মালদা জাদুঘর
মালদা জাদুঘর পশ্চিমবঙ্গ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর। জাদুঘরটি ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়[২] এবং এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলার ইংরেজ বাজারের শুভঙ্কর বাঁধ রোডে অবস্থিত।
স্থাপিত | ১৯৩৭[১] |
---|---|
অবস্থান | ইংরেজ বাজার, পশ্চিমবঙ্গ |
স্থানাঙ্ক | ২৪°৫৯′৪৯″ উত্তর ৮৮°০৮′৩৯″ পূর্ব / ২৪.৯৯৬৯০৩১° উত্তর ৮৮.১৪৪০৮৬২° পূর্ব |
ধরন | প্রত্নতাত্ত্বিক |
তত্ত্বাবধায়ক | মাননীয় সাধন চন্দ্র দেব |
মালিক | পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
ওয়েবসাইট | মালদা জাদুঘর |
জাদুঘরটি জেলার মধ্যে পাওয়া ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ সংগ্রহ কেন্দ্র হিসাবে প্রথমে যাত্রা শুরু করে এবং মালদা জেলা গ্রন্থাগারের চত্বরে স্থাপন করা হয়। এটি পরবর্তী সময়ে পার্শ্ববর্তী একটি নতুন ও নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরিত হয় এবং রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে একটি জাদুঘরের মর্যাদা লাভ করে।
যদিও মালদা নিজেই শুধুমাত্র ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময়ে উত্থিত হয়। নিকটবর্তী গৌড় ও পান্ডুয়া পুরো বাংলা অঞ্চলের রাজধানী শহর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে, এই অঞ্চলটি সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিক থেকে বাংলার ক্ষমতার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। সম্প্রতি এই জাদুঘরটি সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করা হয়। জাদুঘরটিতে এই অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক, নৃতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শন বা উপকরণসমূহ প্রদর্শিত হয়।[৩] জাদুঘরে ভাস্কর্য, ক্ষুদ্র প্রস্তরমূর্তি, ক্যালিগ্রাফিক শিলালিপি ট্যাবলেট, পোড়ামাটির ফলক ও অন্যান্য নিদর্শনসমূহের বেশ কয়েকটি সূক্ষ্ম নমুনা রয়েছে, যা ১৫০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। জাদুঘরে রয়েছে চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীর প্রাচীন হিন্দু দেবদেবীদের ভাস্কর্য।
প্রদর্শনের সময় ও প্রবেশ মূল্য সম্পাদনা
জাদুঘরটি প্রতি সপ্তাহের সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার, শুক্রবার ও শনিবার জনসাধারণের জন্য খোলা থাকে। সকাল ১০:৩০ ঘটিকা থেকে বিকাল ৫:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। জাদুঘরটি বুধবার সকাল ১০ঃ৩০ থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা থাকে।
জাদুঘরে প্রবেশের জন্য প্রবেশ মূল্য নির্ধারিত রয়েছে। নির্ধারিত প্রবেশ মূল্য ভারতীয়দের জন্য ৫ টাকা ও বিদেশীদের জন্য ৫০ টাকা।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ Gita Dutta, Mrinal Dutta (১৯৯০)। Vraman Sangi: India Travel Companion, 1991-92। Asia Publishing Company।
- ↑ Robert Bradnock, Roma Bradnock (২০০১)। India Handbook। Trade & Travel Publications।
- ↑ Footprint India। Footprint Handbooks। ২০০৪।