মিরপুর মুক্ত দিবস হল ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি মিরপুর মুক্তকরণ যুদ্ধের মাধ্যমে মিরপুরকে পাকহানাদার মুক্ত করার স্মরণে পালিত দিবস।[১][২] ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। তবে মিরপুরে বসবাসরত বিহারি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কিছু সৈন্য, সঙ্গে দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যরা তখনও মিরপুরকে দখল করে রাখে ও বাঙালি হত্যাকাণ্ড চালায়। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মিরপুর মুক্তকরণ যুদ্ধ সংগঠিত হয় ও পরদিন ৩১ জানুয়ারি সকালে রাজধানীর ঢাকার মিরপুর এলাকা মুক্ত হয়। মিরপুরের যুদ্ধে জিয়াউল হক লোদী, লে. সেলিমসহ ৪১ জন সামরিক বাহিনীর সদস্য, শতাধিক পুলিশ এবং মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।[২][৩]

২০০১ সালে জানুয়ারির ৩১ তারিখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মিরপুরে মুক্ত দিবস পালন করা হয়। এই উপলক্ষে প্রতিবছর গান, নাটক, বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বক্তৃতা, গান, আলোচনা, আলোকচিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। মিরপুরের সাত্ত্বিক নাট্য সম্প্রদায় ২০০১ সালে সর্ব প্রথম "মিরপুর মুক্ত দিবস" উপলক্ষে তিন দিনের নাট্যউৎসবের মাধ্যমে এই আয়োজন শুরু করে। মিরপুর সাংস্কৃতিক ঐক্য ফোরাম ২০০৭ সাল থেকে এবং পরবর্তীতে ২০০৭ সালে ২১ জুন মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ উদ্বোধন হলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও মিরপুরের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এই দিবসটি পালন করে আসছে।

মিরপুরের বধ্যভূমি সম্পাদনা

মিরপুরে যুদ্ধ শুরুই হয় ১৯৭১ এর মার্চের প্রথম সপ্তাহে। এই সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার ও বিহারি সৃষ্ট বধ্যভূমি-গুলোর মধ্যে অন্যতম হল বাঙলা কলেজ বধ্যভূমি, জল্লাদখানা বধ্যভূমি, মুসলিমবাজার বধ্যভূমি, শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "মিরপুর মুক্ত দিবস পালিত"সমকাল। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। ১৮ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৯ 
  2. "মিরপুর মুক্ত দিবস আজ"www.prothom-alo.com। ৩১ জানুয়ারি ২০১২। ২০১৯-০৩-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২০ 
  3. "মিরপুর মুক্ত দিবস স্মরণ, জল্লাদখানা পরিদর্শন এবং …"কালের কণ্ঠ। ৩১ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৯