মিউনিখ ট্রামওয়ে হলো জার্মানির মিউনিখ শহরে ট্রামরাস্তার একটি নেটওয়ার্ক। বর্তমানে এটির মালিক মুঞ্চনের ভারকেসগেসেলসক্রাফ্ট (মিউনিখ ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি, এমবিজি) এবং এটি বর্তমানে সরকারিভাবে ট্রাম নামে পরিচিত। এটির পূর্বের পরিচালকরা হলো সোসাইটি এনোনিমেডেস ট্রামওয়েস দে মিউনিখ, মুঞ্চনের টৃরামবাহ্ন-একতিয়েনগেসেলসক্রাফ্ট,স্টাডিসে স্ট্রাসেনবাহনেন এবং স্ট্রাসেনবাহ্ন মুঞ্চেন।

মিউনিখ ট্রাম রাস্তা
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
অবস্থানমিউনিখ, বাভারিয়া, জার্মানি
পরিবহনের ধরনট্রাম
লাইনের (চক্রপথের)
সংখ্যা
১৯৫২: ২১
১৯৬৪: ২১
১৯৭২: ১৮ + ৩ অলিম্পিকের বিশেষ রাস্তা
১৯৮৪: ১১
১৯৯৬: ৯
২০১০: ১১
২০১১: ১১
থেকে ২০১২: ১৩[১]
বিরতিস্থলের (স্টেশন)
সংখ্যা
১৬৫[২]
দৈনিক যাত্রীসংখ্যা২৮৪,৯০০ (২০১২)
বাৎসরিক যাত্রীসংখ্যা১০৪ মিলিয়ন(২০১২)[২]
চলাচল
চালুর তারিখ১৮৭৬ (ঘোড়ারগাড়ি)[২]
১৮৯৫ (বৈদ্যুতিক ট্রাম)[২]
পরিচালক সংস্থামুঞ্চনের ভারকের্সগেসেলক্রাফ্ট
একক গাড়ির সংখ্যা১০৬[২]
কারিগরি তথ্য
মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য১৯৫২: ১২০ কিমি (৭৫ মা)
১৯৬৪: ১৩৫ কিমি (৮৪ মা)
১৯৭২: ১২০ কিমি (৭৫ মা)
১৯৮৪: ৮৩ কিমি (৫২ মা)
১৯৯৬: ৬৮ কিমি (৪২ মা)
২০১০: ৭৫ কিমি (৪৭ মা)
২০১১: ৮০ কিমি (৫০ মা)
২০১৬ থেকে: ৮৩ কিমি (৫২ মা)[১]
রেলপথের গেজ১,৪৩৫ মিলিমিটার (৪ ফুট   ইঞ্চি)
বিদ্যুতায়ন৭৫০ ভোল্ট
গড় গতিবেগ১৯.৩ কিমি/ঘ (১২.০ মা/ঘ)[২]

ট্রাম নেটওয়ার্ক এমবিজির বাস নেটওয়ার্ক, মিউনিখ ইউ-বাহ্ন এবং মিউনিখ এস-বাহ্ন এর সাথে মিলিত হয়েছে। যেগুলো মিউনিখ ট্রান্সপোর্ট এন্ড তারিফ এসোসিয়েশন, এমবিবি এর অংশ।

২০১২সাল অনুযায়ী, দিনেরবেলার ট্রাম নেটওয়ার্কে ১৩টি লাইন রয়েছে[২][৩] এবং এগুলো ৭৯ কিলোমিটার (৪৯ মা) লম্বা যার মাঝে ১৬৫টি ট্রাম স্টপ রয়েছে।[২] চারটি সড়ক নিয়ে রাতের বেলারও একটি ট্রাম ব্যবস্থা রয়েছে।[২] এই নেটওয়ার্কটি ১০৬টি ট্রাম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় (২০১২সাল অনুযায়ী),[২] এবং এটি ২০১০সালে ৯৮মিলিয়ন লোককে[৪] এবং ২০১২সালে ১০৪মিলিয়ন লোককে পরিবহন করেছে।[২]

ইতিহাস সম্পাদনা

 
এমবিজি জাদুঘরে ১৯০১সালের এ২.২ ধরনের ট্রাম
 
ডয়চেস জাদুঘরে ১৯৫০এর দশকের এম৪.৬৫ ধরনের ট্রাম

ট্রামওয়ে ১৮৭৬সালে ঘোড়ারগাড়ি দ্বারা শুরু হয়।[২] প্রথম ট্রামওয়ে কার্লসপ্লাটজ (স্তাচুস) থেকে বড় হতে থাকে, যেটি মিউনিখ ট্রাম নেটওয়ার্কের কেন্দ্রবিন্দু। ২বছর পর, সোসাইটি এবোনিমে ডেস টৃরামওয়েস দে মিউনিখ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮২সালে, মুঞ্চনের ট্রামবাহ্ন-একতিয়েনগেসেলসক্রাফ্ট (এমটিএজি) প্রতিষ্ঠিত হয়।[২][৫]

বৈদ্যুতিক ট্রাম ব্যবস্থা ১৮৯৫সালে চালু হয়,[২] এবং ১৯০০সালে, ঘোড়ারগাড়ি ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়।[২] ১৯০৭সালে, এমটিএজি কে শহরভুক্ত করা হয় এবং এটির নাম পরিবর্তন করে স্তাডটিশে স্ত্রাবেনবাহনেন করা হয়। ১৯১৯সালে, পৌর সংস্থা মুঞ্চনের স্ত্রাবেনবাহনেন গঠিত হয়। ১৯৪৫সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে, মাত্র ২০টি ট্রাম লাইন বাকি রয়ে যায়, ৪৪৪টি ট্রামের মধ্যে মাত্র ১৬৮টি ট্রাম কর্মক্ষম অবস্থায় ছিল। ১৯৫৬সালে, যুদ্ধের পর প্রথম নতুন ট্রাম লাইন খোলা হয়।[২]

কার্যপ্রণালি সম্পাদনা

যানবাহন সম্পাদনা

 
মিউনিখের একটি পি শ্রেণীর ট্রাম
 
মিউনিখের একটি আর৩ শ্রেণীর ট্রাম

এই ট্রাম ব্যবস্থা ৫টি শ্রেণীর ট্রাম ব্যবহার করেঃ

  • পি শ্রেণীর ট্রাম হলো দুই শাখা বিশিষ্ট এক ধরনের মটর ট্রাম, এটি চার চাকার দুটি ট্রাকের উপর থাকে। ট্রামগুলো ১৯৬৭ এবং ১৯৬৯সালের মাঝে রাথজিবার তৈরি করে। এগুলোর দুই গাড়ির সেট ৩১৫জন যাত্রী নিয়ে যেতে পারে, যাদের মাঝে ১৫১জন বসতে পারে। ২০১১সাল অনুযায়ী, মাত্র ছয় সেট ট্রাম বাকি রয়েছে, যেগুলোর মাঝে দুই সেট বিশেষ সেবা প্রধান করার জন্য নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। নভেম্বর, ২০১৪সালে স্বল্প সময়ের জন্য পি শ্রেণীর ট্রামকে বন্ধ করে রাখা হয়।[৬]
  • আর২ শ্রেনীর ট্রাম হলো তিন শাখার একটি ট্রাম যেটিকে ৬টি চাকা বহন করে। ট্রামটি ১৯৯৪ এবং ১৯৯৭সালের মাঝে জিটি৬এন নকশার ভিত্তিতে এডট্রান্জ নির্মান করে। এটি ১৫৭জব যাত্রীকে বহন করতে পারে যাদের ৫৮জন বসে থাকতে পারে। ২০১১সাল অনুযায়ী, ৬৮টি ট্রাম এখনও কার্যক্ষম আছে যেগুলো প্রতিটি লাইনে চলতে পারে।[৭]
  • আর৩ শ্রেণীর ট্রাম হলো চার শাখার মটর ট্রাম যেটিকে ৮টি চাকা বহন করে। এই ট্রামটি ১৯৯৯ এবং ২০০১সালের মাঝে জিটি৮এন২ নকশা অনুসারে এডট্রান্জ নির্মাণ করে। এটি ২১৮জন যাত্রী বহন করতে পারে, যাদের ৬৭জন বসে থাকতে পারে। ২০১১সাল অনুযায়ী, ২০টি ট্রাম কার্যক্ষম রয়েছে, যেগুলো ১৭, ১৯, ২০, ২১, ২৭ এবং স্কুল ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ২৫ লাইনে চলাচল করে থাকে।[৮]
  • এস শ্রেণীর ট্রাম হলো পাঁচ শাখার মটর ট্রাম যেটিকে ৮টি চাকা বহন করে। এই ট্ীামগুলো ভারিওট্রাম নকশা অনুযায়ী স্ট্যাডলার তৈরি করে। এগুলো ২২১জন যাত্রী বহন করতে পারে, যাদের ৭৫জন বসে থাকতে পারে। এই নকশার চারটি ট্রাম ২০১১সালে প্রদান করা হয় এবং ১০টি ট্রাম নির্মাণেেে নির্রদেশ দেয়া হয়, যেগুলো ২০১১সালে দেয়ার কথা। এই ট্রামগুলো ১৯,২০, ২১ এবং ২২নাম্বার লাইনে চলে থাকে।[৯][১০]
  • টি১ শ্রেণীর ট্রাম হলো চার শাখার মটর ট্রাম যেটি আট চাকায় চলে। ট্রামগুলো সিমেনস তাদের এভেনিও নকশা অনুসারে তৈরি করে। এগুলো ২২০জন যাত্রীকে বহন করে। আটটি ট্রামকে বানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং প্রথম ট্রামটি ২০১২সালের নভেম্বরে মিউনিখে প্রদান করা হয়।[১১] প্রথম গাড়িটি ২০১৪সালের ১৭সেপ্টেম্বর ১৯নাম্বার লাইনে যাত্রা শুরু করে।[১২]

এমবিজি এখনও পুরনো কিছু ট্রামের অধিকারী। এগুলোর কিছু এমবিজি জাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়, এবং বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে দেখানো হয়। অন্যান্য ট্রামগুলো মিউনিখ শহরে ডয়েচেস জাদুঘেরর 'ভারকেহরসজেন্ট্রাম' (পরিবহন কেন্দ্র)তপ প্রদর্শন করা হয়।

এম ট্রাম সম্পাদনা

১৯৫০সালে, অপেন-এপ গাড়ির দ্বারা আধুনিকতা শুরু হয়। এই সিরিজের যানগুলোর প্রত্যেকটির ৩টি করে দরজা ছিল।

 
এম শ্রেণীর ট্রামগুলোর সমাপ্তি ঘটে ১৯৯২ এবং ১৯৯৭সালের মাঝে

পি ট্রাম সম্পাদনা

১৯৫৯/১৯৬০সালে, এটি দুটি পি ১.৬৫ সিরিজের সন্ধিযুক্ত গাড়ি দ্বারা পরিক্ষা করা হয়, যেটি মূলত এম-গাড়ির উপর ভিত্তি করে করা হয়। যেহেতু এই ধরনের গাড়ির জন্য দুটি কন্ডাক্টর প্রয়োজন হতো তাই এই ট্রেনগুলো বেশি কার্যকর ছিলনা। আর এগুলো শুধুমাত্র ১৯৭৫সালেই কার্যক্রমেে ছিল।

আর ট্রাম সম্পাদনা

১৯৮৫সালে নুরেমবার্গের দুটি সন্ধিযুক্ত রেলগাড়ি পরীক্ষা করা হয় (মিউনিখে এন সিরিজভুক্ত), কিন্তু দেখা যায় এগুলো মিউনিখের বড় জনসংখ্যার জন্য এগুলো খুব ছোট ছিল, তারা পি সিরিজের মতো নতুন গাড়ির পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তারা মিউনিখে সিদ্ধান্ত নেয়, তারা এডত্রান্জ থেকে জিটিএক্সএন / এম / এস সিস্টেমের পরীক্ষামূলক তিনটি গাড়ি কিনবে।

এস ট্রাম সম্পাদনা

এস শ্রেণীর ট্রাম হলো মিউনিখের রেলপথের জন্য স্ট্যাডলার রেল দ্বারা তৈরি মটর ট্রাম। ৫টি শাখার ট্রামগুলো সর্বমোট ৩৩.৯৪মিটার লম্বা। প্রথম এস ট্রামটি মিউনিখে ১৯মার্চ ২০০৯সালে ব্যবহার করা হয়। ডিসেম্বর ২০১৫সালের অনুসারে, এস সিরিজের ট্রামগুলো ১৭, ১৯, ২০, ২১ এবং ২২নাম্বার লাইনে চলে থাকে।

টি ট্রাম সম্পাদনা

নেটওয়ার্ক সম্পাদনা

 
নেটওয়ার্কের মানচিত্র
 
অস্টবানহোফের ১৯ নাম্বার লাইনে একটি আর২ শ্রেণীর ট্রাম
 
একটি নতুন এস শ্রেণীর ট্রাম
 
কুরফুয়েরস্টেনপ্লাটজে ট্রাম জংশন
 
অলিম্পিক পার্ক ট্রাম স্টেশন

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. http://www.tundria.com/trams/DEU/Munich-2016.shtml
  2. "MVG in figures" (পিডিএফ)mvg-mobil.de। Münchner Verkehrsgesellschaft mbH (MVG) Marketing। জুন ২০১৩। ৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৩ 
  3. "Tramnetz München" [Munich Tram Network] (পিডিএফ) (German ভাষায়)। MVV। ৯ ডিসেম্বর ২০১২। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৩ 
  4. "MVG: wieder Fahrgastrekord bei U-Bahn, Bus und Tram; Zuwachs in allen Betriebszweigen" [MVG: Passenger record at U-Bahn, bus and tram; growth in all operating sectors] (পিডিএফ) (German ভাষায়)। MVG। ২৭ মে ২০১১। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১১ 
  5. Pulling, Neil (নভেম্বর ২০১০)। "System Factfile 38: Munich, Germany"। Tramways & Urban Transit। Ian Allan Ltd / Light Rail Transit Association। পৃষ্ঠা 419–421। 
  6. "Tram Typ P" [Tram Type P] (German ভাষায়)। MVG। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১১ 
  7. "Tram Typ R 2" [Tram Type R 2] (German ভাষায়)। MVG। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১১ 
  8. "Tram Typ R 3" [Tram Type R 3] (German ভাষায়)। MVG। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১১ 
  9. "Tram Typ S" [Tram Type S] (German ভাষায়)। MVG। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১১ 
  10. "Stadler sets new catenary-free world record"। Tramways & Urban Transit। Ian Allan Ltd / Light Rail Transit Association। জুলাই ২০১১। পৃষ্ঠা 251। 
  11. "Siemens unveils first Avenio tram in München"Railway Gazette। ২০১৪-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-১০ 
  12. "New trams enter service [in München]"। Today's Railways Europe (228)। Platform 5 Publishing, Ltd.। ডিসেম্বর ২০১৪। পৃষ্ঠা 15। আইএসএসএন 1354-2753