মির্জাপুর জেলা

উত্তর প্রদেশের একটি জেলা

মির্জাপুর জেলা হল উত্তর ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ৭৫টি জেলার মধ্যে একটি জেলা। জেলাটির উত্তর সীমায় ভাদোহি এবং বারাণসী জেলা, পূর্বে চান্দৌলি জেলা, দক্ষিণে সোনভদ্র জেলা এবং উত্তর-পশ্চিমে এলাহাবাদ জেলা। জেলাটি ৪৫২১ কিমি অঞ্চল নিয়ে বিস্তৃত। জেলা সদর হল মির্জাপুর শহর। মির্জাপুর জেলা মির্জাপুর বিভাগের একটি অংশ। এই জেলাটি বিন্ধ্যাচলের বিন্ধ্যাবাসিনী মন্দিরের জন্য বিখ্যাত এবং এখানে জলপ্রপাত ও বাঁধের মতো কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র আছে। এখানে বেশ কয়েকটি ঘাট আছে, যেখানে ঐতিহাসিক ভাস্কর্যগুলি এখনও রয়েছে। গঙ্গা উৎসব চলার সময় এই ঘাটগুলি আলো এবং প্রদীপ দিয়ে সাজানো হয়। এটি রেড করিডোরের (নকশাল অধ্যুষিত অঞ্চল) একটি অংশ।

মির্জাপুর জেলা
উত্তরপ্রদেশের জেলা
উত্তরপ্রদেশে মির্জাপুর জেলার অবস্থান
উত্তরপ্রদেশে মির্জাপুর জেলার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যউত্তরপ্রদেশ
বিভাগমির্জাপুর
সদর দপ্তরমির্জাপুর
তহশিল
সরকার
 • লোকসভা কেন্দ্রমির্জাপুর
আয়তন
 • মোট৪,৫২১ বর্গকিমি (১,৭৪৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট২৪,৯৪,৫৩৩[১]
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত১০৪৩ মিমি
ওয়েবসাইটhttp://mirzapur.nic.in/
তান্ডা জল্প্রপাত

১৯৮৯ সালে সোনভদ্র জেলা মির্জাপুর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে অবধি এটি একসময় উত্তরপ্রদেশের বৃহত্তম জেলা ছিল।

বিভাগ সমূহ সম্পাদনা

জেলাটি চারটি তহশিল নিয়ে গঠিত। এগুলি হল মির্জাপুর (সদর), লালগঞ্জ, মারিহান এবং চুনার। এই চারটি তহশিল আরও বারোটি ব্লকে বিভক্ত।

অর্থনীতি সম্পাদনা

২০০৬ সালে পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক মির্জাপুরকে দেশের ২৫০টি সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জেলার মধ্যে একটি ঘোষণা করেছিল (মোট ৬৪০টি জেলা)।[২] এটি উত্তর প্রদেশের ৩৪টি জেলার মধ্যে একটি জেলা, যেটি পশ্চাৎপদ অঞ্চল অনুদান তহবিল প্রোগ্রাম (বিআরজিএফ) থেকে অনুদান পেয়েছে।[২] একসময় পর্যটন, এখানকার অর্থনীতিতে অবদান রাখত তবে সরকারী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় লোকজনের যত্নের অভাবের কারণে সিরশে বাঁধ ও জলপ্রপাত, দাদরি (পিপারি) বাঁধ, বিন্ধম জলপ্রপাত, লোয়ার খাজুরি, আপার খাজুরি, লখনিয়া জলপ্রপাত, সিদ্ধনাথ জলপ্রপাত, কোটওয়ান-পাতেহার বন, চুনার দুর্গ এবং দাদরি-হালিয়া বনের মতো জায়গাগুলির তুলনামূলক অতুলনীয় সৌন্দর্য হয়ে উঠেছে 'অতীতের গল্প'। এক সময় ছিল, যখন বর্ষাকালের প্রতি রবিবার সিরশে জলপ্রপাত এবং বিন্ধম জলপ্রপাতের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে পর্যটকদের আগমনে মেলার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হত। পর্যটকেরা যে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের সমস্ত অংশ থেকে আসত তাই নয়, আশেপাশের অন্যান্য রাজ্য থেকেও আসত। মির্জাপুর থেকে সোনভদ্রের বিচ্ছিন্ন হওয়া এখানকার অর্থনৈতিক অবস্থাকে অনেকাংশে প্রভাবিত করেছে। এছাড়াও কারখানাগুলি বন্ধ হওয়ার ফলে এবং কার্পেট শিল্পে মন্দা আসার পরে মির্জাপুর প্রায় অর্থনৈতিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছে।

জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মির্জাপুর জেলার জনসংখ্যা ২,৪৯৪,৫৩৩।[১] কুয়েত দেশের[৩] অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডার জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৪] এই জনসংখ্যা এটিকে ভারতে ১৭৪তম স্থান দিয়েছে (মোট ৬৪০ জেলার মধ্যে)।[১] এই জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৫৬১ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৪৫০ জন/বর্গমাইল)।[১] এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১- ২০১১ এর দশকে ১৭.৮৯% ছিল।[১] মির্জাপুরে ১০০০ জন পুরুষ প্রতি ৯০০ জন মহিলা (লিঙ্গ অনুপাত) রয়েছে,[১] এবং সাক্ষরতার হার ৭০.৩৮%।[১] এখানে মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৫৪%।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  2. Ministry of Panchayati Raj (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। ৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  3. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Kuwait 2,595,62 
  4. "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১০-১২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০Nevada 2,700,551 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা