তলিক কাল্ট ও মন্দিরগুলির প্রতিকূল অধ্যাদেশ জারি করতে থাকেন।[৭৭] কিছু খ্রিস্টান মন্দিরগুলিকে আক্রমণ ও ধ্বংস করেন। যেমন, ৩৯১ বা ৩৯২ খ্রিস্টাব্দে সেরাপিয়ামআলেকজান্দ্রিয়ার অন্যান্য মন্দিরগুলি লুণ্ঠন করা হয়।[৭৮][৭৯] এইভাবে খ্রিস্টানদের নিপীড়ন ও অর্থাভাব দুইয়ের চাপে বিভিন্ন সময় মন্দিরগুলি অকার্যকর হয়ে পড়ে। সর্বশেষ মন্দির কাল্টগুলি অবলুপ্ত হয়েছিল খ্রিস্টীয় চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে। যদিও সেখানে নিয়মিত অনুষ্ঠানাদি বন্ধ হয়ে যাওয়ার বহুকাল পরেও হয়তো স্থানীয়রা সেই সব মন্দিরের কোনও কোনওটিতে পূজা দিতে যেত।[৮০][Note ৩]

নির্মাণকার্য সম্পাদনা

 
খাফ্রের উপত্যকা মন্দিরের দেওয়ালে পাথরের নির্মাণকাজ। খ্রিস্টপূর্ব ষড়বিংশ শতাব্দী।
 
আবু সিমবেলের বৃহৎ মন্দিরের একটি পাথর কেটে নির্মাণ করা কক্ষ। খ্রিস্টপূর্ব ত্রয়োদশ শতাব্দী।

সমগ্র উচ্চনিম্ন মিশর ছাড়াও সুদূর পশ্চিমে সিওয়ায় লিবীয় মরুভূমিতে মিশরীয় নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকা মরুদ্যানগুলিতে এবং সিনাই উপদ্বীপে তিমনা ইত্যাদি দূরবর্তী উপনিবেশগুলিতে মন্দির নির্মিত হয়েছিল। নুবিয়া যখন মিশরের অধীনস্থ ছিল তখন মিশরীয় শাসকেরা সেই অঞ্চলে দক্ষিণে জেবেল বারকেল পর্যন্ত মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।[৮৪] অধিকাংশ মিশরীয় শহরেই একটি করে মন্দির ছিল।[৮৫] কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে ইতিপূর্বে জনশূন্য জমিতেও নতুন মন্দির গড়ে তোলা হয়েছিল। শবাগার মন্দিরগুলি অথবা নুবিয়ার মন্দিরগুলি এই শ্রেণির মন্দিরের উদাহরণ।[৩০] মন্দির-নির্মাণের স্থানটিকে প্রায়শই ধর্মীয় কারণে বেছে নেওয়া হত। উদাহরণস্বরূপ, দেবতার পুরাণ-কথিত জন্মস্থান বা সমাধিস্থলে মন্দির নির্মিত হত। মন্দিরের অক্ষও অনেক ক্ষেত্রে ধর্মীয় গুরুত্বসম্পন্ন স্থানের সঙ্গে এক সারিতে নির্মিত হত। যেমন, কোনও প্রতিবেশী মন্দির অথবা সূর্য বা নির্দিষ্ট তারার উদয়স্থানে নির্মিত মন্দিরসমূহ। উদাহরণস্বরূপ, আবু সিমবেলের মহামন্দিরটি এমনভাবে নির্মিত হয়েছিল যাতে বছরে দুই বার উদীয়মান সূর্যের আলোয় মন্দিরের সর্ব-অভ্যন্তরীণ কক্ষে বিরাজিত দেবমূর্তিগুলি আলোকিত হয়ে উঠতে পারে। অধিকাংশ মন্দিরই মোটামুটিভাবে পূর্ব-পশ্চিমে শায়িত একটি অক্ষে নীল নদের সঙ্গে এক সারিতে নির্মিত হয়েছিল।[৮৬][Note ৪]

নির্মাণকার্য শুরু আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের একগুচ্ছ আচার-অনুষ্ঠান বিস্তারিতভাবে পালন করা হত। নির্মাণকার্য শেষ হওয়ার পর আরও এক প্রস্থ আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্দিরটিকে তার অভিভাবক দেবতার প্রতি উৎসর্গ করা হত। এই আচারগুলি রাজার ধর্মীয় কর্তব্যের অংশ হিসেবে অন্তত তাত্ত্বিকভাবে হলেও রাজার দ্বারাই পালিত হত। মিশরীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সকল মন্দির নির্মাণ ছিল প্রতীকীভাবে রাজারই কীর্তি।[৮৭] বাস্তবে অবশ্য বাধ্যতামূলক শ্রমদানের নিয়মে বাঁধা শত শত সাধারণ প্রজা এই সকল মন্দির নির্মাণ করত।[৮৮] নতুন মন্দিরের নির্মাণ অথবা ইতিমধ্যে নির্মিত মন্দিরে প্রধান কোনও সংযোজনের কাজ কখনও কখনও বেশ কয়েক বছর অথবা কয়েক দশক ধরে চলত।[৮৯]

মিশরে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি তৈরি হত কাদামাটির ইটে। সেখানে মন্দির নির্মাণে পাথরের ব্যবহার করা হত দেবতার চিরন্তন বাসভবন হিসেবে সেগুলির গুরুত্ব ও নশ্বর মানুষের আবাসস্থলের থেকে তার পার্থক্যটির উপর জোর দেওয়ার জন্য।[৯০] প্রথম যুগের মন্দিরগুলি নির্মিত হয়েছিল ইট ও অন্যান্য পচনশীল পদার্থে। এছাড়াও মিশরের সমগ্র ইতিহাস জুড়ে মন্দির ক্ষেত্রের অধিকাংশ প্রান্তবর্তী ভবনও ইট দিয়েই তৈরি হয়েছিল।[৯১] মন্দির নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত হত প্রধানত চুনাপাথরবেলেপাথর। মিশরে এই দুই ধরনের পাথর প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। গ্র্যানাইট প্রভৃতি যে সব পাথর অধিকতর শক্ত ও যেগুলিতে খোদাইকার্য করা অধিকতর কঠিন, সেগুলি ওবেলিস্কের মতো স্বতন্ত্র উপাদানগুলিতে অল্প পরিমাণে ব্যবহৃত হত।[৯২] এই সব পাথর স্থানীয়ভাবেই আহরণ করা হত অথবা অন্যান্য স্থান থেকে নীল নদে জাহাজে করে নিয়ে আসা হত।[৯৩]

বালি-ভর্তি গর্তের মধ্যে স্থাপিত প্রস্তরখণ্ডের উপর মন্দিরের কাঠামো নির্মাণ করা হত।[৯৪] অধিকাংশ যুগেই বিভিন্ন আকারের বড়ো ও নিরেট টুকরোগুলি দিয়ে প্রাচীর ও অন্যান্য স্থাপনাগুলি নির্মাণ করা হত।[৯৫][Note ৫] টুকরোগুলিকে স্তরে স্তরে এবং সচরাচর ক্ষেত্রে চুনসুড়কির গাঁথনি ছাড়াই বিন্যস্ত করা হত। প্রতিটি পাথরকে পাশের পাথরটির সঙ্গে মানানসই আকারে কাটা হত। এর ফলে পরস্পরের সঙ্গে আবদ্ধ ঘনক্ষেত্রাকার টুকরো সৃষ্টি হত।[৯৭] দেওয়ালের অভ্যন্তরভাগ অবশ্য বিশেষ যত্ন সহকারে তৈরি করা হয়। এগুলির উপাদান ছিল সচরাচর ক্ষেত্রে অনেক বেশি এবড়োখেবড়ো ও নিকৃষ্ট মানের পাথর।[৯৮] ভূপৃষ্ঠতলের উপর নির্মাণটিকে গড়ে তুলতে মজুরেরা কাদা, ইট ও এবড়োখেবড়ো পাথরের মতো বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে নির্মাণকালীন ঢালু পথ গড়ে তুলত।[৯৯] নিরেট পাথর কেটে কক্ষ নির্মাণের সময় মজুরেরা উপর থেকে খনন করে, সিলিং-এর কাছে একটি ক্রলস্পেস খোদাই করে এবং কেটে মেঝেতে নামাত।[১০০] মন্দির-কাঠামো নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হলে পাথরের অমসৃণ অংশগুলি ঘষে মেজে মসৃণ করে তোলা হত। উপরিতলের সাজসজ্জার জন্য পাথরে খোদাইচিত্র অঙ্কন করা হত অথবা পাথর খোদাইকর্মের উপযুক্ত মান সম্মত না হলে পাথরের তলটিকে ঢেকে দেওয়া হত পলেস্তরা দিয়ে।[১০১] তারপর খোদাইচিত্রগুলিকে সজ্জিত করা হত গিলটি, ইনলে অথবা রং দিয়ে।[১০২] সচরাচর ক্ষেত্রে রংগুলি ছিল কোনও আঠালো ধরনের (সম্ভবত প্রাকৃতিক গঁদ) খনিজ রঞ্জক পদার্থের মিশ্রণ।[১০১]

মূল নকশার কাজ শেষ হয়ে গেলেও মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হত না। ফ্যারাওরা প্রায়শই ক্ষয়প্রাপ্ত মন্দির কাঠামোগুলি পুনর্নির্মাণ বা প্রতিস্থাপনের কাজ অথবা যে মন্দিরগুলি সক্রিয় থাকত সেগুলিতে নতুন কিছু সংযোজনের কাজ করতেন। এই ধরনের সংযোজনের সময় তাঁরা প্রায়শই পুরনো মন্দির ভবনগুলির অংশ খুলে নিয়ে নতুন ভবনের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার কাজে ব্যবহার করতেন। খুব কম ক্ষেত্রেই এর কারণ ছিল পুরনো ভবন বা তার নির্মাতাদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধর্মচ্যূত ঘোষণা করা হয়েছিল। আখেনাতেনের মন্দিরগুলির ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে। কিন্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর কারণ ছিল উপাদানের সহজপ্রাপ্যতা। এই ধরনের বিস্তারণা ও অঙ্গহানি মূল মন্দির নকশটির বেশ খানিকটা বিকৃতি ঘটাতো। কারনাকে আমুন-রে-র বিশাল প্রাঙ্গনটির ক্ষেত্রে এই ঘটনাই ঘটেছিল। এই মন্দির চত্বরে দু’টি পরস্পরছেদী অক্ষ এবং বেশ কয়েকটি অপ্রধান মন্দির গড়ে উঠেছিল।[১০৩]

নকশা ও অলংকরণ সম্পাদনা

 
অপ্রধান বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসাবশেষ বেষ্টিত অবস্থায় তৃতীয় রামেসিসের মন্দির, মেদিনেত হাবু। খ্রিস্টপূর্ব দ্বাদশ শতাব্দী।

অভ্যন্তরীণ কক্ষসমূহ সম্পাদনা

 
এডফুর মন্দিরের সেলায় অবস্থিত পূজাস্থান। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ থেকে তৃতীয় শতাব্দী।[১০৪]

সভাকক্ষ ও দরবার সম্পাদনা

 
এসনা মন্দিরের হাইপোস্টাইল হল। খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দী।[১০৫]

প্রাচীরবেষ্টনী সম্পাদনা

 
রামেসিয়ামে ইটের গুদামঘর। খ্রিস্টপূর্ব ত্রয়োদশ শতাব্দী।

অলংকরণ সম্পাদনা

 
কারনাকে খোনসুর মন্দিরে খোদাইচিত্র। খ্রিস্টপূর্ব দ্বাদশ শতাব্দী।

কর্মচারীবৃন্দ সম্পাদনা

 
প্যাপিরাসে আঁকা ছবিতে পুরোহিতের ধূপ উৎসর্গের দৃশ্য। খ্রিস্টপূর্ব দশম শতাব্দী।

ধর্মীয় কার্যকলাপ সম্পাদনা

দৈনন্দিন আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদনা

 
লাক্সার মন্দিরের খোদাইচিত্রে বিভিন্ন ধরনের পূজা-উৎসর্গরত তৃতীয় আমেনহোটেপের চিত্র। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্দশ শতাব্দী।

উৎসব সম্পাদনা

 
রামেসিয়ামের একটি খোদাইচিত্রে উৎসবের ডিঙি নৌকা বহন করে নিয়ে যাওয়া পুরোহিতদের ছবি। খ্রিস্টপূর্ব ত্রয়োদশ শতাব্দী।

পবিত্র পশু সম্পাদনা

 
আপসিস, শবাধারে চিত্রিত। খ্রিস্টপূর্ব একাদশ থেকে দশম শতাব্দী।

ওর‍্যাকল সম্পাদনা

জনপ্রিয় পূজা সম্পাদনা

 
ওসাইরিসের মূর্তি সহ একটি পূজাস্থান উৎসর্গরত পুরুষের মানতসিদ্ধিমূলক মূর্তি। খ্রিস্টপূর্ব ত্রয়োদশ থেকে একাদশ শতাব্দী।

পরিত্যক্ত হওয়ার পর সম্পাদনা

 
কারনাকের নবম পাইলনের (খ্রিস্টপূর্ব চতুর্দশ শতাব্দী) পুনর্নির্মাণের কাজ, এখান থেকেই আমারনা পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ তালাতাত ব্লকগুলি বের করা হয়েছিল।[১০৬]

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. উলফগ্যাং হেলক ও দিয়েত্রিশ উইল্ডাং প্রমুখ অনেক মিশরতত্ত্ববিদ মনে করেন যে, মিশরীয়রা তাঁদের রাজাদের দেবতা বলে জ্ঞান করত না। তা সত্ত্বেও সরকারি নথিপত্রে অর্থাৎ রাজসভা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের লেখালিখিতে ক্রমাগত রাজার দেবত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হত। তাই সাধারণ মিশরীয়রা যাই ভাবুক না কেন, মিশরীয় মন্দিরের ভাবাদর্শে রাজার দৈব প্রকৃতিটিই প্রাধান্য পেত।[৭]
  2. প্রায়শই "বহু লক্ষ বছরের অট্টালিকা" শব্দবন্ধটিকে শবাগার মন্দিরের মিশরীয় প্রতিশব্দ বলে ধরা হয়। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই মিশরীয়রা এমন কিছু পবিত্র ভবনের অভিধা হিসেবে এই শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছে যেগুলি সাধারণভাবে "শবাগার" বলে পরিগণিত হয় না। যেমন, লাক্সার মন্দির ও কারনাকে তৃতীয় থুতমোসের উৎসব সভাগৃহ[১৬] প্যাট্রিশিয়া স্পেনসারের মতে, যে মন্দিরেই রাজার কাল্ট পালিত হত, সেই মন্দিরটিকেই এই নামে চিহ্নিত করা হত। তা সে মন্দিরটি প্রাথমিকভাবে কোনও অঞ্চলের প্রধান দেবতার মন্দির হলেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হত না।[১৭]
  3. খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে বা তারও আগে অনেক মন্দিরই পরিত্যক্ত হয়েছিল। তা সত্ত্বেও প্যাপিরাস লিপিগুলিতে পুরোহিতদের উল্লেখ দৃষ্টে বোঝা যায় যে, অন্ততপক্ষে ৩৩০-এর দশক অবধি কোনও কোনও কাল্টের অস্তিত্ব বজায় ছিল।[৮১] মিশর ও নুবিয়ার দক্ষিণ সীমান্ত অঞ্চলে ফিলাইতে আইসিসের মন্দিরটি ছিল সর্বশেষ সম্পূর্ণ সক্রিয় মন্দির। প্রোকোপিয়াসের রচনার ভিত্তিতে প্রথাগতভাবে গবেষকরা মনে করতেন যে, ৫৩৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম জাস্টিনিয়ানের নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক অভিযানের সময় এটি বন্ধ হয়ে যায়। জিৎসে দিজক্সত্রা অবশ্য মনে করেন, মন্দিরটি বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে প্রোকোপিয়াসের বিবরণটি যথাযথ নয় এবং সেখানে নিয়মিত ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়েছিল মন্দিরে উৎকীর্ণ লিপিতে পাওয়া শেষ তারিখটির অব্যবহিত পরেই, অর্থাত ৪৫৬ বা ৪৫৭ খ্রিস্টাব্দে।[৮২] ইউজিন ক্রুজ-ইউরিবে মনে করেন যে, খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দী ও ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথম ভাগে মন্দিরটি বেশিরভাগ সময় খালিই থাকত। কিন্তু ষষ্ঠ শতাব্দীর একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্থানীয় নুবীয় অধিবাসীরা সেখানে পর্যায়কালীন উৎসবগুলির আয়োজন করত।[৮৩]
  4. নীল নদের স্বাভাবিক প্রবাহ উত্তর-দক্ষিণে এবং অক্ষটি ৯০ ডিগ্রি কোণে বিন্যস্ত হওয়ায় নীল নদের প্রবাহপথের অসমতার অর্থ ছিল দিকনির্দেশ সব ক্ষেত্রে প্রকৃত দিক অনুযায়ী হত না।[৮৬]
  5. প্রথম দিকের পাথরের নির্মাণগুলির ক্ষেত্রে মিশরীয়রা কাদামাটির ইটের আকৃতির ছোটো ছোটো টুকরো ব্যবহার করেছিল। বড়ো টুকরো অন্য সকল যুগেরই সাধারণ বৈশিষ্ট্য। শুধুমাত্র আমারনা পর্যায়ে সম্ভবত দ্রুত গতিতে নির্মাণকার্য শেষ করার উদ্দেশ্যে আতেনের মন্দিরগুলি ছোটো ছোটো প্রমাণ আকারের তালাতাত টুকরো দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।[৯৫] টলেমীয় ও রোমান যুগের মন্দিরগুলি নিয়মিত স্তরেই নির্মিত হয়েছিল। প্রত্যেক স্তরে টুকরোগুলিকে একই উচ্চতায় কাটা হত।[৯৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

সূত্র নির্দেশ সম্পাদনা

  1. আর্নল্ড ১৯৯৯, পৃ. ১১৯, ১৬২, ২২১।
  2. স্পেনসার ১৯৮৪, পৃ. ২২, ৪৩।
  3. স্নেপ ১৯৯৬, পৃ. ৯।
  4. ডুনান্ড ও জিভি-কোচ ২০০৪, পৃ. ৮৯–৯১।
  5. অ্যাজমান ২০০১, পৃ. ৪
  6. শেফার ১৯৯৭, পৃ. ১–২।
  7. হিনি ১৯৯৭, পৃ. ১২৬, ২৮১।
  8. শেফার ১৯৯৭, পৃ. ৩।
  9. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ৮, ৮৬।
  10. ডুনান্ড ও জিভি-কোচ ২০০৪, পৃ. ১০৩, ১১১–১১২।
  11. মিকস ও ফাভার্ড-মিকস ১৯৯৬, পৃ. ১২৬–১২৮।
  12. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ৮২।
  13. টিটার ২০০১, পৃ. ৩৪০।
  14. রেমন্ড ১৯৬৯, পৃ. ৩২৩–৩২৭।
  15. অ্যাজমান ২০০১, পৃ. ১৯–২৫।
  16. হিনি ১৯৯৭, পৃ. ৮৯–১০২।
  17. স্পেনসার ১৯৮৪, পৃ. ২৫।
  18. শেফার ১৯৯৭, পৃ. ৩–৪।
  19. কার্ক ১৯৯৭বি, পৃ. ৪৬।
  20. হিনি ১৯৯৭, পৃ. ১২৩–১২৬।
  21. শেফার ১৯৯৭, পৃ. ২–৩।
  22. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ৯০–৯৩
  23. স্পেনসার ১৯৮৪, পৃ. ১৭।
  24. সনেরন ২০০০, পৃ. ৫২–৫৩।
  25. কাটারি ২০১১, পৃ. ৭–৮
  26. হ্যারিং ১৯৯৭, পৃ. ১৪২–১৪৩।
  27. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ৮৮।
  28. হ্যারিং ১৯৯৭, পৃ. ৩৭২–৩৭৯।
  29. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ৫০, ৭৫।
  30. কেম্প ১৯৭৩, পৃ. ৬৬১, ৬৬৬–৬৬৭।
  31. কাটারি ২০১১, পৃ. ৪–৭।
  32. হ্যারিং ১৯৯৭, পৃ. ৩৯৫।
  33. হ্যারিং ১৯৯৭, পৃ. ৩৯২–৩৯৫
  34. কার্ক ২০০১, পৃ. ১৬৮।
  35. হ্যারিং ১৯৯৭, পৃ. ৩৮৯, ৩৯৪–৩৯৬।
  36. সনেরন ২০০০, পৃ. ১৬৯–১৭০, ১৮২।
  37. কেম্প ২০০৬, পৃ. ২৯৭–২৯৯।
  38. মোনসন ২০১২, পৃ. ১৩৬–১৪১।
  39. ফ্র্যাংকফার্টার ১৯৯৮, পৃ. ২৭, ১৪৩
  40. ব্যাগনাল ১৯৯৩, পৃ. ২৬৬–২৬৭।
  41. ভারনার ২০১৩, পৃ. ৫১১–৫১৫।
  42. স্নেপ ১৯৯৬, পৃ. ১৫–১৭।
  43. আর্নল্ড ১৯৯৭, পৃ. ৩২, ২৫৮।
  44. ডুনান্ড ও জিভি-কোচ ২০০৪, পৃ. ৭৮।
  45. গোয়েডিকে ১৯৭৮, পৃ. ১২১–১২৪।
  46. কার্ক ২০০১, পৃ. ৮৪–৯০।
  47. কেম্প ২০০৬, পৃ. ১১৩–১১৪, ১৩৪–১৩৫।
  48. কার্ক ২০০১, পৃ. ১১৮–১১৯।
  49. লেহনার ১৯৯৭, পৃ. ১৮–১৯, ২৩০–২৩১।
  50. লেহনার ১৯৯৭, পৃ. ২২৮–২২৯।
  51. লেহনার ১৯৯৭, পৃ. ১৫।
  52. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ২২–২৩।
  53. বেল ১৯৯৭, পৃ. ১৪৪, ১৪৭।
  54. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ২৪–২৫।
  55. স্পেলিংগার ১৯৯৮, পৃ. ২৪৫, ২৪৭–২৪৯।
  56. সনেরন ২০০০, পৃ. ৫২, ১৭৪–১৭৬।
  57. স্নেপ ১৯৯৬, পৃ. ২৯–৩৩, ৪১।
  58. সনেরন ২০০০, পৃ. ১৮২–১৮৩।
  59. কেম্প ২০০৬, পৃ. ২৯৯–৩০০।
  60. আর্নল্ড ১৯৯৯, পৃ. ২৮।
  61. ভার্নার ২০১৩, পৃ. ৩৩৪–৩৪১।
  62. গান্ডল্যাক ২০০১, পৃ. ৩৭৯।
  63. সনেরন ২০০০, পৃ. ১৮৩–১৮৪।
  64. আর্নল্ড ১৯৯৯, পৃ. ৪৬, ৩০৮।
  65. আর্নল্ড ১৯৯৯, পৃ. ২৫৬–২৫৭।
  66. ফিনস্ট্যাড ১৯৯৭, পৃ. ১৮৮–১৮৯।
  67. আর্নল্ড ১৯৯৯, পৃ. ৬৫, ৩০৮।
  68. আর্নল্ড ১৯৯৯, পৃ. ২৮১–২৮৬, ২৯৮।
  69. আর্নল্ড ১৯৯৯, পৃ. ১৪৩–১৪৪।
  70. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ২৭।
  71. ফ্র্যাংকফার্টার ১৯৯৮, পৃ. ১৯৮–১৯৯।
  72. আর্নল্ড ১৯৯৯, পৃ. ২২৬।
  73. নেরেবাউট ২০০৭, পৃ. ৫২৪–৫২৯, ৫৪৫–৫৪৭।
  74. মোনসন ২০১২, পৃ. ২২৭।
  75. ব্যাগনাল ১৯৯৩, পৃ. ২৬১, ২৬৭–২৬৮।
  76. ফ্র্যাংকফার্টার ১৯৯৮, পৃ. ৭২–৭৬।
  77. লাভান ২০১১, পৃ. বাইশ–চব্বিশ।
  78. হান, এমেল এবং গটার ২০০৮, পৃ. ৩–৫।
  79. হান ২০০৮, পৃ. ৩৪৪, ৩৫৩।
  80. দিজক্সস্ত্রা ২০১১, পৃ. ৩৯৮–৪০৯, ৪২৩–৪২৫।
  81. ব্যাগনাল ১৯৯৩, পৃ. ২৬১–২৬৭।
  82. দিজক্সাত্রা ২০১১, পৃ. ৪২১–৪৩০।
  83. ক্রুজ-ইউরিবে ২০১০, পৃ. ৫০৫–৫০৬।
  84. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ১০০, ২৩৩, ২৩৪।
  85. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ১৬।
  86. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ৩৬–৩৭, ২২৬।
  87. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ৩৮।
  88. আর্নল্ড ১৯৯১, পৃ. ৪।
  89. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ৪৩–৪৪।
  90. অ্যাজমান ২০০১, পৃ. ৩০।
  91. Wilkinson 2000, পৃ. 19, 42।
  92. আর্নল্ড ১৯৯১, পৃ. ২৭, ৩৬।
  93. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ৪০।
  94. আর্নল্ড ১৯৯১, পৃ. ১০৯–১১৩।
  95. আর্নল্ড ১৯৯১, পৃ. ১২০–১২২।
  96. আর্নল্ড ১৯৯৯, পৃ. ১৪৪–১৪৫।
  97. আর্নল্ড ১৯৯১, পৃ. ১১৫–১২২।
  98. আর্নল্ড ১৯৯১, পৃ. ১৪৮।
  99. আর্নল্ড ১৯৯১, পৃ. ৮০–৮১, ৮৬।
  100. আর্নল্ড ১৯৯১, পৃ. ২১৩।
  101. রবিনস ১৯৮৬, পৃ. ২০–২৫।
  102. আপহিল ১৯৭৩, পৃ. ৭৩০–৭৩১।
  103. ডুনান্ড ও জিভি-কোচ ২০০৪, পৃ. ৭৭–৭৯।
  104. আর্নল্ড ১৯৯৯, পৃ. ১৬৯–১৭১।
  105. আর্নল্ড ১৯৯৯, পৃ. ২৫১।
  106. উইলকিনসন ২০০০, পৃ. ১৬১, ২৪০–২৪২।

উল্লেখপঞ্জি সম্পাদনা

  • আর্নল্ড, ডায়টার (১৯৯১)। বিল্ডিং ইন ইজিপ্ট: ফ্যারাওনিক স্টোন ম্যাসনরি [মিশরের ভবন: ফ্যারাওদের প্রস্তর শিল্পকার্য]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-511374-7 
  • আর্নল্ড, ডায়টার (১৯৯৭)। "রয়্যাল কাল্ট কমপ্লেক্স অফ দি ওল্ড অ্যান্ড মিডল কিংডম [পুরনো ও মধ্য রাজ্যের রাজকীয় কাল্ট চত্বর]"। শেফার, বায়রন ই.। টেম্পলফ অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [প্রাচীন মিশরের মন্দির]। কর্নেল ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 31–85আইএসবিএন 978-0-8014-3399-3 
  • আর্নল্ড, ডায়টার (১৯৯৯)। টেম্পলস অফ দ্য লাস্ট ফ্যারাওজ [শেষ ফ্যারাওগণের মন্দিরসমূহ]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-512633-4 
  • আর্নল্ড, ডায়টার (২০০১)। "আর্কিটেকচার [স্থাপত্য]"। রেডফোর্ড, ডোনাল্ড বি.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [অক্সফোর্ড প্রাচীন মিশর কোষ]। । অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১১৩–১২৫। আইএসবিএন 978-0-19-510234-5 
  • আর্নল্ড, ডায়টার (২০০৩) [জার্মান সংস্করণ ১৯৯৪]। দি এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট ইজিপশিয়ান আর্কিটেকচার [প্রাচীন মিশরীয় স্থাপত্য কোষ]। সাবিন এইচ. গার্ডিনার ও হেলেন স্ট্রাডউইক কর্তৃক অনূদিত। নাইজেল ও হেলেন স্ট্রাডউইক কর্তৃক সম্পাদিত। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-691-11488-0 
  • অ্যাজমান, জান (২০০১) [জার্মান সংস্ক্ররণ ১৯৮৪]। দ্য সার্চ ফর গড ইন এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [প্রাচীন মিশরে দেবতার সন্ধানে]। ডেভিড লর্টন কর্তৃক অনূদিত। কর্নেল ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8014-3786-1 
  • ব্যাগনাল, রজার এস. (১৯৯৩)। ইজিপ্ট ইন লেট অ্যান্টিকুইটি [প্রাচীন যুগের শেষভাগে মিশর]। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-691-06986-9 
  • বেইনস, জন (১৯৯৭)। "টেম্পলস অ্যাজ সিম্বলস, গ্যারান্টোরস, অ্যান্ড পার্টিশিপেন্টস ইন ইজিপশিয়ান সিভিলাইজেশন [মিশরীয় সভ্যতায় প্রতীক, জামিনদার ও অংশগ্রহণকারী রূপে মন্দিরসমূহ]"। কার্ক, স্টিফেন। দ্য টেম্পল ইন এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট: নিউ ডিসকভারিজ অ্যান্ড রিসেন্ট রিসার্চ [প্রাচীন মিশরে মন্দির: নতুন আবিষ্কার ও সাম্প্রতিক গবেষণা]। ব্রিটিশ মিউজিয়াম প্রেস। পৃষ্ঠা ২১৬–২৪১। আইএসবিএন 978-0-7141-0993-0 
  • বেল, ল্যানি (১৯৯৭)। "দ্য নিউ কিংডম 'ডিভাইন' টেম্পল: দি এক্সঅ্যাম্পল অফ লাক্সাস [নতুন রাজ্যের 'দিব্য' মন্দির: লাক্সারের উদাহরণ"। শেফার, বায়রন ই.। টেম্পলস অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [প্রাচীন মিশরের মন্দিরসমূহ]। কর্নেল ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 127–184আইএসবিএন 978-0-8014-3399-3 
  • ব্লিকার, সি. জে. (১৯৬৭)। ইজিপশিয়ান ফেস্টিভ্যালস: এনঅ্যাক্টমেন্টস অফ রিলিজিয়াস রিনিউয়াল [মিশরীয় উৎসব: ধর্মীয় নবীকরণের বিধিবদ্ধকরণ]। ব্রিল। 
  • ক্রুজ-ইউরিব, ইউজিন (২০১০)। "দ্য ডেথ অফ ডেমোটিক রিডাক্স: পিলগ্রিমেজ, নুবিয়া, অ্যান্ড দ্য প্রিজার্ভেশন অফ ইজিপশিয়ান কালচার [ডেমোটিক রিডাক্সের মৃত্যু: তীর্থস্থান, নুবিয়া ও মিশরীয় সংস্কৃতির সংরক্ষণ]"। নাফ, হারমান; লেইটজ, ক্রিস্টিয়ান; ফন রেকলিংহসেন, ড্যানিয়েল। Honi soit qui mal y pense: Studien zum pharaonischen, griechisch-römischen und spätantiken Ägypten zu Ehren von Heinz-Josef Thissen। পিটারস। পৃষ্ঠা ৪৯৯–৫০৬। আইএসবিএন 978-90-429-2323-2 
  • ডেভিস, স্যু; স্মিথ, এইচ. এস. (১৯৯৭)। "সেক্রেড অ্যানিম্যাল টেম্পলস অ্যাট সাকারা [সাকারায় পবিত্র পশুর মন্দিরসমূহ]"। কার্ক, স্টিফেন। দ্য টেম্পল ইন এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট: নিউ ডিসকভারিজ অ্যান্ড রিসেন্ট রিসার্চস [প্রাচীন মিশরে মন্দির: নতুন আবিষ্কার ও সাম্প্রতিক গবেষণা]। ব্রিটিশ মিউজিয়াম প্রেস। পৃষ্ঠা ১১২–১৩১। আইএসবিএন 978-0-7141-0993-0 
  • ডিজক্সট্রা, জিৎসে (২০১১)। "দ্য ফেট অফ দ্য টেম্পলস ইন লেট অ্যান্টিক ইজিপ্ট [প্রাচীন মিশরের শেষ পর্যায়ে মন্দিরসমূহের পরিণতি]"। লাভান, ল্যুক; মালরিয়ান, মাইকেল। দি আর্কিওলজি অফ লেট অ্যান্টিক 'প্যাগানিজম' [প্রাচীন যুগের শেষ ভাগের ‘পৌত্তলিকতাবাদ’-এর প্রত্নতত্ত্ব]। ব্রিল। পৃষ্ঠা ৩৮৯–৪৩৬। আইএসবিএন 978-0-7546-3603-8 
  • ডক্সি, ডেনিস (২০০১)। "প্রিস্টহুড [পুরোহিতবৃত্তি]"। রেডফোর্ড, ডোনাল্ড বি.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [অক্সফোর্ড প্রাচীন মিশর কোষ]। । অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬৮–৭৩। আইএসবিএন 978-0-19-510234-5 
  • ডানান্ড, ফ্রাঁসোয়া; জিভি-কোচ, ক্রিস্টিন (২০০৪) [ফরাসি সংস্করণ ১৯৯১]। গডস অ্যান্ড মেন ইন ইজিপ্ট: ৩০০০ বিসিই টু ৩৯৫ সিই [মিশরে দেবতা ও মানুষ: খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দ থেকে ৩৯৫ খ্রিস্টাব্দ]। ডেভিড লর্টন কর্তৃক অনূদিত। কর্নেল ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8014-8853-5 
  • এটন, ক্যাথরিন (২০১৩)। এনশিয়েন্ট ইজিপশিয়ান টেম্পল রিচুয়াল: পারফরম্যান্স, প্যাটার্ন, ও প্র্যাকটিশ [প্রাচীন মিশরীয় মন্দিরের আচারসমূহ: কার্যসম্পাদনা, বিন্যাস ও অনুশীলন]। রটলেজ। আইএসবিএন 978-0-415-83298-4 
  • ইংলান্ড, গার্টি (২০০১)। "অফারিংস: অ্যান ওভারভিউ [পূজা-উৎসর্গের বিবরণ]"। রেডফোর্ড, ডোনাল্ড বি.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [অক্সফোর্ড প্রাচীন মিশর কোষ]। । অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৫৬৪–৫৬৯। আইএসবিএন 978-0-19-510234-5 
  • মিশর রাষ্ট্রীয় তথ্য পরিষেবা। "ট্যুরিজম: ইন্ট্রোডাকশন" [পর্যটন: ভূমিকা]। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১১ 
  • ফ্যাগান, ব্রায়ান (২০০৪)। দ্য রেপ অফ দ্য নাইল: টুম্ব রবার্স, ট্যুরিস্টস, অ্যান্ড আর্কিওলজিস্টস ইন ইজিপ্ট, রিভাইজড এডিশন [নীল নদের ধর্ষণ: মিশরে সমাধি-লুণ্ঠনকারী, পর্যটক ও প্রত্নতত্ত্ববিদগণ, সংশোধিত সংস্করণ]। ওয়েস্টভিউ প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8133-4061-6 
  • ফিনেস্টাড, র‍্যানহিল্ড জেরে (১৯৯৭)। "টেম্পলস অফ দ্য টলেমিক অ্যান্ড রোমান পিরিয়ডস: এনশিয়েন্ট ট্র্যাডিশনস ইন নিউ কনটেক্সট [টলেমীয় ও রোমান যুগের মন্দিরসমূহ: নতুন ভাবধারায় চিরাচরিত প্রথাসমূহ]"। শেফার, বায়রন ই.। টেম্পলস অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [প্রাচীন মিশরের মন্দিরসমূহ]। কর্নেল ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 185–237আইএসবিএন 978-0-8014-3399-3 
  • ফ্র্যাংকফার্টার, ডেভিড (১৯৯৮)। রিলিজিয়ন ইন রোমান ইজিপ্ট: অ্যাসিমিলেশন অ্যান্ড রেসিস্টেন্স [রোমান মিশরে ধর্ম: সমন্বয় ও প্রতিরোধ]। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-691-07054-4 
  • গোয়েডরিক, হান্স (১৯৭৮)। "কাল্ট-টেম্পল অ্যান্ড 'স্টেট' ডিউরিং দি ওল্ড কিংডম ইন ইজিপ্ট [মিশরের পুরনো রাজ্যে কাল্ট-মন্দির ও 'রাষ্ট্র']"। লিপিনস্কি, এডওয়ার্ড। স্টেট অ্যান্ড টেম্পল ইকোনমি ইন দি এনশিয়েন্ট নিয়ার ইস্ট [প্রাচীন নিকট প্রাচ্যে রাষ্ট্র ও মন্দির অর্থনীতি]। । ক্যাথোলিক ইউনিভার্সিটি লুভেন। পৃষ্ঠা ১১৫–১৩১। আইএসবিএন 978-90-70192-03-7 
  • গান্ডল্যাক, রলফ (২০০১)। "টেম্পলস [মন্দিরসমূহ]"। রেডফোর্ড, ডোনাল্ড বি.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [অক্সফোর্ড প্রাচীন মিশর কোষ]। । অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩৬৩–৩৭৯। আইএসবিএন 978-0-19-510234-5 
  • হান, জোহানেস (২০০৮)। "দ্য কনভার্সন অফ দ্য কাল্ট স্ট্যাচুজ: দ্য ডেস্ট্রাকশন অফ দ্য সেরাপিয়াম ৩৯২ এ.ডি. অ্যান্ড দ্য ট্রান্সফর্মেশন অফ আলেকজান্দ্রিয়া ইনটু দ্য 'ক্রাইস্ট-লাভিং' সিটি [কাল্ট-মূর্তিসমূহের রূপান্তর: ৩৯২ খ্রিস্টাব্দে সেরাপিয়ামের ধ্বংসসাধন ও আলেকজান্দ্রিয়াকে 'খ্রিস্ট-প্রেমী' নগরীতে রূপান্তরণ]"। হান, জোহানেস; এমেল, স্টিফেন; গোটার, আলরিখ। ফ্রম টেম্পল টু চার্চ: ডেস্ট্রাকশন অ্যান্ড রিনিউয়াল অফ লোকাল কাল্টিক টোপোগ্রাফি ইন লেট অ্যান্টিকুইটি [মন্দির থেকে গির্জা: প্রাচীন যুগের শেষ ভাগে স্থানীয় কাল্ট-সংক্রান্ত ভূসংস্থানের ধ্বংসসাধন ও পুনর্নবীকরণ]। ব্রিল। পৃষ্ঠা ৩৩৫–৩৬৫। আইএসবিএন 978-90-04-13141-5 
  • হান, জোহানেস; এমেল, স্টিফেন; গোটার, আলরিখ (২০০৮)। "'ফ্রম টেম্পল টু চার্চ': অ্যানালাইজিং আ লেট অ্যান্টিক ফেনোমেনন অফ ট্রান্সফর্মেশন ['মন্দির থেকে গির্জা': প্রাচীন যুগের শেষ ভাগে রূপান্তরণের একটি ঘটনার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে]"। হান, জোহানেস; এমেল, স্টিফেন; গোটার, আলরিখ। ফ্রম টেম্পল টু চার্চ: ডেস্ট্রাকশন অ্যান্ড রিনিউয়াল অফ লোকাল কাল্টিক টোপোগ্রাফি ইন লেট অ্যান্টিকুইটি [মন্দির থেকে গির্জা: প্রাচীন যুগের শেষ ভাগে স্থানীয় কাল্ট-সংক্রান্ত ভূসংস্থানের ধ্বংসসাধন ও পুনর্নবীকরণ]। ব্রিল। পৃষ্ঠা ১–২২। আইএসবিএন 978-90-04-13141-5 
  • হিনি, গারহার্ড (১৯৯৭)। "নিউ কিংডম 'মর্চুয়ারি টেম্পলস' অ্যান্ড 'ম্যানসনস অফ মিলিয়নস অফ ইয়ারস' [নতুন রাজ্যের 'সমাধি মন্দির' ও 'লক্ষ লক্ষ বছরের প্রাসাদ']"। শেফার, বায়রন ই.। টেম্পলস অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [প্রাচীন মিশরের মন্দিরসমূহ]। কর্নেল ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৮৬–১২৬আইএসবিএন 978-0-8014-3399-3 
  • হারিং, বি. জে. জে. (১৯৯৭)। ডিভাইন হাউজহোল্ডস: অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যান্ড ইকোনমিক অ্যাসপেক্টস অফ দ্য নিউ কিংডম রয়্যাল মেমোরিয়াল টেম্পলস ইন ওয়েস্টার্ন থিবস [দিব্য গৃহ-পরিজন: পশ্চিম থিবসে নতুন রাজ্যের রাজকীয় স্মারক মন্দিরগুলির প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক দিকসমূহ]। নেদারল্যান্ডস ইনস্টিটিউট ভুর হেট নাবিজে উস্টেন। আইএসবিএন 90-6258-212-5 
  • হোলজ্ল, রেজিনা (২০০১)। "স্টেলে"। রেডফোর্ড, ডোনাল্ড বি.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [অক্সফোর্ড প্রাচীন মিশর কোষ]। । অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩১৯–৩২৪। আইএসবিএন 978-0-19-510234-5 
  • জানসেন, জ্যাক এল. (১৯৭৮)। "দ্য রোল অফ দ্য টেম্পল ইন দি ইজিপশিয়ান ইকোনমি ডিউরিং দ্য নিউ কিংডম [নতুন রাজ্যের আমলে মিশরীয় অর্থনীতিতে মন্দিরের ভূমিকা]"। লিপিন্স্কি, এডওয়ার্ড। স্টেট অ্যান্ড টেম্পল ইকোনমি ইন দি এনশিয়েন্ট নিয়ার ইস্ট [প্রাচীন নিকট প্রাচ্যে রাষ্ট্রীয় ও মন্দির অর্থনীতি]। । ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি লুভেন। পৃষ্ঠা ৫০৫–৫১৫। আইএসবিএন 978-90-70192-03-7 
  • জনসন, জ্যানেট এইচ. (১০৮৬)। "দ্য রোল অফ দি ইজিপশিয়ান প্রিস্টহুড ইন টলেমিক ইজিপ্ট [টলেমীয় মিশরে মিশরীয় পুরোহিততন্ত্রের ভূমিকা]"। লেসকো, লিওনার্ড এইচ.। ইজিপ্টোলজিক্যাল স্টাডিজ ইন অনর অফ রিচার্ড এ. পার্কার [রিচার্ড এ. পার্কারের সম্মানে মিশরতাত্ত্বিক অধ্যয়ন]। ব্রাউন। পৃষ্ঠা ৭০–৮৪। আইএসবিএন 978-0-87451-321-9 
  • কাটারি, স্যালি (২০১১)। ওয়েন্ডরিখ, উইলেকে, সম্পাদক। "ট্যাক্সেশন (আনটিল দি এন্ড অফ দ্য থার্ড ইন্টারমিডিয়েট পিরিয়ড)" [করারোপ (তৃতীয় অন্তর্বর্তী পর্যায়ের শেষ পর্যন্ত)]। ইউসিএলএ এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইজিপ্টোলজি। নিকট প্রাচ্যের ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইউসি, লস এঞ্জেলস। আইএসবিএন 978-0615214030। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৫ 
  • কেম্প, ব্যারি (১৯৭৩)। "টেম্পল অ্যান্ড টাউন ইন এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [প্রাচীন মিশরে মন্দির ও নগরী]"। আকলো, পিটার জে.; ট্রিনহ্যাম, রুথ; ডিম্বলবাই, জি. ডব্লিউ.। ম্যান, সেটলমেন্ট অ্যান্ড আরবানিজম [মানুষ, জনবসতি ও নগরায়নবাদ]। ডাকওয়ার্থ। পৃষ্ঠা ৬৫৭–৬৭৮। আইএসবিএন 978-0-7156-0589-9 
  • কেম্প, ব্যারি (২০০৬)। এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট: অ্যানাটমি অফ আ সিভিলাইজেশন, সেকেন্ড এডিশন [প্রাচীন মিশর: একটি সভ্যতার গঠনতন্ত্র]। রটলেজ। আইএসবিএন 978-0-415-01281-2 
  • কোজলোফ, এরিয়েলে পি. (২০০১)। "স্কাল্পচার: ডিভাইন স্কাল্পচার [ভাস্কর্য: দিব্য ভাস্কর্য]"। রেডফোর্ড, ডোনাল্ড বি.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [অক্সফোর্ড প্রাচীন মিশর কোষ]। । অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৪৩–২৪৬। আইএসবিএন 978-0-19-510234-5 
  • ক্রাশটেন, জেন -মেরি (২০০১)। "ওর‍্যাকলস [ভবিষ্যদ্বাণী]"। রেডফোর্ড, ডোনাল্ড বি.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [অক্সফোর্ড প্রাচীন মিশর কোষ]। । অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬০৯–৬১২। আইএসবিএন 978-0-19-510234-5 
  • লাভান, ল্যুক (২০১১)। "দি এন্ড অফ দ্য টেম্পলস: টুওয়ার্ডস আ নিউ ন্যারেটিভ? [মন্দিরের সমাপ্তি: নতুন কাহিনির পথে?] ]"। লাভান, ল্যুক; মালরিয়ান, মাইকেল। দি আর্কিওলজি অফ লেট অ্যান্টিক 'প্যাগানিজম' [প্রাচীন যুগের শেষ ভাগের ‘পৌত্তলিকতাবাদ’-এর প্রত্নতত্ত্ব]। ব্রিল। পৃষ্ঠা পনেরো–পঁয়ষট্টি। আইএসবিএন 978-0-7546-3603-8 
  • লেহনার, মার্ক (১৯৯৭)। দ্য কমপ্লিট পিরামিডস [পিরামিড সমগ্র]। টেমস অ্যান্ড হাডসন। আইএসবিএন 978-0-500-05084-2 
  • লেসকো, বারবারা এস. (২০০১)। "কাল্টস: প্রাইভেট কাল্টস [কাল্টসমূহ: ব্যক্তিগত কাল্টসমূহ]"। রেডফোর্ড, ডোনাল্ড বি.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [অক্সফোর্ড প্রাচীন মিশর কোষ]। । অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩৩৬–৩৩৯। আইএসবিএন 978-0-19-510234-5 
  • মিকস, দিমিত্রি; ফাভার্ড-মিকস, ক্রিস্টিন (১৯৯৬) [ফরাসি সংস্করণ ১৯৯৩]। ডেইলি লাইফ অফ দি ইজিপশিয়ান গডস [মিশরীয় দেবতাদের দৈনন্দিন জীবন]। জি. এম. গশগারিয়ান কর্তৃক অনূদিত। কর্নেল ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8014-8248-9 
  • মনসন, অ্যান্ড্রু (২০১২)। ফ্রম দ্য টলেমিজ টু দ্য রোমানস: পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক চেঞ্জ ইন ইজিপ্ট [টলেমি থেকে রোমান যুগ: মিশরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন]। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-1-107-01441-1 
  • নিরেবাউট, ফ্রেডেরিক জি. (২০০৭)। "দ্য টেম্পল অ্যাট রাস এল-সোদা। ইজ ইট অ্যান আইসিস টেম্পল? ইজ ইট গ্রিক, রোমান, ইজিপশিয়ান, অর নাইদার? অ্যান্ড সো হোয়াট? [রাস এল-সোদার মন্দির। এটি কি আইসিস মন্দির? গ্রিক, রোমান, মিশরীয় নাকি কোনওটাই নয়? আর তাতে কি?]"। ব্রাইকল্ট, লরেন্ট; ভার্সলুইস, মিগুয়েল জন; মেবুম, পল জি. পি.। নাইল ইনটু টাইবার: ইজিপ্ট ইন দ্য রোমান ওয়ার্ল্ড। প্রিসিডিংস অফ দ্য থার্ড ইন্টারন্যাশানাল কনফারেন্স অফ আইসিস স্টাডিজ, ফ্যাকাল্টি অফ আর্কিওলজি, লেইডেন ইউনিভার্সিটি, মে ১১–১৪, ২০০৫ [নীল থেকে টাইবার: রোমান বিশ্বে মিশর। আইসিস বিদ্যার তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের কার্যবিবরণী। প্রত্নতত্ত্ব অনুষদ, লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়, মে ১১-১৪, ২০০৫]। ব্রিল। পৃষ্ঠা ৫–৬–৫৫৪। আইএসবিএন 978-90-04-15420-9 
  • কার্ক, স্টিফেন (১৯৯৭এ)। "সম্পাদকীয় মুখবন্ধ"। কার্ক, স্টিফেন। দ্য টেম্পলস ইন এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট: নিউ ডিসকভারিজ অ্যান্ড রিসেন্ট রিসার্চ [প্রাচীন মিশরে মন্দিরসমূহ: নতুন আবিষ্কার ও সাম্প্রতিক গবেষণা]। ব্রিটিশ মিউজিয়াম প্রেস। পৃষ্ঠা আট–দশ। আইএসবিএন 978-0-7141-0993-0  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  • কার্ক, স্টিফেন (১৯৯৭বি)। "গডস ইন দ্য টেম্পল অফ দ্য কিং: আনুবিস অ্যাট লাহুন"। কার্ক, স্টিফেন। দ্য টেম্পলস ইন এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট: নিউ ডিসকভারিজ অ্যান্ড রিসেন্ট রিসার্চ [প্রাচীন মিশরে মন্দিরসমূহ: নতুন আবিষ্কার ও সাম্প্রতিক গবেষণা]। ব্রিটিশ মিউজিয়াম প্রেস। পৃষ্ঠা ২৪–৪৮। আইএসবিএন 978-0-7141-0993-0  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  • কার্ক, স্টিফেন (২০০১)। দ্য কাল্ট অফ রা: সান ওয়ারশিপ ইন এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [রা-এর কাল্ট: প্রাচীন মিশরে সূর্যোপাসনা]। টেমস অ্যান্ড হাডসন। আইএসবিএন 978-0-500-05107-8 
  • রে, জন ডি. (২০০১)। "কাল্টস: অ্যানিম্যাল কাল্টস [কাল্টসমূহ: পশু কাল্ট]"। রেডফোর্ড, ডোনাল্ড বি.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [অক্সফোর্ড প্রাচীন মিশর কোষ]। । অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩৪৫–৩৪৮। আইএসবিএন 978-0-19-510234-5 
  • রেমন্ড, ই. এ. ই. (১৯৬৯)। দ্য মিথিক্যাল অরিজিন অফ দি ইজিপশিয়ান টেম্পল [মিশরীয় মন্দিরের পৌরাণিক উৎস]। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-7190-0311-0 
  • রিটনার, রবার্ট কে. (১৯৯৩)। দ্য মেকানিকস অফ এনশিয়েন্ট ইজিপশিয়ান ম্যাজিক্যাল প্র্যাকটিশ [প্রাচীন মিশরীয় জাদু অনুশীলনের যন্ত্রবিদগণ]। দ্য ওরিয়েন্টাল ইনস্টিটিউট অফ দি ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো। আইএসবিএন 978-0-918986-75-7 
  • রবিনস, গে (১৯৮৬)। ইজিপশিয়ান পেইন্টিং অ্যান্ড রিলিফ [মিশরীয় চিত্রকলা ও খোদাইচিত্র]। শায়ার পাবলিকেশনস। আইএসবিএন 978-0-85263-789-0 
  • শনেরন, সার্জ (২০০০) [ফরাসি সংস্করণ ১৯৮৮]। দ্য প্রিস্টস অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট, নিউ এডিশন [প্রাচীন মিশরের পুরোহিতবর্গ, নতুন সংস্করণ]। ডেভিড লর্টন কর্তৃক অনূদিত। কর্নেল ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8014-8654-8 
  • শেফার, বায়রন ই. (১৯৯৭)। "টেম্পলস, প্রিস্টস, অ্যান্ড রিচুয়ালস: অ্যান ওভারভিউ [মন্দির, পুরোহিতবর্গ ও আচার-অনুষ্ঠান: একটি সামগ্রিক বিবরণ]"। শেফার, বায়রন ই.। টেম্পলস অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [প্রাচীন মিশরের মন্দিরসমূহ]। কর্নেল ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১–৩০আইএসবিএন 978-0-8014-3399-3 
  • স্নেপ, স্টিভেন (১৯৯৬)। ইজিপশিয়ান টেম্পলস [মিশরীয় মন্দিরসমূহ]। শায়ার পাবলিকেশনস। আইএসবিএন 978-0-7478-0327-0 
  • স্পেলিংগার, অ্যান্টনি জে. (অক্টোবর ১৯৯৮)। "দ্য লিমিটেশনস অফ ফরম্যাল এনশিয়েন্ট ইজিপশিয়ান রিলিজিয়ন" [পোষাকি প্রাচীন মিশরীয় ধর্মের সীমাবদ্ধতা]। জার্নাল অফ নিয়ার ইস্টার্ন স্টাডিজ৫৭ (৪): ২৪১–২৬০। জেস্টোর 545450ডিওআই:10.1086/468651 
  • স্পেলিংগার, অ্যান্টনি (২০০১)। "ফেস্টিভ্যালস [উৎসবসমূহ]"। রেডফোর্ড, ডোনাল্ড বি.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [অক্সফোর্ড প্রাচীন মিশর কোষ]। । অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৫২১–৫২৫। আইএসবিএন 978-0-19-510234-5 
  • স্পেনসার, প্যাট্রিশিয়া (১৯৮৪)। দি ইজিপশিয়ান টেম্পল: আ লেক্সোগ্রাফিক্যাল স্টাডি [মিশরীয় মন্দির: একটি আভিধানিক আলোচনা]। কেগান পল ইন্টারন্যাশানাল। আইএসবিএন 978-0-7103-0065-2 
  • স্ট্যাডলার, মার্টিন (২০০৮)। ওয়েন্ডরিখ, উইলেকে, সম্পাদক। "ট্যাক্সেশন (আনটিল দি এন্ড অফ দ্য থার্ড ইন্টারমিডিয়েট পিরিয়ড)" [করারোপ (তৃতীয় অন্তর্বর্তী পর্যায়ের শেষ পর্যন্ত)]। ইউসিএলএ এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইজিপ্টোলজি। নিকট প্রাচ্যের ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইউসি, লস এঞ্জেলস। আইএসবিএন 978-0615214030। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৫ 
  • টিটার, এমিলি (২০০১)। "কাল্টস: ডিভাইন কাল্টস [কাল্টসমূহ: দিব্য কাল্টসমূহ]"। রেডফোর্ড, ডোনাল্ড বি.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [অক্সফোর্ড প্রাচীন মিশর কোষ]। । অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩৪০–৩৪৫। আইএসবিএন 978-0-19-510234-5 
  • টিটার, এমিলি (২০১১)। রিলিজিয়ন অ্যান্ড রিচুয়াল ইন এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [প্রাচীন মিশরে ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠান]। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-521-61300-2 
  • থমসন, স্টিফেন ই. (২০০১)। "কাল্টস: অ্যান ওভারভিউ [কাল্টস: সামগ্রিক বিবরণ]"। রেডফোর্ড, ডোনাল্ড বি.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [অক্সফোর্ড প্রাচীন মিশর কোষ]। । অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩২৬–৩৩২। আইএসবিএন 978-0-19-510234-5 
  • আপহিল, এরিক (১৯৭৩)। "দ্য কনসেপ্ট অফ দি ইজিপশিয়ান প্যালেস অ্যাজ আ 'রুলিং মেশিন' ['শাসনযন্ত্র' হিসেবে মিশরীয় প্রাসাদের ধারণা"। উকো, পিটার জে.; ট্রিংহ্যাম, রুথ; ডিম্বলবাই, জি. ডব্লিউ.। ম্যান, সেটলমেন্ট অ্যান্ড আরবানিজম [মানুষ, জনবসতি ও নগরায়নবাদ]। ডাকওয়ার্থ। পৃষ্ঠা ৭২১–৭৩৪। আইএসবিএন 978-0-7156-0589-9 
  • ভার্নার, মিরোস্লাভ (২০১৩) [চেক সংস্করণ ২০১০]। টেম্পল অফ দ্য ওয়ার্ল্ড: স্যাংচুয়ারিজ, কাল্টস, অ্যান্ড মিস্ট্রিজ অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [বিশ্বের মন্দির: প্রাচীন মিশরের পূণ্যস্থান, কাল্ট ও রহস্য]। অ্যানা ব্রাইসন-গুস্তোভা কর্তৃক অনূদিত। দি আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন কায়রো প্রেস। আইএসবিএন 978-977-416-563-4 
  • উইলকিনসন, রিচার্ড এইচ. (২০০০)। দ্য কমপ্লিট টেম্পলস অফ এনশিয়েন্ট ইজিপ্ট [প্রাচীন মিশরের মন্দির সমগ্র]। টেমস অ্যান্ড হাডসন। আইএসবিএন 978-0-500-05100-9 

আরও পড়ুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা