মহান কনস্টান্টিন

সম্রাট কন্সট্যান্টাইন

মহান কনস্টান্টিন বা সন্ত কনস্টান্টিন[৬] নামে সুপরিচিত প্রথম কনস্টান্টিন (ফ্লাভিউস ভালেরিউস কনস্তান্তিনুস; ২৭ ফেব্রুয়ারি আনু. ২৭২ - ২২ মে ৩৩৭) ৩০৭ হতে ৩৩৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রোমান সম্রাট ছিলেন। তিনি খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করা প্রথম রোমান সম্রাট।[ছ] ডেসিয়া মেডিটারেনিয়ার নাইসুসে (বর্তমান নিশ, সার্বিয়া) জন্মগ্রহণকারী কনস্টান্টিন ইলিরীয় বংশোদ্ভূত রোমান সামরিক কর্মকর্তা ও টেটরার্কির চারজন শাসকের একজন ফ্লাভিউস কনস্টান্টিউসের পুত্র। তার মাতা হেলেনা নিম্ন জাতির গ্রিক খ্রিস্টান নারী ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি সন্ত হিসেবে সিদ্ধি লাভ করে তার পুত্রকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করেন। কনস্টান্টিন রোমান সম্রাট ডাইয়োক্লিশনগালেরিউসের অধীনে সামরিক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পূর্বের প্রদেশসমূহে (পার্সিদের বিরুদ্ধে) আক্রমণ চালানোর মধ্য দিয়ে তার সামরিক জীবন শুরু করেন এবং ৩০৫ খ্রিস্টাব্দে তার পিতার সাথে পশ্চিমে ব্রিটেনে যুদ্ধ করার জন্য যোগদান করেন। ৩০৬ খ্রিস্টাব্দে তার পিতার মৃত্যুর পর কনস্টান্টিন সম্রাট হন। এবোরাকুঁয়ে (ইয়র্ক, ইংল্যান্ড) তার সেনাবাহিনী তাকে সম্রাট হিসেবে স্বীকার করে নেয় এবং ৩২৪ খ্রিস্টাব্দে গৃহযুদ্ধে সম্রাট মাক্সেন্তিউসলিসিনিউসকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়ে রোমান সাম্রাজ্যের একক শাসক হয়ে ওঠেন।

প্রথম কনস্টান্টিন
মহান কনস্টান্টিনের অতিকায় মূর্তির মাথা
৫৭তম রোমান সম্রাট
রাজত্ব২৫ জুলাই ৩০৬ - ২২ মে ৩৩৭
(১৯ সেপ্টেম্বর ৩২৪ থেকে একক)
পূর্বসূরিপ্রথম কনস্টান্টিউস (পশ্চিম টেটরার্কিতে)
উত্তরসূরি
দ্বৈত-শাসক
বা প্রতিদ্বন্দ্বী
তালিকা দেখুন
জন্মফ্লাভিউস কনস্তান্তিনুস
২৭ ফেব্রুয়ারি আনু. ২৭২[১]
নাইসসুস, মোইশিয়া, রোমান সাম্রাজ্য[২] (বর্তমান সার্বিয়া)
মৃত্যু২২ মে ৩৩৭ (৬৫ বছর)
আকিরন, নিকোমিডিয়া, বিথিনিয়া, রোমান সাম্রাজ্য
(বর্তমান ইজমিত, কোজায়েলি, তুরস্ক)
সমাধি
মূল The Church of the Holy Apostles, কনস্টান্টিনোপল, কিন্তু তার পুত্র দ্বিতীয় কনস্টান্টিউস তা সরিয়ে ফেলেন
দাম্পত্য সঙ্গী
বংশধর
বিস্তারিত
পূর্ণ নাম
ফ্লাভিউস ভালেরিউস কনস্টান্টিনুস
রাজ্যের নাম
ইমপেরেটর সিজার ফ্লাভিউস ভালেরিউস কনস্টান্টিনুস আউগুস্তুস
গ্রিকΚωνσταντῖνος
রাজবংশকনস্টান্টিনীয়
পিতাকনস্টান্টিউস ক্লোরাস
মাতাহেলেনা
ধর্ম

মহান কনস্টান্টিন
আয়া সোফিয়ায় কনস্টান্টিনের মোজাইক, অংশ: কনস্টান্টিনোপলের পৃষ্ঠপোষক সন্তু হিসেবে মারিয়া, বিশদ: শহরের মডেল সহযোগে সম্রাট প্রথম কনস্টান্টিনের প্রতিমূর্তি
সম্রাট ও খ্রিস্ট ধর্মসংস্কারকের সমতুল্য
সমাধিকনস্টান্টিনোপল (বর্তমান ইস্তাম্বুল, তুরস্ক)
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
প্রধান স্মৃতিযুক্ত স্থানChurch of the Holy Apostles, কনস্টান্টিনোপল (বর্তমান ইস্তাম্বুল, তুরস্ক)
উৎসব২১ মে

সম্রাট হিসেবে সিংহাসনে আসীন হওয়ার পর কনস্টান্টিন তার সাম্রাজ্যকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অসংখ্য সংস্কার কার্যক্রম করেন। তিনি সরকার ব্যবস্থার কাঠামো পরিবর্তন করেন এবং বেসামরিক ও সামরিক দপ্তর পৃথক করেন। মুদ্রাস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যে তিনি নতুন স্বর্ণমুদ্রা সোলিদুস বাজারে ছাড়েন যা বাইজেন্টিনীয় ও ইউরোপীয় মুদ্রাব্যবস্থার মানদণ্ড হিসেবে এক হাজার বছরের বেশি সময় ধরে টিকে ছিল। রোমান সেনাবাহিনীকে অভ্যন্তরীণ হুমকি ও বার্বারীয়দের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য চলমান দল (কমিতাতেন্সেস) এবং গ্যারিসন দলে (লিমিতানেই) ভাগ করা হয়। কনস্টান্টিন ফ্রাঙ্ক, আলেমান্নি, গোথ, সারমাতি প্রভৃতি রোমান সীমান্তবর্তী জাতির বিরুদ্ধেও জয় লাভ করেন এবং রোমান সংস্কৃতির জনগণের তৃতীয় শতাব্দীর সংকটকালীন তার পূর্বসূরীদের পরিত্যাগ করা অঞ্চলসমূহে পুনরায় বসতি স্থাপন করেন।

যদিও কনস্টান্টিন তার জীবনের বেশিরভাগ সময় পৌত্তলিক ও পরে ক্যাটিকিউমেন হিসেবে কাটান। তিনি ৩১২ খ্রিস্টাব্দ থেকে খ্রিস্টধর্মকে পক্ষে কাজ শুরু করেন এবং খ্রিস্টান হন। তিনি আর্য বিশপ নিকোমিডিয়ার ইউসেবিয়াস অথবা পোপ প্রথম সিলভেস্টারের নিকট বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেন। প্রথম মতটি উল্লেখযোগ্য আর্য ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব দ্বারা সত্যায়িত এবং দ্বিতীয় মতটি ক্যাথলিক চার্চআলেক্সান্দ্রীয় কিবতীয় সনাতনপন্থী মণ্ডলী মেনে চলে। তিনি ৩১৩ খ্রিস্টাব্দে মিলানের ফরমান জারির ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেন, যার মাধ্যমে রোমান সাম্রাজের খ্রিস্টধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতার ঘোষণা দেওয়া হয়। তিনি ৩২৫ খ্রিস্টাব্দে নিসিয়ার প্রথম কাউন্সিল গঠন করেন যা নিসিন ধর্মবিশ্বাস নামে পরিচিত খ্রিস্টান বিশ্বাসের নির্বচন তৈরি করে। জেরুসালেমে যিশুর সমাধির কথিত স্থানে তার নির্দেশে চার্চ অব দ্য হলি সেপুলচার তৈরি করা হয় এবং একে সমস্ত খ্রিস্টান জগতের পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হত। উচ্চ মধ্যযুগে কনস্টান্টিনের মনগড়া দানের উপর ভিত্তি করে পোপরা অস্থায়ী ক্ষমতা দাবি করে। তাকে ঐতিহাসিকভাবে "প্রথম খ্রিস্টান সম্রাট" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এবং তিনি খ্রিস্টান মণ্ডলীর পক্ষে ছিলেন। যদিও কিছু আধুনিক বিদ্বান তার বিশ্বাস ও এমনকি খ্রিস্টধর্ম সম্পর্কে তার উপলব্ধি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন,[জ] পূর্বদেশীয় খ্রিস্টধর্মে তাকে সন্ত হিসেবে সম্মান করা হয় এবং তিনি খ্রিস্টধর্মকে রোমান সংস্কৃতির মূলধারার অংশ করার জন্য ভূমিকা পালন করেন।

কনস্টান্টিনের যুগ রোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাসে একটি স্বতন্ত্র যুগ এবং ধ্রুপদী প্রাচীনত্ব থেকে মধ্যযুগে পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত।[৯] তিনি বাইজেন্টিয়াম শহরে সম্রাটের নতুন বাসভবন তৈরি করেন এবং এর নামকরণ করেন নোভা রোমা। পরে সম্রাটের সম্মানার্থে সবাই এটিকে কনস্টান্টিনোপল ডাকা শুরু করলে তিনি এই নামটি গ্রহণ করেন, যেখানে আধুনিক ইস্তাম্বুল অবস্থিত। এটি পরবর্তীকালে এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল, পরবর্তী পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যকে প্রায়শই ইংরেজিতে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য নামে ডাকা হয়। জার্মান ইতিহাসবিদ হাইয়েরোনিমাস উল্‌ফ কর্তৃক উদ্ভাবিত এই নামটি এই সাম্রাজ্য কখনও ব্যবহার করত না। তার আরও সমকালীন রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ছিল যে তিনি তার পুত্র এবং কনস্টানটিন রাজবংশের অন্যান্য সদস্যদের কাছে সাম্রাজ্য ছেড়ে দিয়ে রাজবংশের উত্তরাধিকারের ডি ফ্যাক্টো নীতি দিয়ে ডাইয়োক্লিশনের টেটরার্কিকে প্রতিস্থাপিত করেছিলেন। তার খ্যাতি তার সন্তানদের জীবদ্দশায় এবং তার রাজত্বের কয়েক শতাব্দী ধরে বিকাশ লাভ করে। মধ্যযুগীয় গির্জা তাকে সদগুণের প্রতিমূর্তি হিসেবে এবং ধর্মনিরপেক্ষ শাসকরা তাকে আদর্শ ও সাম্রাজ্যবাদী বৈধতা ও পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করত।[১০] রেনেসাঁর শুরুতে কনস্টান্টিন-বিরোধী উৎসসমূহের পুনঃআবিষ্কারের ফলে তার রাজত্বের আরও ইতিবাচক মূল্যায়ন ছিল। আধুনিক এবং সাম্প্রতিক পাণ্ডিত্যমূলক রচনায় পূর্ববর্তী পাণ্ডিত্যের সাথে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে।

ওরিয়ায় কনস্টানটাইন দ্য গ্রেটের মূর্তি

উৎস সম্পাদনা

কনস্টান্টিন একজন গুরুত্বপূর্ণ শাসক এবং সবসময় একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন।[১১] তার রাজত্বকালের প্রাচীন উৎসসমূহে তার খ্যাতির ওঠানামা প্রতিফলিত হয়। এই উৎসের পরিমাণ অনেক এবং তার বর্ণনার পরিধিও বিশাল,[১২] তবে তা সেই সময়কালের দাপ্তরিক প্রচারণার দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত,[১৩] এবং প্রায়ই একপাক্ষিক।[১৪] তার জীবন ও শাসন নিয়ে কোনো সমসাময়িক ইতিহাস বা জীবনী টিকে নেই।[১৫] ৩৩৫ থেকে আনুমানিক ৩৩৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে[১৬] ইউসিবিয়াসের উচ্চ প্রশংসামূলক রচনা ও সাধু মহাপুরুষদের জীবনীর সংমিশ্রণ ভিতা কনস্তান্তিনি,[১৭] যা কনস্টান্টিনের নৈতিক ও ধর্মীয় গুণাবলীর প্রশংসা করে।[১৮] ভিতা কনস্টান্টিনের বিতর্কের সাথে ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করে,[১৯] কিন্তু আধুনিক ইতিহাসবিদগণ প্রায়ই এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।[২০] কনস্টান্টিনের সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ জীবনী হল বেনামী লেখকের ওরিগো কনস্তান্তিনি,[২১] যার রচনাকালও অনিশ্চিত।[২২] এতে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিষয়াবলিকে উপেক্ষা করে সামরিক ও রাজনৈতিক ঘটনাবলিতে দৃষ্টি নিবন্ধ করে।[২৩]

ডাইয়োক্লিশানের রাজত্ব ও টেটরার্কি নিয়ে লাক্তান্তিউসের লেখা রাজনৈতিক খ্রিস্টীয় পুস্তিকা দে মর্তিবাস পার্সেকুতোরুম কনস্টান্টিনের পূর্বসূরীদের ও তার প্রারম্ভিক জীবনের মূল্যবান কিন্তু উদ্দেশ্যমূলক বর্ণনা প্রদান করে।[২৪] সক্রেটিস, সোজোমেনথিওডোরেটের খ্রিস্টধর্মীয় ইতিহাস কনস্টান্টিনের রাজত্বকালের শেষভাগের খ্রিস্টধর্মীয় বিরোধসমূহ বর্ণনা করে।[২৫] কনস্টান্টিনের রাজত্বকালের এক শতাব্দীর পর দ্বিতীয় থিওডোসিয়াসের (রাজত্বকাল ৪০২-৪৫০) সময়কালের রচিত এইসব খ্রিস্টধর্মীয় ইতিহাসবিদগণ ভুল নির্দেশনা, ভুল উপস্থাপনা এবং ইচ্ছাকৃত অস্পষ্টতার মাধ্যমে কনস্টান্টিনীয় সময়কালের ঘটনাবলি ও ধর্মতত্ত্বকে অস্পষ্ট করে তুলে।[২৬] গোড়াবাদী খ্রিস্টান আথানাসিউসের লেখনী ও ফিলোস্তোরজিউসের আর্যবাদী খ্রিস্টধর্মীয় ইতিহাসও এখনও টিকে আছে, তবে তাদের পক্ষপাতও বেশ দৃঢ়।[২৭]

আউরেলিউস ভিক্তরের দে কিসারিবুস, ইউত্রোপিউসের ব্রেভিয়ারিউম, ফেস্তুসের ব্রেভিয়ারিউম শীর্ষক সারসংক্ষেপ এবং অজানা লেখকের ইপিটমি দে সিজারিবুস সেই সময়ের সংক্ষিপ্ত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক এবং সামরিক ইতিহাসের বিবৃত করে। খ্রিস্টান না হলেও এই সারসংক্ষেপসমূহে কনস্টান্টিনের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরে কিন্তু কনস্টান্টিনের ধর্মীয় নীতির প্রসঙ্গসমূহ বাদ দেয়।[২৮] ৩য় শতাব্দীর শেষভাগে ও ৪র্থ শতাব্দীর শুরুর দিকের স্তুতি সংকলন প্যানিজিরিক লাতিনি কনস্টান্টিনের টেটরার্কি যুগের রাজনীতি ও মতাদর্শ এবং প্রারম্ভিক জীবনের মূল্যবান তথ্য প্রদান করে।[২৯] রোমে কনস্টান্টিনের ধনুকাকৃতির খিলান এবং গামজিগ্রাদকর্দোবার প্রাসাদের মত সমসাময়িক স্থাপত্যের অধিলিপি[৩০] এবং সেই যুগের মুদ্রা সাহিত্যের উৎসের পরিপূরক।[৩১]

পরিবার সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. পূর্ব টেটরার্কির সম্রাট
  2. পশ্চিম টেটরার্কির সম্রাট
  3. পশ্চিম টেটরার্কিতে; ইতালির বাইরে অস্বীকৃত
  4. মূলত পশ্চিম টেটরার্কির সম্রাট; ৩১৩ খ্রিস্টাব্দের পর পূর্ব টেটরার্কির সম্রাট হন। তিনি অল্প কিছুদিন ভালেরিউস ভালেন্স (৩১৭) ও মার্তিনিয়ান (৩২৪)-এর সাথে শাসন করেন।
  5. মিনার্ভিনা সম্ভবত তার উপ-পত্নী ছিলেন।
  6. লাতিন ক্যাথলিক চার্চে কনস্টান্টিন সন্তু নন কিন্তু "মহান" হিসেবে সম্মানিত।[৩][৪] ইউক্রেনীয় ক্যাথলিক মণ্ডলীর মত পূর্বদেশীয় ক্যাথলিক মণ্ডলী তাকে সন্ত হিসেবে সম্মানিত করে।[৫]
  7. ফিলিপ দি আরবও খ্রিস্টধর্মের পক্ষে ছিলেন। (টেমপ্লেট:শাসনামল). দেখুন ফিলিপ দি আরব ও খ্রিস্টধর্ম.[৭]
  8. কনস্টান্টিন তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করেননি।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. কনস্টান্টিনের বিভিন্ন জন্মসাল পাওয়া যায়, তবে আধুনিক ঐতিহাসিকেরা "আনু. ২৭২" ব্যবহার করেন। লেন্‌স্কি, "Reign of Constantine" (CC), ৫৯।
  2. "Constantine I | Biography, Accomplishments, Death, & Facts"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনলাইন 
  3. "Constantine the Great"ক্যাথলিক বিশ্বকোষ। নিউ অ্যাডভেন্ট। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০২২ 
  4. "St. Constantine"ফেইথএনডি। নটর ডেম ইউনিভার্সিটি। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০২২ 
  5. "Saint Constantine the Great"। সেন্ট কনস্টান্টিন ইউক্রেনিয়ান ক্যাথলিক চার্চ। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. Among Eastern Orthodox, Oriental Orthodox and Byzantine Catholic Christians. The Byzantine liturgical calendar, observed by the Eastern Orthodox Church and Eastern Catholic Churches of Byzantine rite, lists both Constantine and his mother Helena as saints. Although he is not included in the Latin Church's list of saints, which does recognise several other Constantines as saints, he is revered under the title "The Great" for his contributions to Christianity.
  7. আই. সাহিদ, Rome and the Arabs (ওয়াশিংটন ডি.সি.: ডাম্বার্টন ওকস, ১৯৮৪), পৃষ্ঠা ৬৫–৯৩; এইচ. এ. পোলস্যান্ডার, "Philip the Arab and Christianity", হিস্টোরিয়া ২৯:৪ (১৯৮০): ৪৬৩–৭৩।
  8. হ্যারিস, জোনাথন (২০১৭)। Constantinople: Capital of Byzantium (২য় সংস্করণ)। ব্লুমসবারি একাডেমিক। পৃষ্ঠা ৩৮। আইএসবিএন 9781474254670 
  9. গ্রেগরি, A History of Byzantium, পৃষ্ঠা ৪৯।
  10. ভ্যান ড্যাম, Remembering Constantine at the Milvian Bridge, পৃষ্ঠা ৩০।
  11. বার্নস, Constantine and Eusebius, পৃষ্ঠা ২৭২।
  12. ব্লেকমান, "Sources for the History of Constantine" (CC), পৃষ্ঠা ১৪; ক্যামেরন, পৃষ্ঠা ৯০-৯১; লেন্‌স্কি, "Introduction" (CC), পৃষ্ঠা ২-৩।
  13. ব্লেকমান, "Sources for the History of Constantine" (CC), পৃষ্ঠা ২৩-২৫; ক্যামেরন, ৯০-৯১; সাউদার্ন, ১৬৯।
  14. ক্যামেরন, পৃষ্ঠা ৯০; সাউদার্ন, পৃষ্ঠা ১৬৯।
  15. ব্লেকমান, "Sources for the History of Constantine" (CC), পৃষ্ঠা ১৪; কর্কোরান, Empire of the Tetrarchs, পৃষ্ঠা ১; লেন্‌স্কি, "Introduction" (CC), পৃষ্ঠা ২-৩।
  16. ড্রেক, "What Eusebius Knew," পৃষ্ঠা ২১।
  17. ইউসেবিয়াস, Vita Constantini পৃষ্ঠা ১.১১; ওদাল, পৃষ্ঠা ৩।
  18. Barnes, Constantine and Eusebius265–68.
  19. লেন্‌স্কি, "Introduction" (CC), পৃষ্ঠা ৫; স্ট্রর্চ, পৃষ্ঠা ১৪৫-৫৫।
  20. বার্নস, Constantine and Eusebius, পৃষ্ঠা ২৬৫–৭১; ক্যামেরন, পৃষ্ঠা ৯০-৯২; ক্যামেরন ও হল, পৃষ্ঠা ৪-৬; ইলিয়ট, "Eusebian Frauds in the "Vita Constantini"", পৃষ্ঠা ১৬২–৭১।
  21. লিউ ও মন্টসেরাট, পৃষ্ঠা ৩৯; ওদাল, পৃষ্ঠা ৩।
  22. ব্লেকমান, "Sources for the History of Constantine" (CC), পৃষ্ঠা ২৬; লিও ও মন্টসেরাট, পৃষ্ঠা ৪০; ওদাল, পৃষ্ঠা ৩।
  23. লিও ও মন্টসেরাট, পৃষ্ঠা ৪০; ওদাল, পৃষ্ঠা ৩।
  24. বার্নস, Constantine and Eusebius, পৃষ্ঠা ১২–১৪; ব্লেকমান, "Sources for the History of Constantine" (CC), পৃষ্ঠা ২৪; ম্যাকি, পৃষ্ঠা ২০৭; ওদাল, পৃষ্ঠা ৯-১০।
  25. বার্নস, Constantine and Eusebius, পৃষ্ঠা ২২৫; ব্লেকমান, "Sources for the History of Constantine" (CC), পৃষ্ঠা ২৮–৩০; ওদাল, পৃষ্ঠা ৪-৬।
  26. বার্নস, Constantine and Eusebius, পৃষ্ঠা ২২৫; ব্লেকমান, "Sources for the History of Constantine" (CC), পৃষ্ঠা ২৬-২৯; ওদাল, পৃষ্ঠা ৫-৬।
  27. ওদাল, পৃষ্ঠা ৬, ১০।
  28. ব্লেকমান, "Sources for the History of Constantine" (CC), পৃষ্ঠা ২৭-২৮; লিউ ও মন্টসেরাট, পৃষ্ঠা ২-৬; ওদাল, পৃষ্ঠা ৬-৭; ওয়ার্মিংটন, পৃষ্ঠা ১৬৬-৬৭।
  29. ব্লেকমান, "Sources for the History of Constantine" (CC), পৃষ্ঠা ২৪; ওদাল পৃষ্ঠা ৮; ওয়াইন্যান্ড, Kaiser als Sieger, পৃষ্ঠা ২৬–৪৩।
  30. ব্লেকমান, "Sources for the History of Constantine" (CC), পৃষ্ঠা ২০–২১; জনসন, "Architecture of Empire" (CC), পৃষ্ঠা ২৮৮–৯১; ওদাল, পৃষ্ঠা ১১–১২।
  31. ব্লেকমান, "Sources for the History of Constantine" (CC), পৃষ্ঠা ১৭–২১; ওদাল, পৃষ্ঠা ১১–১৪; ওয়াইন্যান্ড, Kaiser als Sieger, পৃষ্ঠা ৪৩–৮৬।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

মহান কনস্টান্টিন
জন্ম: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২৭২ মৃত্যু: ২২ মে ৩৩৭
রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
কনস্টান্টিউস ক্লোরাস
রোমান সম্রাট
৩০৬–৩৩৭
সাথে: গালেরিউস, দ্বিতীয় সেভেরুস, মাক্সেন্তিউস, মাক্সিমিয়ান,
লিসিনিউস, মাক্সিমিনুস দাজা, ভালেরিউস ভালেন্সমার্তিনিয়ান
উত্তরসূরী
দ্বিতীয় কনস্টান্টিন
দ্বিতীয় কনস্টান্টিউস
কনস্টান্স
রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
কনস্টান্টিউস ক্লোরাস
গালেরিউস
রোমান রাজপ্রতিনিধি
৩০৭
সহশাসন: মাক্সিমিয়ান
উত্তরসূরী
ডাইয়োক্লিশন
গালেরিউস
পূর্বসূরী
গালেরিউস
মাক্সিমিনুস
রোমান রাজপ্রতিনিধি ২-৩
৩১২-৩১৩
সহশাসন: লিসিনিউস
মাক্সিমিনুস
উত্তরসূরী
সেইওনিউস রুফিউস ভোলুসিয়ানুস
পেত্রোনিউস আন্নিয়ানুস
পূর্বসূরী
সেইওনিউস রুফিউস ভোলুসিয়ানুস
পেত্রোনিউস আন্নিয়ানুস
রোমান রাজপ্রতিনিধি ৪
৩১৫
সহশাসন: লিসিনিউস
উত্তরসূরী
আন্তোনিউস কেসিনা সাবিনুস
ভেত্তিউস রুফিনুস
পূর্বসূরী
লিসিনিউস
ক্রিস্পুস
রোমান রাজপ্রতিনিধি ৫-৬
৩১৯-৩২০
সহশাসন: দ্বিতীয় লিসিনিউস
দ্বিতীয় কনস্টান্টিন
উত্তরসূরী
ক্রিস্পুস
দ্বিতীয় কনস্টান্টিন
পূর্বসূরী
সেক্স. আনিসিউস পাউলিনুস
জুলিয়াস জুলিয়ানুস
রোমান রাজপ্রতিনিধি ৭
৩২৬
সহশাসন: দ্বিতীয় কনস্টান্টিউস
উত্তরসূরী
ফ্লাভিউস কনস্টান্টিউস
ভালেরিউস মাক্সিমুস
পূর্বসূরী
জানুয়ারিনুস
ভেত্তিউস ইউস্তুস
রোমান রাজপ্রতিনিধি ৮
৩২৯
সহশাসন: দ্বিতীয় কনস্টান্টিন
উত্তরসূরী
গালিকানুস
আউরেলিউস ভালেরিউস সিমাকুস তুলিয়ানুস
রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
কনস্টান্টিউস ক্লোরাস
ব্রিটেনের রাজা উত্তরসূরী
অক্টাভিউস