ভোগবাদ হলো এমন একপ্রকারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অনুক্রম যেখানে মানুষকে নিয়ত ক্রমবর্ধমান পণ্য ও সেবা অধিগ্রহণকে উৎসাহিত করা হয়। একে ইংরেজিতে কনজ্যুমারিজম (ইংরেজি: consumerism) বলা হয়। শিল্প বিপ্লবের পর থেকে, বিশেষ করে ২০ শতকে, ব্যাপক উৎপাদন ঠেলে দিয়েছে অতিউৎপাদনের দিকে, যেখানে ভোক্তার চাহিদাকে পণ্যের সরবরাহ অতিক্রম করে যায়। তাই প্রস্তুতকারকরা বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের পরিকল্পনা করে বিলোপমুখী করছে ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন পণ্য ক্রয়ে বাধ্য করছে।[১] ১৮৯৯ সালে থরস্টেইন ভেবলেন ভোগবাদের উপর দ্যা থিওরি অব দ্যা লেইজার ক্লাস (ইংরেজি: The Theory of the Leisure Class) নামে একটি বই প্রকাশ করেন যেখানে তিনি পর্যবেক্ষণ করেন কীভাবে বিংশ শতাব্দীর শুরুতে “অবসর সময়” এর বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং মূল্যবোধের জন্ম নেয় যেগুলো ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করা শুরু করে। [২] তিনি এ বইয়ে অবসর শ্রেণির কার্যক্রম ও ব্যয়কে ষড়যন্ত্রমূলক এবং পরার্থমূলক ভোগ ও অপচয়ের প্রেক্ষিতে দেখানোর চেষ্টা করেন এবং দেখান যে উভয়ই প্রয়োজনীয়তার বদলে সামাজিক মর্যাদার সাথে সম্পর্কিত যা মানুষকে বেশি ব্যয়ে উদ্বুদ্ধ করে।[৩]

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম শপিং মল ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা সিটি (২০১২)

অর্থনীতিতে ভোগবাদকে অর্থনৈতিক নীতিমালা হিশেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, যেখানে ভোগের উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়। বিমূর্তভাবে ভোক্তাদের মুক্ত নির্বাচনের ক্ষমতাই উৎপাদনকারীদের বলে দিবে কি উৎপাদন করা উচিত এবং কি উচিত না।[৪] এক্ষেত্রে ভোগবাদ মানে আর "একটি মানুষ, একটি কণ্ঠ" বুঝায় না, বরং বুঝায় "এক টাকা, একটা কণ্ঠ", যেখানে সমাজে মানুষের অবদানকে ইঙ্গিত করতেও পারে, আবার নাও করতে পারে।

পরিভাষা সম্পাদনা

কনজ্যুমারিজম শব্দটির বাংলা করলে দাঁড়ায় ভোগবাদ, ভোক্তাবাদ। বিভিন্ন অর্থের প্রতি এ শব্দটি ইঙ্গিত করে, মাঝেমধ্যে এর এক অর্থ, অন্য অর্থ থেকে একেবারে আলাদা এমনকি বিপরীতও।

  1. একদিক থেকে এটি বুঝায়, ভোক্তাদের স্বার্থকে সমর্থন করা। ৭০-এর দশকের শুরুর দিকে এ অর্থটি জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে:
    1. ভোক্তাবাদ হলো এমন একটি ধারণা যেখানে ভোক্তাদের চাহিদার কথাই সিদ্ধান্ত প্রণেতাদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। পণ্য পরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরী করে ভোক্তাদের অভাব অভিযোগ শোনা এর মধ্যে পড়ে।
    2. এখানে ভোক্তাবাদ হলো এমন একটি ধারণা যেখানে পরিচ্ছন্ন অর্থনৈতিক চর্চার মাধ্যমে সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় বাজার নিজেই কাজ করবে।
  2. উপরের সংজ্ঞাগুলো জনপ্রিয় হওয়া যখন শুরু করে, তখন অন্য কিছু মানুষ কনজ্যুমারিজমের মানে হিশেবে ভোগবাদকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায়। ৭০-এর দশকে এ অর্থগুলো গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া শুরু করে এবং এখনও এরা বেশ জনপ্রিয়:
    1. ভোগবাদ হলো পণ্যের অসার সংগ্রহ, বা অর্থনৈতিক বস্তুবাদ। এ হিশেবে ভোগবাদ নেতিবাচক, যেটি সাধারণ জীবনযাপনের বিপরীত।
    2. ভোগবাদ হলো বাজারের এমন একটি শক্তি যা মানুষের ব্যক্তিস্বতন্ত্রতার বিনাস করে ও বৃহত্তরভাবে সমাজের ক্ষতি করে। বিশ্বায়নের সাথে এর যোগ আছে বলে মনে করেন অনেকে।

জন বুগাস, ফোর্ড মোটর কোম্পানির একজন পরিচালক, ১৯৫৫ সালে তার একটি আমেরিকার অর্থনীতিকে বুঝাতে বক্তব্যে ভোগবাদ-কে পুঁজিবাদ-এর বিকল্প হিশেবে উপস্থাপন করেন।[৫]

ভ্যান্স প্যাকার্ড ভোগবাদ-কে একটি নেতিবাচক শব্দ হিশেবে উপস্থাপন করতে কাজ করেন।[৬] তার বই দ্যা ওয়েস্ট মেকার্স, যেটি ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয়, সেখানে ভোগবাদ-কে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়।[৬]

ইতিহাস সম্পাদনা

উৎপত্তি সম্পাদনা

১৭ শতকের শেষের দিকে ভোগবাদী সমাজের উদ্ভব হয় এবং ১৮ শতকে তা তার শিখরে পৌঁছায়।[৭] যখন কেউ কেউ দাবী করেন যে এ পরিবর্তনটির মূল কারণ মধ্যবিত্ত সমাজ, যারা বিলাসিতাকে অন্ধভাবে গ্রহণ করেন। এর পেছনে অনেকে ফ্যাশনকেও দায়ী করেন, যা অর্থহীন ক্রয়কে উৎসাহিত করে, যা প্রয়োজনীয়তাকে না বরং বিলাসিতাকে গুরুত্বারোপ করে। অনেক সমালোচকরা তর্ক করেন যে, ভোগবাদ পুঁজিবাদী প্রতিযোগিতায় পুনঃউৎপাদনের মাধ্যমে বাজার তৈরী ও মুনাফার্জনেরজন্য রাজনৈতিকভাবে ও অর্থনৈতিকভাবে প্রয়োজন রয়েছে।

কিছু সমালোচকের মতে এর পেছনে মূল কারণ ঔপনিবেশ, এবং চাহিদা না বরং সরবরাহই এর চালিকাশক্তি।

ভোগের সংস্কৃতি সম্পাদনা

এ প্যাটার্নটি বিশেষ করে লন্ডনে দেখা যায়, যেখানে সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ীরা এমন একটি বিলাসিতা ও ভোগের সংস্কৃতির সৃষ্টি করে, যা পরবর্তীতে আর্থ-সামাজিক সীমানাকে অতিক্রম করে পুরো সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। বাজারগুলো কেনাকাটার কেন্দ্রে পরিণত হয়, যার উদাহরণ হিশেবে বলা যায় ১৬০৯ সালে খোলা নিউ এক্সচেঞ্জ। দোকানগুলো লন্ডনবাসীদের কাছে থিয়েটারের মতই সামাজীকিকরণ ও মিলমেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পরিণত হতে শুরু করে। কাঁচ ও রেশম শিল্পে এ সময় বিকশিত হতে শুরু করে, যেটা মানুষের বৃহত্তর স্বার্থের চেয়ে নির্দিষ্ট অংশের ভোগ ও বিলাসিতাকে গুরুত্ব দেয়াকে ইঙ্গিত করে।

ভোগবাদী সমাজ তৈরীতে বিজ্ঞাপন একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিজ্ঞাপন সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছায়, এবং তাদেরকে জানায় যে ভোক্তার জীবনে বিশেষ কিছু অভাব রয়েছে। মিডিয়া ইন এভরিডে লাইফ পাঠ্যবইয়ে ভোগবাদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। লেখল বলেন, "ভোগবাদ আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও দৃশ্যমান সংস্কৃতিতে এমনভাবে মিশে আছে যে, আমরা একে অনেকসময় আলাদা করতে পারি না।" ভোক্তাদেরকে পণ্য ও ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত রাখতে বিজ্ঞাপন সময়ের সাথে সাথে পালটায়। উদাহরণস্বরূপ, অটোমোবাইলের জনপ্রিয়তার পর পরই বিলবোর্ড জনপ্রিয়তা পায়, যাতে দর্শকরা সহজেই রাস্তায় পণ্যটি সম্পর্কে ধারণা পায়। একাবিংশ শতাব্দিতে প্রযুক্তি এবং সমাজের আধুনিকায়নের উপর বিশেষ মনোযোগ দেয়া হয়। এখন কোম্পানির বার্তাকে এড়ানো অসম্ভব এমন পদ্ধতিকেই বেছে নেয়া হয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিশেবে। ভোক্তাদের ডাটা অবিরত সংগ্রহের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতা ও প্রস্তুতকারকরা সহজেই ভিন্ন ভোক্তার জন্য ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যম ও পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারছে।

ব্যাপক উৎপাদন সম্পাদনা

শিল্প বিপ্লব প্রাথমিকভাবে মাইনিং, স্টিল, তেল, পরিবহন, যোগাযোগ নেটওয়ার্কের উপর গুরুত্বারোপ করলেও, পরবর্তীতে এটা নাটকীয়ভাবে ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ততা বাড়িয়ে দেয়। ডিপার্টমেন্ট স্টোরের অগ্রগতি কেনাকেটা অভিজ্ঞাততে ব্যাপক পরিবর্তনের কথা বলে। ভোক্তারা প্রথমবারের মত ভোক্তারা বিভিন্ন ধরনের পণ্য একটা নির্দিষ্ট জায়গায় কিনতে পারতো।‌ এর আগে পণ্যের অভাব একেবারে স্বাভাবিক হলেও এ সময়ে প্রথমবারের জন্য সবার জন্য পণ্য একেবারে সহজলভ্য হয়ে যায়, এবং মাত্রাতিরিক্তভাবে পণ্য উৎপাদন হওয়া শুরু করে। এ সময় পণ্যের মূল্যও কমে যায় অনেক।

২০ শতকের প্রথম দিকেও ইউরোপের একজন গড়পড়তা কর্মী তার আয়ের ৮০-৯০% খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পিছনে ব্যয় করতে। এ সময় ব্যাপক উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন হেনরি ফোর্ড। এসময় ফ্রেডেরিখ উইন্সলো টেলরের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে এবং নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম ও উৎপাদন খরচ একেবারে কমে যায়।

একাবিংশ শতাব্দীতে সম্পাদনা

 
ঢাকা, বাংলাদেশের একটি রেস্তরাঁয় ইতালিয় খাবার পরিবেশন করা হয়েছে

মেডেলিন লেভিন আমেরিকান সংস্কৃতির বড় সমালোচনা করেন এর সম্প্রদায়, আধ্যাত্মিকতা, ও গভীরতা থেকে প্রতিযোগিতা, বস্তুবাদ ও বিচ্ছিন্নতার দিকে ছুটে যাওয়াকে। [৮]

ব্যবসায় সংগঠনগুলো বুঝতে শুরু করলো ধনী ক্রেতারাই সবচেয়ে আকর্ষণীয় লক্ষ্য। আর তাই উপরের শ্রেণির রুচি, জীবনাচরণ, আর পছন্দই সবার জন্য মানদণ্ড পরিণত হলো। আর অপেক্ষাকৃত কম ধনীরা তাই এমন কিছু কিনতে বাধ্য হলো, যা তাদের সামাজিক পর্যায় নির্দেশ করবে।[৯]

সামাজিক অনুক্রমে মানুষ তাদের উপরের অংশের অনুকরণ শুরু করলো। এ অনুকরণপ্রিয়তা একাবিংশ শতাব্দীর ভোগবাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দারিদ্ররা মধ্যবিত্তদের, মধ্যবিত্তরা উচ্চবিত্তদের, আর উচ্চবিত্তরা সেলিব্রিটিদের অনুসরণ শুরু করলো।

সমালোচনা সম্পাদনা

সংক্ষিপ্ত বিবরণ সম্পাদনা

 
নভেম্বর ২০০০-এ স্যান ফ্রান্সিসকোতে বাই নাথিং ডে।

ভোগবাদের শুরুর থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি ও দল এর সমালোচনা করে এসেছে। তাদের অনেকেই অন্য জীবনপদ্ধতির কথা বলেন। বেশিরভাগই আধুনিক সাধারণ জীবনযাপনের কথা বলেন।

অনেকক্ষেত্রেই ব্যক্তিবিশেষকে তার ক্রিত পণ্য বিশেষ করি ব্র্যান্ড নামের মাধ্যমে মানুষকে চেনার বিষয়টা দেখা যায়, যেমন দামি গাড়ি বা দামি গহনা দিয়ে মানুষকে চিহ্নিত করা। এ বিষয়গুলো ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। ভোগবাদের সর্বোচ্চ পর্যায় দেখা যায়, যখন কোন ভোক্তা শুধুমাত্র পণ্য ক্রয় করেই ক্ষান্ত হয় না, বরং গুরুত্বপূর্ণ সময় ও অর্থ খরচ করে অই ব্র্যান্ডকে সমর্থনও করে।[১০]

ভোগবাদের বিরোধীরা বলেন অনেক বিলাসী পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য অনেকসময় সমমনা মানুষ তৈরী ও সামাজিক স্ট্যাটাস তৈরীতে সাহায্য করে, যা সামাজিক অসমতা বৃদ্ধি করে।

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে ভোগবাদ ও ভোগবাদ-বিরোধ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সারনেকা, বারবারা; শিভিনস্কি, ব্রুনো (১৭ জুন ২০১৯)। "Do Consumers Acculturated to Global Consumer Culture Buy More Impulsively? The Moderating Role of Attitudes towards and Beliefs about Advertising"। Journal of Global Marketing (৪): ২১৯–২৩৮। আইএসএসএন 0891-1762ডিওআই:10.1080/08911762.2019.1600094 
  2. ভেবলেন, থরস্টেইন (১৮৯৯): The Theory of the Leisure Class: an economic study of institutions, ডোভার প্রকাশনা, মিওলা, নিউইয়র্ক, ১৯৯৪, আইএসবিএন ০-৪৮৬-২৮০৬২-৪। )
  3. bookrags.com, The Theory of the Leisure Class: সারসংক্ষেপ
  4. "Consumerism"। ব্রিটেনিকা সংক্ষিপ্ত বিশ্বকোষ অনলাইন। ২০০৮।
  5. এরিকসন, কাই (২০ নভেম্বর ২০১২)। "On self-service democracy: Configurations of individualizing governance and self-directed citizenship"European Journal of Social Theory। ২৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  6. গ্লিকম্যান, লরেন্স বি (২০১২)। Buying power : a history of consumer activism in America (কাগজ সংস্করণ)। শিকাগো: শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ২৬৫। আইএসবিএন 978-0226298672 
  7. তুলনা: ট্রেন্টাম্যান, ফ্রাঙ্ক (২০১৬)। Empire of Things: How We Became a World of Consumers,, from the Fifteenth Century to the Twenty-First। পেঙ্গুইন ইউকে। আইএসবিএন 9780241198407। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  8. লেভিন, মেডেলিন। "Challenging the Culture of Affluence"। Independent School। ৬৭.১ (২০০৭): ২৮–৩৬। ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে
  9. মিলার, এরিক। Attracting the Affluent। Naperville, Illinois: Financial Sourcebooks, ১৯৯০।
  10. এইজিনজেরিক, আন্দ্রিয়াস বি.; ভারদাজ, গুঞ্জন; মিয়ামোতো, ইয়োশিও (এপ্রিল ২০১০)। "Behold the Extreme Consumers and Learn to Embrace Them"Harvard Business Review৮৮: ৩০–৩১। 

রায়ান, মাইকেল টি. (২০০৭) জর্জ রিজার (সংস্করণ) The Blackwell Encyclopedia of Sociology-তে "consumption", ব্ল্যাকওয়েল প্রকাশনা, ২০০৭, ৭০১–৭০৫

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা