মমির অভিশাপ (ফরাসি: Les Sept Boules de Cristal) বেলজীয় কার্টুনিস্ট হার্জের দুঃসাহসী টিন‌টিন সিরিজের তেরোতম কমিক বই। বেলজিয়ামের ফরাসিভাষি দৈনিক লে সয়ার-এ এটির ধারাবাহিক প্রকাশ শুরু হয় ১৯৪৩ এর ডিসেম্বর থেকে, তখন বেলজিয়াম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাজি সৈন্যদের দখলে। ১৯৪৪ সালের সেপ্টেম্বরে যখন মিত্রবাহিনী জার্মানদের হটিয়ে দেয়, কমিকসটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়, কারণ তখন নাজিদের সহযোগিতা করার অভিযোগে হার্জের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে। দুবছর পর তিনি মুক্তি পান এবং এ গল্পটি প্রকাশিত হতে থাকে নতুন সাপ্তাহিক টিনটিন ক্রোড়পত্রে, সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ থেকে এপ্রিল ১৯৪৮ পর্যন্ত। গল্পটির কেন্দ্রে আছে তরুণ সাংবাদিক টিনটিন ও তার বন্ধু ক্যাপ্টেন হ্যাডক এবং তাদের অপহৃত বন্ধু প্রফেসর ক্যালকুলাসের অনুসন্ধান, যার সাথে জড়িয়ে পড়ে এক রহস্যময় অসুখ, পেরুতে কাজ করা এক প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযাত্রী দলের সদস্যরা যার শিকার।

মমির অভিশাপ
(Les Sept Boules de Cristal)
তারিখ১৯৪৮
সিরিজদুঃসাহসী টিন‌টিন
প্রকাশকলে সয়ার জেনেস
সৃজনশীল দল
উদ্ভাবকরাএর্জে
মূল প্রকাশনা
প্রকাশিত হয়েছিললে সয়ার
প্রকাশনার তারিখ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৪৩ – ৩রা সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪
ভাষাফরাসি
আইএসবিএন২-২০৩-০০১১২-৭
অনুবাদ
প্রকাশকআনন্দ পাবলিশার্স
তারিখ১৯৬২
অনুবাদকনীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
কালপঞ্জি
পূর্ববর্তীলাল বোম্বেটের গুপ্তধন (১৯৪৪)
পরবর্তীসূর্যদেবের বন্দি (১৯৪৯)

মমির অভিশাপ ব্যবসাসফল হয় এবং পত্রিকায় প্রকাশের পরের বছর কাস্টরম্যান এটি বই হিসেবে প্রকাশ করে। এই গল্পের বাকি অংশ হার্জ শেষ করেন পরবর্তী কমিকস সূর্যদেবের বন্দিতে। ততদিনে টিনটিন সিরিজটি ফরাসী-বেলজীয় কমিকস ধারার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। সমালোচকেরা এটিকে দুঃসাহসী টিনটিনের সেরা অভিযানগুলোর সারিতে স্থান দিয়েছেন এবং সিরিজের সবচেয়ে "ভয়ঙ্কর পর্ব" বলে আখ্যায়িত করেছেন। গল্পটি অবলম্বনে ১৯৬৯ সালে বেলভিজিয়ন স্টুডিওস তৈরি করে চলচ্চিত্র টিনটিন অ্যান্ড দা টেম্পল অব সান এবং এলিপস ও নেলভানা করে এনিমেটেড সিরিজ দি অ্যাডভেঞ্চার্স অব টিনটিন (১৯৯১)।

কাহিনীসংক্ষেপ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা