মকসুদ জামিল মিন্টু

বাংলাদেশী সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক

মকসুদ জামিল মিন্টু একজন বাংলাদেশী সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। প্রখ্যাত বাংলাদেশী সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্রের গানে তার সঙ্গীতায়োজন বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। হুমায়ূন আহমেদের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত শ্রাবণ মেঘের দিন চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করে প্রথমবারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারবাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[১]

মকসুদ জামিল মিন্টু
জন্ম
মকসুদ জামিল মিন্টু

জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
পেশাসুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক
পরিচিতির কারণসঙ্গীতজ্ঞ
পুরস্কারজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১ বার)
বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার
সঙ্গীত কর্মজীবন
ধরন
বাদ্যযন্ত্র
লেবেললেজার ভিশন

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

মকসুদ জামিল মিন্টু বাংলাদেশের ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ছিলেন একজন সাংবাদিক। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক অর্জন করেন।

সঙ্গীত জীবন সম্পাদনা

মকসুদ জামিল মিন্টুর সঙ্গীত জীবন শুরু হয় ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য গীটার বাজানোর মধ্য দিয়ে। কয়েক বছর পর তিনি কীবোর্ড বাজানো শুরু করেন।[২] ১৯৮২ সালে তিনি সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সাথে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথম মেঘ বিজলী বাদল চলচ্চিত্রের জন্য গীটার বাজান।[৩] সে বছরই এন্ড্রু কিশোর তার সুরে কণ্ঠ দিয়ে একটি অ্যালবাম বের করার প্রস্তাব দেন। সেই সুরকৃত গানগুলি ১৯৯২ সালে অ্যালবাম আকারে বাজারে আসে। ১৯৮৬ সালে তার সুরে ও সঙ্গীতায়োজনে শেখ ইশতিয়াকের কণ্ঠে নন্দিতা অ্যালবাম বের হয়। এই অ্যালবামের "নীলাঞ্জনা", "আমার মনের ফুলদানিতে" গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে।[৪]

১৯৮৮ সালে প্রথম আল মনসুর পরিচালিত যেখানে দেখিবে ছাই নাটকের আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেন। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত নাটকে আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেন এবং তার পর থেকে হুমায়ূন আহমেদের প্রায় সকল চলচ্চিত্রে তিনি সঙ্গীত পরিচালনা করেন। তবে তার চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা শুরু হয় মতিন রহমান পরিচালিত ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আগুন জ্বলে চলচ্চিত্র দিয়ে।[৩] ১৯৯৯ সালে শ্রাবণ মেঘের দিন চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করে প্রথমবারের মত অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই ছায়াছবির সুবীর নন্দীর কণ্ঠে "একটা ছিল সোনার কন্যা" গানটি দর্শক সমাদৃত হয়। এরপর তিনি হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, ও শ্যমল ছায়া চলচ্চিত্রের গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেন।[৫] তিনি হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ঘেটুপুত্র কমলার একটি গানের সুর ও আরও চারটি গানের সঙ্গীত পরিচালনা করেন।[৬]

ডিস্কোগ্রাফি সম্পাদনা

অ্যালবাম সম্পাদনা

  • নন্দিতা (১৯৮৬), কণ্ঠশিল্পী - শেখ ইশতিয়াক
  • হাছন রাজার গান, কণ্ঠশিল্পী - সেলিম চৌধুরী
  • শর্টস্টোরি (২০১৫), কণ্ঠশিল্পী - জান্নাতে রোম্মান তিথি
  • সাদাকালো দুঃখ (২০১৬), কণ্ঠশিল্পী - ইমরান খোন্দকার

চলচ্চিত্র সম্পাদনা

নাটক সম্পাদনা

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "গান পাগল হুমায়ূন আহমেদ"। গুনীজন। ২৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৬ 
  2. "গানগল্প: সঙ্গীত পরিচালক মকসুদ জামিল মিন্টু"বিবিসি বাংলা। ১৭ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৬ 
  3. শাহ আলম সাজু (১১ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Maksud Jamil Mintu Music maker [সঙ্গীতস্রষ্টা মকসুদ জামিল মিন্টু]"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৬ 
  4. "ট্রিবিউট টু দ্যা লিজেন্ড: শেখ ইশতিয়াক"দৈনিক যায় যায় দিন। ২৭ নভেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৬ 
  5. পাভেল রহমান (১৯ জুলাই ২০০৪)। "আগুনের পরশমণি থেকে ঘেটুপুত্র কমলা"রাইজিং বিডি। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "আবার হুমায়ূন আহমেদের ছবিতে মকসুদ জামিল মিন্টু"দৈনিক প্রথম আলো। ২৭ নভেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা