একটি মিনিকম্পিউটার বা কথ্যরূপে মিনি, হল ছোট কম্পিউটারের একটি শ্রেণী যা ১৯৬০ দশকের মধ্যভাগে তৈরী করা হয়েছিল এবং আইবিএমের মেইনফ্রেম ও মধ্যম আকারের কম্পিউটার এবং অন্যান্য সরাসরি প্রতিযোগীদের থেকে কম বিক্রি হয়েছিল। ১৯৭০ সালে পরিচালিত হওয়া একটি পরিসংখ্যানে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইম প্রস্তাব করে একটি পরিসংখ্যানধৃত সংজ্ঞা যাতে বলা হয় মিনিকম্পিউটার হল এমন একটি মেশিন যার দাম ২৫০০০ ডলারের নিচে, যাতে টেলিপ্রিন্টারের মত ইনপুট এবং আউটপুট যন্ত্র রয়েছে, যাতে ৪কে শব্দের মেমোরি আছে এবং যা উচ্চ স্তরের ভাষা (ফোরট্রান, বেসিক) চালাতে সক্ষম।[১] শ্রেণীটি সফটওয়্যার নকশা এবং অপারেটিং সিস্টেমের দ্বারা একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য গঠন করতে সক্ষম হয়। এগুলো নকশা করা হয়েছিল নিয়ন্ত্রণ, যন্ত্রোৎপাদন বা সঙ্গীত বিন্যাস, মানব পারস্পরিক ক্রিয়া, এবং যোগাযোগের সুইচিয়ের জন্য। যা গণনা এবং সংরক্ষণের কার্য থেকে আলাদাভাবে ব্যবহৃত হত। অনেকগুলো পরোক্ষভাবে অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফেকচারাস (ওইএম) বিক্রি হয়েছিল সর্বশেষ ধাপের ব্যবহারিক কাজের জন্য। মিনিকম্পিউটারের দুই দশকের (১৯৬৫-১৯৮৫) চলার পথে প্রায় ১০০ কোম্পানি গঠন হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে অর্ধ ডজনই শুধু রয়ে গিয়েছিল।[২]

আমেরিকান ইতিহাসের জাতীয় যাদুঘরে প্রথম প্রজন্মের ডিজাটাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশন পিডিপি-৮
কম্পিউটার ইতিহাস যাদুঘরেপ্রথম ১৬ বিট মিনি কম্পিউটার ডাটা জেনারেল নোভা, ক্রমিক সংখ্যা ১
ভিয়েনা ট্যাকনিক্যাল যাদুঘরে একটি পিডিপি-১১, মডেল ৪০ ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশের প্রথমদিকের ১৬ বিট মিনি কম্পিউটারের সদস্য

যখন একক চিপের সিপিইউ আসা শুরু করল যার শুরু হয়েছিল ইন্টেল ৪০০৪ দিয়ে ১৯৭১ সাল। এটির উদ্ভাবক ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেড হফ, স্ট্যান মেজর, ফেডরিকো ফ্যাগিন এবং জাপানের মাসাতোশি শিমা। মিনি কম্পিউটার সংজ্ঞাটি ব্যবহার করা হত এমন একটি মেশিনকে বোঝাতে যা কম্পিউটার জগতে মধ্যম সারির, যা মাইক্রোকম্পিউটার এবং মেইনফ্রেম কম্পিউটারের মাঝে রয়েছে। বর্তমানে "মিনিকম্পিউটার" সংজ্ঞাটি কম ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে এই শ্রেণীকে বোঝাতে "মধ্যমসারির কম্পিউটার" নামটি বেশি ব্যবহৃত হয়। যেমন উচ্চ মাপের এসপিএআরসি, পাওয়ার আর্কিটেকচার এবং ইটানিয়াম ভিত্তিক সিস্টেম যেগুলো ওরাকল, আইবিএম এবং হিউলেট-প্যাকার্ড হতে আগত।

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Smith, William D. (এপ্রিল ৫, ১৯৭০)। "Maxi Computers Face Mini Conflict: Mini Trend Reaching Computers"। New York Times 
  2. Bell, C. Gordon (জানুয়ারি ২০১৩)। "Rise and Fall of Minicomputers = http://ieeeghn.org/wiki/index.php/STARS:Rise_and_Fall_of_Minicomputers"।  |title= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা